বহে যায় দিন – সেই যে আমার নানান রঙের দিনগুলো
> বহে-যায়-দিন সকল প্রকাশিত পর্ব >
৷৷ তিন ৷৷ সেই যে আমার নানান রঙের দিনগুলো
আশির দশকের মাঝামাঝি ক্যাপিট্যাল হিলের ওপর পার্লামেন্ট হাউজ ছিলো না, তবে নিমার্ণ কাজ চলছিলো পুরোদমে। ১৯৮৮ সালের ৯ই মে বর্তমান পার্লামেন্ট হাউজ উদ্বোধন করেন রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ । অই একই বছর সারা অস্ট্রেলিয়া জুড়ে পালন করা হয় “হোয়াইট সেটেলমেন্ট’-এর দ্বিশত বার্ষিকী । এখন যেখানে লেকের পাশে ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব অস্ট্রেলিয়া (২০০১ সালে উদ্বোধন করা হয়), সেখানে ছিলো রয়্যাল ক্যানবেরা হসপিটাল। এই হাসপাতাল ১৯৯১ সালে বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে ডিনামাইট দিয়ে সেই হাসপাতাল ভেঙে ফেলার সময় এক টুকরো পাথর এসে ছিঁটকে পড়ে লেকের উল্টোদিকে একটন পার্কে । আর তাতেই একটা বাচ্চা মেয়ে প্রাণ হারায় । এ নিয়ে তখন সারা দেশ জুড়ে সে কী তুলকালাম কান্ড । বেশ কয়দিন দৈনিক কাগজে, রেডিও এবং টেলিভিশনে সেই খবর প্রচারিত হয়েছে। অথচ আমাদের বাংলাদেশে এ রকম একটা ঘটনা তো দূরের কথা, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীতে আগুন লেগে অথবা লঞ্চ ডুবিতে হরহামেশাই নিরীহ লোক মারা যাচ্ছে, তাতে কারোর কোনো মাথা ব্যথা নেই, নেই কোনো দায়-দায়িত্ব ।
১৯৮৪ সালের শুরুতে আসার পরপরই যে সমস্যার মোকাবেলা করেছি, তা হলো হালাল মাংস খুঁজে পাওয়া । তখন হালাল মাংসের কোনো দোকান ছিলো না। সুপারমার্কেটে এবং অন্যান্য বুচার শপে যে মাংস পাওয়া যেতো, তা ছিলো নন- হালাল । তবে সেই সময় তিউনিসিয়ান এক ভাই ‘নাসের’ আমাদের অনিয়মিত ভাবে মাংস সরবরাহ করতেন । তিনি তাঁর প্রয়োজন মতো ফার্ম থেকে নিজের হাতে গরু অথবা ভেড়া জবাই করে কেটে গ্যারেজের দু’টো ডিপ-ফ্রিজে রাখতেন। সেখান থেকে খানিকটা আমাদের দিতেন। আবার কখনো সিডনী থেকে হালাল ফ্রোজেন মুরগী এনে দিতেন । হালাল খাবারের প্রতি সেই শুরু থেকেই আমরা প্রচন্ড সাবধানতা অবলম্বন করেছি। কোথাও কখনো কোনো কমপ্রোমাইজ করিনি । কেনোনা পবিত্র কোরান শরীফে আল্লাহ্ পাক নির্দেশ দিয়েছেন, “আল্লাহ তা’আলা যেসব বস্তু তোমাদেরকে দিয়েছেন, তন্মধ্য থেকে হালাল ও পবিত্র বস্তু খাও এবং আল্লাহকে ভয় কর, যার প্রতি তোমরা বিশ্বাসী’ (সূরা আল-মায়েদা, আয়াত: ৮৮) । তাছাড়া নবী করীম (সাঃ) এক হাদিসে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘যাদের শরীর হারাম বস্তু দ্বারা পরিপুষ্ট হয়েছে, তারা বেহেশতে প্রবেশ করতে পারবে না (মিশকাত শরীফ) । আর এখন ? এই বিশ-বাইশ বছরে ক্যানবেরা শহরে মুসলমানের সংখ্যা বেড়েছে অনেক । ফলে বেশ কয়েকটা হালাল মাংসের দোকান হয়েছে। আগের মতো আর অসুবিধা নেই ।
