প্রবাসীর বইমেলা এবং বইকেনা

প্রবাসীর বইমেলা এবং বইকেনা

বইমেলাতে যাওয়ার শুরু স্কুল জীবন থেকেই। একেবারে মফস্বলে বেড়ে ওঠা আমাদের কাছে গল্পের বই বলতে বাংলা প্রথম পত্রের সাথে বাড়তি হিসেবে পাঠ্য দ্রুতপঠনই ছিলো প্রথম। এরপর বন্ধু আমিনুরের সাইকেলে চড়ে কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনস স্কুলের মাঠের বইমেলাতে প্রথম যাওয়া এবং নিউজপ্রিন্ট সংস্করণের একটা ঠাকুরমার ঝুলি কিনে আনা। এরপর উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে কোচিংয়ের সময় ঢাকা এসে প্রথম বাংলা একাডেমির একুশে বইমেলাতে যাওয়া এবং আমার ক্রয় ক্ষমতার চেয়ে তিনগুণ টাকার বই কিনে আনা। বাকি টাকার যোগান দিয়েছিলো সাথের বন্ধুরা। এরপর থেকে নিয়মিতই বইমেলাতে যাওয়া এবং প্রতিবারই ক্রয় ক্ষমতার চেয়ে বেশি টাকার বই কিনে আনা। বইমেলা শুরু হবার পর থেকে প্রথম আলোর একদম শেষের পাতার উপরের ডান কোনায় নজর রাখতাম কোন দিন কোন বই আসছে আর সাথে সাথে একটা খাতায় আমার পছন্দের লেখকদের বইয়ের নাম ও প্রকাশনীর নাম লিখে রাখতাম। তারপর একদিন যেয়ে সেই তালিকা ধরে বই কিনে নিয়ে আসা। এর বাইরে বইমেলায় শুধু ঘুরতে যাওয়া হয়নি কখনওই।

এরপর সংসার শুরু করার পর হয়তোবা এক দু বছর বইমেলাতে যাওয়া বন্ধ ছিলো কিন্তু আমার মেয়েটার বয়স তিন হবার পর থেকেই আমরা বাপ্ বেটি মিলে আবার বইমেলাতে নিয়মিত যাওয়া শুরু করলাম। আবারো পুরোনো উদ্যমে শুরু হয়ে গেলো বই কেনা। ছাত্রজীবনে যত বই কিনেছিলাম তার সবই আমার বন্ধুরা হাপিস করে দিয়েছিলো। একবার কোন বই পড়তে নিলে আর ফেরত পাওয়া যেতো না কিন্তু এখন বন্ধুরা কাছাকাছি না থাকায় বই জমতে শুরু করলো। তখন গিন্নিকে বললাম একটা বইয়ের তাক বানিয়ে দিতে। পরবর্তীতে উত্তরখানের এক কাঠমিস্ত্রির কাছ থেকে একটা মাঝারি সাইজের তাক বানিয়ে আনা হলো। এরপর সেখানে বই রাখা শুরু হলো। যখন সোজাসুজি বই রেখে তাক ভর্তি হয়ে গেলো তখন আমরা বই রাখা শুরু করলাম সামনের বইগুলোর পিছন দিকে। এভাবে একটা বড়সড় সংগ্রহশালায় পরিণত হয়েছিলো আমাদের বইয়ের তাকটা।

সিডনিতে লেখকের বাসার প্রন্থাগার

এরপর প্রবাস জীবনে এসে ঘড়ির কাটার আগে চলতে যেয়ে যখনই হাপিয়ে উঠতাম তখনই মনেমনে দেশে ফেলে আসা বইগুলোর কথা মনেহতো কারণ আমার অনেক দুঃসময়ে বইগুলো ছিলো ছায়ার মতো। বাস্তবের দুঃখ দুর্দশা সাময়িকভাবে কাটিয়ে তোলার পাশাপাশি ভবিষ্যতে চলার শক্তিও অনেক সময় পেতাম বইগুলোর কাছ থেকে। প্রবাসে বই কোথায় পাওয়া যায় খোঁজাখুঁজি শুরু করলাম। এরপর থেকে পরিচিত, অর্ধপরিচিত এমনকি অপরিচিত কেউ দেশে গেলেই তাকে বইয়ের একটা তালিকা ধরিয়ে দিতাম এবং উনারাও সানন্দে সে বইগুলো নিয়ে আসতেন। এভাবে এখন আমাদের বাংলা বইয়ের একটা ভালো সংগ্ৰহ দাঁড়িয়ে গেছে। এছাড়াও মেয়েটার জন্য অনেক ইংরেজি বই কেনা হয়েছে। আমাদের ছোটবেলায় যাদের বইগুলো ভালো লাগতো ওকেও সেইসব বই কিনে দিয়েছি তবে তা অবশ্যই ইংরেজিতে লেখা। এভাবে প্রবাসেও আমাদের বাপ বেটির বইয়ের একটা বিশাল সংগ্রহ দাঁড়িয়ে যাওয়ার পর গিন্নিকে যথারীতি বইয়ের তাক কিনে দিতে বললে উনি রাজি হয়ে গেলেন। এখন প্রতিবছরই আমাদের বইয়ের সংখ্যা বেড়েই যাচ্ছে। 

