সিডনিতে আগমনী অস্ট্রেলিয়ার পাঁচদিনব্যাপী সর্বজনীন দুর্গোৎসব পালন।
![সিডনিতে আগমনী অস্ট্রেলিয়ার পাঁচদিনব্যাপী সর্বজনীন দুর্গোৎসব পালন।](https://priyoaustralia.com.au/wp-content/uploads/2018/10/দুর্গা-প্রতিমা-890x395_c.jpg)
গত দুই বছরের ধারাবাহিকতায় এ বছরও আগমনী অস্ট্রেলিয়া তাদের দুর্গোৎসব পালন করে সিডনির গ্লেনফিল্ড কমিউনিটি হলে গত ১৫ই অক্টোবর থেকে ১৯শে অক্টোবর। অস্ট্রেলিয়াতে দুর্গাপূজার জন্য আলাদাভাবে ছুটি না থাকাতে সাধারণত দুর্গোৎসব পালন করা হয় সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনি ও রবিবারে কিন্তু আগমনী অস্ট্রেলিয়া লগ্ন এবং তিথি মেনে পুরোপুরি বাঙালি পঞ্জিকা অনুসরণ করে তাদের দুর্গোৎসব পালন করে। সিডনির দক্ষিণ পশ্চিমের সবার্বগুলোতে বাংলাদেশিদের বসবাস উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে চলেছে তাই সার্বজনীন দুর্গোৎসব তাদের মধ্যে অফুরান আনন্দের পরিবেশ তৈরি করে আর পাঁচদিন ব্যাপি পূজা হওয়াতে সবাই তাদের সুযোগ সুবিধামত যোগদানও করতে পেরেছে।
ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণীর বাংলাদেশিদের পাশাপাশি স্থানীয় অধিবাসীরাও পূজাতে যোগদান করে সাফল্যমন্ডিত করে তোলেন। পাঁচদিনব্যাপী পূজার অন্যান্য অনুষঙ্গের সাথে প্রতিদিনই আয়োজন করা হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। আর সবশেষে আগত ভক্তদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে প্রসাদ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শিশু কিশোর থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সী মানুষের অংশগ্রণ সেটাকে করে তোলে আকর্ষণীয়। পূজার অনুষঙ্গ হিসেবে সারাদিনই চলে ঢাক আসার কাঁসার বাজনার পাশাপাশি দূর্গা দেবীর প্রতি আরতি। সেখানে সববয়সী মানুষই অংশগহন করেন। তার পাশাপাশি ছিল সিঁদুর খেলা যেটা সবার মধ্যে বাড়তি আনন্দের পরশ বুলিয়ে দেয়। পূজা উপলক্ষে আকর্ষণীয় মলাটে স্মরণিকা বের করা হয় যেখানে সকল ধর্মের মানুষ তাদের পূজার স্মৃতি ব্যক্ত করেন। আগমনীর এ পূজা আয়োজনে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন ক্যাম্বেল্টাউন কাউন্সিলের মেয়র জর্জ ব্রাইটসভিক।
তবে এবারের পূজার সবচেয়ে লক্ষণীয় বিষয় ছিল স্থানীয় বাঙালিদের অভূতপূর্ব অংশগ্রহণ যেটা আয়োজকদের অনেক উৎসাহিত করেছে। অবশেষে বিজয়া দশমীর মাধ্যমে “আসছে বছর আবার হবে” ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে শেষ হয় দুর্গোৎসব।
![Md Yaqub Ali](https://priyoaustralia.com.au/wp-content/uploads/2017/12/Yaqub-Ali-150x150.jpg)
Md Yaqub Ali
আমি মোঃ ইয়াকুব আলী। দাদি নামটা রেখেছিলেন। দাদির প্রজ্ঞা দেখে আমি মুগ্ধ। উনি ঠিকই বুঝেছিলেন যে, এই ছেলে বড় হয়ে বেকুবি করবে তাই এমন নাম রেখেছিলেন হয়তোবা। যাইহোক, আমি একজন ডিগ্রিধারী রাজমিস্ত্রি। উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করতে অস্ট্রেলিয়াতে আমার আগমন ২০১৫ সালের মার্চে। আগে থেকেই ফেসবুকে আঁকিবুকি করতাম। ব্যক্তিজীবনে আমি দুইটা জীবের জনক। একটা হচ্ছে পাখি প্রকৃতির, নাম তার টুনটুনি, বয়স আট বছর। আর একজন হচ্ছে বিচ্ছু শ্রেণীর, নাম হচ্ছে কুদ্দুস, বয়স দুই বছর। গিন্নী ডিগ্রিধারী কবিরাজ। এই নিয়ে আমাদের সংসার। আমি বলি টম এন্ড জেরির সংসার যেখানে একজন মাত্র টম (আমার গিন্নী) আর তিনজন আছে জেরি।
Related Articles
শুভ জন্মদিন তোয়াব ভাই
আজ ২৪ এপ্রিল। তোয়াব খানের ৮২ তম জন্মদিন। নট আউট ৮২! ইনি সাংবাদিক তোয়াব খান। বাংলাদেশের সাংবাদিকতার অন্যতম পথিকৃৎ ব্যক্তিত্ব।
ভার্চুয়াল চিঠি (পর্ব – তিন)
ভালোবাসার ভাষা বদলে গেছে। আগের দিনের ভালোবাসা আর এখনকার ভালোবাসার বিস্তর ফারাক । ফোনে মিসড কল। তা থেকে পাল্টা ফোন। তারপর
আজব সব কারবার
বাংলাদেশের এই খবর গুলো দেখলে অন্তর আত্মা কেঁপে ওঠে । মানবিকতা বিহীন জীবন ।আমি নিজেই এবার দেশে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রে