গুড মর্নিং বাংলাদেশ আয়োজিত বিগেস্ট মর্নিং এর সফল সমাপ্তি
আজাদ আলম: আমরাই পারি। ঝড় বাদল হোক, কনকনে শীত হোক বা সকাল দশটা না হতেই প্রখর রোদের তেজ হোক আমরাই হাসিমুখে লেগে আছি। আমরা সিডনির প্রবাসী বাংলাদেশিরা গত আঠারো বছর ধরে আঠার মত লেগে আছি “বিগেস্ট মর্নিং টি” এর সাথে। মরণ ব্যাধি ক্যান্সারের রিসার্চ এবং এডুকেশনের জন্য সারা অস্ট্রেলিয়া ব্যাপী “ বিগেস্ট মর্নিং টি” নামে যে ক্যাম্পেইন শুরু হয় তহবিল সংগ্রহের জন্য, তাতে গুড মর্নিং বাংলাদেশ যোগ দেয় ২০০১ সালে । সেই থেকে এ যাবত প্রায় দুশো বিশ হাজার ডলার সংগ্রহ করেছে গুড মর্নিং বাংলাদেশ। অর্থ সংগ্রহের উপকরণ সকালের বাংলাদেশি নাস্তা, পিঠা, পিয়াজু ,জিলাপি, হালিম মিস্টি ইত্যাদি।
এবারের সকালের নাস্তার আয়োজন ছিল ২৯ এপ্রিল ব্লাক টাউনে, ৬ মে ল্যাকেম্বায় এবং ১৩ মে ম্যাস্কটে।
গুড মর্নিং বাংলাদেশ
ব্লাক টাউন গ্রীন ভিলেজ
তারিখ ২৯ শে এপ্রিল।
সুন্দর সকাল। প্রয়াত হক ভাই ( গুড মর্নিং বাংলাদেশের পথিকৃত) এর গোটা পরিবার পরোটা ভাজি মিষ্টি ড্রিঙ্কস নিয়ে হাজির। এখানেই জন্ম নেয় মানবতার কল্যাণে নিবেদিত এই প্রতিষ্টান টির । হক ভাইয়ের সাথে আর যিনি লেগে ছিলেন ড আয়াজ ভাই তিনিও সকাল সকাল চলে এসেছেন যেমন টি আসতেন গত বছরগুলিতেও ।
দশটার পর পর থেকে কাউন্সিলের গোল চত্বরটি ভরে যায় সব বয়সের মানুষের পদচারনায়। নতুন প্রজন্মের ছেলে মেয়েরাই বেশি উদগ্রীব কেনা বেচার জন্য। বন্ধুদেরকে হাসতে হাসতে জোড় করে গেলাতে পারলেই তো আরও বেশি ডোনেশন কালেকশন হবে।
বয়স্কদের খাবার পরিমান স্বাভাবিক কারনেই কমে যায়। আজকে না হয় একটু বেশিই খাওয়া হলো । এত মজাদার রকমারি খাবার সামনে। পিঠা হালিম চটপটি পরোটা পুরি মাংস ভাজি সবই তো খেতে ইচ্ছে করে। একজন তো হাসতে হাসতে নাকি বলেই ফেলেছেন, ভাই এরপর থেকে আপনাদের লিফলেটে সাবধান বাণী ছাপিয়ে দিবেন,
“ অতিরিক্ত ভোজন ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর।“
লোকাল ফেডারেল এম পি এড হুসিক গত কয়েক বছরের মত এবারেও যোগ দিতে ভুলেন নি। এসেছিলেন ক্যান্সার কাউন্সিল নিউ সাউথ ওয়েলস থেকে কমুনিটি ম্যানেজার। তাদের কথা, “বাংলাদেশি কমুনিটির এই মহতী উদ্যোগ সবার জন্য একটি বিরল দৃষ্টান্ত। “গুড মর্নিং বাংলাদেশ” পেরেছে কমুনিটি স্পিরিটকে কাজে লাগিয়ে এই নজীর বিহিন দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করতে। সকালের নাস্তা বিক্রির বিশাল আয়োজন করে ক্যান্সার কাউন্সিলের জন্য ডোনেশন কালেকশন সত্যিই ধন্যবাদের দাবিদার।
