অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও অধ্যাপক ইয়াসমীন হকের ক্যাম্বেলটাউন বাংলা স্কুল পরিদর্শন।

প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, বিশিষ্ট বিজ্ঞানী, দেশ বরেণ্য সাহিত্যিক অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল এবং বিখ্যাত বিজ্ঞানী এবং শিক্ষক অধ্যাপক ইয়াসমীন হক গত ২৮শে এপ্রিল ২০১৯ রবিবার ক্যাম্বেলটাউন বাংলা স্কুল পরিদর্শনে আসেন। সকাল সাড়ে এগারোটায় এই অনুকরণীয় শিক্ষাবিদ দম্পতি বাংলা স্কুলে এসে পৌছালে ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক এবং স্কুলের কার্যকরী কমিটির সদস্যরা তাদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

পরে বিশিষ্ট এই দুই শিক্ষাবিদ স্কুলের ছেলেমেয়েদের সাথে আলোচনায় মেতে উঠেন। ছাত্রছাত্রীরা স্বনামধন্য এই দুই ব্যক্তিত্বের সঙ্গ দারুণভাবে উপভোগ করে। অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল তার বক্তব্যে বাংলা ভাষার শক্তিমত্তার কথা তুলে ধরে এই ভাষা চর্চার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি এবং অধ্যাপক ইয়াসমীন হক তাদের লেখা অনেকগুলি বই বাংলা স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের উপহার হিসাবে প্রদান করেন।

দুই অতিথির সম্মানে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপহার দিয়ে তাদের মুগ্ধ করে। পরবতীর্তে এই দুই অতিথিসহ উপস্থিত সবাই জাতীয় সংগীত গেয়ে সকালের এই পরিবেশকে ভিন্ন মাত্রা দিতে সক্ষম হন।

পরিশেষে অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল এবং অধ্যাপক ইয়াসমীন হক সবার সঙ্গে চা চক্রে যোগ দেন। দুপুর দেড়টায় সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রবাসে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি প্রসারে ক্যাম্বেলটাউন বাংলা স্কুলের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করে এবং উত্তরোত্তর এই স্কুলের সমৃদ্ধি কামনা করে এই দুই গুণি শিক্ষাবিদ বিদায় নেন।










ছবি কৃতজ্ঞতা – নাঈম আব্দুল্লাহ, মিলি ইসলাম।

Kazi Ashfaq Rahman
ছেলেবেলা থেকেই শান্তশিষ্ট ছিলাম বলে আমার মায়ের কাছে শুনেছি। দুষ্টুমি করার জন্য যে বুদ্ধিমত্তার প্রয়োজন তা নিশ্চয়ই আমার ছিল না। আমার এই নিবুর্দ্ধিতা একসময় আমার মাকে ভাবিয়ে তুলেছিল। তিনি হয়তো ভেবেছিলেন আমার এই ছেলে জীবনে চলবে কি করে। এখন যেভাবে চলছি তাতে কোনও আক্ষেপ নেই। ভালই তো আছি। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত শিক্ষা, সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যে অনন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারাকে জীবনের বড় অর্জন বলে মনে করি। আমার স্ত্রী একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্রী, আমার শত বোকামী, আলসেমী আর বৈষয়িক না হওয়াকে প্রকারান্তরে প্রশ্রয় দেওয়াতে আমার আর মানুষ হয়ে ওঠা হয়নি। আমার দুই সন্তান, আমি চাই তারা আমার মত বোকাই থেকে যাক কিন্তু আলোকিত মানবিক মানুষ হোক যা আমি হয়তো হতে পারিনি।
Related Articles
মেলবোর্নের চিঠি – ৩
মেলবোর্নের চিঠি – ১ মেলবোর্নের চিঠি – ২ ভিসা, হাই কমিশন এই শব্দগুলোর সাথে অনেক কিছু জড়ানো, আশা, প্রত্যাশা, স্বপ্ন,
যাদের কারণে প্রবাসীদের মাথা নীচু হয়!
একজন পিতা, একজন অভিবাবক, একজন শিক্ষক ও একজন প্রবাসী হিসাবে আমার হৃদয়ে প্রচন্ড ঝাকুনি এসেছে। আমার বিশ্বাস সাড়া বিশ্বে প্রতিটি
ভিনদেশীর হৃদয়ে বাংলার লালন
সিয়াটল- আমেরিকার ওয়াশিংটন স্টেইটের সবচেয়ে নামী শহর। বাংলাদেশ থেকে কার্যক্রম শুরু করা “স্পৃহা”-নামক সিয়াটলভিত্তিক এনজিও নির্দিষ্ট দিনে আয়োজন করেছে তাদের