প্রবাসে শেকড়ের সন্ধান
মানুষ হিসেবে জন্ম নেয়ার সবচেয়ে বড় সার্থকতা বোধহয় অন্য মানুষদের ভালোবাসা অর্জন। আমরা যেমন আমাদের পরবর্তি প্রজন্মকে ভালোবাসি আবার একইভাবে পূর্বসূরিদের ভুলে যায় না। সময়ের সাথে সাথে হয়তো বন্ধনটা একটু ঢিলে হয়ে যায় কিন্তু ছিন্ন হয়ে যায় না একেবারেই। পূর্বসূরিদের কাছ থেকে ভালোবাসা পেতে পেতেই আমরা আসলে উত্তরসূরিদের ভালোবাসতে শিখে যায়। আমি অনেক সৌভাগ্যবান যে আমার পূর্ববর্তি কয়েক প্রজন্মের মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। দাদির বাবা মা যাদেরকে আমরা বলতাম বড়আব্বা এবং বড়মা থেকে শুরু করে দাদি এবং তার আত্মীয়স্বজনদের অকৃত্রিম ভালোবাসাময় দিনগুলো আমার শৈশবের সবচেয়ে বড় স্মৃতি। আর নানি বাড়ির দিকের যেটুকু স্মৃতি আছে সেটাও অনেক বেশি উজ্জ্বল।
গ্রাম বাংলার নিয়ম অনুযায়ী মা বছরের একটা সময় নানা বাড়িতে নায়রে যেতেন তখন নানা বাড়িতে আনন্দের হাট বসতো। সব খালারা তাদের এক দঙ্গল বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে চলে আসতেন। সারাদিন আমরা সারা বাড়ি শোরগোল করে মুখরিত করে রাখতাম। সন্ধ্যায় উঠোনে পাটি বিছিয়ে শুরু হতো রূপকথার গল্পের আসর। এইসব স্মৃতির ভিড়ে নানার কথা সামান্যই মনেপড়ে। শুধু একবারে কথাই মনে আছে। একজন অশীতিপর বৃদ্ধ একটা লাঠি ধরে বারান্দায় বসে আছেন। তার মাথা ভর্তি দুধসাদা চুল। এমন বয়স্ক মানুষের মাথা ভর্তি চুলের কারণেই হয়তোবা আমার মন এই দৃশ্যটা তার স্মৃতি ভাণ্ডারে সংরক্ষণ করে রেখেছে। এছাড়াও মনে আছে নানা মারা যাওয়ার পরের একটা স্মৃতি।
নানার মৃত্যুর খবর পেয়ে মা আমাদের দু ভাইকে নিয়ে গরুর গাড়িতে করে রওয়ানা দিয়েছেন। সাধারণত গ্রামের বউয়েরা বাইরের মানুষের সামনে আসে না কিন্তু সেইবার গরুর গাড়ি নানি বাড়ির কাছাকাছি যেতেই মা আমাদের দু ভাইকে ফেলে ঝাঁপ দিয়ে গরুর গাড়ি থেকে নেমে গেলেন কাঁদতে কাঁদতে। তার কান্নার স্বর শুনে বাড়ির ভেতর থেকে খালারাও বেরিয়ে আসলেন। তারপর সব বোন জড়াজড়ি করে কান্না শুরু করলেন। মানুষ মারা গেলে কাঁদতে হয় এই ব্যাপারটা তখনও আমরা আত্মস্থ করতে পারিনি। আমরা দু ভাই অবাক হয়ে দেখলাম আমাদের মায়েরা সবাই কেঁদে বুক ভাসাচ্ছে। তাদেরকে কোনভাবেই স্বান্তনা দেয়া যাচ্ছে না। আসলে তখন সবাই কাঁদছে। কে আর কাকে সান্ত্বনা দিবে। জানি না এভাবে কতক্ষণ চলেছিলো।