মিসেস লায়লা হক এবং তার পরিবার বেশ খুশি। অক্লান্ত পরিশ্রম এবং চেষ্টার ফসল ভালই হয়েছে। ডোনেশন কালেকশনের পরিমান এগার হাজার ডলার ছাড়িয়ে গেছে এবারে।
গুড মর্নিং বাংলাদেশ
ল্যাকেম্বা প্যারি পার্ক
৬ মে
সকাল থেকেই আকাশ পরিস্কার। প্যারি পার্কের এই স্পোর্টস সেন্টারে বারান্দায় এবং সংলগ্ন খোলা মাঠে এর আয়োজন করেছেন গুড মর্নিং বাংলাদেশের নিবেদিত ভলান্টিয়ার গন। বরাবরের মত এবারেও পুরো অনুষ্ঠানটির দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছিলেন জনাব হান্নান। এই এলাকার পরিচিত মুখ। সাম্প্রতিক মেয়ে বিয়ে দেওয়ার বিশাল দায়িত্ব শেষ হতে না হতেই শুরু করেছেন বিগেস্ট মর্নিং টি এর ক্যাম্পেইন। মিসেস হান্নান অসুস্থ। হাসপাতালে। হান্নান সাহেবের চোখে মুখে ক্লান্তির ছাপ। তার পরেও প্রাণপ্রিয় এই অনুষ্ঠানের জন্য সময়ের কমতি নাই। প্রচার পত্র বিলিবন্টন,ডোনেশন কালেকশন সবখানেই তাঁর হাত।
তাইতো বলছিলাম, “আমরাই পারি। সংসারের সব সুখ দুঃখের জোয়াল কাঁধে নিয়ে হাসিমুখে মানবতার কল্যাণে নিজেদের নিয়োজিত করতে পারে সিডনী প্রবাসী বাংলাদেশীরা”।
জনাব হান্নান স্বেচ্ছাসেবকদেরকে অকুন্ঠচিত্তে ধন্যবাদ জানালেন তাদের সময় এবং শ্রমের জন্য। বাংলাদেশী কমুনিটির বিভিন্ন বক্তাদের সবার কথা, আমরাই পেরেছি লোকাল কমুনিটির স্পিরিটকে কাজে লাগিয়ে এখন পর্যন্ত দুই শত হাজার ডলারের বেশি অর্থ সংগ্রহ করতে।
জনাব হান্নানের সাথে কাজ করেছেন তার বিশাল স্বেচ্ছা সেবক দল। রিয়াজ হায়দার, রানা হক, তাজুল ইসলাম,ড ওহাব, জামিল হূসাইন, দিদার জাফর, রাশেদ, দেলয়ার খান, এনামুল হক, লিয়াকত আলি স্বপন, জাহাঙ্গির আলম, আশিষ রোমান এই দলের একাংশ মাত্র। এমনকি ক্যান্সার থেকে সদ্য সেরে উঠা পিপলু সাহেবেও সমানে খেটেছেন বাকিদের সাথে।
লোকাল এম পি জিহাদ দীব , ক্যান্টারবুরি- ব্যাঙ্কস টাউনের মেওর খালেদ আসফর, এই স্পোর্টস সেন্টারের প্রেসিডেন্ট মিসেস ইনাম তাআবা এবং ক্যান্সার কাউন্সিল থেকে এসেছিলেন মিসেস ক্রিসটাল। তাঁরা তাদের স্ব স্ব বক্তব্যের মাধ্যমে গুড মর্নিং বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
গুড মর্নিং বাংলাদেশ
ম্যাসকট, ইস্টার্ন সাবার্ব
১৩ ই মে
স্থান ম্যাক পাবলিক স্কুল। এ বছরের বাংলাদেশি “বিচেষ্ট মরানি টি” এর শেষ আয়োজন।
আবহাওয়া মোটেই সুবিধার না। গত দু’তিন ধরেই ফলো করছিলাম ম্যাস্কট এলাকার আওয়ারলি ওয়েদার ফোরকাস্ট। রেইন রেইন রেইন।
গিন্নি তো বলেই ফেললো,