গত বছরের বইমেলা থেকে কেনা বই

এভাবেই প্রবাসেও আমাদের বাসায় বইয়ের মেলা বসে প্রতি বছর। এরপর একসময় সন্ধান পেলাম সিডনিতে একুশে একাডেমি আয়োজিত বইমেলার। সেখান থেকেও অনেক বই কেনা হয়েছে তবে এইবারের একুশে বইমেলা আমার জন্য অনেক আবেগের কারণ এইবারের বইমেলায় আমাদের বুয়েট জীবনের রুমমেট রাশেদুল ফরহাদের বই “আনন্দলোকে ” প্রকাশ পেয়েছে। বুয়েটে আমার সিট পড়েছিলো ডঃ এম এ রশীদ হলের ২০২ নম্বর কক্ষে। আমরা একই ব্যাচের তিনজনের সিট পড়লো একই কক্ষে। আমি, তৌহিদ আর তানভীর ছাড়া চতুর্থ ব্যাক্তিটা ছিলেন এক সিনিয়র ভাই। পরবর্তীতে উনি চলে যাওয়ার পর সেই সিটে এসে উঠেছিলো ফরহাদ। স্বভাবে রাশভারী আর চোখের উপর অনেক পাওয়ারের চশমা ওকে আর দশটা ছেলের থেকে আলাদা করে রেখেছিলো। এরপর যতই দিন যেতে থাকলো আমরা ওর সাহিত্য প্রতিভা দেখতে মুগ্ধ হতে শুরু করলাম। আমার মাঝেমধ্যে মনেহতো ফরহাদ বাংলা সাহিত্য নিয়ে পড়লে বোধহয় আরো ভালো করতো।   

বুয়েটের তখনকার দিনে সিনিয়র জুনিয়র সম্পর্ক ছিলো খুবই আন্তরিক। সিনিয়র জুনিয়র একসাথে বসে ধূমপান করছে ঠিকই কিন্তু পড়াশোনার ক্ষেত্রে একজন সিনিয়র একজন জুনিয়রের জন্য আবার অভিবাবকের রোল প্লে করছে। হল জীবনের এই পরিচয়টা বুয়েটিয়ানদের জীবনের সারা জীবনের অর্জন কারণ এরপর ভবিষ্যৎ জীবনের ভিত্তিও তৈরি হতো এইসব সিনিয়রদের হাত ধরে। ফরহাদ ছিলো আমাদের কক্ষের একমাত্র জুনিয়র তাই স্বভাবতই স্নেহটা অনেক বেশি পেতো। আমাদের কাছে কোন টিউশনির খবর আসলে সেটা আমাদের না লাগলে ফরহাদকে দিয়ে দেয়া হতো। এমনকি আমরা পাশ করে বের হয়ে আসার সময় আমাদের টিউশনীগুলোতেও ফরহাদ কে রেফার করে দিয়ে এসেছিলাম। এরপর বুয়েট পাশ করার পরও আমাদের মধ্যে যোগাযোগটা এখনও অক্ষুন্ন আছে।

রুমমেটদের সাথে লেখক

ফরহাদ অনলাইন ফোরামগুলোতে অনেকদিন ধরেই লেখালেখি করছে যদিও ওর লেখালেখির হাতেখড়ি আরো অনেক আগে থেকেই। আমরা খুব চাপাচাপি করতাম ওর লেখার বই প্রকাশ করার ব্যাপারে কিন্তু ও বরাবরই অনীহা প্রকাশ করতো। ইতোমধ্যেই আমাদের ফ্লোরের আরেক কবি তারিক বই প্রকাশ করে ফেলছিলো কিন্তু ফরহাদের মধ্যে বই প্রকাশের নূন্যতম তাগদা ছিলো না। ওকে আমরা যতবারই বলেছি ও বলতো বই প্রকাশ করে কি হবে। অবশ্য অনলাইন ফোরাম থেকে প্রকাশিত বেশ কয়েকটা গ্রন্থে ইতোমধ্যেই ওর কিছু গল্প আর কবিতা স্থান পেয়েছিলো। সেই ফরহাদের একক বই অবশেষে প্রকাশ হতে যাচ্ছে জেনে যারপরনাই খুশি হয়ে গেলাম। আমার খুশি দেখে আমার মেয়ে বললঃ তোমাকে দেখে মনেহচ্ছে তোমার নিজের বই প্রকাশ হতে যাচ্ছে এইবারের বইমেলায়। আমি বললামঃ বলতে পারো ঘটনা অনেকটা সেরকমই। এরপর প্রতীক্ষার প্রহর আর শেষ হয় না। অবশেষে একসময় ফরহাদের প্রথম বই “আনন্দলোকে” বই মেলায় আসলো। আমি মুখিয়ে থাকলাম কখন বইটা হাতে পাবো।

