সিডনিতে আগমনী অস্ট্রেলিয়ার পাঁচদিনব্যাপী সর্বজনীন দুর্গোৎসব পালন।

সিডনিতে আগমনী অস্ট্রেলিয়ার পাঁচদিনব্যাপী সর্বজনীন দুর্গোৎসব পালন।

গত দুই বছরের ধারাবাহিকতায় এ বছরও আগমনী অস্ট্রেলিয়া তাদের দুর্গোৎসব পালন করে সিডনির গ্লেনফিল্ড কমিউনিটি হলে গত ১৫ই  অক্টোবর থেকে ১৯শে অক্টোবর। অস্ট্রেলিয়াতে দুর্গাপূজার জন্য আলাদাভাবে ছুটি না থাকাতে সাধারণত দুর্গোৎসব পালন করা হয় সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনি ও রবিবারে কিন্তু আগমনী অস্ট্রেলিয়া লগ্ন এবং তিথি মেনে পুরোপুরি বাঙালি পঞ্জিকা অনুসরণ করে তাদের দুর্গোৎসব পালন করে। সিডনির দক্ষিণ পশ্চিমের সবার্বগুলোতে বাংলাদেশিদের বসবাস উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে চলেছে তাই সার্বজনীন দুর্গোৎসব তাদের মধ্যে অফুরান আনন্দের পরিবেশ তৈরি করে আর পাঁচদিন ব্যাপি পূজা হওয়াতে সবাই তাদের সুযোগ সুবিধামত যোগদানও করতে পেরেছে।

ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণীর বাংলাদেশিদের পাশাপাশি স্থানীয় অধিবাসীরাও পূজাতে যোগদান করে সাফল্যমন্ডিত করে তোলেন। পাঁচদিনব্যাপী পূজার অন্যান্য অনুষঙ্গের সাথে প্রতিদিনই আয়োজন করা হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। আর সবশেষে আগত ভক্তদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে প্রসাদ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শিশু কিশোর থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সী মানুষের অংশগ্রণ সেটাকে করে তোলে আকর্ষণীয়। পূজার অনুষঙ্গ হিসেবে সারাদিনই চলে ঢাক আসার কাঁসার বাজনার পাশাপাশি দূর্গা দেবীর প্রতি আরতি। সেখানে সববয়সী মানুষই অংশগহন করেন। তার পাশাপাশি ছিল সিঁদুর খেলা যেটা সবার মধ্যে বাড়তি আনন্দের পরশ বুলিয়ে দেয়। পূজা উপলক্ষে আকর্ষণীয় মলাটে স্মরণিকা বের করা হয় যেখানে সকল ধর্মের মানুষ তাদের পূজার স্মৃতি ব্যক্ত করেন। আগমনীর এ পূজা আয়োজনে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন ক্যাম্বেল্টাউন কাউন্সিলের মেয়র জর্জ ব্রাইটসভিক।

তবে এবারের পূজার সবচেয়ে লক্ষণীয় বিষয় ছিল স্থানীয় বাঙালিদের অভূতপূর্ব অংশগ্রহণ যেটা আয়োজকদের অনেক উৎসাহিত করেছে। অবশেষে বিজয়া দশমীর মাধ্যমে “আসছে বছর আবার হবে” ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে শেষ হয় দুর্গোৎসব।

আয়োজকদের একাংশ

পূজার নিমন্ত্রণপত্র

স্মরণিকার প্রচ্ছদ

দুর্গা প্রতিমা

পূজার ডালি

ঢাক আর কাঁসার সেই চিরায়ত বাদ্য

ঢাক আর কাঁসার তালে আরতি

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের একটি দৃশ্য

শিবের সাজে ছোট্ট কৃশ এবং নৃত্যশিল্পী অর্পিতা

পূজা দিতে এসেছিলেন পরিবারের সকলেই

বাদ যায়নি পরিবারের সবচেয়ে ছোট সদস্যটিও

সিঁদুর খেলা

আয়োজকদের সাথে ক্যাম্বেল্টাউন কাউন্সিলের মেয়র জর্জ ব্রাইটসভিক

Md Yaqub Ali

Md Yaqub Ali

আমি মোঃ ইয়াকুব আলী। দাদি নামটা রেখেছিলেন। দাদির প্রজ্ঞা দেখে আমি মুগ্ধ। উনি ঠিকই বুঝেছিলেন যে, এই ছেলে বড় হয়ে বেকুবি করবে তাই এমন নাম রেখেছিলেন হয়তোবা। যাইহোক, আমি একজন ডিগ্রিধারী রাজমিস্ত্রি। উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করতে অস্ট্রেলিয়াতে আমার আগমন ২০১৫ সালের মার্চে। আগে থেকেই ফেসবুকে আঁকিবুকি করতাম। ব্যক্তিজীবনে আমি দুইটা জীবের জনক। একটা হচ্ছে পাখি প্রকৃতির, নাম তার টুনটুনি, বয়স আট বছর। আর একজন হচ্ছে বিচ্ছু শ্রেণীর, নাম হচ্ছে কুদ্দুস, বয়স দুই বছর। গিন্নী ডিগ্রিধারী কবিরাজ। এই নিয়ে আমাদের সংসার। আমি বলি টম এন্ড জেরির সংসার যেখানে একজন মাত্র টম (আমার গিন্নী) আর তিনজন আছে জেরি।


Place your ads here!

Related Articles

Bangla Article on Higher Education in Bangladesh

বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে কিছু চিন্তাভাবনা অধ্যাপক বিজন বিহারী শর্মা ভুমিকাঃ কিছুদিন আগে আমি আমেরিকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত একজন শিক্ষকের কাছ

শেকড়ের সন্ধানে একদিন এবং একজন হারুন ভাই

প্রাথমিকের পাঠ্যবই হাতে পাওয়ার সাথে সাথেই আমরা বইয়ের একেবারে উপরের পৃষ্ঠায় নিজের নামসহ ঠিকানা লিখে ফেলতাম। যাতে বইটা হারিয়ে গেলেও

Fascinating insights into Indo-Bangladesh relations from the departing Indian High Commissioner

A narrative of diplomat’s experiences has always been revealing and entertaining. A life of a diplomat is always exciting as

No comments

Write a comment
No Comments Yet! You can be first to comment this post!

Write a Comment