“এতবারে মনে হয় ফেল মারতে হবে। এমনি মাদারস ডে তার উপরে এই ঝড় বৃষ্টি, কে আসবে বলো। ছোট বাচ্চাদের নিয়ে মা বাবাদের আসার তো প্রশ্নই আসে না। খাবার দাবার তো মনে হয় বেশ আসছে। নতুন কিছু ফ্যামিলিও তো বানিয়ে আনছে আইটেম। হালিম দু হাড়ি থেকে তিন হাড়ি। আসছে নতুন আইটেম তেহারী। তিন হাড়ি মাংসের আয়োজন,আবার চিকেন ফ্রাই, পিঠা পিয়াজু মিস্টি তো আছেই, মানুষ আসলেই হয়।“
সকালে ৬ টায় উঠেছি। আকাশ কালো মেঘে আচ্ছন্ন। বাতাসের বেগ ৪০ থেকে ৪৫ কি মি । দমকা বাতাসের সাথে বৃষ্টির ঝাপটায় মনটা খা্রাপ হয়ে গেল। গিন্নিও জগে গেছে। তার মুখে হতাশা আর বেশি।
ভাবছি সবাইকে বলে দেই রান্নার পরিমান কম করতে। অন্তত বিক্রি না হওয়ার আফসোস থাকবে না। ভাবনা ভাবনাতেই আটকে থাকল। উপরওয়ালার উপর ভরসা রেখে কাউকেই ফোন করলাম না।
সকাল আট টা বাজে প্রায়। জুবায়েরের ফোন পেলাম।
“আংকেল পুরো সকালটাই তো দেখি রেইন আর রেইন” প্রোগ্রাম দেড়িতে শুরু করলে ক্যামন হয়”।
বললাম, “আমরা তৈরি থাকি, লোকজন দেড়ি করে আসলে তখন দেখা যাবে, আমাদের ভরসা স্কুলে বড় শেড আছে এবং বিশাল বারান্দাই আমাদের রক্ষা করবে”।
জুবায়ের আমাদের গুড মর্নিং বাংলাদেশের একজন একনিষ্ঠ কর্মি। তার বউ সন্তান সম্ভবা কিন্তু এই মহতি কাজের জন্য তার উতসাহ এবং সময়ের কমতি নেই।
রাধিন গতকালই মেসেজ করেছে, “ উই ক্যান বিট দ্যা রেইন, কখন আসতে হবে কাল সকালে তাই বলেন আঙ্কেল।
দাউদ ভাই, এই এলাকার আর একজন নিবেদিত মানুষ। শত কাজের চাপে অথবা বিপদে আপদেও যিনি ভেঙ্গে পরেন না। ছোট বাচ্চাদের কোরান শিক্ষার জন্য কোরানিক স্কুল পরিচালনার কথাই বলুন , ইফতার পার্টির আয়োজন বা বিগেষ্ট মর্নিং আয়োজনের কথাই বলুন উনি আছেন এবং আঠার মতই লেগে থাকেন। কোন বাধাই বাধা নয় তাঁর কাছে আর এ তো সামান্য বৃষ্টি বাদল।
দাউদ ভাবির মুখেই শোনা ওনার এই সকালের গল্পটা শেয়ার না করে পারছি না।
সকালের কালো মেঘ বৃষ্টি দেখে দাউদ ভাবির বিষণ্ণ মনে ডিক্লেয়ার,
“ আমি যাচ্ছি না। কেউ আসবে না এই বৃষ্টিতে , তার চেয়ে বরং আরাম করে শুয়ে থাকি, তুমি একা যাও”।
দাউদ ভাইয়ের সোজা সাপটা জবাব, “তুমি শুয়ে থাকলে থাকো, আমি কিন্তু ঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়ে বেড়িয়ে যাব, দেখি তুমি ক্যামন করে শুয়ে থাকো”।
অনাবিল হাসিতে উচ্ছসিত দাউদ ভাবির নিজের মুখে এই অকপট কথাগুলো শুনে না হেসে থাকতে পারি নি। এমন সরল প্রাণের দম্পতিরাই পারেন এমন বিরল দৃষ্টান্তের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে।
এমনি টান এই সামাজিক, মানবিক কাজের জন্য নিবেদিত এই পরিবারটির।
এমনি অনেক পরিবারের আনন্দময় অংশগ্রহণের মাধ্যমেই না গড়ে উঠেছে গুড মর্নিং বাংলাদেশ ফান্ড রেইজার টিম।
এনারা সবাই মনে প্রানেই এনজয় করে, The joy of giving.
