যদি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হও – মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের যুবক হও
ফজলুল বারী: প্রিয় প্রজন্ম, তোমাদের অনেকে আমার কাছে একটা প্রশ্ন প্রায় রাখো। তাহলো দেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় চলছে কিনা। সুশাসন, গনতন্ত্র নেই। ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট হচ্ছে। এ অবস্থায় তোমরা চোখ বুঝে কেনো আওয়ামী লীগকে কেনো সমর্থন করবে। প্রশ্নগুলো একেবারেই ফেলনা নয়। আমি তোমাদের প্রশ্নগুলোর উত্তর দেবার চেষ্টা করবো। শুরুতেই তোমাদের মুক্তিযোদ্ধা পিতা এবং পরিবারের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা-শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা। একাত্তরের সেই উত্তাল সময়ে দেশের জন্যে অপরিসীম সাহস নিয়ে জীবনবাজি রেখে তাদের যুদ্ধ এবং আত্মত্যাগের কারনেই দেশেবিদেশে আজ আমরা মাথা উঁচু করে চলা বাংলাদেশি বাঙালি। তাদের আত্মত্যাগ কোন কিছুর বিনিময়ে পরিশোধ করা সম্ভব নয়। আমরা যারা বিদেশে থাকি আমরা বাংলাদেশের মানুষ হিসাবে আমাদের গৌরব-মর্যাদা জানি। এরসব একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা-শহীদদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া। বাংলাদেশের জন্যে বাংলাদেশ বিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের দল, তাদের দোসরদের ভূমিকা দেশের মানুষ জানে।
প্রিয় প্রজন্ম, আমাদের মুক্তিযুদ্ধটা হঠাৎ করে শুরু হয়ে যায়নি। সেই সাতচল্লিশের ভারত ভাগ, এরপর বাঙালিদের সঙ্গে পাকিস্তানিদের প্রতারনা, বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলন এভাবে ১৯৭০ সালের নির্বাচন আসে। তখনও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে অনেকগুলো রাজনৈতিক দল ছিলো। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের চাইতেই তখন সিনিয়র নেতা ছিলেন মাওলানা ভাসানী। কিন্তু নির্বাচনে মানুষ বেছে নেয় আওয়ামী লীগকে। নৌকা মার্কায় তখন সবাই একচেটিয়া ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রতি তাদের আস্থা জানায়। তরুন ছাত্ররা তখনও গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে। কিন্তু ক্ষমতা হস্তান্তরে পাকিস্তানিদের টালবাহানার প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠে বাংলাদেশের মানুষ। তরুন ছাত্ররা তখনো সবকিছুতে সামনের কাতারে। ছাত্ররা পতাকা তোলে স্বাধীন বাংলাদেশের। স্বাধীনতার ইশতেহার ঘোষনা করে। ছাত্রদের উদ্যোগে সারাদেশের ঘরে ঘরে তোলা হয় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা। এভাবে উত্তাল মানুষজনকে থামাতে শুরু হয় পঁচিশে মার্চ রাতের গণহত্যা। গ্রেফতারের আগে স্বাধীনতা ঘোষনা করে যান বাঙালির অবিংসবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এরপর যুদ্ধে কি হয়েছে না হয়েছে তাতো দেশের মুক্তিযোদ্ধা-শহীদ পরিবারের সদস্যরাই ভালো জানে। প্রিয় প্রজন্ম একটা কথা আমি প্রায় বলি তাহলো তখন দেশে সাড়ে সাত কোটি মানুষ থাকলেও যুদ্ধে গেছেন মাত্র ২ লাখ। তাদের সিংহভাগের বয়স ছিল ২৫ এর মধ্যে। শুধু নিঃস্বার্থ যুবকেরাই এভাবে প্রানের মায়া তুচ্ছ করে দেশের জন্যে যুদ্ধে যায়। কোনকিছুর সঙ্গে তাদের তুলনা চলেনা।
প্রিয় প্রজন্ম, যে কোন উদ্দেশের সঙ্গে একটা শপথ জড়িত। নামাজে দাঁড়িয়ে মুসলমানরা প্রথমে নামাজের নিয়ত পড়েন বা উচ্চারন করেন। একজন হিন্দু, একজন বৌদ্ধ বা খ্রিস্টান যার যার উপাসনালয়ে গিয়ে এমন যার যার প্রার্থনার নিয়ত পড়েন বা উচ্চারন করেন প্রথমে। সবদেশের জয়ধনির নির্দিষ্ট একটা শ্লোগান থাকে। যেমন পাকিস্তানিদের এই শ্লোগানটা পাকিস্তান জিন্দাবাদ। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শ্লোগান বেছে নেয়া হয় জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। মুক্তিযোদ্ধারা কোন একটি অপারেশনে বেরুবার আগে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বলে যাত্রা শুরু করতেন। অপারেশন শেষে বলতেন জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। কারন যুদ্ধটা বাংলাদেশ স্বাধীন করার। এ যুদ্ধের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী। বেঁচে আছেন না তাকে মেরে ফেলা হয়েছে তখনো কেউ জানেনা। কাছে তখন মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশ স্বাধীন করা ছাড়াও বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করার আকাংখা ছিলো বড়। এভাবে নয় মাসের যুদ্ধের বিজয় আসে একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর। স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার-আলবদররা তখন পালিয়ে যায়। জনতা তখন যখন যাকে কাছে পেয়েছে তাদের মারধর করেছে। গণপিটুনিতে মারাও গেছে অনেক। তখনো সারাদেশের বিজয়ের শ্লোগান ছিলো জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
যুদ্ধ বিধবস্ত দেশে বাহাত্তরের ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে আসেন বঙ্গবন্ধু। বিজয়ী বাঙালি তাকে ঘোষনা করে জাতির পিতা। প্রিয় প্রজন্ম, ঢাকার ধানমন্ডির বত্রিশ নাম্বার সড়কের বাড়িতে যারা গেছো তারা অনুভব করতে পারবে কতো সাধারন একটি বাড়িতে থাকতেন বাঙালির জাতির পিতা! তার যে সব ছবি অনলাইনে পাওয়া যায় সেগুলোর বেশিরভাগ লুঙ্গি-গেঞ্জি বা সাধারন পাজামা-পাঞ্জাবি পরা। এমন একজন প্রানের নেতাকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট সপরিবারে মেরে ফেলা হলো! জাতির পিতাকে হত্যার পর যে সব সিদ্ধান্ত আসে তাতেই এর রাজনৈতিক লক্ষ্য স্পষ্ট হয়ে যায়। জয়বাংলা শ্লোগানের বদলে পাকিস্তান জিন্দাবাদের আদলে বলা হয় বাংলাদেশ জিন্দাবাদ। বাংলাদেশ বেতারের নাম পাল্টে রেডিও পাকিস্তানের মতো করে করা হয় রেডিও বাংলাদেশ! আইন পাশ করা হয় বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করা যাবেনা!
প্রিয় প্রজন্ম, বাংলাদেশের স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক যাত্রা ব্যাহত করা হয় পচাত্তরের হত্যাকান্ডে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃ্ত্ব দেয়া দলটি যাতে আর রাষ্ট্র ক্ষমতায় ফিরতে না পারে সে জন্যে বঙ্গবন্ধুর পরবর্তী রাজনৈতিক নেতৃত্বে আসতে পারতেন এমন চার জাতীয় নেতা তাজউদ্দিন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, কামরুজ্জামান, এম মনসুর আলীকে জেলখানায় হত্যা করা হয়। দেশের গনতন্ত্র, সুশাসন, আইনের শাসন এসব কেমন করে পথ হারালো তা ব্যাখ্যা করতে এসব উল্লেখ করছি প্রিয় প্রজন্ম। তোমরা অনেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান-রাজনীতি বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশুনা করো। এমন কী কোন বই অথবা রাজনীতির ইতিহাস পড়েছো একজন সেনা প্রধান রাজনৈতিক দল গঠন করে দেশের মানুষকে রাজনীতি আর গনতন্ত্রের জ্ঞান দেবেন? বাংলাদেশে সেটি হয়েছে। বাংলাদেশে এটি যারা করেছে তাদের মাথায় ছিল পাকিস্তানি জ্ঞান।
সেই ১৯৫৪ থেকে পাকিস্তানে বারবার সামরিক শাসন, সামরিক শাসকদের মাধ্যমে রাজনৈতিক জ্ঞান দেয়া চলে আসছে। বাংলাদেশে এই সামরিক রাজনীতির পুরোধা আজকের বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়াউর রহমান। তার রাজনৈতিক জ্ঞানের মূল কথা ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নামে বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল করা যাবেনা! ‘আই উইল মেইক পলিটিক্স ডিফিকাল্ট ফর দ্য পলিটিশিয়ান্স’ ঘোষনা দিয়ে নানান সুবিধাবাদী দলছুট, কারাগারে থাকা রাজাকার আলবদর পাকিস্তানপন্থীদের নিয়ে রাজনৈতিক দল গঠন করেন জিয়া। সেনাবাহিনীর এবং মাওলানা ভাসানীর সঙ্গে থাকা কিছু মুক্তিযোদ্ধাও তার সঙ্গে যোগ দেন। জিয়ার পর জেনারেল এরশাদও একই ধারায় রাজনৈতিক দল গঠন করে দেশের রাজনৈতিক ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখেন নয় বছর। দুই সামরিক রাজনৈতিক ধারায় গনতন্ত্র-সুশাসন সহ নানাকিছুতে বাংলাদেশ যে মুক্তিযুদ্ধের পথ হারিয়েছে তা আজ পর্যন্ত সঠিক পথে আসেনি।
