Posts From KobiOkobita.com
Back to homepageরাঙা মাটির পথ চলেছে
রাঙা মাটির পথ চলেছে লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী রাঙা মাটির পথ চলেছে আমার গাঁয়ের পাশে, দুধার ভরা ধান খেত আর চিল ওড়ে আকাশে। বুড়ো শিবের গাজনতলায় গ্রাম সড়কের মোড়ে, রোজ আসে যাত্রীবাহী বাস যাত্রীদল সব চড়ে। আমার গাঁয়ে পথের বাঁকে
Read Moreবুক পেতে আছি
দুর্বার প্রেমে যদি আসো কোনোদিন নির্জনেখোদার কসম যা আছে ভালোবাসা সব দিব বাম হাতেভেব না বিয়োগ বাস্তবে যোগ তুমি আর আমি এর ফলেকাঁদাতে যদি চাও আমাকে নিভৃতে এসো সন্ত্রাস হয়েসব সমর্পণ তোর তরে মন দেহ আর অগণিত ঘৃণা প্রাণভরেঅগণিত ভয়
Read Moreপথের দুধারে ধান খেত
পথের দুধারে ধান খেত লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী পথের দুধারে ধানখেত আর তাল খেজুরের সারি, রাঙাধূলো উড়িয়ে পথে সারাদিন চলে গরুর গাড়ি। দূরে ওই আকাশপারে শুনি আমি শঙ্খ চিলের ডাক, অজয়নদের পথের বাঁকে উড়ে বন শালিকের ঝাঁক। বনের টিয়া লুকায়
Read Moreআমার গাঁয়ে আঁকা বাঁকা পথে
আমার গাঁয়ে আঁকা বাঁকা পথে লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী আমার গাঁয়ে আঁকা বাঁকা পথে, গাঁয়ের বধূরা আসে জল নিতে। কলসী কাঁখে আলতা পরা পায়ে, রাঙাপাড় কাঁচা হলুদ শাড়ী গায়ে। আমার গাঁয়ে রাঙা মাটির পথে, দুধার ভরা সবুজ ধানের খেতে। সোনা
Read Moreকার্তিকের ধানের খেতে
কার্তিকের ধানের খেতে লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী কার্তিকের ধানের খেতে ভোরে হিমেল হাওয়া, সবুজ তরুর শাখে শাখে পাখিদের গান গাওয়া। খেতের আলে ফিঙে নাচে দেখতে ভালো লাগে, উথলে ওঠে খুশির জোয়ার চিত্তে পুলক জাগে। কার্তিকের ঐ ধানের খেতে উপচে পড়ে
Read Moreকোজাগরী লক্ষ্মীপূজা
কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা মহা ধূমধাম, মা লক্ষ্মীর চরণেতে জানাই প্রণাম। বিষ্ণুর বনিতা তুমি রূপে অনুপমা, বিশ্বজুড়ে হেরি তব অমর মহিমা। শোভিছে মঙ্গলঘট তাহে আম্রশাখা, চৌদিকে সুদৃশ্য বহু আলপনা আঁকা। ধূপ দীপ শঙ্খ ঘণ্টা প্রসাদের থালা,
Read Moreআমার গাঁয়ে পথের বাঁয়ে
আমার গাঁয়ে পথের বাঁয়ে লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী আমার গাঁয়ে গাছের ছায়ে কত পাখি বাঁধে বাসা, আমার গাঁয়ে পথের বাঁয়ে ঘাস কাটে গাঁয়ের চাষা। সবুজ ধানের খেতের আলে শিশির বিন্দু পড়ে ঝরে, গাঁয়ের ডাঙায় গরু মোষ আর ছাগলভেড়া বেড়ায় চরে।
Read Moreপূজোর মেলায়
