গাঙ্গালীন মসজিদের সম্মানিত সদস্য ও শুভানুধ্যায়ী দের কাছে খোলা চিঠি

২০সে মে ২০১৯
সম্মানিত বড় ভাই , শ্রদ্ধেয় গুরু জন সম বয়সী ও ছোট ভাই ,
আমার সালাম নিবেন। আশা করি সবাই ভালো আছেন।
আমি অস্ট্রেলিয়াতে আসি ২০০১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। “এনসেট” এয়ারলাইন্স এর কানেকটিং ফ্লাইট মিস করার ফলে একরাত সিডনি এয়ারপোর্টের ”স্টাম্পফোর্ড প্লাজা” হোটেলে কাটিয়ে ক্যানবেরা পৌঁছি পরদিন সকালে। মনে পড়ে , ক্যানবেরাতে প্লেনের সিঁড়ি দিয়ে নামার পথে অবাক বিস্ময়ে অকস্মাৎ কেমন থমকে দাঁড়িয়ে ছিলাম। দেখেছিলাম চোখের দৃষ্টি বাঁধন হীন কেমন ছুটে চলে যায় অনেক দূর। ছুঁতে চায় দিগন্ত। উঁচু উঁচু এমন কোনো দালান কোঠা নেই যা দৃষ্টির সীমানা সংকীর্ণ করে দিতে পারে ! পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতির দেশে বেড়ে উঠিছি আমি। আমার কাছে দৃষ্টির এই লাগামহীন ছুট যেন মরীচিকার মতো। মনে হলো দৃষ্টি ভ্রম। এই অবারিত খোলা আকাশ, মাঠ আমার পুরো অস্থিত্বকে কেমন যেন নাড়া দিয়ে উঠলো। আমি হলাম শকড , স্তব্ধ !
দু সপ্তাহ অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল উনিভার্সিটির গ্রাজুয়েট হল কাম সার্ভিসড এপার্টমেন্টে থাকার পর একদিন এক দেশি বড় ভাই এসে হাজির। জোর করে নিয়ে গেলেন তার বাসাতে। আর উনার আথিথিয়েতায় থাকলাম ৩ সপ্তাহ। আর তখন আমার সিস্টেম, আমার অস্তিত্ব দ্বিতীয় বারের মতো ভীষণ নাড়া খেলো।
ক্যানবেরা অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী। ২০০১ সালে জনসংখা ছিল ৩০৭,০০০। আন্দাজ মতে তখন বাংলাদেশী মাইগ্রান্ট ছিলেন হয়তো ৫০/৬০ টা ফ্যামিলি বা তার কিছু কম বা বেশি। সবাই সবাইকে চিনতেন। ছিলো আত্মার সম্পর্ক। বন্ধন ছিলো পরিবারের মতো। প্রতি সপ্তাহে একে অপরের বাসাতে দাওয়াত থাকতো। হতো অনেক খাওয়া দাওয়া, আদর আপ্পায়ন। চলতো অনেক হাসি , তামাশা ঘেরা আড্ডা। আর আড্ডায় বসে ভাইরা সব মেতে উঠতেন তাস খেলাতে। সময় কাটাতেন সবাই কত কত আনন্দে। আর সবাই ছিলেন ধর্ম ভীরু মানুষ্। নামাজের সময় হওয়ার সাথে সাথেই সবাই কাতারে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তেন। দেশ থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে এই মানুষ গুলোর মধ্যে এইযে অসাধারণ ও নিস্বার্থ হৃদ্যতা, ধর্মের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও একে ওপরের প্রতি শ্রদ্ধা, বিশ্বাস, ভালোবাসা আমাকে দারুন ভাবে নাড়া দিয়েছিলো। করেছিলো অভিভূত।
ক্যানবেরাতে এখন বাংলাদেশী জনসংখ্যা ৫০০/৬০০ ফ্যামিলির মতো হবে হয়তো। অনেককেই চিনিনা। আগে যেমন সবাই সবার সাথে মিশতো এখন তা আর সম্ভব না। সবাই যার যার গন্ডিতে মিশে। কিন্তু কষ্টের কথা কি জানেন ? ১৮ বছর আগে ২০০১ সালে বাংলাদেশি ভাইদের মধ্যে যে আন্তরিকতা ছিলো , যে ভালোবাসা ছিলো তা আর নাই। ওই দলের অনেকের মধ্যে সম্পর্কটা অনেকটা “সাপে -নাউলে“. একজন আর একজনকে সহ্য করতে পারেন না , কথা তো বন্ধ হয়েছে আগেই। পারলে মুখ চাওয়া চাওয়ি ও বন্ধ করে দিতেন। সব কিছু কিন্তু ঠিক ছিল ৩/৪ বছর আগ পর্যন্ত। ভাবছেন কি এমন হলো যে ভাইয়ের মতো বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিন্ন হলো? মসজিদ !
সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহর কাল জয়ী উপন্যাস লাল -সালু। মজিদ নামে এক ভন্ড , ধূর্ত মানুষ ( মুনাফেক ) একটা পরিত্যাক্ত কবরের লাল -সালু বা লাল গিলাফ জড়িয়ে তাকে এক পীরের মাজারে রূপান্তর করে। গ্রামের সরল মতি মানুষ তার কথা বিশ্বাস করে। মজিদ সেই মাজারে খাদেমের দায়িত্ব নেয়। গ্রামের লোকেদের দান দিয়ে তার জীবন ভালোই চলে। আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন হয়। সমাজে এক প্রতাপশালী ব্যক্তি হিসাবে প্রতিষ্টিত করে নিজে কে। কিন্তু তার নিজের হাদিস , কোরান সম্বন্ধে ধারণা সীমিত। কিন্তু ধমক, ধামক, ছল , চাতুরী দিয়ে নিজে কে প্রতিষ্ঠিত রাখে। সে তার ছল চাতুরী দিয়ে এমনকি একজন প্রকৃত আলেমকে নাজেহাল করে।
ক্যানবেরার নর্থে মসজিদ প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে শুরু হয়ে গেলো বন্ধুদের মধ্যে বিভাজন। যখন “ শিপিং কনটেইনারে “ নামাজ হতো , যখন ভাড়াকরা হলে ( এপিক এ ) তারাবীর নামাজ হতো তখন কিন্তু কোনো বিবাদ ছিলো না। তখন তারাবির নামাজ কয় রাকাত তা নিয়ে ছিলোনা কোনো বাক বিতন্ডা , কে কোন মাজহাব অনুসরণ করে তা নিয়ে ছিলোনা কোনো আক্ষেপ , কে কার চেয়ে বড়ো , কে কত বেশি জানে, কে কত ওয়াক্ত নামাজ মিসজিদে পড়ে তা নিয়ে ছিলোনা কোনো অহংকার বা গ্লানি, কে মুসুল্লি আর কে মুসুল্লি নয় তার ও কোনো হিসাব ছিলো না। সবার হয়তো উপলব্ধি ছিলো যে এই দেশে আমার আশংকা জনক ভাবে সংখ্যা লঘু। তাই হয়তো সবাই একসাথে থাকার ইচ্ছাটা আমাদের” এক্সিস্টেন্টাল “ প্রশ্ন ছিলো। ছিলাম মিলে মিশে এক সাথে বেশ।
যে ভাইরা সব এক হয়ে অনেক অনেক ত্যাগ , পরিশ্রমের মাধ্যমে মিসজিদটি নির্মাণ করেছেন সেই ভাইরাই আজ একে অপরকে সহ্য করতে পারেন না ! একে ওপরের সাথে সিভিলাইজড ভাবে কথা বলতে পারেননা। যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, সহনশীলতা, ভালোবাসা আমি উনাদের মধ্যে সেই ১৮ বছর আগে দেখেছিলাম তা আজ শুধুই স্মৃতি। কোনো মানুষ বিশ্বাস করবেনা আজ আমি যদি বলি উনাদের সম্পর্ক কতটা আপন ছিলো।
আমরা এখনো খুব আশংকা জনক ভাবে সংখ্যা লঘু। কিন্তু আমাদের অনেকের “ ইগো” হয়তো আকাশ সমান উঁচু। আর তাই বন্ধুত্বের সম্পর্ক প্রতিস্থাপিত হয়েছে “বিশাল উঁচু ইগো ” দিয়ে। অসীম মনের সীমাহীন জায়গা যখন দখল হয়ে যায় “ ইগো” দিয়ে সেখানে আর কিছু কি থাকতে পারে ? না পারে না। আর তাই এখন পদে পদে দ্বন্ধ , বিদ্বেষ , ক্ষোভ।
