আ জ ম নাছির কী চট্টগ্রামের ‘মুই কি হনুরে’?

ফজলুল বারী: নানান বিতর্কের মধ্যে সরকারের নানা অর্জন যখন প্রশ্নের মুখে, আওয়ামী লীগ তখন দেশে নিজের ইমেজ উদ্ধারে নেমেছে। এরজন্যে ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারন সম্পাদককেও সেক্রিফাইস করতে এক মূহুর্ত দেরি করেননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যুবলীগের, স্বেচ্ছাসেবক লীগের খোলনলচে পাল্টানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যুবলীগের মহাপ্রতাপশালী সাবেক চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীকে শুধু যুবলীগের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়া নয়, তার প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে গণভবনেও। ক্যাসিনো আর চাঁদাবাজির গডফাদার সম্রাট, খালেদ, জি কে সেলিম, লোকমান, আরমান সহ আরও কয়েকজনকে ঢোকানো হয়েছে গারদে। স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতিকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে মোল্লা কাওসারকে। সাধারন সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথকে বলে দেয়া হয়েছে তিনি যেন সংগঠনটির ত্রিসীমানায় না যান। এমন যখন একটি সিরিয়াস অবস্থা যখন দলের তখন চট্টগ্রাম থেকে এসেছে খুব বাজে একটি খবর। সেখানকার ক্লিন ইমেজের নেত্রী হাসিনা মহিউদ্দিনকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দিয়েছেন চট্টগ্রামের মেয়র! কী রাজত্ব!
অথচ বাংলাদেশের লোকজন এখনও চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগকে দলটির প্রয়াত নেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামে চেনে জানে। অনেক বাজে সময়ে দলটিকে আগলে রেখেছিলেন এই সাহসী নেতা। কখনও কোন প্রতিকূলতা, প্রতিবন্ধকতাকে তিনি পরোয়া করেননি। এরজন্যে তাঁকে বলা হয় চট্টলবীর। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র ছিলেন নএবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। তাকে বলা হয় আধুনিক চট্টগ্রামের রূপকার। তাঁর সময়ে চট্টগ্রাম মহানগরী ঢাকা বা বাংলাদেশের যে কোন শহরের চাইতে সুন্দর এবং বাসযোগ্য ছিল। বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, প্রিয়জন বীর মহিউদ্দিন যতদিন বেঁচে ছিলেন ১৫ আগষ্ট জাতির পিতার শাহাদত বার্ষিকীর দিনটিতে সদলবলে থাকতেন টুঙ্গিপাড়ায়। গাড়ির বহর সহ কয়েকশ নেতাকর্মীকে নিয়ে তিনি টুঙ্গিপাড়ায় যেতেন। জাতির পিতার মাজারে তাঁর নেতৃত্বে নানান ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের পাশাপাশি মেজবানের আয়োজন করা হতো। শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতি হবার পর থেকে চট্টগ্রাম গেলে তাঁর প্রথম গন্তব্য ছিল চশমাহিলের মহিউদ্দিন ভাই’র বাসা। ১৯৮৮ সালে চট্টগ্রামের লালদিঘী ময়দানে শেখ হাসিনার জনসভায় গুলি চালানো হলে মানবঢাল তৈরি করে তাঁর জীবনরক্ষা করেছিলেন প্রিয় মহিউদ্দিন ভাই। এই পরিবারটির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক পারিবারিক। হাসিনা মহিউদ্দিন তখন থেকে তাঁর ভাবী।
