ক্যানবেরায়বহুভাষাওসংস্কৃতিরব্যক্তিদেরঅংশগ্রহণেঅমরএকুশেউদযাপন
ক্যানবেরায় বহু ভাষা ও সংস্কৃতির ব্যক্তিদের অংশগ্রহণে
অমর একুশে উদযাপন
ক্যানবেরা, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩:
অস্ট্রেলিয়ায় বহু ভাষা ও সংস্কৃতির ব্যক্তিদের অংশগ্রহণে পালিত হলো শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। রাজধানী ক্যানবেরায় প্রভাত ফেরীসহ বাংলাদেশ হাইকমিশনের এসব আয়োজনে অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটাল টেরিটরি (এসিটি) সরকারের মন্ত্রী, রাষ্ট্রদূত-কূটনৈতিকসহ প্রবাসী বাংলাদেশিরা স্বতস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
ক্যানবেরার তেলোপিয়া পার্কে মানুকা সার্কিট ও নিউ সাউথ ওয়েলস স্ট্রীটের ক্রসরোডে স্থাপিত অস্থায়ী শহিদ মিনারে বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। প্রভাত ফেরী সকাল ৬.৩০ মিনিটে শুরু হয়ে মানুকা ওভাল ঘুরে অস্থায়ীভাবে স্থাপিত শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে শেষ হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটাল টেরিটরি (এসিটি) সরকারের মন্ত্রী, রাষ্ট্রদূত-কূটনৈতিক,অষ্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রতিনিধি, বিভিন্ন ভাষা-ভাষীদের প্রতিনিধি, অষ্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী ও অভিবাসীগণ এবং বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ ও তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ। অংশগ্রহণকারীরা অস্থায়ী শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় ভাষা শহিদদের স্মরণে ০১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দিকী, এসিটি সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাসেল স্টিফেন স্মিথ, পরিবেশ মন্ত্রী রেবেকা ভাসারত, বহুসংস্কৃতি বিষয়ক ছায়ামন্ত্রী পিটার কেইন, অস্ট্রেলিয়ায় ভারতের রাষ্ট্রদূত মনপ্রিত ভোরা সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করেন। এম আল্লামা সিদ্দিকী এ সময় ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলাদশের স্বাধীনতা অর্জন পর্যন্ত দীর্ঘ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসাধারণ নেতৃত্বের কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, বিশ্বের প্রায় ৭ হাজার ভাষার প্রতিটি জীবন্ত যাদুঘর এবং অনন্য জ্ঞানের আধার। প্রতিবছর এ ৭ হাজার ভাষার মধ্যে কমপক্ষে ১টি ভাষা বিলুপ্ত হচ্ছে উল্লেখ করে বাংলাদেশের হাইকমিশনার বিশ্বের প্রতিটি ভাষা সংরক্ষণের বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এসময় বক্তাগণ মহান শহিদ দিবস ও আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন। ভারতের রাষ্ট্রদূতসহ বক্তারা ভাষার সম্মান রক্ষায় বাংলাদেশের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং বহু সংস্কৃতিবাদ ও ভাষার অন্তর্ভুক্তির ওপর জোর দেন।
একুশের ব্যাপারে সম্যক অবহিত করা এবং নৃ-তাত্ত্বিক ভাষাসহ সকল মাতৃভাষার সম্মানার্থে এই অস্থায়ী শহিদ মিনার তিনদিনব্যাপী খোলা রাখা হয়েছে।
সকাল ৮.০০ টায় হাইকমিশন প্রাঙ্গণে হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দিকী জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন। এসময় দিবসটি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। এছাড়া নিজ নিজ ধর্মমত ও প্রথা মোতাবেক ভাষা শহিদদের উদ্দেশ্যে মৌন প্রার্থনা এবং তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে দিবসটির প্রথম প্রহরের অনুষ্ঠান শেষ হয়।
সন্ধ্যায় দেড় শতাধিক অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী ও অভিবাসী বাংলাদেশির অংশগ্রহণে বাংলাদেশ হাইকমিশনে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ওপর এক আলোচনা সভা আয়োজন করা হয় যাতে হাইকমিশনারসহ অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশগ্রহণ করেন। আলোচনা শেষে ভাষা শহিদদের স্মরণে ও বাংলাদেশকে উপজীব্য করে স্থানীয় বাংলাদেশি শিল্পীদের পরিবেশনায় এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এদিকে, একুশের চেতনা, তাৎপর্য, ইতিহাস বিষয়ে এবিসি রেডিও ক্যানবেরা আজ সকালে হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দিকীর লাইভ সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে। এসময় তিনি একুশের চেতনা বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী ও সংস্কৃতির মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে প্রতি বছর বাংলাদেশ হাইকমিশন ক্যানবেরা গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন ।
Related Articles
Buddha Purnima to be observed on 17 May
Date: 13 May 2011Message of High Commissioner on the Occasion of Buddha PurnimaThe teachings of the Lord Buddha are solely
Plea for help!
A brother in Melbourne who does not have permanent residency has been diagnosed with cancer and been told he has
Professional Achievement: Paramesh Bhattacharya
It is a great pleasure to announce that BSPC’s active financial member Mr Paramesh Bhattacharya has been awarded the Celebrate