বিজয় দিবসে ক্যানবেরায় গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জাতীয় পতাকা ও ব্যানার প্রদর্শন

বিজয় দিবসে ক্যানবেরায় গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জাতীয় পতাকা ও ব্যানার প্রদর্শন

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : ক্যানবেরা,  ১৬ ডিসেম্বর ২০২১

অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় মহান বিজয় দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে ছিল ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ কমনওয়েলথ ব্রিজের দু’পাশে আজ সকালে প্রদর্শন করা হলো ৩২টি জাতীয় পতাকা ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বিশেষ ব্যানার।

জাতীয় পতাকা ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর ব্যানার এখানে সপ্তাহব্যাপী প্রদর্শন করা হবে যার উপরের অংশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি ও ১৯৭১ সাল লেখা এবং নিচের অংশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ও ২০২১ সাল লেখা। এতে সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান যে, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যেমন বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা অর্জনের পর উন্নয়ন অগ্রযাত্রা শুরু হয়, তেমনই স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ২০২১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত আছে।

বাংলাদেশ হাকমিশন আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ সুফিউর রহমান, মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন পেশার দেড় শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি অংশগ্রহণ করেন।

এসময় বাংলাদেশের হাইকমিশনার সুফিউর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশকে অস্ট্রেলিয়া গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার (Key Partner) হিসেবে বিবেচনা করে। স্বাধীনতার চেতনা ও লক্ষ্য অর্জনে অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল এবং উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে দৃঢ় পদক্ষেপে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা বিদেশে প্রচার ও প্রসারে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সক্রিয় সহযোগিতা কামনা করেন বাংলাদেশের হাইকমিশনার ।

সুফিউর রহমান বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে সামাজিক ও অথনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় এগিয়ে। এতে উন্নত বাংলাদেশের বিনির্মাণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ও পদক্ষেপের সঠিকতা প্রমাণিত হয়েছে।

কমনওয়েলথ সড়কসংলগ্ন বেরিন ড্রাইভে আয়োজিত প্রাত:কালীন সমাবেশ উৎসবমূখর হয় হাইকমিশন ও  প্রবাসী বাংলাদেশিদের পদচারণায়। এসময় মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের অংশ হিসেবে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। ক্যানবেরাস্থ প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাংস্কৃতিক  সংগঠন ধ্রুপদ ও জলসা এবং বাংলাদেশ হাইকমিশন পরিবারের সদস্যরা সমবেত জাতীয় সঙ্গীত ও দেশাত্ববোধক সঙ্গীত পরিবেশন করেন।

পরে বাংলাদেশ হাইকমিশন চত্বরে হাইকমিশনার জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এসময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যবৃন্দ এবং মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এছাড়া মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।

সন্ধ্যায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কয়েকজন খ্যাতনামা সংগীত শিল্পী দেশাত্ববোধক গান পরিবেশন করেন। এছাড়া কবিতা ও নৃত্য পরিবেশন করা করা হয়। আলোচকগণ বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন ও স্বদেশ বিনির্মাণে জাতির পিতার অবদান এবং  বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ করে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরন্তর প্রচেষ্টার বিষয়ে আলোকপাত করেন। এসময় বাংলাদেশের হাইকমিশনার সুফিউর রহমান বাংলাদেশের গত দশকের ব্যাপক উন্নয়ন অগ্রযাত্রার বিষয় তুলে ধরে স্বাধীনতার চেতনা ও লক্ষ্য অর্জনে সাম্য, মানবিকতা ও সামাজিক ন্যায় বিচারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এবিষয়ে পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতার ওপরও জোর দেন হাইকমিশনার।


Place your ads here!

Related Articles

ক্যাম্বেলটাউন বাংলা স্কুলের বাৎসরিক পিঠা উৎসব ৪ঠা আগস্ট ২০১৯

পিঠা আমাদের শ্বাশত ঐতিহ্যের অপরিহার্য অনুষঙ্গ। স্বাদ ও পুষ্টি মানে অনন্য এই পিঠা আমাদের শেকড়ের সাথে, আমাদের অস্তিত্বের সাথে মিশে

বিড়ি শ্রমিকদের বিকল্প কর্মসংস্থানের অর্থ সংস্থানের জন্য তামাকের উপর কর বৃদ্ধি করার দাবি

নিরাপদ ও গ্রীণ মাইন্ড এর প্রতীকী অবস্থানে বক্তারা দেশের বিড়ি শ্রমিকরা মারাত্মক ক্ষতিকর পরিবেশে কাজ করছে। বিড়ি কারখানায় কাজ করার

No comments

Write a comment
No Comments Yet! You can be first to comment this post!

Write a Comment