চট্টল বীরের মৃত্যুর পরও পরিবারটিকে শান্তনা দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চশমাহিলের বাড়িটায় ছুটে গিয়েছিলেন। চট্টলবীরের কবর জিয়ারতের পর পরিবারটিকে বলে এসেছিলেন তাঁর ভালোবাসা থাকবে অফুরান। প্রিয় মহিউদ্দিন ভাইর ছেলে ব্যারিস্টার নওফেলকে তিনি এমপি, শিক্ষা উপমন্ত্রী করেছেন। হাসিনা মহিউদ্দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তাঁর প্রিয় মহিউদ্দিন ভাই’র স্মৃতি। মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী হাসিনা মহিউদ্দিনকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দিয়েছেন তাঁর সন্তানতূল্য চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির! এ যেন বীর মহিউদ্দিনকে ছুঁড়ে ফেলে দেবার ধৃষ্ট অপচেষ্টা! বিভিন্ন দেশে ক্ষমতার পালাবদলের পর যেমন বিভিন্ন নেতার ভাষ্কর্য বা আবক্ষমূর্তি ভূপাতিত গুঁড়িয়ে ফেলা হয়! এ ঘটনা বীর মহিউদ্দিনের স্মৃতির প্রতি যেন সে রকম একটি ঔদ্ধ্যত্ব! অনেকে মনে করতে পারেন মহিউদ্দিন চৌধুরী মারা যাবার পর চট্টগ্রামের হকার্স মার্কেটে তাঁর সম্মানে একটি তোরন নির্মানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। সিটি কর্পোরেশন থেকে অনুমতি নেয়া হয়নি বলে সেটি ভেঙ্গে দেন আ জ ম নাছির! সঙ্গীত শিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর স্মরনে সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে একটি স্মারক বানিয়েছেন মেয়র। এটি একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ।
কিন্তু এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্মরনে কিছু করতে ইচ্ছে করেনা কেনো এই মেয়রের? হাসিনা মহিউদ্দিনকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে কী তিনি এর জবাব তিনি দিলেন? এই ঘটনা কী বার্তা দেয় সারাদেশের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের? দলের জন্যে তুমি জানপ্রান দিতে পারো। কিন্তু মৃত্যুর পর তোমার স্ত্রী-ছেলেমেয়ের জন্যে দলের দরজা বন্ধ! আ জ ম নাছির যে সত্য ভুলে বসে আছেন তাহলো এ দলটির কর্তৃ্ত্ব শেখ হাসিনার। তিনি একজনকে চেয়ার দেন। আবার চেয়ার কেড়েও নেন। কোন বেয়াদব বা ‘মুই কনু হনুদের’ শেখ হাসিনা পছন্দ করেননা। আ জ ম নাছির কী চট্টগ্রামে শেখ হাসিনার, ‘মুই কনু হনুরে’? যে নেতা চট্টলবীর মহিউদ্দিনকে ধারন করেনা সে চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগের নেতা হতে পারেনা। এর মাশুল তাকে দিতেই হবে। টুডে অর টুমরো। অবিশ্বাস্য ঘটনার রিপোর্টটি মিডিয়ায় আসার পর এক রিপোর্টারকে ফোনে তিনি প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়ে বলেছেন, তাকে খোঁচানো হচ্ছে কেনো? এভাবে কী এই ধৃষ্ট বেয়াদবি চাপা দেয়া যায়? শেখ হাসিনা কিন্তু বেয়াদব পছন্দ করেননা।
সবচেয়ে দূর্ভাগ্যজনক হচ্ছে ওই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে হাসিনা মহিউদ্দিনকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেবার মতো ধৃষ্ট ঘটনার সময় ওবায়দুল কাদের মঞ্চে ছিলেননা। কিন্তু এমন একটি ঘটনা তাকে কী জানায়নি? মিডিয়ায় বিষয়টি ছাপা হবার পর কী করেছেন ওবায়দুল কাদের? তাঁর প্রিয় হাসিনা মহিউদ্দিন ভাবীর কাছে তিনি ফোন করে কী দূঃখ প্রকাশ করেছেন? অবিশ্বাস্য ঘটনাটি মিডিয়া আসার একদিন পর ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তিনি ঘটনা জেনেছেন অনুষ্ঠান শেষে বিমান বন্দরে যাবার পর। আগে জানলে হাসিনা মহিউদ্দিনকে তিনি সম্মান দিতেন। মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেবার পর হাসিনা মহিউদ্দিনতো মঞ্চের সামনের একটি চেয়ারে বসেছিলেন। মঞ্চ থেকে তিনি কী তাকে দেখেননি? না মঞ্চ থেকে নিচের মানুষ দেখা যায়না? এই ঘটনার আপনি দায় এড়াতে পারেননা ওবায়দুল কাদের।