এখনও স্পষ্ট মনে আছে ১৯৮৪ সালের শুরুতে ক্যানবেরায় আসার পরপরই কোনো একদিন সকালে সিভিকের জলিমন্ট সেন্টারের উল্টোদিকের ‘একশন’ বাস স্ট্যান্ডের সঙ্গে (যেখানে কিছুদিন আগেও ডিউটি ফ্রি শপ ছিলো) ইন্টারস্টেট বাস টার্মিনাল থেকে গ্রে-হাউন্ড বাসে চেপে গিয়েছিলাম এডিলেড। দিন সাতেক পর ফিরে এসে দেখি বাস টার্মিনাল আর সেখানে নেই । সেই পুরোনো বিল্ডিং ভেঙে ফেলা হয়েছে । এখন সেখানে সদর্পে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে “ডিপার্টমেন্ট অব ট্রান্সপোর্ট এন্ড রিজোন্যাল সার্ভিসেস’ আর ‘অজ-এইড’ বিল্ডিং ।
তখন অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির যুগল ছাত্র-ছাত্রীদের নির্ধারিত বাসস্থান গ্রাজুয়েট কোর্টে থাকতাম । বেরী ড্রাইভ আর নর্থবোর্ণ এভিনিউর পাশেই এই তিন-তালা লাল বিল্ডিংগুলো আজও আছে, তবে ইউনিভার্সিটির ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য নয় । সাথেই ছিলো গ্রাজুয়েট হাউজ, যা সম্প্রতি ভেঙে তৈরী হয়েছে মাল্টিস্টোরিড এপার্টমেন্ট । ১৯৮৬ সালের শেষ দিকে কোনো এক মধ্য রাতে সেই গ্রাজুয়েট হাউজের ছাদে উঠে অন্যান্য বাংলাদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে দেখেছিলাম শলার ঝাড়ুর মতো দেখতে হ্যালীর ধূমকেতু । এই ধূমকেতু প্রতি ৭৬ বছর পরপর অন্ধকার রাত্রির কালো আকাশের গায়ে দেখা যায়।
সেই আশির দশকের মধ্যভাগে গ্রাজুয়েট হাউজের অপর দিকে ছিলো এক বিরাট গর্ত, যেখানে এখন সিভিল এভিয়েশন এন্ড সেফটি অথরিটি বিল্ডিং এবং পিলগ্রিম হাউজ । সেই গর্তে বৃষ্টির পানি জমলেই কোরাস সুরে ব্যাঙ ডাকতো একনাগাড়ে । এখন কেউ হয়তো বিশ্বাসই করবে না। সত্যি, তখন সেই ব্যাঙের একটানা ডাকাডাকিতে মনে হতো দেশেই কোনো এক গ্রামে আছি । সেই একই রকম বৃষ্টি, একই রকম ঝমঝম শব্দ । হারিয়ে যেতাম পুরোনো সেই দিনে । বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে নষ্টালজিয়ার ভারী কাঁথা মুড়ি দিয়ে ভাবতাম ফেলে আসা দিনগুলো।
এখন সিভিকে যেখানে জেমস্ কোর্ট দাড়িয়ে আছে, তখন সেখানে ছিলো পর্যটকদের জন্য ট্রাভেল লজ । ক্যানবেরা টাইমসের অফিস ছিলো এই জেমস্ কোর্টের পেছনে ডায়াগোনালী উল্টোদিকে মর্ট স্ট্রীটে । এখন সেটা বিশাল বড় করে সরিয়ে নিয়েছে ফিসউইকে । তখন সিভিকে ক্যানবেরা সেন্টার ছিলো না। ১৯৮৯ সালে সিভিকে উদ্বোধন করা হয় এই ক্যানবেরা সেন্টার। এখানে আগে ছিলো মনারো মল। ১৯৬৩ সালের ৬ই মার্চ এই মলের উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধান মন্ত্রী রবার্ট মেনজিস, যা ছিলো অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ঘেরাটোপে আটকানো তিনতলা সপিং সেন্টার । কয়েকটা ছোট্ট দোকান আর ‘কোলস্ সুপার মার্কেট ছিলো । আমরা অই কোলস্ সুপার মার্কেটেই সাপ্তাহিক বাজার করতাম । সেই সময় এখনকার মতো সপিং টাইম ছিলো না । শনিবার দুপুর বারোটা পর্য্যন্ত দোকান-পাট খোলা থাকতো এবং রোববার পুরো দিনই থাকতো বন্ধ । তাই শুক্রবার রাতেই বাজার সওদা করে নিতাম । তবে শনিবার দুপুরের পর কিংবা রোববার বন্ধের সময় একটা রুটি কিংবা এক বোতল দুধ কিনতে যেতে হতো কোনো একটা পেট্রোল পাম্পে ।