আমার কেউই ধর্ম বিষয়ে স্পেশালিস্ট নই। আমাদের কারোই ধর্মের উপর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই। আর থাকলেওবা আমরা কতটাই বা জানি। ধর্ম তো স্পিরিচুয়াল ব্যাপার। ধরা যায়না , ছোয়া যায়না। ধর্ম হলো বিশ্বাসের ব্যাপার। আরে আমাদের শরীর তা তো আমরা চোখের সামনে দেখি , হাত দিয়ে স্পর্শ করতে পারি। তার পরেও আমরা আমাদের শরীর সম্বন্ধে কতটা জানি ? আপনার সর্দি , কাশি , গা ব্যথা হলে জি. পীর কাছে যান। কিন্তু হৃদরোগের চিকিৎসার জন্য যান হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে , চোখের সমস্যার জন্য যান চোখের ডাক্তারের কাছে। এরকম হাজারো রোগের চিকিৎসার জন্য আপনি যান হাজারো রকমের স্পেশালিস্টের কাছে। কিন্তু ধর্মের ব্যাপারে যখন আসে তখনি আপনি মনে করেন আপনি বা আপনি যে হুজুরকে পছন্দ করেন বা আপনি যে “ “মাজহাব “ এর অংশ শুধু তার মতামতই ঠিক। বাকি সব মিথ্যে। আর তখনি আপনি অন্য সবার মতামতকে তুচ্ছু তাচ্ছিলো করেন। ছোট করে দেখেন। আরে ভাই আপনি যেই প্রফেশনে এই দেশে কাজ কাম করে , সম্মানিত চাকরি বাকরি করে আল্লাহর রহমতে ভালো ভাবে বেচে বর্তে আছেন , সেই বিষয়ে আপনি কি প্রথিবীর সর্ব শ্রেষ্ঠ , মহা জ্ঞানী, নাকি এই পৃথিবীর ৬/৭ বিলিয়ন মানুষের মধ্যে হয়তো এক দু জন ও আপনার চেয়ে ভালো জানতে পারে। আপনার “ ইগো” যদি এই মহা বিশ্বব্রম্মান্ডের পুরো উনিভার্সের সমান উঁচুও হয় তবুও হয়তো বলবেন “দেয়ার কুড বি এ ফিউ হু মাইট বি বেটার দেন মি “”!! আর তা যদি হয় তবে ধর্মের মতো গভীর বিষয়ে কেন আমরা মনে করি “ আমি যা জানি তাই ঠিক “ বাকি রা সব ভুল।
আফসোস ! আমাদের ধর্ম যে ৭২/৭৩ ভাগ হবে তার শুরুই হয়তো আমাকে , আপনাকে দিয়ে। আমাদের অনমনীয় দৃষ্টি ভঙ্গির জন্য। ধর্ম বিষয়ে মনে করছি “ আমার মত ই সর্ব শ্রেষ্ট “! আপনাদের এই আচরণ কি “ অহংকারের “ পর্যায়ে পড়ে না ? আল্লাহ কি অহংকারী মানুষ পছন্দ করেন ??
আমরা খুব ছোট জনগোষ্ঠী এখানে। এতো এতো ত্যাগের বিনিময়ে এই যে মিসজিদটা বানিয়েছেন তা কিন্তু সব মুসুলমানের। টাকার জন্য আমি আপনি হাত পেতেছিলাম সব মুসুলমানের কাছে। এখন মসজিদ বানানো হলো। আর তখন থেকে শুরু হলো মুসুলমান ও মুসুল্লীর বিভেদ। কেন?
