Posts From KobiOkobita.com
Back to homepageবিকেলের সেকেলে গল্পখানি
ঘুড়িটির সাথে সাথে বিকেলটি উড়ে উড়ে যায়। পুরনো এ ঢাকার বিকেল- কানে কানে শিস দিয়ে বলে, ঘাসফড়িং-এর মতো সবুজাভ নরম আলোয় ঘরে বসে থাকা বড় পাপ! আমি হাসি, বিকেলের রোদ চোখে মাখি; সোনালী সোনালী আলো- দ্রুত এসে, ভালোবেসে বড় বেশি
Read Moreজ্বলে দীপ সন্ধ্যা আসে
জ্বলে দীপ সন্ধ্যা আসে লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী আমাদের গাঁয়ে আছে ছোট ছোট মাঠ, কাজলা দিঘিতে আছে শান বাঁধা ঘাট। দিঘি পাড়ে বক বসে ছোট মাছ ধরে, পানকৌড়ি দেয় ডুব জলে ঝুপ করে। প্রাচীন বটের ছায়ে বসে পাঠশালা, গ্রামমাঝে আছে
Read Moreচাষীর চোখে আজ জল!
চাষীর চোখে আজ জল! লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী চাষীর চোখে আজ জল! পাঁচশো আর হাজার টাকার নোট হয়ে গেছে অচল। ঘরে নেই চাল, পড়েছে আকাল, ঘরে হাঁড়ি চড়ে নি আজ, বন্ধ বেচাকেনা, হয়ে গেছে দেনা, আছে পড়ে খেতের কাজ। সকাল হলে
Read Moreআমার গাঁয়ে প্রভাত কালে
আমার গাঁয়ে প্রভাত কালে লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী আমার গাঁয়ে প্রভাত কালে, রোজ প্রভাত পাখিরা গাহে। পূব গগনে ওঠে সোনার রবি, অবিরত শীতল সমীর বহে। পাঠশালে পড়ে ছোট শিশুরা, কাঁচা রাস্তায় গোরুগাড়ি চলে। গাঁয়ের জেলে মাছ ধরে রোজ জাল ফেলে
Read Moreআমার গাঁয়ে রোজ প্রভাতবেলায়
আমার গাঁয়ে রোজ প্রভাতবেলায় লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী আমার গাঁয়ে রোজ প্রভাতবেলায়, বিহগেরা সব ডাকে তরুর শাখায়। মাঠে যায় সকালে চাষীরা সবাই, গোরুর গাড়ি চলে মেঠো রাস্তায়। কাজলাদিঘির ঘোলা কালো জলে, পানকৌড়ি দেয় ডুব সকাল হলে। রাজহাঁসগুলো জলে সাঁতার কাটে,
Read Moreনির্জন পথে আঁধার নামে
নির্জন পথে আঁধার নামে লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী নদীর কূলে পড়ে আসে বেলা চাষীরে ফেরে ঘরে, দূরে দূরে গ্রামে জ্বলে উঠে দীপ, সন্ধ্যা হলে পরে। নির্জন পথে আঁধার নামে, জোনাকিরা সব জ্বলে, অজয় নদী স্রোতের টানে, আনমনে বয়ে চলে। শ্মশানঘাটে
Read Moreগাঁয়ের মাঝে জোড়া বটতলা
গাঁয়ের মাঝে জোড়া বটতলা লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী গাঁয়ের মাঝে জোড়া বটতলা, শিশুদল করে সকালে খেলা। গাঁয়ে রাঙা পথে ধূলোর পরে, কুকুর গুলো সব খেলা করে। ষাঁড় ছুটছে দুটো শিং উঁচিয়ে, গাঁয়ের বধুরা যায় জল নিয়ে। গরুর বাথানেতে দাঁড়িয়ে গরু,
Read Moreনীল আকাশের তারা
নীল আকাশের তারা লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী নীল আকাশের তারা, সারা রাত জেগে জেগে হয় তারা দিশেহারা। আকাশে ওঠে চাঁদ, ফুটফুটে জোছনায়, বনে বনে ফুল কলিরা সকলেই ঘুমায়। শ্মশান ঘাটে জ্বালায় চিতা কারা.. .. ..? নীল আকাশের তারা, সারা
Read Moreসবাই পাবে প্রাপ্য টাকা
সবাই পাবে প্রাপ্য টাকা লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী কিসের নেশায় মানুষেরা লাইন লাগায় ব্যাঙ্কে এসে, মানুষ পাগল টাকার তরে, পায় না টাকা অবশেষে। এটিএমে নাইকো টাকা তাই ফিরে আসে লাইন দিয়ে, ব্যাঙ্কেও হল কাউন্টার বন্ধ,কত লোকের টাকা নিয়ে। সকাল গিয়ে
Read Moreতুমি চলে যাও
কবিতাকে বল্লাম প্রিয়া, এ কোন পাষণ্ড তোমার ভিটা মাটি ছাইয়ের সাথে মিশিয়ে দিয়েছে? ঘরে আগুন দিয়ে তোমার শাড়ী ব্লাউস খুলে নিয়েছে? পেটের শিশুটাকে চোখের সামনে ধর্ষন করেছে? শালী মালায়ুনের বউ বলে কে আমার সামনে দিনের পর দিন, তোমায় ধর্ষন করেছে?