সেই সব দিনগুলোতে আমাদের, বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে একটা বিনি-সুতোর অদৃশ্য এবং অটুট বাধন ছিলো। আমরা মাত্র হাতে গোণা ছয়-সাতজন ছাত্র-ছাত্রী এবং তাদের পরিবার ছিলাম। তবে যারা সেই সময় ইমিগ্রেন্ট ছিলেন, তাঁদের সঙ্গে আমাদের অত্যন্ত সুহৃদয় সম্পর্ক ছিলো । আমরা যেনো তাদের আপন ছোটো ছোটো ভাই-বোন । বিপদে-আপদে পাশে এসে দাঁড়াতেন । মনে আছে, পড়াশুনা শেষ করে ১৯৯১ সালের পহেলা জানুয়ারী খুব সকালের ফ্লাইটে ক্যানবেরা থেকে সিডনী এবং সেখান থেকে সিঙ্গাপুর হয়ে আমাদের ঢাকায় যাওয়ার কথা ছিলো । কুয়াশার জন্য ফ্লাইট সময় মতো ছাড়েনি । ফলে সিডনীর ফ্লাইটও ধরতে পারিনি ।
যাবার আগেই ইউনিভার্সিটির বাসা ছেড়ে দিয়েছিলাম । তার ওপর পকেটে অস্ট্রেলিয়ান ডলার ছিলো না । বিফল হয়ে সোজাসুজি ফিরে এলাম রেজাউল হক সাহেবের বাসায় । রেজাউল হক সাহেব, ভিকু ভাবী আর তাঁদের ছোট্ট ছেলে রিজভী হিউজের গ্রুম স্ট্রীটে আমাদের পাশাপাশি থাকতেন। তাঁদের বাসায় তিন দিন ছিলাম । তারপর কুয়াশার ভয়ে আগেভাগেই সিডনী গিয়ে থেকেছি আরও চার দিন। সেই বিপদের সময় বন্ধু-বান্ধবদের আন্তরিক সাহায্য এবং সহযোগিতা না পেলে আমাদের আরও অনেক অসুবিধা হতো । আজ সেই সব অনুভূতি আর আন্তরিকতা আমাদের মাঝে নেই । ইদানীং আমাদের মাঝে ব্যস্ততা বেড়েছে প্রচুর, সময় যেনো এক দুলকি ঘোড়া শুধুই দৌড়চ্ছে সামনের দিকে, পেছনে তাকানোর কোনো ফুরসৎ নেই । যার ফলে ইচ্ছে থাকলেও আমরা সহজে বাধা-ধরা নিয়মের বাইরে যেতে পারি না। কবির ভাষায় (লাইনটা পুরোপুরি মনে নেই, তবে এইরকম) ‘ইটের পরে ইট, মাঝে মানুষ নামের কীট, নেইকো ভালোবাসা, নেইকো কোনো স্নেহ’ ।
১৯৯০ সালের নভেম্বরের মাঝামাঝি আমি থিসিস জমা দিয়ে সপরিবারে বেড়াতে গিয়েছিলাম ব্রিজবেনে । সেই সময় আমাদের ডিপার্টমেন্টের এক সিনিয়র ভাই এবং তার স্ত্রী দুজনেই ডক্টরেট করছিলেন । একরাতে ওনাদের বাসায় আয়োজিত ডিনারে আশেপাশের আরও কয়েকজন বাংলাদেশী ছাত্র-ছাত্রীরা এসেছিলেন । গল্পের এক পর্যায়ে কথা প্রসঙ্গে আমি বললাম যে, ইউনিভার্সিটি অর্থাৎ এ-এন-ইউ আমাদের বাসায় থালা-বাসন, হাঁড়ি-পাতিল থেকে শুরু করে বালিশ, এমন কি কম্বলও দেয় । শুনে এক ছাত্রভাই কপালে চোখ তুলে বিস্ময়ে অপলক বেশ কিছুক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে থাকলেন । আমি কিছু বুঝে উঠার আগেই তিনি বড় বড় চোখ তুলে বললেন, ‘কম্বলও দেয় ?’