নানী আরো বেশ কিছুদিন বেঁচে ছিলেন তাই নানী ডাকার সৌভাগ্য হলেও এরপর আর নানা ডাকটা ডাকা হয়নি আমাদের। এতেকরে যেটা হলো নানা ডাকটার জন্য মনের মধ্যে এক ধরণের হাহাকার রয়ে গেলো যেটা কখনও তেমনভাবে উপলব্ধি না করলেও পরবর্তিতে যাদেরকেই বিভিন্ন সম্পর্কের কারণে নানা ডেকেছি তাদের প্রতি এক ধরণের প্রগাঢ় মমতা কাজ করেছে। যেমন ফুপাতো ভাই জাহিদ বয়সে ছোট হলেও তাকে নানা ডাকতাম আমরা এবং উনার প্রতি ভালোবাসাটা ছিলো একেবারে নিখাদ এবং আজও আছে । দেশ ছেড়ে আসার আগে উনার বিয়েতে ঢাকা থেকে কুষ্টিয়া গিয়েছিলাম সব কাজকর্ম ফেলে রেখে। উনি এবং আমাদের নতুন নানী খুবই খুশি হয়েছিলেন আমার মতো একজন নাতি পেয়ে। এমনকি এখন পর্যন্তও উনাদের সাথে যোগাযোগ হয় নিয়মিত ফেসবুকের কল্যাণে।
এরপর একসময় সকল মায়ার বাঁধন ছিন্ন করে অস্ট্রেলিয়া চলে আসা। অস্ট্রেলিয়া তথা উন্নত বিশ্বের জীবনযাত্রায় এমন যে আপনি চাইলেও সবসময় দেশে আপনার প্রিয়জনের খবর নিতে পারবেন না। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে চলতে যেয়ে মানুষ কেমন যেন হাপিয়ে উঠে। সবকিছুই চলে এখানে রুটিনমাফিক। রুটিনের বাইরে যেয়ে কোন কিছু করার সুযোগ একেবারে নেই বললেই চলে। এক বছরের কবে কার বাসায় দাওয়াত সেটাও মোটামুটি পঞ্জিকার পাতায় বা মোবাইলের পঞ্জিকাতে মার্ক করা থাকে। কবে কোন বছর কোথায় ছুটি কাটাতে যাবে সেটা পর্যন্ত অনেক সময় আগে থেকেই নির্ধারণ করা থাকে। আমরা একটু অসামাজিক হওয়াতে দাওয়াতের ঝামেলা থেকে মুক্ত কিন্তু তবুও জীবনের অন্য কাজগুলো করতে যেয়ে নাভিশ্বাস উঠে যায়। সেই ক্লান্তি দূর করার জন্যই নিজের শৈশব কৈশরের স্মৃতিগুলো নিয়ে একসময় লেখালেখি শুরু করলাম এবং প্রথম আলো সেগুলো নিয়মিত ছাপিয়ে যাচ্ছে। লেখা পরে অনেকেই ইমেইলে ফেসবুকে তাদের শৈশবের কথাও তুলে ধরছেন। আসলে সবাই তাদের শৈশব কৈশরের সময়টাকে অনেক বেশি অনুভব করেন।
সোফি আপু সপ্তম শ্রেণী পাশ করে সিডনি চলে এসেছিলেন। তারপর এখানেই পড়াশুনা করে এখানেই কাজ শুরু করেছেন পাশাপাশি নিজেই কিছু করার তাগিদে একটা ব্যবসা দাঁড় করানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ব্যবসা করতে যেয়ে সবাই যেখানে লভ্যাংশ হিসেবে ব্যস্ত সেখানে উনি বেছে নিয়েছেন নিজেদের ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ এবং বিদেশের মাটিতে সেটার প্রসার। এরফলে উনি অন্য সব ব্যবসায়ীদের সাথে মোটেও পেরে উঠছিলেন না কারণ বেশিরভাগ বাংলাদেশিদের মধ্যে নিজ দেশের পোশাক পরতেই হীনমন্যতা কাজ করে বরং কারটা কোন দেশের সেটা দিয়ে অনেকসময় স্ট্যাটাস নির্ধারণ করা হয়। শুধুমাত্র পহেলা বৈশাখে বাংলাদেশি পোশাক পরতে হয় বাধ্য হয়ে কারণ অন্য দেশের মানুষতো আর আমাদের ঐতিহ্যকে তাদের পোশাকের ডিজাইনে বা রঙে ফুটিয়ে তুলবে না।