কথাটি বললাম এ কারনে তাঁকে বিভিন্ন সময়ে আমি মহিউদ্দিন চৌধুরীর চশমা হিলের বাড়িতে দেখেছি। আজ তিনি বড় নেতা হয়েছেন। কিন্তু তিনি একদিন এত বড় নেতা ছিলেননা। মহিউদ্দিন চৌধুরী তাঁর চেয়ে অনেক বড় নেতা ছিলেন। ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আ জ ম নাছির তাকে বলেছেন, মঞ্চে কে থাকবে না থাকবে তা তারা আগেই সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু হাসিনা মহিউদ্দিনকে মঞ্চের বাইরে রাখতে যে অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের মঞ্চে না রাখার সিদ্ধান্তটি যে নেয়া হয়েছিল এটি কী ওবায়দুল কাদেরকে বলেছেন আ জ ম নাছির? না বলে থাকলে এটিও একটি প্রতারনা। কারন সেই মঞ্চে এমন অনেকে ছিলেন যারা অঙ্গ সংগঠনের নেতাও নন। আর হাসিনা মহিউদ্দিনতো নিজের থেকে যেচে মঞ্চে যাননি। নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব চৌধুরী তাঁকে ডেকে নিয়ে মঞ্চে তোলেন। ভারপ্রাপ্ত সভাপতি যাকে মঞ্চে তুলেছেন তাকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দিয়েছেন সাধারন সম্পাদক! প্রয়াত জহুর আহমেদ চৌধুরীর ছেলে পরিচ্ছন্ন ইমেজের নেতা মাহতাব চৌধুরীকে বড় আশা নিয়ে মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্থলাভিষিক্ত করেছিলেন শেখ হাসিনা। কিন্তু তাঁর যে সেখানে কোন কর্তৃ্ত্ব নেই এ ঘটনা তা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। কত বড় ধৃষ্ট শয়তানি শেখ হাসিনার মনোনীত নেতাকেও সেখানে নিধিরাম সর্দার বানিয়ে রেখেছেন আ জ ম নাছির! নিজেকে কী তিনি শেখ হাসিনার চেয়ে ক্ষমতাধর ভাবতে শুরু করেছেন? না চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ তার পকেট সংগঠন?
মেয়র মহিউদ্দিনের এক নির্বাচনের সময় ওবায়দুল কাদেরকে তাঁর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক করেছিলেন শেখ হাসিনা। সে সময়ের একটি ঘটনা বলি। বিএনপি আমলের সর্বশেষ যে নির্বাচনে মহিউদ্দিন চৌধুরী জিতেছিলেন সে নির্বাচন কভার করতে আমি চট্টগ্রামে গিয়েছিলাম। বিএনপির মীর নাছিরের সমর্থনে সেই নির্বাচনে প্রচারনায় গিয়েছিলেন তারেক রহমান। তারেকের পাল্টা হিসাবে তখন অনেকে সজিব ওয়াজেদকে জয়কে প্রচারে নামাতে চেয়েছিলেন। ওবায়দুল কাদেরও এর পক্ষে ছিলেন। তিনি তখন এ নিয়ে আমাদের কাছে উষ্মা প্রকাশ করে বলেছিলেন, মহিউদ্দিন ভাই এতে রাজি হচ্ছেননা। মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় সাফ জানান, ‘চাঁটগায়া অ’ল বাইরের ত্যুন ভাড়া গরা মানুষদি ভোট গরন ফছন্দছ ন’গড়ে’।
এর বাংলা মানে দাঁড়ায় বাইরের লোকজন ভাড়া করে নির্বাচনী প্রচারনা পছন্দ করেননা চট্টগ্রামের মানুষ। সেই নির্বাচনেও বিপুলভাবে বিজয়ী হয়েছিলেন এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। ভোটের রাতে ভোট বিপ্লবের রিপোর্ট লিখতে গিয়ে সেই ঘটনাটি আমার খুব মনে পড়েছিল। ‘চাঁটগায়া অ’ল বাইরের ত্যুন ভাড়া গরা মানুষদি ভোট গরন ফছন্দছ ন’গড়ে’। সেই নেতাকে কী চট্টগ্রামের মাটি থেকে উপড়ে ফেলা সম্ভব? আ জ ম নাছিরকে তাঁর সমালোচকরা সেখানে নানা বিশেষনে ডাকেন। মহিউদ্দিন চৌধুরীর সৃষ্ট জমিনে তিনি ক্ষমতার বাতাস খাচ্ছেন এটাতো তার ভুলে থাকা সঙ্গত নয়। কি ছিল চট্টগ্রাম আর আজ এর কি হতশ্রী অবস্থা! বৃষ্টি নামলেই সাম্পান চলে বানিজ্যিক নগরীর আগ্রাবাদের রাস্তায়!
