কোভিড মোকাবিলায় গরীবদের সুরক্ষা দিতে বাংলাদেশ সরকার ব্যর্থ
বাংলাদেশ সরকার কোভিড-১৯ প্যান্ডেমিক থেকে গরীবদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের অলস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড: এস. আর. ওসমানী। বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির ওয়েবিনার-১৩ সিরিজের ১৩তম ওয়েবিনারে (শোভন সমাজ ও মূলধারার অর্থনীতিশাস্ত্র) অংশ নিয়ে সম্প্রতি তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে কোভিড-১৯ জনিত সমস্যা মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকার যে স্টিমুলাস প্যাকেজ চালু করেছিল তার আওতায় যে প্রকল্প গুলি নেওয়া হয়েছিল তার একটি ছিল ‘প্রটেকশন ওরিয়েন্টেড’ আরেকটি ‘গ্রোথ ওরিয়েন্টেড’। ‘প্রটেকশন ওরিয়েন্টেড’ প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল গরীব মানুষকে অর্থ প্রদানের মাধ্যমে কিংবা খাদ্য সরবরাহের মাধ্যমে সরাসরি সাহায্য করা, সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
স্টিমুলাস প্যাকেজে বরাদ্ধকৃত অর্থের ২০% বরাদ্ধ ছিল ‘প্রোটেকশন ওরিয়েন্টেড’ প্রকল্পে আর ৮০% ‘গ্রোথ ওরিয়েন্টেড’ প্রকল্পে। অর্থ্যাৎ জিডিপির ০.৮% বরাদ্ধ ছিল প্রোটেকশন ওরিয়েন্টেড খাতে আর ৩.১৬% গ্রোথ ওরিয়েন্টেড খাতে (চিত্র -১)।

চিত্র -১: স্টিমুলাস প্যাকেজে বিভিন্ন খাতে বরাদ্ধ
আবার এই গ্রোথ ওরিয়েন্টেড প্যাকেজেরও ৪ ভাগের মাত্র ১ ভাগ বরাদ্ধ ছিল স্মল এন্টারপ্রাইসের জন্য যদিও কোভিড-১৯’র কারনে যেসব গরীব মানুষ কর্ম সংস্থান হাড়িয়েছেন তাদের অধিকাংশই কোনো না কোনো ভাবে স্মল এন্টারপ্রাইসের উপর নির্ভরশীল ছিলেন (চিত্র -2)।

চিত্র -2: গ্রোথ ওরিয়েন্টেড প্রকল্পের বিভিন্ন খাতে বরাদ্ধ
স্টিমুলাস প্যাকেজের কার্যকারিতা নিয়ে বাংলাদেশের বাইরে ও ভিতরে বিভিন্ন গবেষণা সংস্থা যে সব তথ্য প্রকাশ করেছে তার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, স্টিমুলাস প্যাকেজের মাধ্যমে যে সাপোর্ট দেওয়া হয়েছিল তার বেশিরভাগই যারা বিশেষ ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল তাদের কাছে পৌঁছায়নি। তার মতে, এর কারণ হচ্ছে বর্তমান সরকার ‘প্রবৃদ্ধি’র উপর অর্থাৎ গ্রোথ ওরিয়েন্টেড খাতের দিকে বিশেষ ভাবে জোর দিয়েছিল। সরকার ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ৮% প্রবৃদ্ধি অর্জনে ব্যর্থ হওয়ায় (কোভিডের কারনে) দ্বিতীয়বার প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির ঝুঁকি এড়াতে প্রবৃদ্ধির দিকে নজর বেশি দিয়েছিল; সাধারণ মানুষের প্রতিরক্ষার দিকে নয়। প্রবৃদ্ধিকে প্রাধান্য দিতে গিয়েই সরকার ব্যর্থ হয়েছে গরীবদের সুরক্ষা দিতে; সামাজিক সুরক্ষা দিতে।
প্রফেসর ওসমানী’র বক্তব্য’র অংশ বিশেষ নিয়ে তৈরী একুশে রেডিওর অনুষ্ঠান শুনতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে।
Related Articles
ব্রাডম্যানের বাড়িতে বাংলাদেশ!
বাউরাল থেকে ঢাকা কতদূর? ৯০৫২ কি:মি:! আর চট্টগ্রাম? ৮৮৩৯ কি:মি:! বাউরাল কোথায়? অস্ট্রেলিয়ার নিউসাউথ ওয়েলস রাজ্যে। সিডনি থেকে ১১৭ কি:মি:
Chinese Vice President Visit to Dhaka: A sign of friendship
The two-day (14-15 June) visit of the Chinese Vice-President, Xi Jinping to Bangladesh is significant for bilateral relations. It is
My Boss Told Me to Come
Mr. V. Toxo is a 39-year-old senior Executive official came to a private Psychiatrist. "My boss thinks I need help