ফেসবুকে আমার লেখালেখি দেখে উনি আমাকে বললেন উনার ব্যবসাটাকে নিয়ে কিছু লেখার জন্য। তারপর উনার সাথে ভালোমতো পরিচয় হলো। অত্যন্ত উদ্দমী এবং পরিশ্রমী একজন মানুষ। জীবনে বহুবার বাধার সম্মুখীন হয়েছেন কিন্তু ভেঙে না পরে নতুন উদ্দমে এগিয়ে গেছেন। অনেক কষ্ট করেছেন আজকের এই পর্যায়ে আসতে। আমি বললাম আপনার একটা সাক্ষাৎকার নিলে কেমন হয়। সেই মোতাবেক একটা প্রশ্নপত্র তৈরি করে মেসেঞ্জারে উনাকে পাঠিয়ে দিলাম। তারপর সেটার বেশ কয়েকবার পরিবর্তন এবং পরিমার্জনের পর একটা সাক্ষাৎকার দাঁড় করলাম। এক বড় ভাইয়ের অনলাইন পেপারে সেটা প্রকাশ করার কথা বললে উনি সেটা লুফে নিলেন। এরপর থেকে উনি আমাকে এই সামান্য কাজের পারিশ্রমিক দেয়ার জন্য উঠে পরে লাগলেন। সত্যি কথা বলতে আমার কেমন জানি লজ্জা লাগছিলো। তখন উনি বললেন তাহলে আপনি পোশাক নেন। আমি ছোট বোন হিসেবে আমার ভাইয়ের পরিবারকে এক সেট পোশাক উপহার দিলাম। আমি বললাম সেটা হতে পারে কিন্তু দুজনের সময় আর মিলছিলো না।
এরপর এক ঈদের আগে দুজনেরই সময় মিলে গেলো। আমি আমার গিন্নি আর দুই বাচ্চাকে নিয়ে উনাদের ব্যংকসটাউনের বাসায় হাজির হলাম। আমাদেরকে আপ্যায়ন করলেন সোফি আপুর স্বামী মুনরাত। উনার তোড়জোড় দেখে মনেহচ্ছিলো আমরা যেনো উনার শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়কুল তাই আপ্যায়নে কোন রকম ত্রুটি রাখা যাবে না। আমাদের মেয়ে উনার ছেলের সাথে খেলতে শুরু করলো। আমি আর আমার গিন্নি সোফি আপু আর মুনরাত ভাইয়ের সাথে আলাপ জুড়ে দিলাম। তখন আপু বললেনঃ ভাইয়া, আমার নানাও এখন আমাদের বাসায় আছেন। ঘরে নামায পড়ছেন। নামায শেষ হলে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি।
কিছুক্ষণ পরেই সৌম্যকান্তি চেহারার একজন লোক বেরিয়ে এলেন ভিতরের ঘর থেকে। আমি দাঁড়িয়ে উনাকে সালাম দিতেই উনি ব্যস্ত হয়ে আমাকে বসতে বললেন। আমাকে আপনি করে বলছেন শুনে আমি বললাম তুমি করে বলতে। উনি বললেন ঠিক আছে। উনার চেহারা সবচেয়ে লক্ষণীয় দিক ছিল দুটো: এক সারাক্ষণই উনার মুখে এক চিলতে হাসি লেগেই ছিলো, দুই উনার চেহারার মধ্যে একটা দ্যুতি ছিলো। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই আমি উনার আপন নাতির মতো পাশাপাশি বসে আলাপ জুড়ে দিলাম। বাইরে থেকে এসে যদি কেউ দেখে সে ঘূর্ণাক্ষরেও টের পাবে না যে আমাদের পরিচয় হয়েছে মাত্র মিনিট খানেক আগে।
