Freedom Fight Film Show Postage Stamps Exhibition in Adelaide

Freedom Fight Film Show  Postage Stamps Exhibition in Adelaide

এডেলেইডে মুক্তিযুদ্ধের ফিল্ম শো ও ডাক টিকেট প্রদর্শনী –

বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া সোসাইটি অফ সাউথ অস্ট্রেলিয়া (বাছা ) , এডেলেইডের প্রথম রেজিস্টার্ড বাংলাদেশীদের সোসাইটি, যার যাত্রা শুরু ১৯৮৪ সাল থেকে । শুধু সাউথ অস্ট্রেলিয়া নয় , সমগ্র অস্ট্রেলিয়াতে রেজিস্টার্ড বাংলাদেশীদের সোসাইটির মধ্যে এটি অন্যতম এবং পুরনো । ডঃ রফিকুল ইসলাম সাহেবদের হাত ধরে এই সোসাইটির যাত্রা শুরু ।শুরুতে য়ের সদস্য সংখ্যা ছিল ২০ জন, তার মধ্যে ঐ পারের বাঙ্গালীদের ও যথেষ্ট অবদান ছিল এই সোসাইটি গড়ে তোলার পিছনে । বর্তমানে সোসাইটির সদস্য সংখ্যা প্রায় ৪০০ য়ের উপরে , যারা পেইড মেম্বার , নন পেইড মেম্বারদের সদস্য সংখ্যা ও কম নয় । তার উপরে রয়েছে বাঙ্গালী সংস্কৃতি ধারণ ও লালনের অঙ্গীকার সব মিলিয়ে এডেলেইডে এপার বাংলা -ওপার বাংলার এটা এক মিলন ক্ষেত্র ।শুধু মাত্র বাংলাদেশীরা নয় , বাঙ্গালী যে কারোর প্রবেশাধিকার থাকায় আমাদের এই সোসাইটিতে পশ্চিম বাংলার অনেক বাঙ্গালী রয়েছেন । শুধু তাই নয়, অস্ট্রেলিয়ার একমাত্র বাঙ্গালী সোসাইটি যার বর্তমান সভাপতি ডঃ সাইফুল ইসলাম সাহেবের বাড়ী ও পশ্চিম বাংলায় । যা সত্যিই আমাদেরকে গর্বিত করে । এ সোসাইটির সদস্য হয়ে আমি যেমন গর্বিত , ঠিক তেমনি এর জেনারেল সেক্রেটারি হতে পেরে আমি নিজেকে অনেক বেশী সৌভাগ্যবান মনে করি ।

সোসাইটির জেনারেল সেক্রেটারি হিসেবে যেমন দায়িত্ব রয়েছে , ঠিক তেমনি বিভিন্ন চাপ ও থাকে নানামুখী আয়োজনের । এ রকমেরই একটি চাপ , দায়িত্ববোধেরে ব্যাপার ছিল বর্তমান সময়ের এই আলোচিত বিষটির । বিষয়টি হোল মুক্তিযুদ্ধের , যেহেতু বর্তমান সরকার একটি বিশেষ মহৎ কাজে হাত দিয়েছেন । সেহেতু মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হিসেবে আমাদের ও দায়িত্ব রয়েছে সরকারকে এ ব্যাপারে সহযোগিতা করা । তাহলো ৭১য়ের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার ব্যাপারে সরকারকে মানসিকভাবে সমর্থন যোগানো । এর পাশাপাশি বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তথা সঠিক ইতিহাস ভিত্তিক কার্যক্রমগুলোকে আরও ব্যাপৃত করা ।এ সমস্ত কিছুর চূড়ান্ত যোগফল হল এডেলেইডে মুক্তিযুদ্ধের ফিল্ম প্রদর্শনীর আয়োজন ।