Read Moreরাতারাতি অচল টাকা
রাতারাতি অচল টাকা লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী আজব দেশের গজব মন্ত্রী, এক এমনি মজার কল, পাঁচশো, হাজার, টাকার নোট, এবার হবে অচল। মহম্মদ বিন তুঘলক ইতিহাসে পাগলা রাজা যিনি, ভারতে আছে তেমনি পাগলামন্ত্রী কভু নাহি শুনি। বলিহারি প্রধানমন্ত্রী! এমন প্রখর
Read Moreগাহি মানুষের জয়গান
গাহি মানুষের জয়গান লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী গাহি মানুষের জয়গান, মানুষই সুর মানুষই অসুর, মানুষই ভগবান। মানুষের সেবা করলে পরে সন্তুষ্ট হন ভগবান। মানুষই সভ্য মানুষই অসভ্য মানুষই যে শয়তান। গাহি মানুষের জয়গান, মানুষ সত্য মানুষ মিথ্যা, মানুষই ভগবান।
Read Moreসোনার মানুষ
মানুষ, সোনার মানুষ কোথায় সোনার মানুষ? কোথা্য়? আমি তো কিছু কু শিক্ষিত, কিছু অশিক্ষিত মনুষত্বহীন, কুকুরের চেয়েও অধম কাদায় গড়াগড়ী খাওয়া কিছু শুয়র ছানা ছাড়া এ মুল্লুকে আর কিছুই দেখি না। আমি তো এখন আমার মা’য়ের দিকে তাকাতে পারি না;
Read Moreবাংলার মাটি আমার জননী
বাংলার মাটি আমার জননী লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী বাংলার ভালবাসা, বাঙালীর প্রাণ, বাংলার নদী মাঠ, বাংলার গান। বাংলা আমার মা, আমরা বাঙালী, বাংলা ভাষাতে আমরা কথা বলি। বাংলার আকাশে, শঙ্খচিল ভাসে, বাংলার নদীজলে, জোয়ার আসে। বাংলার দিঘিতে, মাছ ধরে জেলে,
Read Moreদেখা না হলে
এই নদীটা কোন দিনও ডাকাতীয়া হত না তোমার সাথে দেখা না হলে! ধর, প্রশন্নপুর, আমার গ্রামের নামটা এ নামটাও খুব একটা মানাত না তোমার সাথে দেখা না হলে! তোমার সাথে দেখা না হলে! মনিপুরকে নিয়ে ভাবতে হত না আমার; কে
Read Moreআমার গাঁয়ের বনানীর ছায়া
আমার গাঁয়ের বনানীর ছায়া লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী দিগন্তে বিস্তৃত ঐ সবুজ বনানীর ছায়, তরুর শাখায় বসি পাখিরা গান গায়। গাভীগুলি হাম্বারবে ডাকিছে বাছুরীরে, ধবল বলাকা উড়িছে অজয়ের তীরে। ভাঙা পাঁচিলে বসে বনশালিকের ঝাঁক, উঠোনেতে কা কা করে এক দাঁড়কাক।
Read Moreআমার গাঁয়ের মুক্ত গগনে
আমার গাঁয়ের মুক্ত গগনে লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী আমার গাঁয়ের মুক্ত গগনে পাখি উড়ে ডানা মেলে, আমার গাঁয়ে বটের ছায়ায় ছোট ছোট শিশু খেলে। আমার গাঁয়ে নদীর ঘাটে বক ওড়ে সারি সারি, কলসী কাঁখে মেয়েরা সব জল নিয়ে যায় বাড়ি।
Read Moreদেবী মহামায়া কালী
