‘শেখ হাসিনা না থাকলে পদ্মা সেতু হতো না’- ড: আবুল বারকাত
-অজয় কর: ‘শেখ হাসিনা না থাকলে পদ্মা সেতু হতো না’, জানিয়েছেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি ড: আবুল বারকাত। গতকাল ১৮ই জুন ২০২২, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি আয়োজিত ‘নিজ অর্থে পদ্মা সেতু : একটি স্বপ্নের বাস্তবায়ন- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
শেখ হাসিনা না থাকলে পদ্মা সেতু করা সম্ভব ছিল কিনা এমন এক প্রশ্নের উত্তরে ড: বারকাত বলেন, ‘শেখ হাসিনা না থাকলে পদ্মা সেতু হতো না।‘ ২০১২ সালের ২৯ জুন বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুর চুক্তি বাতিল করেছিল, ৪ঠা জুলাই শেখ হাসিনা বলেছিলেন, প্রয়োজনে নিজেদের অর্থে পদ্মা সেতু বানাবেন এবং ৯ জুলাই একনেকের মিটিং-এ ‘নিজেদের অর্থে পদ্মা সেতু’ বানানোর সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন।
ড: বারকাত বলেন, দেশের জনগন এমনকি স্কুলের শিশুরাও পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য অর্থ সাহায্য দিয়েছে বলেই নিজ অর্থে পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন হয়েছে। সারা দেশের মানুষ যদি পদ্মা সেতু’র পিছনে না থাকতো তা হলে কোনো একটি ব্যক্তির পক্ষে নিজের টাকায় পদ্মা সেতু তৈরি করা সম্ভব ছিল না। তিনি বলেন, প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু’র কন্যা। হয়তো সেটিও একটি বড়ো কারন – তার একটা আদর্শ আছে এবং মানুষ জেনেটিক্যালিও অনেক কিছু পায়। সেটা ওনার মধ্যে ছিল তা না হলে এটা হতো না। অতএব আমাদের কোনো সন্দেহ নাই যে শেখ হাসিনা না থাকলে এটা হতো কিনা? এটা হতো না।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংকের ইতিহাসে কোনো মেগাপ্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষর করার পরে কোনো টাকা রিলিস না করে সেই চুক্তি বাতিল করার কোনো ইতিহাস নাই। পদ্মা সেতুর বেলাতে চুক্তি বাতিলের এই ইতিহাস ঘটলো কেন? তিনি মনে করেন ২০১২ সালে বিশ্বব্যাংক এই কাজটি করেছিল তার কারন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসুক বিশ্বব্যাংক সেটি চায়নি।
বিশ্বব্যাংকের কারনে পদ্মা সেতু’র বাস্তবায়নে ৯মাস দেরি হলো এতে করে পদ্মা সেতু’র টোল আদায় থেকে ৬০০ কোটি টাকার যে ক্ষতি হলো, এবং সেতু’র নির্মাণ ব্যয় বাড়লো তার জন্য বিশ্বব্যাংকের কাছে ক্ষতিপুরণ চাওয়া উচিত বলেও তিনি মনে করেন।
Related Articles
দালাই লামা – অনাগতের আলো – তিন পর্বের দ্বিতীয় পর্ব
[দালাই লামা – অনাগতের আলো – তিন পর্বের প্রথম পর্ব] দ্বিতীয় পর্ব: প্রাচীনকালে যুদ্ধের পরিণাম সিমীত ছিল। জাগতিক উন্নতির কারনে
“অটিজম” কোন রোগ নয়, যে বিষয়গুলো জানা থাকা আবশ্যক
আমাদের প্রতিবেশি মাসুদ সাহেবের দুই ছেলে। তার মধ্যে সামাজিক অনুষ্ঠান, উৎসব, দাওয়াত ইত্যাদিতে তিনি একটি ছেলেকে নিয়ে যান। পরিচয় করিয়ে
খালেদার মুক্তি প্যারোলে না জামিনে
মুখে প্রতিদিন গরম গরম রাজনৈতিক বক্তৃতা দিলেও খালেদা জিয়ার ভবিষ্যত নিয়ে সরকারের সঙ্গে বিএনপির যে নেপথ্যে একটি আলোচনা চলছে তা