লিথগোতে বনভোজনের বর্ণিল আনন্দে আলোড়িত ক্যাম্বেলটাউন বাংলা স্কুল

বহু বছরের ধারাবাহিকতায় শিক্ষা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের বাইরে একটি দিন শহরের কর্ম কোলাহল দূরে কাটানোর অভিপ্রায় থেকে ক্যাম্বেলটাউন বাংলা স্কুল প্রতি বছর বনভোজনের আয়োজন করে থাকে। ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক/ শিক্ষিকা, অভিভাবক, কমিটির সদস্যের মধ্যে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি সৃষ্টি করে উৎসবের আমেজে সবাইকে সম্পৃক্ত করার প্রয়াস নেয়া হয়ে থাকে বার্ষিক এই আয়োজনে।

লিথগোর লেক লায়াল রিক্রিয়েশন পার্ক ছিল এবারের বনভোজনের গন্তব্য স্থল। গত ৩১শে মার্চ রবিবার সকাল ৮টায় পিকনিকের বাসটি স্কুল গেট থেকে লিথগোর উদ্দেশে ছেড়ে যায়। পথে নেপিয়েন রিভার সংলগ্ন এক চমৎকার স্থানে যাত্রা বিরতি নিয়ে বনভোজনের দলটি প্রাতরাশ সেরে নেয়। সেখান থেকে দলটি আবার যাত্রা করে সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মণ্ডিত লেক লায়াল পার্কে পোছে যায়।

প্রথমেই বনভোজন আহবায়ক বিজয় সাহা স্থানটি সম্পর্কে সবাইকে অবহিত করে। দুপুর দুইটায় মধ্যন্য ভোজে যোগদানের পূর্ব পর্যন্ত বনভোজনের দলটি পার্কের নয়নাভিরাম স্থান গুলি ঘুরে দেখে। নির্দিষ্ট সময়ে পরিবেশিতঅত্যন্ত সুস্বাদু এবং উপাদেয় দুপুরের খাবার সবার রসনা পরিপূর্ণ ভাবে তৃপ্ত করে।
মধ্যন্য ভোজের পর ছাত্রছাত্রীদের জন্য আকর্ষণীয় এবং চমকপ্রদ খেলাধুলার আয়োজন করা হয়। বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির সাথে সংগতি রেখে আয়োজিত খেলাগুলি ছেলেমেয়েদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করে। পরে অংশগ্রহণ কারী সবার মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

বড়দের অংশগ্রহণে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত দম্পতিদের নিয়ে পরিচালিত খেলাটি ছিল আকর্ষণীয় এবং চমকপ্রদ। র্যাফেল ড্র এ বিজয়ীদের নিয়েও একটি পর্ব পরিচালিত হয়।

সবশেষে হালকা নাশতা ও চা পরিবেশিত হয়। আগামীতে আরও বড় এবং আকর্ষণীয় বনভোজন আয়োজনের প্রত্যাশা নিয়ে বিকাল সাড়ে পাঁচটায় পিকনিকের বাসটি লিথগো থেকে সিডনির উদ্দেশে ছেড়ে আসে।










Kazi Ashfaq Rahman
ছেলেবেলা থেকেই শান্তশিষ্ট ছিলাম বলে আমার মায়ের কাছে শুনেছি। দুষ্টুমি করার জন্য যে বুদ্ধিমত্তার প্রয়োজন তা নিশ্চয়ই আমার ছিল না। আমার এই নিবুর্দ্ধিতা একসময় আমার মাকে ভাবিয়ে তুলেছিল। তিনি হয়তো ভেবেছিলেন আমার এই ছেলে জীবনে চলবে কি করে। এখন যেভাবে চলছি তাতে কোনও আক্ষেপ নেই। ভালই তো আছি। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত শিক্ষা, সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যে অনন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারাকে জীবনের বড় অর্জন বলে মনে করি। আমার স্ত্রী একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্রী, আমার শত বোকামী, আলসেমী আর বৈষয়িক না হওয়াকে প্রকারান্তরে প্রশ্রয় দেওয়াতে আমার আর মানুষ হয়ে ওঠা হয়নি। আমার দুই সন্তান, আমি চাই তারা আমার মত বোকাই থেকে যাক কিন্তু আলোকিত মানবিক মানুষ হোক যা আমি হয়তো হতে পারিনি।
Related Articles
সাহিত্যে সম্পদ আহরণ ও সমাজ পরিবর্তনের ইঙ্গিত
সাহিত্যিক গবেষক নন তবে তার পর্যবেক্ষণ খুব গভীর ও নিবিড়। সাহিত্যিক নিরাসক্তভাবেই তার চেতনে, অবচেতনে চারপাশে বহমান জীবনের ও চলমান
প্রবাসীর ফড়িঙের জীবন
টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে দাবানলের আগুন নিভে গেছে। বুভুক্ষ, তৃষিত ধরিত্রী শান্ত হয়ে এসেছে। ঘাসেরা, গাছেরা প্রাণ ফিরে পেয়েছে। বৃষ্টির অভাবে
করোনা, একটি বদনা ও স্বপ্নকন্যা
সেদিন কাজ থেকে একটু আগে বাড়ী ফিরে এলাম । সাধারণত আমার ছোট মেয়ে আমার সাড়া পেয়ে উর্দ্ধশ্বাসে ছুটে এসে আমায়