পূজোর মেলায় লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সাঁঝের বেলায় পূজোর মেলায় চলিছে সার্কাস খেলা, মেলার ভিড়ে বন্ বন্ করে ঘুরিছে নাগর দোলা। মেলার মাঝে মাইক বাজে ভেসে আসে কোলাহল, দোকানীরা সব করে কলরব করে হৈ চৈ অবিরল। পূজোর পরে দশ
Read Moreপূজোর মেলাতে
পূজোর মেলাতে লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী তিন শালীতে ঝগড়া করে আমার বৌয়ের সাথে, জামাইবাবুর সাথে মোরা যাব পূজোর মেলাতে। শালীরা বলে দিদিরে তুই কথা কেন শুনিস না, মেলায় জামাইবাবুর সাথে যেতে কেন দিস না। মেলায় যাব ফুচকা খাব মোরা
Read Moreদেবীর বোধন
দেবীর বোধন লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী দেবীপক্ষে দুর্গাপূজা ভারি ধূম পড়ে, ঢাক ঢোল কাঁসি বাজে দেবীর মন্দিরে। দর্শনার্থীদের ভিড় রাতে আলো জ্বলে, দেবীর আরতি হয় প্রতি সন্ধ্যাকালে। দূর্গতি হারিণী মাতা দেবী দশভূজা, ভক্তিভরে সর্বলোকে করে তার পূজা। পরণে নতুন জামা
Read Moreমহাসপ্তমী পূজা
মহাসপ্তমী পূজা লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সপ্তমীতে দুর্গাপূজা দেবীর মন্দিরে, শুদ্ধচিত্তে পুরোহিত মন্ত্রপাঠ করে। ফুলমালা বিল্বপত্র নানা উপচার, সুগন্ধিত পুষ্পরাজি বিবিধ প্রকার। মার কোলে নব সাজে শিশুকন্যাগণ, হাতেতে কাঁচের চুড়ি প্রফুল্লিত মন। জনকের হাত ধরি শিশু-পুত্রগণ, মহানন্দে করে সবে প্রতিমা
Read Moreভালোবাসার দাম
নূরুল মামুন ———————— সোনার দেশে সোনার ছেলে বদরুল তারি নাম, দিন দুপুরে উসূল করে ভালোবাসার দাম। . নার্গিস প্রেমে ব্যর্থ হয়ে সাজে বাহাদুর, অস্র নিয়ে আঘাত করে দম্ভ করে চূর! . ভালোবাসায় জোরাজুরি হয় না কোনদিন, বদরুলেরা এ সমাজের
Read Moreপূজোর বাজার
পূজোর বাজার লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী পূজোর সময় এলো কাছে, আনন্দে তাই ঢাকীরা নাচে, ঢাক বাজে, বাজে পূজোর সানাই। কচি সবুজ ধানের গাছে, খেতমাঠ সব ভরে আছে, সবুজ দেখায় যেদিকে পানে চাই। নদীর ঘাটে বটের গাছে পাখিরা সব বাসায়
Read Moreশিউলির গাছে ফুল ফোটে
শিউলির গাছে ফুল ফোটে লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী শিউলির গাছে ফুল ফোটে রাশি রাশি, ধানখেতে সোনারোদ ঝরে হাসি হাসি। শরতের সাদা মেঘ সুনীল গগনে সারাদিন করে খেলা আপনার মনে। সকালে সোনার রবি কিরণ ছড়ায়, সাদা বক আসে উড়ে নদী কিনারায়।
Read Moreআজি মহালয়া
আজি মহালয়া লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী আজি মহালয়া হতে শুরু দেবীপক্ষ, স্বর্গ মর্ত্য রসাতলে জাগে যক্ষ রক্ষ। অসুরাধিপতি করে স্বর্গ অধিকার, দেবগণ তথা হতে হৈলা বহিঃষ্কার। ভয়ে ভীত দেবগণ করিল মন্ত্রণা, অসুর নিধন তরে ধায় দেবসেনা। দেবতাগণ অসুর সাথে রণ
Read Moreপূজো আসে ঐ
