Bijoy Dibosh in Canberra
ক্যানবেরাতে বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদযাপন – অজয় কর
বাংলাদেশের ৩৯তম বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে ক্যানবেরাতে বাংলাদেশ দূতাবাস গত ১৬ ডিসেম্বর সকালে বাংলাদেশের জাতীও পতাকা উত্তোলন আর সন্ধ্যায় বিজয় দিবসের তাত্পর্য্য নিয়ে আলোচোনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান-এর আয়োজন করে।
দূতাবাসের মান্যবর রাস্ট্রদুত লেঃ জেঃ মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী দূতাবাস প্রাঙ্গনে সকাল ৯ টায় বাংলাদেশের জাতীও পতাকা উত্তোলন করেন। এসময় দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সাথে উপস্থিত ছিলেন ক্যানবেরাতে বসবাস্ রত গন্যমান্য অনেক বাংলাদেশীরা।
সন্ধ্যায় বিজয় দিবসের তাত্পর্য্য-এর উপর আলোচোনার শুরুতেই দূতাবাসের কমার্শিয়াল
কাউঞ্চিলর মোঃ আজাহারুল হক উপস্থিত শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহামান্য রাস্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের ‘বিজয় দিবসের বানী’ পড়ে শোনান। প্রধান্মন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘বিজয় দিবসের বানী’ পড়ে শোণান দুতাবাসের ১ম সচিব মোঃ মোশারফ হোসেন। আর পররাস্ট্রমন্ত্রী দীপু মনির পাঠাণো ‘বিজয় দিবসের বানী’ পড়েন দূতাবাসের ২য় সচিব শামিমা পারভীন।
উপস্থিত দর্শকদের ভিতর থেকে আলোচোনায় অংশ নেন মিস্টার আলবাব মাসুদ, ডঃ নিলুফার জাহান, মিস্টার বোরহান উদ্দিন শফি (বিজয়), ডঃ কামাল উদ্দিন, ডঃ অজয় কর, ডঃ ডঃ মোহম্মাদ এ কাদির। সবশেষে উপস্থিত দর্শকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন মান্যবর রাস্ট্রদুত লেঃ জ়েঃ মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী।
তরূন বক্তা মিস্টার আলবাব মাসুদ বলেন, আমরা যারা জন্ম থেকে একটা স্বাধীন দেশে বসবাস করছি তাদের পক্ষে আসলে স্বাধীনতার গুরূওটা বুঝা কঠিন। আলবাবের কাছে স্বাধীনতার মানে হোলো নিজের ভাষাতে মুক্তো ভাবে কথা বলা, নিজের কাজের স্বাধীনতা, কোণো কিছু ভুল হোলে তার বিরুদধে আওয়াজ তোলার স্বাধীনতা, মুক্তভাবে চলাফেরা করার স্বাধীনতা। বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নতির গতিকে কাতার, সিঙ্গাপুর, কু্যেতের মতো দেশগুলির উন্নতির সঙ্গে তুলনা করে আলবাব বলেন বাংলাদেশের এই ৪০ বছরে আরো উণ্ণতি করার দরকার ছিল। তিনি মনে করেন প্রতিটি দেশের মতো বাংলাদেশেরও উজ্জ্বল আর অন্ধকার- দুটো দিক আছে। তবে যতদিন না আমরা আমাদের অন্ধকারের দিকগুলিকে নিযে চিন্তা করবো অন্ধকার দিকগুলো অন্ধকারেই থেকে যাবে।
ডঃ নিলুফার জাহান বলেন দীর্ঘ ৩৯ বছেরও স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়নি। স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সকল কে একযোগে কাজ করতে হবে বলে তিনি জানান।
স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে সকল বাংলাদেশীকে এক পতাকা তলে এসে দেশের কাজ করার আহবান জানান মিস্টার বোরহান উদ্দিন শফি (বিজয়)।
ডঃ কামাল উদ্দিন বলেন যতদিন না জাতির বিভক্তি কমানো যাবে তাতোদিন দেশ স্বনিরভর হবে না। তিনি আরো বলেন যে ইন্দিরা গান্ধি, রবিশঙ্কর, ওডারলান্ড সহ স্বাধীনতার যুদ্ধ-এ সহযোগী সকলকে তাদের পাওনা ফিরিএ দেবার সময় এসেছে।
ডঃ অজয় কর বাংলাদেশের স্বনিরভরতার লক্ষে দেশের ভিতরে ও বাইরে সবাইকে এক যোগে কাজ করে যেতে হবে বলে মতামত ব্যক্ত করেন। প্রবাসি বাংলাদেশিরা যাতে বাংলাদেশের উন্ন্যয়নে সরাসরি ভুমিকা রাখতে পারে সে ব্যপারে যাবতীও সু্যোগ তৈরী করে দিতে সরকারের সক্রিয় উদ্দোগ নেওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন।
বিএএসি’র সভাপতি ডঃ মোহম্মাদ এ কাদির স্বাধীনতার যুদ্ধ-এ যারা শহীদ হয়েছেন তাদের স্বরনে ANZAC Day এর মতো একটি দিন উদযাপনের উপর গুরত্ত আরোপ করেন।
মান্যবর রাস্ট্রদুত লেঃ জেঃ মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী তার বক্তব্য-এর শুরুতেই শ্রধ্যাভরে স্মরন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান কে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মাত্র ৯ মাসে পাকিস্তানের মতো সুসংগঠিত একটি সেনাবাহিনীকে পরাজিত করে বিজয় অর্জন ছিল একটি নজির বিহীন ঘটোনা। উপস্থিত সকলের উদ্দেশে তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বনীরভরতার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশীরা আরো অনেক বেশী ভুমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদী।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে মোঃ আজাহারুল হক স্বাধীনতা যুদ্ধ-এর উপর নির্ধারিত কিছু ‘স্লাইড’ প্রদর্শন করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধ-এর শিকড়ের সন্ধ্বানে তরূন বাংলাদেশীদের উদ্বুদ্ধ করতে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের উপর ‘স্লাইড’ প্রদর্শন করেন জিয়াউল হক (বাবলু)।
দুতাবাসের নিজেস্ব শিল্পীদের সমবেত কুন্ঠের ‘ধন ধান্যে পুস্পে ভরা, আমাদের এই বসুন্ধরা’ গানটি দিয়ে শুরূ হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান-এর। মনোমুগ্ধোকর গানে দর্শকদের মন মাতিয়ে রাখেন তাসিনভা জেরিন মাসুদ (মিথিলা), অভিজিত সরকার, আর রবিন গুদা। যুগল কন্ঠে দেশের গান গেয়ে শোনান মিস্টার তারেক শাফা আর ডঃ কামাল উদ্দিন। কবিতা পরে শোনান দূতাবাসের মোঃ মহিউদ্দিন এবং শামিমা পারভীন।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সকলকে নৈশভোজের আমন্ত্রন জানান মোঃ আজাহারুল হক- পুরো অনুষ্ঠান টির পরিকল্পনায এবং পরিচালনার দায়ীত্তে ছিলেন তিনি।
more event photos at https://priyoaustralia.com.au/photos/main.php?g2_itemId=11779