বাংলাদেশ হাইকমিশন, ক্যানবেরা কর্তৃক “শত কন্ঠে স্বাধীনতার গান” সংগীতানুষ্ঠান

বাংলাদেশ হাইকমিশন, ক্যানবেরা কর্তৃক “শত কন্ঠে স্বাধীনতার গান” সংগীতানুষ্ঠান

৪৭ তম “মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস” উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশন, ক্যানবেরা কর্তৃক “শত কন্ঠে স্বাধীনতার গান” শীর্ষক সংগীতানুষ্ঠান আয়োজন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: ক্যানবেরা, ২৬ মার্চ ২০১৭, ৪৭ তম “মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস” ২০১৭ উদ্যাপনের অংশ হিসেবে আজ ২৬ শে মার্চ বাংলাদেশ হাইকমিশন ও ক্যানবেরা প্রবাসী বাংলাদেশীদের সক্রিয় অংশগ্রহন ও সহযোগীতায় “শত কন্ঠে স্বাধীনতার গান” শীর্ষক এক মনোজ্ঞ দেশাত্মবোধক সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ৫০ জন প্রবাসী কন্ঠশিল্পীদের পরিবেশনায় প্রায় দু-ঘন্টা ব্যাপী এ অনুষ্ঠান শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশী ও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিদেশী দর্শক উপভোগ করেন। অনুষ্ঠানটি ক্যানবেরা শহরের প্রানকেন্দ্র “গ্যারিমা প্লেস”-এ অনুষ্ঠিত হয়, যা শহরের যে কোন উন্মুক্ত চত্বরে বাংলাদেশ হাইকমিশন দ্বারা আয়োজিত প্রথম অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে শিল্পীবৃন্দ সমবেত কন্ঠে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত দেশাত্মবোধক ও অনুপ্রেরণামূলক অসংখ্য গানের মধ্য থেকে ০৭ টি গান পরিবেশন করেন যার মধ্যে ছিল “ ও আমার দেশের মাটি, তোমার পরে ঠেকাই মাথা, কারার ঐ লৌহ কপাট” এর মত উদ্দীপনামূলক গান।

অনুষ্ঠানের শুরুতে মান্যবর হাইকমিশনার কাজী ইমতিয়াজ হোসেন তাঁর স্বাগত ভাষণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ, প্রত্যয়ী, আপোষহীন নেতৃত্ব এবং আজীবন ত্যাগ ও সংগ্রামের ফসল আমাদের এ স্বাধীনতা। এর পর তিনি ৩০ লক্ষ শহীদের রুহের মাগফেরাত কামনা ও ২ লক্ষ মা-বোন যারা সম্ভ্রম হারিয়েছেন তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের ০৯ মাস মুক্তিযোদ্ধা ও দেশবাসীকে উদ্দীপ্ত করার জন্য স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র অসামান্য ভূমিকা রেখেছিল। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র হতে প্রচারিত সে সকল গান যা কিনা পরাধীনতার শৃংখল ভেংগে বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উচুঁ করে দাঁড়াতে উজ্জীবিত করেছিল, সেই গানগুলোকে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌছে দেয়ার জন্যই “শত কন্ঠে স্বাধীনতার গান” এর এই প্রয়াস। তিনি বিশ্বাস প্রকাশ করেন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের আত্মত্যাগ নতুন প্রজন্মের হৃদয়ে ধারণ করবে এবং সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশী এবং বিদেশীদের স্বত:স্ফুর্ত অংশগ্রহনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানস্থলে একটি উৎসব মূখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। সংগীতানুষ্ঠান ছাড়াও মেহেদী, আল্পনা আঁকা সহ অন্যান্য আয়োজন ছিলো।

ইতিপূর্বে সকাল ৮:০০ ঘটিকায় মান্যবর হাইকমিশনার কাজী ইমতিয়াজ হোসেন কর্তৃক জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০১৭ উদ্যাপনের দিনের কর্মসূচী শুরু হয়। এরপর মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দু’আ ও মোনাজাত করা হয়।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ এবং দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরা হয়। উল্লেখ্য, আগামী ২৯ শে মার্চ “মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস” ২০১৭ উপলক্ষ্যে একটি অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।


Place your ads here!

Related Articles

প্রাণবন্ত আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো এক্স শাহীন স্কুল এন্ড কলেজের পিকনিক

৩০ সেপ্টেম্বর সিডনির অস্ট্রেলিয়ান মাউন্ট আনান – বিগ আইডিয়া গার্ডেনে অনুষ্ঠিত হলো এক্স বিএএফ শাহীন স্কুল এন্ড কলেজের পিকনিক। এক্স

মঞ্চে জীবন নাটক

হ্যাপি রহমান, সিডনি: প্রায় এক দশক আগে এমনই কোন এক গ্রীষ্মকালে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে সপরিবারে প্রথম এসেছিলাম । গন্তব্য শহর থেকে

BAAC AGM on 26 July 2015 at Theo Notaras

Dear All The Annual General Meeting 2015 of BAAC will be held on Sunday 26 July 2015 in the Meeting

No comments

Write a comment
No Comments Yet! You can be first to comment this post!

Write a Comment