প্রিয় প্রজন্ম, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়া দলটি যে দলের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর ডাকে তোমাদের পূর্ব পুরুষেরা যুদ্ধে গেছেন, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সেই দলটি যাতে আর কোন দিন বাংলাদেশের নেতৃত্বে আসতে না পারে এর সমস্ত চেষ্টা-ষড়যন্ত্র জয় করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ আবার একুশ বছর পর ক্ষমতায় আসে ১৯৯৬ সালে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের ধর্ম নিরপেক্ষ পথে আর দেশকে ফিরিয়ে আনা যায়নি। সামরিক মতলববাজ জিয়ার বিসমিল্লাহ, আরেক মতলববাজ এরশাদের রাষ্ট্র ধর্ম এখনো সংবিধানের চূড়োয়! রাজনীতিতে দূর্বৃত্তায়নের যে ধারা জিয়া-এরশাদ শুরু করেছিলেন তা আজ দেশের পুরো রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে গ্রাস করেছে। এরমাঝে ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যাতে ক্ষমতায় ফিরতে না পারে সে জন্যে বিএনপি-জামায়াত সহ সব আওয়ামী লীগ বিরোধী রাজনৈতিক দল আবার এক হয়।
অবিশ্বাস্যভাবে যুদ্ধাপরাধী নিজামী-আলী আহসান মুজাহিদকে মন্ত্রী করে তাদের গাড়িতে দেয়া হয় বাংলাদেশের পতাকা যে পতাকা তোমাদের পরিববারের সদস্যদের আত্মত্যাগে প্রাপ্ত। প্রিয় প্রজন্ম একাত্তরে তোমাদের পরিবারের মুক্তিযোদ্ধা সদস্যদের ধরতে পারলে এই নিজামী-মুজাহিদরা তাদের মেরে ফেলতেন। অথবা তোমাদের পরিবারের মুক্তিযোদ্ধা সদস্যরা নিজামী-মুজাহিদদের ধরতে পারলে তাদেরও মেরে ফেলা হতো। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ যে বিপুল ভূমিধস বিজয় পায় এর অন্যতম কারন ছিল বাংলাদেশ বিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমতায়ন। হাওয়া ভবন খুলে প্যারালাল শাসনের নামে দূর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেবার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। বিশেষ করে তোমাদের মতো তরুনরা।
প্রিয় প্রজন্ম, শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গত দশ বছরের ধারাবাহিক শাসন বাংলাদেশকে অবিশ্বাস্য অর্থনৈতিক অগ্রগতির সোপানে নিয়ে গেছে। ২০০৭ সালে আমি যখন দেশের বাইরে আসি তখন বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ছিল ৩৬০ ডলার। এখন তা ১৭৫১ ডলারের বেশি! ২০১৬ সালে দেশে গিয়ে আমি অনেক কিছু চিনতে পারিনা। মানুষ যেমন বেড়েছে অবকাঠামোগত উন্নয়নও হয়েছে অবিশ্বাস্য। দেশে গনতন্ত্রের সমস্যা আছে, দূর্নীতির অবিশ্বাস্য প্রকারও আছে, কিন্তু এসব থেকে উত্তরন সম্ভব শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। কারনটা কি জানো? ব্যক্তি শেখ হাসিনা এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা দূর্নীতির উর্ধে। এর বড় একটি কারন শেখ হাসিনা, তাঁর বোন শেখ রেহানার ছেলেমেয়েদের বিদেশে উচ্চ শিক্ষার কারনে বিদেশে তাদের উচ্চ আয় রোজগারের সামর্থ্য আছে। প্রিয় প্রজন্ম প্রতিদিন শেখ হাসিনার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ খেয়াল করো? যে মানুষ দূর্নীতির উর্ধে থাকে সেই এমন সাহসী-আত্মবিশ্বাসী থাকে। আর দূর্নীতি আজ বিশ্বজুড়ে এমন এক ব্যাধি যা দেশেবিদেশে কারো লুকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। শেখ হাসিনা বা তাঁর পরিবারের কোন সদস্যের দূর্নীতির প্রমান পেলে বিদেশি গনমাধ্যম তা প্রকাশের সুযোগ হাতছাড়া করতোনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর দলের লোকজনের দূর্নীতি বন্ধ করতে পারেননি এটি সত্য। বাংলাদেশের গনতন্ত্র, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এখনো ভঙ্গুর সত্য। এ বিষয়গুলো নিয়ে আমরা আগামীতে কাজ করবো। এবং তা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।