এ আয়োজনের পেছনের কথাগুলো না বললেই নয় , ব্যাপারটি নিয়ে গত বৎসরের নভেম্বর মাসে সর্বপ্রথম ক্যানবেরা থেকে আমাকে টেলিফোন করেন কামরুল আহসান খান , কামরুল ভাই । কামরুল ভাই যখন আমাকে বিষয়টি বলেন , তখন আমি একবাক্যে রাজী হয়ে যাই । পাশাপাশি ওনাকে আমি একথা ও বলি যে, কামরুল ভাই আমি নিজে এডেলেইডের সবচেয়ে বড় বাংলাদেশী সোসাইটির একটি অত্যন্ত দায়িত্বশীল পদে অধিষ্ঠিত , কাজেই ব্যাপারটি আমার জন্যে যেমন সবচেয়ে সহজ , ঠিক তেমনি কঠিন ও । কামরুল ভাই তখন বিষটি জানতে চান , আমি ওনাকে পুরো ব্যাপারটি পরিষ্কার করলাম যে , এডেলেইডে বাংলাদেশীদের আরও ৩টি রেজিস্টার্ড এসোসিয়েশন রয়েছে – একটি হল এডেলেইড বাংলাদেশ টাইগার্স (এবিটি ) যার যাত্রা শুরু হয়েছে ২০০৯ সাল থেকে , অন্যটি হল বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ও কালচারাল সোসাইটি সাউথ অস্ট্রেলিয়া (বিপিসিএস এস এ ) এ সংঘটনটি ও নতুন , যার যাত্রা শুরু হয়েছে ২০১০ সাল থেকে এবং আরেকটি হল সাউথ অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ কমিউনিটি (সাবকা ) যার সদস্যদের সকলেই বাছাতে ছিলেন এবং ২০০৫ সালে বাছা থেকে কিছু লোক বের হয়ে গিয়ে উপরোক্ত বাংলাদেশী পৃথক কমিউনিটির জন্ম দেন , কিন্তু কেন হয়েছে ? সে প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই , কারণ এডেলেইডে আমার জীবনকাল শুরু হয়েছে ২০০৬ সাল থেকে । উপরের বিবরণটি দিলাম একারণে পাঠক যেন সমস্ত ব্যাপারটি ভাল ভাবে বুঝতে পারেন । কামরুল ভাইকে বললাম, আমি ব্যক্তিগত ভাবে মুক্তিযুক্তের ফিল্ম শোয়ের আয়োজন করতে পারি বাছার ব্যানারে , কিন্তু ব্যাপারটির জাতীয় গুরুত্বের কথা চিন্তা করলে ভাল দেখায় না । এ রকম একটি জাতিয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যদি এডেলেইডের সমস্ত বাংলাদেশীদের সম্পৃক্ত করতে পারি , তাহলে ব্যাপারটি সুন্দর দেখাবে এবং আমাদের উদ্দেশ্যে ও সফলকাম হবে । তারপর কামরুল ভাই যখন আমার কাছে জানতে চান কি করা যায় , আমি ওনাকে বলি আপনি যদি অন্যান্য এসোসিয়েশনের সভাপতিদের সাথে ব্যক্তিগতভাবে একটু আলাপ করেন , তাহলে পরবর্তীতে সমস্ত কাজটি করা আমার পক্ষে সহজ হয়ে যায় । কামরুল ভাই ও ব্যাপারটির সাথে একমত হন ।

তারপর শুরু হোল আলোচনার পালা, আমি অন্যান্য এসোসিয়েশনের সভাপতি ও জেনারেল সেক্রেটারিদের আমার বাসায় বসার আমন্ত্রণ জানাই । ওনারা সকলে আসতে রাজী হন এবং পরপর দুইবার আমার বাড়ীতে বসার পর সমগ্র ব্যাপারটি যখন অত্যন্ত সুন্দর ও সাবলীল ভাবে এগুতে থাকে , তখন আমি নিজে ও স্বস্তি বোধ করি । তৃতীয় পর্বের আলোচনায় আমরা বসি সাবকার প্রেসিডেন্ট ডাঃ নকীব ভাইয়ের বাসায় এবং সর্বশেষ অর্থাৎ চতুর্থ বার আমরা সকলে একত্রিত হই পূজা কমিটির প্রেসিডেন্ট রনজিত দার বাসায় । উপরোক্ত আলোচনার মধ্যে দিয়ে আমরা অনুষ্ঠানের মূল আয়োজন এবং খুঁটিনাটি সমস্ত বিষয়গুলোর চূড়ান্ত রুপদেই । সকলে অত্যন্ত স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসেন এবং যার যার পক্ষ থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন । যার ফলে মুক্তিযুদ্ধের ফিল্ম শোর মত একটি সুন্দর আয়োজন আমরা প্রবাসে বসেও করতে পেরেছি ।

