মেলবোর্নে দু'বার আসবেন রবীন্দ্রনাথ
১৯ মার্চ মেলবোর্নের এমসিজিতে দু’বার আসবেন রবীন্দনাথ! প্রথমে ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতে। দ্বিতীয়বার ভারতের জাতীয় সঙ্গীতে ‘জনগন মন—‘! বিশ্বসাহিত্যের আর কোন কবির এমন সৌভাগ্য বিরল। রোববার নিউজিল্যান্ডের তারঙ্গায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের আড্ডায় বিশ্বকবির এই বিরল সৌভাগ্য নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। তারঙ্গায় সব মিলিয়ে দু’শোর মতো প্রবাসী বাংলাদেশি আছেন। তাদের প্রায় সবাই শুক্রবার হ্যামিল্টনের সিডেন পার্কে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ দেখতে গিয়েছিলেন। দল না জিতলেও দলের পারফরমেন্সে তারা ভীষন খুশি। শেষ ওভারে সাকিব বল নিজের হাতে না নিয়ে সেটি রুবেলকে দিলে ভালো করতেন, দল জিতে যেতে পারতো এমন আলোচনাও আছে প্রবাসীদের মধ্যে।
বাংলাদেশ দল নিয়ে আইসিসির নিষ্ঠুর আচরনের বিরুদ্ধে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় চলছে প্রবাসীদের মধ্যে। শুক্রবার খেলা শেষে রাত তিনটার দিকে বাংলাদেশ দলকে হামিল্টন থেকে বাসে করে অকল্যান্ড নিয়ে যাওয়া হয়। অকল্যান্ড থেকে বিমানে করে নিয়ে যাওয়া হয় অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে। সারাদিন খেলার পর ক্লান্ত একটি দলকে নিয়ে এমন টানাহেঁচড়ায় প্রবাসীরা ক্ষুব্ধ। প্রবাসী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া এ নিয়ে তার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, আইসিসি হোটেল খরচা বাঁচাতে ক্লান্ত বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যে নিষ্ঠুর আচরন দেখিয়েছে তা নিন্দনীয়। ভারত বা আর কোন দলের সঙ্গে আইসিসি এমন আচরনের সাহস করতে পারতো না। আইসিসির এ আচরন আগে জানতে পারলে আমরা আগেই নিজেদের উদ্যোগে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের বিশ্রামের আয়োজন করতাম। প্রবাসী দিলোয়ারা ভূঁইয়া সেডন পার্কের ব্যবস্থাপনায় অসন্তোষ জানিয়ে বলেন, সে ভেন্যুটি একটি আন্তর্জাতিক ভেন্যুর জন্যে মোটেই উপযুক্ত নয়। সেডন পার্কে দর্শকদের বসার ব্যবস্থাটি খুব অমানবিক। পর্যাপ্ত টয়লেটের ব্যবস্থাও ছিলোনা। দিলোয়ারা ভূঁইয়া এক বছর আগে ৬০ ডলার দিয়ে মাঠের টিকেট কিনেন। কিন্তু শারীরিক কারনে তিনি মাটিতে বেশি সময় বসতে পারেন না। সে কারনে ফোল্ডিং চেয়ার নিয়ে গেলে নিরাপত্তা লোকজন সেটি নিয়ে ঢুকতে বাধা দিচ্ছিল। তার মেয়েরা তখন এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানালে গ্যালারিতে বসার ব্যবস্থা করে। সেডন পার্কের এমন নানা অব্যবস্থাপনার ক্ষোভ জানিয়ে দিলোয়ারা বলেন, বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা সে তুলনায় অনেক উন্নত। সেডন পার্কের অব্যবস্থাপনার কানাকড়ি বাংলাদেশে পাওয়া গেলে আইসিসি, বিদেশি মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় বয়ে যেতো।