প্রিয় প্রজন্ম, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের যে বিচার হয়েছে তা এখনো আমার কাছে অবিশ্বাস্য। তিন দশক আগে এই স্বপ্ন নিয়ে আমি পায়ে হেঁটে বাংলাদেশ ভ্রমন করে মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা বিরোধীদের তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেছিলাম। ওই সময়ে আমি তোমাদের অনেকের বাড়ি গিয়ে থেকেছি-খেয়েছি। যত প্রধান যুদ্ধাপরাধীদের বিচার-ফাঁসি হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে অনেক রিপোর্টও প্রথম দিকে আমার করা। প্রিয় প্রজন্ম, তখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের স্বপ্ন দেখতাম। আমাদের সেই স্বপ্ন সত্য হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়তায়। কিন্তু ঘাতকদের দলটির প্রার্থীরা প্রতারনামূলক বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে এই নির্বাচনে ভোটে দাঁড়িয়েছে! বিএনপিও তাদের রক্ষার জন্যে নিজেদের প্রতীক পর্যন্ত উপহার দিয়েছে! এরচেয়ে বড় রাজনৈতিক দূর্বৃত্তাপনা ড কামাল, আ স ম আব্দুর রব, কাদের সিদ্দিকী, মাহমুদুর রহমান মান্নারাও এখন জামায়াতের সঙ্গে একই ধানের শীষে ভোটপ্র্রার্থী! এই নেতারা মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ন ভূমিকায় ছিলেন, এক সময় আওয়ামী লীগে ছিলেন।
নানা স্বার্থদ্বন্দ্বে তারা আওয়ামী লীগ ছেড়ে গেছেন। কিন্তু এদের কারোরই এখন এককভাবে নির্বাচন করে জয়ের অবস্থা নেই। সে কারনে এরা শুধুমাত্র ক্ষমতায় যেতে এখন স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াতের সঙ্গে হলেও যে কোনভাবে ক্ষমতায় যেতে চাইছেন! হুশিয়ার প্রিয় প্রজন্ম, কারন তোমাদের বয়স এখনো এদের মতো স্বার্থধান্ধার নয়। কোনভাবেই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ-স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমতার মূলধারায় আবার আনা যাবেনা। তাহলে কিন্তু বাংলাদেশের চলতি অগ্রগতি আবার ব্যাহত হবে। গনতন্ত্র, সুশাসন, যুবকদের চাকরির সমস্যার সমাধানের কাজ আমরা করবো। অস্ট্রেলিয়ায় আমি খুব ছোট পরিসরে বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রীদের চাকরিতে সহায়তার কাজ করি। আগামীতে দেশে এটি আমরা একসঙ্গে করবো। ভবিষ্যত সরকারকে প্রতিটি কর্মকান্ডে কর্মসংস্থানের বিষয়টি আগে নিশ্চিত করতে হবে। প্রিয় প্রজন্ম, এসব আমরা করতে পারবো মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দেয়া সংগঠন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে। শেখ হাসিনার মতো একজন সৎ সাহসী নেত্রীর নেতৃ্ত্বে। প্রিয় প্রজন্ম বাংলাদেশের এখনকার তরুনদের আইকন মাশরাফি বিন মর্তোজা, সাকিব আল হাসানও এরমাঝে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। এখন তোমাদের পালা। সামনের নির্বাচনে শেখ হাসিনার নৌকা মার্কায় এবং মহাজোটের প্রার্থীদের ভোট দিতে হবে। শেখ হাসিনার প্রার্থীদের বিজয়ী করার জন্যে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। দেশ সম্পর্কে আমাদের চোখের বর্তমান যত সমস্যা এসব নিরসনে আগামীতে আমরা একসঙ্গে কাজ করবো। মুক্তিযুদ্ধের জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু শ্লোগান দিয়ে তোমাদের প্রতি আমাদের এ আহবান প্রিয় প্রজন্ম।
Related Articles
21st February: A Day of Mourning, Pride Action
21st February is a day of national mourning, pride, reflection and action. It is the Language Martyr’s Day. It is
গরুর লেজ, মহিষের পিঠ
গ্রামের প্রকৃতি নিয়ন্ত্রিত জীবনে যেমন কোন হঠাৎ চমক নেই তেমনি অপর দিকে আছে বিনা পয়সায় অফুরন্ত আনন্দের অনুষঙ্গ। শিশু কিশোরদের