দেবী মহামায়া কালী লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী দেবী মহামায়া কালী ভীমা ভয়ঙ্করী, চামুণ্ডা ভৈরবী শিবা, পার্বতী শঙ্করী। কৃষ্ণ পক্ষ অমাবস্যা মহা ধূম ধাম, ভক্তিভরে সকলেতে করয়ে প্রণাম। পুরোহিত করিছেন স্তব–মন্ত্র পাঠ, যজ্ঞবেদী সম্মুখেতে শুষ্ক শালকাঠ। হোম যজ্ঞ সমাপন বিধি মতে
Read Moreকৃষ্ণ পক্ষে উঠে চাঁদ
কৃষ্ণ পক্ষে উঠে চাঁদ লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী কৃষ্ণ পক্ষে উঠে চাঁদ সুনীল গগনে, ভুলিতে না পারি রূপ হেরিয়া নয়নে। কোটি কোটি তারা সবে করি ঝিকিমিকি, দিঘি পাড়ে কেহ নাহি জ্বলিছে জোনাকি। গাঁয়ের পথের বাঁকে কুকুরেরা সবে, কেউ করে ঘেউ
Read MoreTo Tune You into a Hearty Jingle
এই কবিতা ইতিমধ্যে 5 বার পড়া হয়েছে! Let the dusk come and the sun sinkInto the blues of the ocean;Let the night come and the stars blinkAt the door of the heaven;Let the dawn come and the sun shineTo see
Read Moreমায়ের আগমন পদধ্বনি (আগমনী)
মায়ের আগমন পদধ্বনি (আগমনী) লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী বাতাসে শিহরণ পুলকিত অবনী, আসিছেন মহাকালী জগত জননী। পদভারে ধরাধামে কাঁপিছে মেদিনী আসিছেন উগ্রচণ্ডা কালী করালিনী। আদ্যাশক্তি মহামায়া ভীমা ভয়ঙ্করী ত্রিশূল ধারিণী কালী চণ্ডিকা শঙ্করী কৃষ্ণপক্ষে অমাবস্যা ঘোর রজনীতে, শ্যামাকালী চতুর্ভূজা পূজে
Read Moreকালী কপালিনী (দেবী স্তুতি)
কালী কপালিনী (দেবী স্তুতি) (শংখধ্বনি ও ঢাকের বাদ্য সহ কাঁসর-ঘন্টাধ্বনি) (গীত) ঔঁ জয়ন্তী মঙ্গলা কালী ভদ্রকালী কপালিনী দুর্গা শিবা ক্ষমা ধাত্রী স্বাহা স্বধা নমোহস্তুতে। ঔঁ কালী কালী মহা কালী কালিকে পাপনাশিনী সুধা তমক্ষরে দেবী কালিকায়ৈ নমোহস্তুতে। (স্তোত্র) কোথা তুমি শঙ্খ
Read Moreআসিছে দীপাবলী
আসিছে দীপাবলী লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী কৃষ্ণপক্ষের চাঁদ হাসিছে গগনেতে, বৈরাগীর গীত শুনি রজনী প্রভাতে। বিছানায় আছি শুয়ে মেলিয়া নয়ন, চাষী সব যায় মাঠে হরষিত মন। দীপাবলীর আনন্দে মাতিছে ভুবন, বিশ্বমাঝে শুনি কার আকুল ক্রন্দন। ক্ষুধাতুর শিশু কাঁদে পড়িয়া ধূলায়,
Read Moreমাটির ঘরে শান্তির ঠিকানা
মাটির ঘরে শান্তির ঠিকানা লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী মাটির ঘরে শান্তির ঠিকানা বাঁধে প্রীতির বাসা, মাটির ঘর স্বর্গের সমান মনে জাগে নব আশা। মাটির ঘরে স্বর্গসুখ এমন সুখ কোথা গেলে পাই? প্রীতিপ্রেমের পূণ্যবাঁধনে মিলেমিশে থাকি সবাই। মাটির ঘরে শান্তির ঠিকানা
Read More