মানবতার খোঁজে রেড আর্মিরা

মানবতার খোঁজে রেড আর্মিরা

ঘটনা – ০১
কমলাপুর রেলস্টেশনের এক কোনা থেকে কান্নার আওয়াজ আসছিলো। একটু এগিয়ে দেখা গেলো একটি শিশু কাতরাচ্ছে, গায়ে প্রচণ্ড জ্বর। একটু কথা বলতেই এক টুকরো মলিন কাপড় তুলে পা দেখালো। ইনফেকশন ছড়িয়ে দগদগে ঘা! এদিকে কোথা থেকে এলে জানতে চাইলে শিশুটি বললো, একটি শেল্টার হোমে ছিলো, এই অবস্থার কারনে বের করে দিয়েছে।ওর আবার একটা হাত আগেই ট্রেনে কাটা পরেছে, দেখালো এক ফাঁকে।

ব্যস, শুরু হলো “মজার ইশকুল” এর দায়িত্ব পালন। এমন সব সমস্যাকেই মজার ইশকুলের একদল রেড আর্মি ঘুরে ঘুরে বের করে আর সমাধানের চেষ্টা করে যখন অন্য কেউ সেটাকে খেয়াল করে না বা তুচ্ছ করে।

মজার ইশকুলের পোস্টার

নাম তার “সাকিব”। একদল স্বেচ্ছাসেবী ডাক্তার দায়িত্ব নিলো ওর চিকিৎসার। পরদিন ৪ জনের একটি টীম সাকিবকে সকালের নাস্তা খাইয়ে হাসপাতালে নিতে এসেছে। কথা প্রসঙ্গেই সাকিব জানায় সে জানে air condition মানে ঠান্ডা ঘর, কিন্তু কখনো সে তা অনুভব করেনি। ওকে এই ছোট্ট অভিজ্ঞতা দিতে ওরা উবার ডাকলো, সাকিবকে বললো এই গাড়িটা এখনকার জন্য তোমার। নিজের মনে করে গাড়িতে উঠো। সাকিবও কম যায়না, মালিকের মত এগিয়ে নিজে দরজা খুলে বসে তো অবাক! আরে, এটাই তাইলে air condition এর ঠান্ডা!

এবার শুরু হলো চিকিৎসা। স্বেচ্ছাসেবীরা নিয়মিত ওকে খাওয়া, কাপড়, খেলনা দিয়ে কষ্ট ভুলানোয় ব্যস্ত। ফাঁকে ফাঁকে ওর জীবন বৃত্তান্ত নেয়ার চেষ্টা। নাহ! পথের শিশুরা সহজে কাউকে বিশ্বাস করেনা, তাই ৩ বার ৩ রকম বৃত্তান্ত। অভিজ্ঞতা থেকে এই রেড আর্মি টীমের এরই মধ্যে জানা আছে কি করে বিশ্বাস আনা যাবে।প্রসঙ্গত আমি আগেও বলেছি এখনো বলি পথশিশুদের কাছে বিশ্বাস অর্জন করা আর পাথরে ফুল ফোটানো সমান কঠিন কাজ ! যাইহোক, অবশেষে পাওয়া গেলো আসল হদিশ ! তাকে বোঝানো হলো তোমারতো একটা হাত নেই, ঢাকায় এভাবে না থেকে বাড়ি ফিরে যাও। (ঢাকার রাস্তায় পথশিশুদের ভীড় কমাতে এটাও মজার ইশকুলের একটি পরিকল্পনা; সম্ভব হলে গ্রামের বাড়িতে বাবা-মায়ের কাছে পাঠিয়ে দেয়া)

সাকিবের ঝটপট সরল উত্তর; “আমারে যদি সাকিবগো মতন ক্রিকেট ব্যাট, ম্যারাডোনার মতন খেলার ফুটবল, একটা খেলনা গাড়ি,আমার বইনের জন্যে সোনার মতন কানের দুল দেন আর মায়েরে কন আর না মারতে তাইলে যামু”। প্রসঙ্গত: সাকিব এখন সুস্থ ও একটি সেল্টার হোমে আছে।

ঘটনা – ০২
২০১৩ সালে স্কুল শুরুর সময়ের এক ছাত্রের সাথে দেখা শাহবাগে। ও ক্রিকেট খেলছিল। আরিয়ানের ডাকে ছুটে কাছে এলো, বিনয়ের সাথে সালাম ও কুশল বিনিময় করলো। বলল, “অনেক ভাল আছি, এখন চায়ের দোকানে কাজ করি”। পরে শুনলাম ওদের দলের এক ছেলে ১৪/১৫ বছর বয়সেই ৩/৪ জন মিলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক কিশোরীকে ঘুমের মধ্যেই ধর্ষণ করে খুন করে! কিশোর সাজা তেমন নয়, জেল থেকে বেড়িয়ে একসময় একজনের সাথে তর্কে জড়িয়ে বোতল ভেঙ্গে মাথায় বারি দিয়ে আবারো খুন! জানে, তেমন সাজাতো হবেনা। তার কাছে মূল্য কি বুঝে ঐ ব্যক্তিই যে তার পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলো!