একটা বইয়ের অনলাইন দোকানে বুকিং দিয়ে দিলাম। দেশের বাইরে থেকে বুকিং দিলে ওরা সাধারণত ফোন দিয়ে অর্ডার নিশ্চিত করে সেইসাথে কত খরচ পড়বে সেটাও জানিয়ে দেয় কিন্তু এখন বইমেলা চলছে বলে ওরা অনেক ব্যস্ত। অর্ডার দেয়ার পর চব্বিশ ঘন্টা পার হয়ে গেলেও ওরা কল না দেয়াতে ওদেরকে মেইল দিলাম এবং স্ক্রিনে দেখানো নম্বরে ফোন দিলাম কিন্তু কোন ফল পাওয়া গেলো না। অবশেষে ওদের কর্পোরেট নম্বরে ফোন দেয়ার পর যে ভদ্রলোক ফোন ধরলেন উনি বললেনঃ ভাইয়া আজ তো অফিস ছুটি তবুও আমি নির্দিষ্ট ডিপার্টমেন্টকে জানিয়ে দিচ্ছি। এরপর অবশেষে ওরা ফোন দিলো এবং হিসেব করে জানিয়ে দিলো আর কত টাকা লাগবে এবং সেটা কিভাবে দেয়া যাবে। সেই টাকাটা পরিশোধ করে দেয়ার পর শুরু হলো অপেক্ষার পালা। প্রতিদিন একাধিকবার সেই অনলাইন দোকানের ওয়েবসাইটে যেয়ে আমার অর্ডারের বর্তমান অবস্থা দেখি। অবশেষে একদিন অর্ডারটা এসে পৌঁছালো। বই হাতে পাওয়ার পর মনেহচ্ছিলো যেনো আমার নিজের প্রকাশিত বই হাতে পেলাম। বই খুলেই নতুন বইয়ের গন্ধ নিলাম। সরাসরি বই পড়ার আসল আনন্দই হচ্ছে বইয়ের পাতার গন্ধ। এখন সবকিছুই অনলাইনে হয়ে গেছে এমনকি বইও অনালাইনে পড়া যায় কিন্তু আসল বইয়ের মতো গন্ধ নেয়া যায় না তাই আমি অনলাইনে বই পড়ে শান্তি পাই না।

লেখকের রুমমেটের প্রকাশিত প্রথম ছোট গল্পের সংকলনঃ আনন্দলোকে

এরপর একসময় ফরহাদের বই আনন্দলোকের মোড়ক উন্মোচন করা হলো। আমি শুধু বারবার ফেসবুক দেখছিলাম যেন কোনভাবেই ওর মোড়ক উন্মোচনের অনুষ্ঠানটা মিস না হয়ে যায়। বাংলাদেশ সময়ে মোড়ক উন্মোচন হবার কথা ছিলো সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় কিন্তু সেটা শুরু হতে হতে সন্ধ্যা সাতটা বেজে গেলো। বুয়েটের আরেক জুনিয়র নিবিড় আশিকের অছিলায় ফেসবুকের লাইভের মাধ্যমে ওর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে যুক্ত হলাম। কোন বিখ্যাত মানুষকে সেই মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে দাওয়াত করা হয়নি কারণ ফরহাদের ব্যাখ্যা হচ্ছে এই পুরো পৃথিবীটাই আনন্দলোক আর সেই আনন্দলোকে আমরা সবাই নিজেই নিজের জন্য এক এখন সেলিব্রেটি। ব্যাখ্যাটা আমার খুব মনে ধরলো। অন্ততঃপক্ষে বইয়ের কাটতি বাড়ানোর জন্য বিখ্যাত কাউকে আসলেই ডাকার দরকার নেই। ভালো বই মানুষ এমনিতেই কিনবে। খুবই সাদামাটা একটা মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান হলো। সাত সমুদ্র তের নদীর অপরপাড়ে আমি একা  রাত জেগে মুহুমুহু হাততালি দিয়ে গেলাম কারণ তখন অস্ট্রেলিয়াতে রাত বেজে গিয়েছিলো। এইভাবেই আমি এইবারের বইমেলাতে উপস্থিত না থেকেও যুক্ত থাকতে পারলাম ফরহাদের প্রথম প্রকাশিত বই আনন্দলোকের মাধ্যমে।  