আমি আমার নানার গল্প বললাম উনাকে। বললাম আমার জন্ম হয়েছিলো অগ্রহায়ন মাসের শেষে। তখন সবে শীত পরতে শুরু করেছে। মাঝ রাতের পর আমার এই পৃথিবীতে আগমন। ভোরবেলা আমার নানা আমাকে কোলে নিয়ে বারান্দায় রোদ পোহাতে বসলেন। পাড়ার সব লোক আমাকে দেখতে আসছিলো। আমি তখন না কি সবাইকে দেখছিলাম চোখ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে। আরও বললাম নানাকে যতটুকু মনেপড়ে উনার মাথাভর্তি সাদা চুল ছিলো আপনার মতো তবে যতদূর মনেপড়ে দাড়ি ছিলো না। উনি খুব আগ্রহ নিয়ে আমার কথা শুনছিলেন তাই আমি বলেই চললাম। অনেকটা দুষ্টু ছেলেদেরকে আসকারা দেয়ার অভিব্যক্তি ছিলো উনার চেহারায়।
প্রায় ঘন্টা খানেক উনার সাথে আলাপ হলো। ঐদিকে আমার গিন্নি আর সোফি আপু ব্যস্ত কাপড় খুঁজতে আর মুনরাত ব্যস্ত রান্না ঘরে। অবশেষে গিন্নি তাগাদা দিলো। আপনাকে দেখে মনে হচ্ছে আপনি আপনার আপন নানাকে খুঁজে পেয়েছেন। আমি বললাম নানা ডাকটা আমি আমার জীবনে সবচেয়ে কমবার ডেকেছি তাই নানাকে কাছে পেয়ে সেটা খানিকটা পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছি। এই কথা শুনে নানা আবারো স্মিত হাসি দিলেন। অবশেষে কাপড় পছন্দ করা শেষ হয়ে গেলে আমাদের যাওয়ার সময় হয়ে এলো। নানার সম্মন্ধে তেমন কিছুই জানা হলো না। আমি গিন্নিকে বললাম অন্ততপক্ষে নানার সাথে আমার একটা ছবি তুলে দাও। আমার আপন নানার সাথে তো আমার কোন ছবি নাই। এই নানার সাথে অন্তত একটা ছবি থাক। ছবি তোলার সময় নানা এমনভাবে আমাকে ধরে রাখলেন যেন উনি আসলেই আমার আপন নানা। মুনরাত রান্না ঘর থেকে এসে বললঃ ভাই আমি ছবি তুলে দিচ্ছি। আমার তখনই ফেরার কোন পরিকল্পনা ছিলো না কিন্তু অনেকদূর যেতে হবে তাই উঠে পড়তে হলো। নানাসহ সোফি আপু আমাদেরকে সদর দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে গেলেন। আমি নানাকে বললাম আবার নিশ্চয় দেখা হবে। নানা আবারো সেই স্মিত হাসি দিলেন।
এরপর সিডনির যান্ত্রিক জীবনে অনেক সময় পেরিয়ে গেছে। ঘড়ির কাটাকে পিছনে ফেলে চলতে যেয়ে সোফি আপু বা নানার কথা বেমালুম ভুলে গেছি। হঠাৎ একদিন সোফি আপু মেসেঞ্জারে লিখলেন ভাইয়া নানা আর এই পৃথিবীতে নেই। বেড়ানো শেষে নানা দেশে ফিরে গিয়েছিলেন। শরীরও ভালো ছিলো। কোনপ্রকার অসুস্থতার লক্ষণ পর্যন্ত ছিলো না। যেদিন উনি চট্টগ্রাম ফিরে যান সেদিন সকালে উনি ফজরের নামাযের সময় আর উঠেন নাই দেখে উনাকে ডাকতে যেয়ে বাড়ির লোকজন আবিষ্কার করেন যে নানার আত্মা এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে অনন্তে পাড়ি জমিয়েছে। শুনে হঠাৎ মনটা ভয়ংকর খারাপ হয়ে গেলো। কম্পিউটারের স্কিন ঝাপসা দেখা শুরু করলাম। আর বারবার উনার সাথে দেয়া আড্ডার স্মৃতি মনের মধ্যে ভিড় করছিলো। একটা রোজার ঈদকে সামনে রেখে নানার সাথে আড্ডা দিয়েছিলাম। আবারো একটা রোজার ঈদ সামনে চলে এসেছে। নানার সাথে সাক্ষাতের প্রায় দু বছর পেরিয়ে গেছে কিন্তু এখনও মনে হয় এইতো সেদিন নানার সাথে আড্ডা দিয়ে আসলাম।