আমি মাথাটা সামান্য নেড়ে আস্তে করে বললাম, “হ্যাঁ।”
ভদ্রলোক এবার উপস্থিত সবাইকে আবাক করে দিয়ে আমাকে উদ্দেশ্য করে বললেন, “ভাই, আপনারা দেখি জামাই আদরে থাকেন।’
তারপর একটা দীর্ঘশ্বাস বন্ধ ঘরের বাতাসের মধ্যে মিশিয়ে দিয়ে হতাশার সুর তুলে বললেন, *আর আমরা ? আমাদেরকে সব কিছু কিনতে হয় । এমন কি কম্বলও। ‘ তার এই কথা শুনে আমরা সবাই প্রায় একসাথে হেসে উঠি। তাকিয়ে দেখি লজ্জায় ভদ্রলোকের সারা মুখ লাল হয়ে গেছে ।
অথচ এখন এ-এন-ইউ ছাত্র-ছাত্রীদের এসব কিছুই দেয় না। এমন কি বাসাও না । তাদের নিজেদেরকে বাসা খুঁজে নিতে হয়, কিনতে হয় হাড়ি-পাতিল থেকে শুরু করে সবকিছু । সত্যি, সেই সময় আমরা মোটামুটি জামাই আদরেই ছিলাম ।
আমার পি-এইচ-ডি-র শেষ দিকের ব্যস্ত সময়ে প্রায়ই আমাকে মধ্যরাতেও গাছ-গাছালীর আড়ালে লুকোনো ‘সি- এস-আই-আর-ও’র ফরেষ্ট্রির ল্যাবরেটরীতে রিসার্সের কাজ করতে হতো । একরাতে একাকী কাজ করছিলাম । এক সময় পাশের ল্যাবরেটরীতে ট্যাপের পানি পরার শব্দ শুনে ভীষণ ভয় পেয়েছিলাম । মনে হয়েছিলো দেয়ালের উল্টোপাশে অন্ধকার রুমে ওত পেতে আছে কেউ। সুযোগ পেলেই লাফিয়ে পড়বে ঘাড়ের ওপর (তখন ছাত্র, এখন ডক্টরেট ডিগ্রী নিয়ে সিডনীতে নিউ সাউথ ওয়েলস্ ইউনিভার্সিটির শিক্ষক)
আমাকে বেশ কিছুদিন রাত জেগে সঙ্গ দিয়েছিলো ।
আরেকটা ঘটনার কথা উল্লেখ করছি । আমি তখন থিসিস নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত, লেখার প্রায় শেষ পর্যায়ে । কোনো এক মধ্যরাতে হিউজের বাসায় দ্বিতীয় বেড-রুমে (যে-টা ছিলো আমার পড়ার ঘর) থিসিস লেখার কাজ করছিলাম। হঠাৎ মেইন বেডরুমের জানালায়, যা গুম স্ট্রীটের দশ গজ দূরেই, ‘টাস্’ করে একটা চিকণ শব্দ হয় এবং সঙ্গে সঙ্গেই দ্রুত বেগে একটা গাড়ী পালিয়ে যাওয়ার শব্দ শুনতে পাই । বেডরুমে আমার স্ত্রী তখন সেলাইয়ের কাজ করছিলো এবং আমাদের বেড়ে তিন বছরের ছেলে নাবিল ঘুমিয়েছিলো । আমি আসতেই দেখি জানালার কাঁচে ছোট্ট একটা ফুটো । ভীষণ ভয় পেয়ে যাই । তখনই ভয়ে ভয়ে পুলিশকে ফোন করি । ওরা দশ মিনিটের মধ্যেই এসে জানালার পর্দা সরিয়ে একটা