পাঠকের বইয়ের আলমারিতে স্থান করে নিয়েছে “আনন্দলোকে”

ছোটবেলায় আমরা একটা রচনা পড়েছিলাম “বিজ্ঞান দিয়েছে বেগ কেড়ে নিয়েছে আবেগ”। তখনও বুঝিনি এই কথার মানে কি কারণ আমাদের মফস্বল জীবনে বিজ্ঞানের প্রভাব বলতে তখন পর্যন্ত আমাদের কাছে ছিলো প্রতিবেশী সালামদের বাসার সতের ইঞ্চি সাদাকালো ন্যাশনাল টেলিভিশন। এরপর সময় অনেক গড়িয়েছে। বইয়ের জায়গায় এসেছে অনলাইন বই এবং অডিও বই। সেটা আবার অনেকেই পড়েছেন কিন্তু তবুও আমি মনেকরি ছাপার অক্ষরের বইয়ের চাহিদা থেকেই যাবে অনাদিকাল ধরে। বই লেখা হবে, বই প্রকাশ হবে আর হবে বইয়ের মেলা বইমেলা। বই নিয়ে মেলার ধারণাটা ঠিক কোথা থেকে এসেছিলো আমার জানা নেই কিন্তু এটা অবশ্যই একটা যুগান্তকারী কাজ।

বইয়ের প্রতি মানুষের ভালোবাসা দিনেদিনে বাড়তে থাকুক। মানুষ জীবনের অন্যান্য অনুষঙ্গিক জিনিস কেনার পাশাপাশি বইও কিনুক এবং বই পড়ুক। বিনোদনের অন্য যেকোন মাধ্যমের তুলনায় বই পড়া নিঃসন্দেহে সবচেয়ে পার্শপ্রতিক্রিয়াহীন একটা পদ্ধতি। উপরন্তু বই পড়লে মগজের কল্পনা শক্তিও বৃদ্ধি পায় যেটা একটা ভালো সিনেমা দেখলেও হয় না। আর অগ্রজ হিসেবে আমাদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য হচ্ছে প্রযুক্তি নির্ভর নতুন প্রজন্মকে ছাপার অক্ষরের বইয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া। একবার ওরা বই পড়তে শুরু করলে আপনাকে আর কিছুই করতে হবে না। আমি শুধু কয়েকটা বই কিনে দিয়ে আমার মেয়ের বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করে দিয়েছিলাম। এরপর ও স্কুল থেকে সবচেয়ে বেশি বই পড়ার উপর একটা পুরুষ্কার নিয়ে এসেছিলো।

Md Yaqub Ali

Md Yaqub Ali

আমি মোঃ ইয়াকুব আলী। দাদি নামটা রেখেছিলেন। দাদির প্রজ্ঞা দেখে আমি মুগ্ধ। উনি ঠিকই বুঝেছিলেন যে, এই ছেলে বড় হয়ে বেকুবি করবে তাই এমন নাম রেখেছিলেন হয়তোবা। যাইহোক, আমি একজন ডিগ্রিধারী রাজমিস্ত্রি। উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করতে অস্ট্রেলিয়াতে আমার আগমন ২০১৫ সালের মার্চে। আগে থেকেই ফেসবুকে আঁকিবুকি করতাম। ব্যক্তিজীবনে আমি দুইটা জীবের জনক। একটা হচ্ছে পাখি প্রকৃতির, নাম তার টুনটুনি, বয়স আট বছর। আর একজন হচ্ছে বিচ্ছু শ্রেণীর, নাম হচ্ছে কুদ্দুস, বয়স দুই বছর। গিন্নী ডিগ্রিধারী কবিরাজ। এই নিয়ে আমাদের সংসার। আমি বলি টম এন্ড জেরির সংসার যেখানে একজন মাত্র টম (আমার গিন্নী) আর তিনজন আছে জেরি।


Place your ads here!

Related Articles

Bipod Aashche Bipod!

বিপদ আসছে বিপদ! -ড.ফরিদ আহমেদ বাংলাদেশ যা ছিল এক সময়ে স্বপ্নের দেশ সেটি এখন চরম সামাজিক নিরাপত্তার হুমকিতে। ১৯৪৭ সালে

অন্যরকম ভালবাসা

প্রথম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন সেই তো কৃষাণু ঘড়ে ফিরল কিন্তু অনেক দেরী হয়ে গেল। বাবাকে হারিয়ে পাগলামির মাশুল

আমার দেশ ও বন্যা

দেশ ও তার মানুষ যখন চরম বিপর্যয়ের মাঝে, কি করছি আমরা তখন? ২০০ বছরের মধ্যে নাকি ভয়াবহ বন্যা হতে চলেছে

No comments

Write a comment
No Comments Yet! You can be first to comment this post!

Write a Comment