মানুষ তার শেকড়ের সাথে সকল প্রকার বন্ধন ছিন্ন করে প্রবাস জীবন বেছে নেয় কেউ বা পরিস্থিতির শিকার হয়ে আবার কেউবা জীবিকার তাগিদে আবার কেউ বা উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করতে যেয়ে। প্রবাস জীবনে সুখ হয়তো এক সময় ধরা দেয় কিন্তু প্রবাসে আমরা যারা প্রথম প্রজন্ম তারা এক ধরণের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগি দেশে বাবা, মা, ভাই, বোন, দাদা, দাদি, নানা, নানি আত্মীয় পরিজন ফেলে আসার জন্য। প্রবাসে প্রথম প্রজন্মের মাথার উপর ছায়া থাকে না শেকড়ের সাথে সরাসরি যোগসূত্র না থাকার জন্য তাই মাঝেমধ্যে সোফি আপুর নানার মতো মানুষেরা আমাদেরকে শেকড়ের কথা মনে করিয়ে দেন তখন যান্ত্রিকতার ভিড়েও মনেহয় কিসের জন্য এই বিদেশ বিভুয়ে পরে আছি। যদিও জানি এটা একমুখী যাত্রা তবুও মাঝে মধ্যে হাজি আবুল কালামের মতো মানুষেরা প্রবাস জীবনের যান্ত্রিকতায় মুহূর্তের জন্য এসে মনেকরিয়ে দেন আমরা শেকড় থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আছি। সেই শেকড়ের সন্ধানেই কেটে যাবে প্রবাসী প্রথম প্রজন্মের বাকিটা জীবন।
Md Yaqub Ali
আমি মোঃ ইয়াকুব আলী। দাদি নামটা রেখেছিলেন। দাদির প্রজ্ঞা দেখে আমি মুগ্ধ। উনি ঠিকই বুঝেছিলেন যে, এই ছেলে বড় হয়ে বেকুবি করবে তাই এমন নাম রেখেছিলেন হয়তোবা। যাইহোক, আমি একজন ডিগ্রিধারী রাজমিস্ত্রি। উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করতে অস্ট্রেলিয়াতে আমার আগমন ২০১৫ সালের মার্চে। আগে থেকেই ফেসবুকে আঁকিবুকি করতাম। ব্যক্তিজীবনে আমি দুইটা জীবের জনক। একটা হচ্ছে পাখি প্রকৃতির, নাম তার টুনটুনি, বয়স আট বছর। আর একজন হচ্ছে বিচ্ছু শ্রেণীর, নাম হচ্ছে কুদ্দুস, বয়স দুই বছর। গিন্নী ডিগ্রিধারী কবিরাজ। এই নিয়ে আমাদের সংসার। আমি বলি টম এন্ড জেরির সংসার যেখানে একজন মাত্র টম (আমার গিন্নী) আর তিনজন আছে জেরি।
Related Articles
একুশ মানে
একুশ মানে শুধু নয় ভাষা অথবা বর্ণমালা একুশ মানে একলা পথে চলার সাহস একুশ মানে মিনার শুধু নয় কিংবা কোন
বাজলো তোমার আলোর বেনু
“বাজলো তোমার আলোর বেনু , মাতলো রে ভুবন আজ প্রভাতে, সে সুর শুনে, খুলে দিনু মন বাজলো বাজলো বাজলো তোমার
সুন্দর অভিব্যক্তি
অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।