সমস্ত আয়োজনের পেছনের চালিকা শক্তি যেমন ছিলেন কামরুল ভাই , ঠিক তেমনি আমি এখানে আরও একটি নাম বলতে চাই ডাঃ মাশরাফি ভাই , যিনি আমাকে ব্যক্তিগত ভাবে পার্থ থেকে কয়েকবার টেলিফোনে ব্যাপারটি নিয়ে আগ্রহের কথা বলেন । কিন্তু চূড়ান ফলাফলের আগ পর্যন্ত আমি ওনার সাথে ব্যাপারটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনায় যাইনি , শুধু এটুকু বলেছি যে , আমরা চেষ্টা করছি কিছু একটা করতে । এ অনুষ্ঠানের সফলতার পেছনে যে নামটি না বললেই নয়, ওনি হলেন বাংলাদেশ ফিলাটেলিক ফেডারেশনের জেনারেল সেক্রেটারি ও বাছার কার্যকরী কমিটির সদস্য মনিরুল ইসলাম মনির ভাই , অনুষ্ঠানের পোষ্টার ডিজাইন থেকে শুরু করে , টিকেট , পাস সমস্ত কিছুতে রয়েছে ওনার নিপুণ হাতের সৃজনশীল ছাপ , প্রত্যেকটি মিটিঁঁংয়ে ওনি যেমন উপস্থিত থেকেছেন , ঠিক তেমনি খুঁিটনাটি সমস্ত বিষয়গুলোর দেখভাল করেছেন অত্যন্ত যত্মের সাথে , ওনার আগ্রহ ও সহযোগিতায় ফিল্ম শোয়ের দিন আমরা এডেলেইড ইউনিভার্সিটি ভেন্যুতে মুক্তিযুদ্ধের ডাক টিকেটের প্রদর্শনীটি করতে পেরেছি অত্যন্ত সুন্দরভাবে । ওনার আরও একটি বিশেষ পরিচয় না দিলেই নয় , তা হল ওনি ডাক টিকেট সংগ্রহ ও প্রদর্শনীতে জাতীয় পর্যায়ে স্বর্ণ পদকপ্রাপ্ত । মুক্তিযুদ্ধের ফিল্ম শোয়ের ব্যাপারে আমরা আরও সবচেয়ে বেশী যার সহযোগিতা পেয়েছি ওনি হলেন বাংলাদেশ হাইকমিশনার মাননীয় হাইকমিশনার জনাব মাসুুদউদ্দিন সাহেবের কাছ থেকে , আমি ব্যক্তিগতভাবে টেলিফোনে ওনার সাথে কথা বলেছি, প্রতিবারই ওনি ওনার সর্বত্র সহযোগিতার কথা বলেছেন এবং ঐটার প্রমাণ ও ওনি দিয়েছেন । আমি ব্যক্তিগতভাবে ওনাকে এবং ওনার মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারকে প্রবাসে সুন্দর একটি আয়োজন করতে পারার জন্যে জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন , আশা করব এধরনের সুন্দর এবং ভাল কাজের সহযোগিতা যেন অদূর ভবিৎয়ে ও অব্যাহত থাকে । ফিল্ম শোয়ের ভেন্যু প্রাপ্তির সহযোগিতার জন্যে আমি মেজর (অবঃ ) সাব্বির ইকমিল ভাইয়ের প্রতি বিশেষভাবে কৃতার্থ , বিষয়টি নিয়ে ওনার সাথে টেলিফোনের আলাপের পর থেকে ওনি স্ব উদ্যোগে সমস্ত কিছুর আয়োজন সম্পন্ন করে আমাকে কনফার্মেশন নিউজটি জানিয়েছেন , তার জন্যে আমি যারপরনাই মুগ্ধ , ওনার কাজের প্রতি সিরিয়াসনেস দেখে । ওনার আরেকটি বিশেষ পরিচয় এখানে না দিলেই নয়, তাহলো এডেলেইডের বাংলাদেশীদের একমাত্র স্পোর্টস ক্লাব এবিটির ওনি হলেন প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও । সর্বশেষ আমি যার প্রতি বিশেষভাবে ঋনী তা হল প্রিয় অস্ট্রেলিয়ার টিমের প্রতি ওনারা সুদূর ক্যানবেরায় বসে ও যেভাবে মানিসকভাবে আমাদের প্রতি সহযোগিতা জানিয়েছেন , সমর্থন জুগিয়েছেন তার তুলনা শুধুমাত্র ওনারাই , মিডিয়া কাভারেজ থেকে শুরু করে যেভাবে আমার প্রতি, আমাদের প্রতি বিষয়টি নিয়ে একাত্ম থেকেছেন এর জন্যে ওনাদের সহ অনুষ্ঠানেকে সাফল্যমন্ডিত করে তুলবার পেছনে সমস্ত ছোট বড় ইচ্ছা ও শক্তিগুলোকে আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে একরাশ লাল গোলাপ শুভেচ্ছা । এবং সেই সাথে সাথে এ ধরনের সমস্ত ভবিষৎ ভাল আয়োজনের পক্ষে ওনাদের আবার ও পাশে পাবার ইচ্ছা সহ বিদায় নিচ্ছি , সকলে ভাল থাকুন , সুুস্থ্য থাকুন । মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ ফিরে পাক নতুন ধারার অগ্রসরমানতা ।

আরশাদ হোসেন ভূঁইয়া ।

এডেলেইড , অস্ট্রেলিয়া ।

৩রা জুন ২০১২।

2012/pdf/film_show_861467600.pdf ( B) 


Place your ads here!

No comments

Write a comment
No Comments Yet! You can be first to comment this post!

Write a Comment