২৫মার্চের গনহত্যার টার্গেট ছিল হিন্দু বাঙ্গালী

২৫মার্চের গনহত্যার টার্গেট ছিল হিন্দু বাঙ্গালী

অষ্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিজ এক্সিলেন্সি সুফিউর রহমান বলেন, বাংলাদেশে ২৫মার্চের (১৯৭১ সালে) গনহত্যায় যত বাঙ্গালী মারা গিয়েছিল তাদের অধিকাংশই ছিল হিন্দু বাঙ্গালী। সেদিনের গনহত্যা ছিল টার্গেটেড কিলিং। টার্গেট ছিল হিন্দু বাঙ্গালীরা। আজ (রবিবার, ২৫ মার্চ ২০১৮) সন্ধ্যায় কেনবেরায় বাংলাদেশ দুতাবাস প্রাঙ্গনে ২৫মার্চের গনহত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত ডকুমেন্টারীর উদাহরন টেনে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে ২৫মার্চের গনহত্যা চালানো হয়েছিল দ্বিজাতি তত্বের ভিত্তিতে । তিনি বলেন, কোণ দেশের বা অঞ্চলের গনহত্যার প্রেক্ষিত পর্যালোচনা করলে দেখা যায় সেই দেশে কিংবা অঞ্চলে যে জাতিগোষ্ঠি থাকে তাঁদের মধ্যে ‘রেসিয়াল ডিসক্রিমিনেশন’ সৃষ্টির মধ্যে দিয়ে সেই দেশে গনহত্যার পরিবেশ তৈরী হয়। সাংস্কৃতিক কিংবা অর্থনৈতিক কিংবা রাজনৈতিক ভাবে কোণ জাতিগোষ্ঠিকে নিশ্চিহ্ন করে ফেলার দৃষ্টি কোন থেকে এই ‘রেসিয়াল ডিসক্রিমিনেশন’ চালানো হয় । তিনি বলেন, দীর্ঘ ২৫ বছরের পাকিস্তানী শাষন আমল পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে রেসিয়াল ডিসক্রিমিনেশনের সব পর্বগুলি সেখানে ছিল। তাই তিনি মনে করেন বাংলাদেশের গনহত্যাকে শুধু ২৫মার্চের ঘটনা কিংব ৯ মাসের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রেক্ষিতে ভাবলে এই গনহত্যার ক্ষেত্রটাকে ছোট করে দেখা হবে । তার বিবেচনায় বাংলাদেশে গনহত্যা ঘটানোর পরিবেশ তৈরীর কাজ শুরু হয় ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ভারত বিভক্তির পর থেকেই।

গনহত্যা যে কারন গুলির জন্য হয়ে থাকে সেগুলির পুনরাবৃত্তি বাংলাদেশে যাতে না হয় সে বিষয়ে সকলকে কাজ করার পরামর্শ দেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের ২৫মার্চের গনহত্যা দিবসকে আন্তর্জাতিকীকরন করতে ও গণহত্যার বিরুদ্ধে মানুষের মধ্যে গণসচেতনতা জাগাতে অষ্ট্রেলিয়ার নীতিনির্ধারক, মিডিয়া, এবং মানবাধিকার সংস্থার লোকজনকে সাথে নিয়ে আগামী বছর ‘২৫মার্চের গনহত্যা দিবস’কে দুতাবাসের বাইরে উদযাপন করা হবে। তিনি বলেন, ২৫মার্চের গনহত্যা দিবস উদযাপনের মাধ্যমে আমরা মানুষকে জানাতে চাই পৃথিবীর কোথাও যেন গণহত্যার মত পরিবেশ তৈরি না হয়।

দূতাবাসের প্রথম সেক্রেটারি ফরিদা ইয়াসমিন অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন। অনুষ্ঠানে ২৫মার্চের গনহত্যার উপর নির্মিত ডকুমেন্টারী প্রদর্শন ছারাও ছিল দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী’র পাঠানো বাণী পাঠ এবং সংক্ষিপ্ত আলোচনা। প্রবাসী বাংলাদেশি কমুনিটির অনেকেই সেই আলোচনায় অংশ নিয়ে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।


Place your ads here!

Related Articles

Lecture on Social Business of tackling society's most pressing problems by Dr Yunus in Monash University

Social Business for Tackling Society’s Most Pressing Problems Monash University and the Monash Business School are proud to host a

সবারই অধিকার রয়েছে কিছু বলার

মেলবোর্নের আবহাওয়াটা কেমন যেন দিন দিন ইয়ো ইয়ো (Yoyo) এর মত হয়ে যাচ্ছে। এক দিনে চার আবহাওয়া দেখা যায় সেটা

বহে যায় দিন – Every person is born with talent

> বহে-যায়-দিন সকল প্রকাশিত পর্ব > ছয় ।। Every person is born with talent এ কথা সত্যি যে প্রত্যেক মানুষের ভেতর

No comments

Write a comment
No Comments Yet! You can be first to comment this post!

Write a Comment