এই মহতি কাজের আনন্দ উপভোগ করতে, উপস্থিত সবাইকে বিশেষ করে আমাদের নতুন প্রজন্ম দের উৎসাহ প্রদানের টানে ছুটে আসেন আয়াজ ভাই,হাবিব ভাই মতিন ভাই, বকসি ভাই,বারি ভাই পারভেজ ভাই, গোলাম আলি,মিজান সহ আরো অনেকে। বন্ধু মাসুদ, মঞ্জুর, আসেম, তাজুল, বেগ,মুহিব, মঞ্জুর আসে দূর দুরান্ত থেকে। ছাত্তার ভাই আসেন মিষ্টি, ভাপা পিঠা আর জিলাপি নিয়ে ল্যাকেম্বা থেকে। কামরুল, শওকত,সিরাজী, জাকির, হক ভাই, মুজিব ভাই, শহিদ ভাই,পাটোয়ারি ভাই, মহসিন ভাই, নাজমুল ভাই, বেলায়েত ভাই,ইমতিয়াজ ভাই, হালিম ভাই রতন, মুস্তাফিজ ভাই, আলো ভাই, হাবিব ভাই, বারী ভাই, কালাম ভাই, কাইউম ভাইয়েরা সর্বাত্নক ভাবে সাহায্য করেন এই ফান্ড রেইজিং সকাল যেন সফলতা নিয়ে আসে।
নতুন প্রজন্মের সাথি, নাতাশা, অইশি, আফনান, তাজদিক, লাবিব প্রিয়েতা, অনিকা, রাধিন দেয়া, তাসনিম, ববি, অরিন, অভি, আমান,আবির, অরভিন এবং আরো অনেকেই আসে এবং শুধু নিজেরাই আসে না, সাথে নিয়ে আসে তাদের বন্ধুদের। মজা করে খায়, অনুষ্ঠানের নানান কাজে সাহায্য করে। সারাটা সকাল আনন্দে কাটিয়ে দেয় তারা।
এ আসরের আসল প্রান হলো মহিলারা। এনাদের রান্নার নৈপুণ্যের টানে, সু স্বাদের ঘ্রানে টেনে আনেন অনেককেই। শাহিন ভাবি হাতের ব্যথার জন্য তাঁর বিখ্যাত ভাপা পিঠা বানাতে না পারলে কি হবে, সুস্বাদু হালিম বানালেন এবারে এবং তার সাথে যোগ দিলেন ডলি ভাবি এবং আলো ভাবি। নার্গিস ভাবি আমাদের কমুনিটির একজন আং সাং হিরো। তেহারি বানিয়েছেন। নতুন আইটেম। আনতে না আনতেই একরকম শেষ।
জামান ভাবির কথা না বললেই নয় । অসুস্থ স্বামীকে বাসায় রেখে প্রোগ্রামে আসতে পারেন নি। তাই আগের দিনেই পাঠিয়ে দিয়েছিলেন জিলাপি।
মুন্না ভাবি চটপটি আর বীফ রোল বিক্রি করলেন যেন ঝড়ের গতিতে। এক ফাকে এসে চাইলাম কিন্তু ততক্ষনে শেষ।
বললাম , “বৃষ্টি বাদল দেখে কম করে নিয়ে এসেছেন মনে হয়”।
হাসতে হাসতে বললেন, “মশকারা করেন, আগের চেয়ে বেশি নিয়ে এসেছি, সব শেষ। ঠান্ডায় বেশি বিক্রি হয়েছে, এখন এই যে লিজা ভাবির চিকেন ফ্রাই ফ্রাই করছি। এও শেষ প্রায়। চাইলে এখনি টাকা ঢালেন। পরে পাবেন না”।
লিজা ভাবি্ চিকেন ফ্রাই এনেছিলেন ছোটদের জন্য । ছোটরা কি খাবে, বড়ুদের চাপে ছোটরা নাকি লাইনে দাড়াতেই পারছিল না।
ভাবীদের উচ্ছ্বাস ভরা মশকারার শেষ নাই ।
শিল্পটি ভাবির মুখপাখন, বেলায়েত ভাবির তেলের পিঠা, লিপি ভাবির পাটি শাপ্টা, হক ভাবির ভাপা পিঠার গন্ধে বৃষ্টি বাদলের দাপটকে কেউ পাত্তাই দেয় নি।
মানুষের আসার কমতি ছিল না যেমন কমতি ছিল না হক ভাবির লুসি, পরোটা, তার সাথে লোপা ভাবির সবজি এবং মিসেস আজাদের মাংসের পরিমান। তিন পাতিল করে মাংস এবং সবজি এবং অগুন্তি পুরি পরোটা কোনটাই অবশিষ্ট ছিল না। ভাগ্যিস কাউকে ফোন করে পরিমানে কম আনতে বলিনি।