আমাদের মধ্যে এই বিভেদ সমাজে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করছে। অস্থরতা সৃষ্টি করছে। তৈরী করছে বিবেধ , হিংসা , বিদ্বেষ। ফাটল ধরছে সম্পর্কে। এতে স্পিরিচুয়ালি কারোই কি কোনো লাভ হচ্ছে? আপনি ওর সম্বন্ধে খারাপ মন্তব্য করছেন , বদমান করছেন। আর উনিও তাই করছে আপনার সম্বন্ধে। এটাতে কি আমাদের সমাজের ক্ষতি হচ্ছে না ? যে মুসলিম উম্মাহর অংশ আমি আপনি আমরা তার কি ক্ষতি হচ্ছে না?
এতে সবার ক্ষতি হচ্ছে। উম্মার ক্ষতি হচ্ছে। আমরা সবাই জানি। কিন্তু আমাদের “ইগো” হয়তো আমাদের “কম্প্রোমাইজ “ করতে দিচ্ছে না। মনে করছেন আপনি কম্প্রোমাইজ করলেন তো অন্যের কাছে ছোট হয়ে গেলেন ! কিন্তু আল্লার কাছে বড় হলেন কিনা তাইকি সবচেয়ে গুরুত্ব পূর্ণ নয় ?
আপনার “কম্প্রোমাইজ” , আপনার সহনশীলতা , আপনার উঁচু মন , আপনার ভালোবাসা , আপনার স্যাক্রিফাইস আমাদের উম্মাহকে সুদৃর করবে। আর মিসজিদটা আমাদের সবাইকে রাখবে ভালোবাসায় আগলে। আমার , আপনার আমাদের বন্ধুত্ব ফিরে পাবে সেই পুরোনো জোয়ার। তীব্র সংখ্যালঘু এই সমাজে আমাদের এই একাত্মতা আমাদের ধর্ম চর্চা ও জীবনে অত্যাবশ্যকীয় নয় কি ?
আমার খুব আশা আপনাদের মধ্যে যারা নেতৃস্থানীয় তারা কিছুটা সময়ের জন্য হলেও এই বিষয় গুলো নিয়ে চিন্তা করবেন। আমাদের মধ্যে মিসজিদ ঘিরে যে বিভাজনটা তৈরী হয়েছে তা দূর করার পদক্ষেপ নিবেন।
আসুন দুই পক্ষের সবাই একসাথে বসে নিজেদের মদ্ধ্যে যে ভুল বুঝা বুঝি আছে তা নিরসনের চেষ্টা করি। আমাদের মধ্যেকার ভিন্নতা মেনে নেয়ার চেষ্টা করি। আমাদের ধর্ম খুব সহজ। ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়া এই সহজ কাজের অংশ। আমরা তাই না হয় সবাই তা নিজ নিজ বুদ্ধি , বিবেচনা মতো পড়ি। রোজাটা করি , জাকাত দেই , আর সামর্থ থাকলে হজে যাই। আর সব কিছু করি ঈমানী চেতনা নিয়ে। এই গুলো খুব কঠিন কোনো কাজ কি ? অবশ্যই নয়। আপনারা সবাই রীতিমতো করেন। কিন্তু সমস্যা হয় তখনি যখন একে অন্যের জাজ /বিচার করি। একে অন্যের ভুল ধরি। একে অন্যের ভুল ধরতে ধরতে আমাদের সমাজকে দু ভাগ করে দিয়েছে। আমাদেরকে সংঘর্ষের মুখে ফেলে দিয়েছে। ২৫-৩০ বছরের বা তারও বেশি সময়ের নিবিড় বন্ধুত্বে ফাটল ধরিয়েছে।
আশংকার কথা কি জানেন ? যেকোনো বাক বিতন্ডায় , যেকোনো সংঘর্ষে উষ্মার সৃষ্টি হয়। তাপের সৃষ্টি হয়। ইমোশন ছোটা ছুটি করে ঘূর্ণিঝড়ের মতো। আরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি করে ভ্যাকুয়াম। আরে ভ্যাকুয়াম দখল করে কে জানেন ? বাহির থেকে আসা বিদ্ধংসী বাতাস। আর এই বাতাস তার আসে পাশে যা কিছু পায় ধ্বংস করে দিয়ে যায়। আর এই তান্ডব যখন শেষ হবে তখন দেখবেন আশেপাশে আমি আপনি আমরা আর কেউ নেই। সব কিছু দখলে নিয়েছে সুযোগ সন্ধানী মানুষের দল। লাল-সালুর মজিদের মতো নতুন মজিদ আবির্ভাব ঘটবে আমাদের আপনাদের এই মসজিদে . তখন আমি আপনি হয়তো শুধুই চেয়ে চেয়ে দেখবো। কিছু করার থাকবে না।
তাই আমার একান্ত অনুরোধ সময় থাকতে নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির অবসান করুন। একে অপরের ভুল ত্রুটিকে ক্ষমা করে দিন। মুখে বলছেন “ ইসলাম পিসফুল রিলিজিওন “ কিন্তু ভিন্ন দৃষ্টি ভঙ্গির মুসলিম ভাইয়ের সাথে করছেন সংঘাত ময় , হিংসাত্মক আচরণ , তা কি মানায় ?
আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক পথ দেখান। সঠিক পথে পরিচালিত করুন।আমাদের উম্মাহ সুদৃহ থাকুক , সমুন্নত থাকুক। আমীন।
দ্রষ্টব্যঃ আমার বয়স ৫০। কিন্তু আপনারা সবাই আমার শ্রদ্ধেয় বড়ো ভাই , গুরুজন বা ছোট ভাই। এই চিঠিটা আপনাদের সবার বিবেচনার জন্য। এইটা থেকে আমার ব্যক্তিগত লাভের কোনো আশা বা শখ নেই। আমি মহা পাপী বান্দাদের হয়তো একজনদেয় । আমি বর্ডার লাইন মুসলিম। কিন্তু আমি নিজেকে জাহির করার জন্য কিছু করি না। আমাদের মধ্যে এতো দ্বন্ধ আমাকে অনেক পৃড়া দেয়। তাই এই চিঠির মাদ্ধমে আপনাদের কাছে আমার মনের কথা প্রকাশ করলাম। রিকন্সিলিয়েশনের আকুল অনুরোধ করলাম।
আমি কেউ না। আমি কিছু না। আমি পরিচয় হীন ছিন্নমূল এক মানুষ। তাই আমার এই চিঠি যদি আপনাদের কোনো ভাবে কষ্ট দেয় , কোনো ভাবে আঘাত করে আমি আপনাদের ক্ষমা প্রার্থী। ডিলিট বাটন চেপে মুছে দিয়েন। যদি মন চায় , রুচিতে হয় কোষে গালিও দিতে পারেন। অন্যকে ফোন করে আমার এই চিঠি লিখার ধৃষ্টতা জন্য আমাকে নিয়ে হাসা হাসিও করতে পারেন।
আমার সাক্ষী আল্লাহ তালা। কাওকে ছোট বা বড় করার মানসে এই চিঠি লিখি নাই। দ্বিতীয় কোনো প্রাণীর সাথে ও কথা বলে এই চিঠি লিখি নাই। তবে অনুপ্রেরণা পেয়েছি আমার ১৪ বছরের ছোট ছেলের কাছ থেকে মসজিদ নিয়ে কোনো ভাবে কিছু করার জন্য।
সময় নিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ
২০/০৫/২০১৯
Related Articles
সেনাবাহিনীকে নিয়ে ডক্টর কামালদের খোয়াব!
ফজলুল বারী: নানান স্ববিরোধিতা বাংলাদেশের ভঙ্গুর গনতান্ত্রিক রাজনীতিতে! রাজনীতিবিদরা ভোটে নির্বাচিত হয়ে পাঁচবছর দেশ চালায়। অনির্বাচিত ব্যক্তিরা দেশ চালাক বা
Youngest recipient of the Nobel Peace Prize: Malala Yousufzai
On 10th October, Thorbjorn Jagland, the chairman of the Norwegian Nobel committee, declared that the panel “regards it as an
ঋনযুদ্ধে পর্যুদস্ত এক বঙ্গবীর
ফজলুল বারী: নির্বাচনের মনোনয়নের প্রাথমিক বাছাই পর্বে বিশেষ কিছু ত্রুটি চোখে পড়েছে। যারা দেশের সংসদ সদস্য হতে চান একটি মনোনয়নপত্র