বুলেট বের করে হাতের তালুতে ধরে আমাদের আস্বস্ত করে পুলিশ বললো, “ভয় পাবার কিছু নেই । সারারাত আমরা এই গ্রুম স্ট্রীটে টহল দেবো । আরও বললো, “এই রকম আরও একটা বুলেট ঘন্টাখানেক আগে কার্টিনের এক বাসা থেকে তুলে এনেছি ।” সত্যি, সেদিন যা ভয় পেয়েছিলাম, তা আজও মনে হলে হাসি পায় । যাহোক, পরদিন ইউনিভার্সিটির হাউজিং-এ খবর দিতেই ওরা ভয়ে সিটিয়ে উঠেছিলো এবং অইদিনই ওরা জানালার কাচ বদলিয়ে দিয়েছিলো। সত্যি, একেই বলে জামাই আদর ।
আমার পি-এইচ-ডি-র কনভোকেশন হয় ১৯৯১ সালের এপ্রিলে । আমি আমাদের তৎকালীন মাননীয় রাষ্ট্রদূত এয়ার ভাইস মার্শাল (অবসরপ্রাপ্ত) সুলতান মাহমুদ সাহেবকে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করতেই তিনি সরাসরি রাজী হন । জয়নাল আবেদীন ভাই এবং হেলাল (ডক্টর হেলাল আহাম্মদ, তখন অর্থনীতিতে পি-এইচ-ডি-র ছাত্র) উপস্থিত ছিলেন । সি-এস-আই-আর-ও-র আমার দু’জন সুপারভাইজারও ছিলেন। মান্যবর সুলতান মাহমুদ সাহেব আমার অই দুই সুপারভাইজারের জন্য বাংলাদেশের ওপর দু’টো বই সুন্দর ভাবে প্যাকেট করে উপহার দিয়েছিলেন । আমার দুই সুপারভাইজার অত্যন্ত খুশী হয়েছিলেন ।
“সেই যে আমার নানান রঙের দিনগুলি আজ আর নেই । হারিয়ে গেছে স্মৃতি-বিস্মৃতির অতলান্তে । তবে মাঝে মাঝে কিছু কিছু ঘটনা বুদবুদের মতো করে ভেসে ওঠে মনের সাগরে । তখন অই সব স্মৃতি এবং পুরোনো দিনের কথা ভাবতে বেশ ভালোই লাগে ।
(চলবে)
> বহে-যায়-দিন সকল প্রকাশিত পর্ব >
Related Articles
মেলবোর্নের চিঠি – ৯
মেলবোর্নের চিঠি লিখছি গত ছয় মাস ধরে। আজ লিখতে বসেছি চিঠি – ৯। আজকের বিষয়টি নিয়ে লিখবার আগে, যারা প্রথমবারের
মৃত্যুর সহজ উপায়
মৃত্যুর সবচেয়ে সহজ উপায় কি? সুমনের সামনে সম্ভাব্য উপায় আছে ৩ টি। এক, ফ্যানের সাথে ঝুলে পড়া। দুই, ছাদে উঠে
অষ্ট্রেলিয়া বাংলাদেশী তরুণদের কাছে জনপ্রিয় ফটোগ্রাফি বিষয়ে পড়া
পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মত পড়া লেখা করার জন্য প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশী ছাত্র ছাত্রি আসে অষ্ট্রেলিয়া । সচরাচর দেখা