সকাল থেকেই চা আর পিঁয়াজুর গন্ধে ভরে ছিল বারান্দার একটা কোন। বরাবরের মত এবারেও চা করেছেন নর্থ সাউথ গ্রুপ। ইয়ং জেনারেশনের একটি সলিড গ্রুপ। গুড মর্নিং বাংলাদেশের কোন প্রোগ্রাম বাদ দেয় না এরা।
দাউদ ভাই আর নাজমুল ভাই আর জিন্নাহ ভাই ভাবিদের গ্রুপ করেছেন পিয়াজু, হালিম সহ আরো অনেক কিছু।। ঠাণ্ডা ওয়েদারে পিয়াজুর কদর বেড়েছে নাকি এবারে কয়েক দফা। তারপরেও কিছুতেই নাকি তাদের টার্গেট এক হাজার ডলার হচ্ছে না। শেষে আমিও পিয়াজু কেনাতে যোগ দিলাম। ভাবিদের জুড়াজুড়িতে যোগ দিতে হলো গামা ভাই কেও ।
“এমনি ভাবিদের জুড়া জুড়ি
গামা ভাই এক শ ডলারের পিয়াজু খেলেন প্রাণ ভরি”।
অবশ্য গামা ভাই নিজে কয়টা খেয়েছিলেন সেটা গোপন থেকে গেছে।
আমাদের ব্যারিস্টার ভাই, মোখলেস ভাই, ফখরুদ্দীন ভাই, আলি ভাই, জিন্নাহ ভাই বারি ভাই এমন অনেক বর্ষিয়ান ভাইয়েরা এসেছিলেন প্রাণের টানে যেমন এসেছিল ছোটরা। আমাদের সাথে যোগ দিয়েছিলেন আমাদের গূড মর্নিং বাংলাদেশ আয়োজিত বিগেস্ট মর্নিং টি এর শুভাকাঙ্ক্ষী অতিথি এই এলাকার ফেডারেল এম পি, পাশের এলাকার স্টেট এম পি এবং ক্যান্সার কাউন্সিল থেকে কমুনিটি ম্যানেজার লিন লংডন।
সত্যি এমনি একটা আনন্দঘন পরিবেশে ছিল সেদিন। ঝড় বৃষ্টি বাদল অকাতরে দানের স্পিরিটকে এতটুকু ব্যাহত করতে পারে নি বরং বাড়িয়ে দিয়েছে অনেকটাই।
তাইতো আমাদের সেদিনের দানের সংগ্রহ ছিল আশাতীত। এই স্পটে এবারের সংগ্রহ ছিল সবচেয়ে বেশি। ৯ হাজার একশত পঁয়তাল্লিশ ডলার।
Azad Alam
Poet and writer. Born in 1959 a remote village named Shimul Bari of North Bengal district Nilphamari. Graduated from Deakin University Geelong Victoria. Presently working in Qantas engineering department. Edited first Bangla three monthly patrika in Australia " Shapla" in 1980. It was handwritten and photocopied for distribution in Sydney.
Related Articles
হাসনাত, তাহমিদকে নিয়ে ‘উর্ধতন ঘাপলা’ আছে!
যুগান্তরের অনুসন্ধানী রিপোর্ট, সংশ্লিষ্ট রিপোর্টারকে ধুয়ে দিচ্ছেন পুলিশের কিছু কর্তা! এর প্রেক্ষিতে বলতে বাধ্য হচ্ছি আমার কেন যেন মনে হচ্ছে
যন্ত্রের দৌরাত্ম্য
যন্ত্র যেমন একদিকে আমাদের জীবনযাপনকে সহজ ও সুন্দর করেছে ঠিক তেমনি মাত্রারিক্ত যন্ত্র নির্ভরতা আমাদেরকে ঠেলে দিচ্ছে খারাপ পরিণতির দিক।
অস্ট্রেলিয়ার ঈদ
ফজলুল বারী: বাংলাদেশের মিডিয়ায় এখন শুধু ঈদের কেনাকাটা আর বাড়ি যাবার ছবি। এখানে আমাদের অস্ট্রেলিয়ায় আমরা যারা বাংলাদেশের হয়ে থাকি