পূজো আসে ঐ লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী শরতের সাদামেঘ আকাশেতে ভাসে, লাফায় গঙ্গাফড়িং উঠোনের ঘাসে। শিশির ভেজানো ঘাসে সোনা রোদ ঝরে, শিউলি ফুলের গন্ধে চিত্ত ওঠে ভরে। নদীধারে কাশ বন ভরা কাশ ফুলে, নৌকা চালায় মাঝি সাদা পাল তুলে। নৌকায়
Read Moreরুপসী এক গাঁয়ের বৌ
রুপসী এক গাঁয়ের বৌ ।।। শফিক তপন —————————————– রুপসী এক গাঁয়ের বৌ হাটি হাটি পা পা হাসি মাখা মুখ তাঁর লাজ ভারী । খোঁপায় তাঁর ফুল মালা গায়ে পড়েছে সে এক লাল পেড়ে হলুদ রঙের শাড়ী । ছুটে চলে নদীর
Read Moreশরতের আগমনে
শরতের আগমনে লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী শরতের সোনারোদ দোলা দেয় মনে, ফুটিল কমল কলি কমল কাননে। কমল কাননে ফোটে কুমুদ কমল, মধুলোভে আসে ছুটে যত অলিদল। ভোরের বেলায় ঝরে নিশির শিশির, কাশফুলে ছেয়ে আছে অজয়ের তীর। অজয়ের নদীজলে মাঝি নৌকা
Read Moreশরতের নতুন প্রভাতে
শরতের নতুন প্রভাতে লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী শরতের নতুন প্রভাতে আমার ঘরের আঙিনাতে সকাল হলে সোনালী রোদ হাসে, কচি সবুজ ঘাসের পরে ভোরে দেখি শিশির ঝরে গগনে শরতের সাদা মেঘ ভাসে। ফুটেছে শিউলি বকুল নদীর ধারে কাশফুল গাঁয়ের মাঝি
Read Moreপূজোর খুশিতে
পূজোর খুশিতে লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সবুজ ঘাসের আগায় জমে নিশির শিশির, গাছে গাছে পাখি সব করে কিচির মিচির। গাঁয়ের দিঘির জলে শালুক পদ্ম ফোটে, গাঁয়ের রাখাল ছেলে ধেনু চরায় গোঠে। সবুজ ধানের খেতে সোনালি রোদ হাসে, শরতের সাদা
Read Moreমায়ের আগমনী
মায়ের আগমনী লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী এ শারদ প্রাতে আজি প্রভাতে মায়ের বন্দনা গান গাই, মায়ের আশীষে আজি প্রত্যুষে কবিতা লিখিতে চাই। কবিতার পাতায় কবিতার খাতায় লিখেছি কবিতা কত, কবিতার গাছে কবিতায় আছে কবিতা ফুলেরই মত। কবিতার
Read Moreশারদপ্রাতে পূজোর সানাই বাজে
শিউলি টগর বেলি বকুল সকলি ফুটেছে আমার বাড়ি আঙিনায়, কচি সবুজ ধানের খেতে প্রভাতে ভোরের হাওয়া দোলা দিয়ে যায়। দিঘির জলে শালুক পদ্ম ফোটে ফুলের সৌরভে ভরে ওঠে মন, ঘাসের পরে নিশির শিশির ঝরে নদীর দুইধারে কাশফুলের বন।
Read Moreশুনি বসে গান মায়ের আগমনী
শুনি বসে গান মায়ের আগমনী লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী (নবাগত কবি) গাঁয়ের পথে লাল ধূলো ওড়ে গাঁয়ের ডাঙায় গোরুবাছুর চরে। গাঁয়ের পথে শিশির ঝরা ঘাসে, সকালের সোনালী রোদ হাসে। গাঁয়ের পথে মরাল মরালী চলে, সাঁতার দেয় দিঘির কালো জলে, দিঘির জলে শালুক পদ্ম
Read More