চট্টগ্রামে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর একচ্ছত্র কর্তৃ্ত্বের সময় আমি আ জ ম নাছিরের সাক্ষাৎকার নিয়েছিলাম। চট্টগ্রামের সিনিয়র সাংবাদিকদের প্রায় সবাই তখন মহিউদ্দিন ঘরানার ছিলেন। আ জ ম নাছিরের সাক্ষাৎকার নেয়াটা তারা তখন পছন্দ করেননি। আ জ ম নাছিরের ঘনিষ্ঠ একাধিক জুনিয়র সাংবাদিকের অনুরোধে সেই ইন্টারভ্যু করেছিলাম। তাদের ইচ্ছা ছিল চট্টগ্রামে একদিন নাছিরের মতো একজন নিউ জেনারেশনের নেতা মেয়র হবেন। নাছিরের বিরুদ্ধে তখন সন্ত্রাস চাঁদাবাজির অনেক মামলা। তাঁর দাবি ছিল এগুলো বিএনপি জামায়াতের ষড়যন্ত্রের রাজনৈতিক মামলা। বয়সের ভারে অসুস্থতায় শরীর ভেঙ্গে পড়লে শেখ হাসিনা মহিউদ্দিন চৌধুরীর বদলে সুযোগ দেন আ জ ম নাছিরকে। কিন্তু তিনি কী এর মর্যাদা রেখেছেন? না শেখ হাসিনার? না প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর? না তাকে এখনও তাড়া করে বেড়ায় চট্টলবীরের অশরীরী আত্মা?
তার কী ভয় সামনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী তার নাম কেটে দিয়ে হাসিনা মহিউদ্দিন বা চট্টল বীরের অনুসারী কাউকে মেয়র পদে প্রার্থী করতে পারেন? শেখ হাসিনা যদি চান তা কী হাসিনা মহিউদ্দিনকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দিয়ে আটকাতে পারবেন আ জ ম নাছির? দেখলেনতো তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা? মেয়র ধৃষ্ট আচরন দেখিয়ে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দিয়েছেন আর হাসিনা মহিউদ্দিন এ নিয়ে মিডিয়ার চাপাচাপি স্বত্ত্বেও তাৎক্ষনিক কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। আ জ ম নাছিরের বেয়াদবির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে সোমবার যে বিশাল প্রতিবাদ হয়েছে তা কী তিনি দেখেছেন? না এটা গুজব? মিডিয়ার সৃষ্টি? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনুরোধ করবো তিনি যাতে তাঁর চট্টগ্রামের এই ‘মুই কেনু হনুরে’র বিষয়টি একটু খতিয়ে দেখেন। এই লোকটার ধৃষ্ট আচরন আওয়ামী লীগকে ক্লিন ইমেজ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগের বিপরীতে চট্টগ্রামের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের একটি ভুল বার্তা দিয়েছে। সব ‘মুই কেনু হনুরের’ পতন হোক শেখ হাসিনার হাতে।

Related Articles
ব্ল্যাক ক্যাপসদের জন্য শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা
সম্প্রতি শেষ হয়ে গেলো বিশ্বকাপ ক্রিকেট। নানা ঘটনার মধ্যে দিয়ে ফাইনালের মঞ্চে মুখোমুখি হয়েছিলো স্বাগতিক ইংল্যান্ড এবং এইবারের সবচেয়ে লড়াকু
ধলেশ্বরী-২
আমাদের ছোট নদী চলে বাকে বাকে বৈশাখ মাসে তার হাটু জল থাকে………… আমর ছেলেটা যখন এদেশটা আসলো তখন সবে হাটা
Bangladesh-Australia Association Canberra Inc. Welcomes Bangla New Year 1417 at the Canberra Islamic Center
1. With tremendous enthusiasm, fanfare & vigour and a record turn-out of over 1000 (total) participants comprising inter-state participants from
মেয়র আ জ ম নাছির নিজের বেসিকটা দেখিয়ে দিলেন তা সত্যি অপমানজনক দুঃখজনক। মুই কেনু হনুর বহিস্কার চাই। নিজেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক শিষ্ঠাচার পারস্পরিকশ্রদ্ধাবোধের কথা বলেন অথচ উনি নিজেই চরম বেয়াদব।
তার কিছু অপকর্মের কথা লিখতেন, জামাত তোষণের কথা লিখতেন, বন্দরে অফিস করা নিয়ে লিখতেন, সাইফ পাওয়ারটেক থেকে যে মোস্তানি ট্যাক্স ২০ % খায়, সেটা লিখতেন।
জীবনে যে কোনোদিন রাজপথে নামেনি, চট্টগ্রামবাসী কোনোদিন যার কণ্ঠ শোনেনি— সে হয়ে গেছে সেক্রেটারি। নিজেকে খালি কাউয়া কাউয়া লাগে।