মজার ইশকুলের ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক শিক্ষিকাবৃন্দ

ঘটনা – ০৩
মফস্বল শহর থেকে এসে মেডিকেলে ভর্তি হয়েছে মেয়েটি। নতুন পরিবেশে মানিয়ে চলছে। আর তাই স্মার্টনেসের প্রতিযোগীতায় নাম লেখাতে টোকাইদের কাছ থেকে পাওয়া সহজলভ্য ড্রাগে অভ্যস্ত হলো। বাবা-মা ক্ষুনাক্ষরেও টের পেলেন না তাদের লক্ষী, ভাল ছাত্রী মেয়েটির কি সর্বনাশ হতে চলেছে। বুঝলেন যেদিন মেয়ের বিয়ে সেদিন, শেষ পর্যন্ত বিয়েটিই ভেঙ্গে গেলো।

এবার এমন শত গল্পের মাঝে হারিয়ে ছিলাম ১৩ নভেম্বর ২০১৭ – ২২ ডিসেম্বর ২০১৭ সময়টা। প্রশান্ত পাড়ে বসে অনেকেই যে নামটি হয়তো কখনো শোনেন নি, কিন্তু টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া, যেখানেই গেছি পথশিশুদের কেউ না কেউ বলেছে, “হ্যাঁ চিনি, আর ভাল লাগে মজার ইশকুল”।
কেন ভাল লাগে?
:: “ভাইয়া আপুরা অনেক আদর করে, খাইতে দেয়, গল্প করে, খেলে আমাগো লগে। উৎসব করে, আমরা দোতলা বাসে চইড়া গিয়া মজার মজার খাওয়া খাই” !

পড়াশুনা করায় না?
:: হ, লেহাপড়া করি, ছবি আঁকি, খ্যালতে খ্যালতে শিখি এইগুলান। আমি আমার নাম ইংরেজীতে লেখবার পারি”।
বলেই হাসির জোয়ার! এই হাসি বিজয়ের, এই হাসি গর্বের।

শাহবাগ স্কুলের আরেক শিশু আমাকে চমকে দিয়ে বলে আমার বাড়ি সৈয়দপুর! (আমার শহরও বটে!) মায়ের সাথে রাগ করে ঢাকায় এসেছে। আগে নেশা করতো, এখন ভাইয়া-আপুরা বোঝানোর পর আর নেশা করেনা। সৈয়দপুর থেকে আরো কিছু সাঙ্গো পাঙ্গো জুটিয়ে এনেছিলো ঢাকায়। কিন্তু এটা করা ঠিক না, আপুরা বুঝিয়েছে তাই ওদেরকে বাড়িতে ফেরৎ পাঠিয়েছে। নিজের উপার্জনের টাকা দিয়ে কত বন্ধুদের যে সাহায্য করেছে। তার গল্প শোনালো গুছিয়ে, ওকে কে শেখালো এই মহানুভবতা? ভাববার বিষয়ই বটে!

“মজার ইশকুল” মাত্র ২ টি স্থায়ী স্কুল আর ৩ টি অস্থায়ী স্কুল ঢাকায় চালিয়ে ৫ বছর সময়ের মধ্যে পুরো দেশের পথশিশুদের হৃদয়ে কিভাবে স্থান করে নিলো? বিশোর্ধ একদল ছেলে-মেয়েকে কুর্নিশ করে এলাম এই বলে, যে বয়সে আমি বা আমরা অনেকেই নিজের জীবন গড়তে scholarship নিয়ে বিদেশে যাই বা মোটা বেতনের চাকুরী বাগিয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলি, সেই বয়সে এরা জীবন বিসর্জন দিচ্ছে পথশিশুদের বন্ধু হতে বা তাদের জীবনটা একটু গুছিয়ে দিতে।
এরা লোক দেখাতে চায়নি; NGO বুকের তালিকায় নাম উঠিয়ে বিদেশী টাকার বেতনও চায়নি। সরল মন নিয়ে, এক বুক ভালবাসা দিয়ে পথশিশুদের মুখে হাসি ফোটাতে চায়, জীবন মূল্যবান- তা ভাবতে শেখায়।
২০১৩ সালে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে মানবতার ডাক দিয়েছিলো যে যুবক তার নাম “আরিয়ান আরিফ”। ৫ বছর পর তাতে সাড়া দিয়ে আমরা পেয়েছি ১০০০+ আরিয়ান আরিফ। তারা পরম যত্নে শিশুদের নখ কেটে দেয়, হাত পরিষ্কার রাখতে শেখায়, গোসল করিয়ে দেয়, খাওয়ার সময় পরম যত্নে খাইয়ে দেয়। কোলে বসিয়ে গল্প শোনায়, হাসতে শেখায়, বাঁচতে শেখায়।

শাকিল, ঝুমা, জাকিয়া তাদের পড়ালেখা শেষ করে ভাল বেতনের হাতছানিকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে “মজার ইশকুল” এ দিনরাত শ্রম দিচ্ছে। তানভীর স্কুলটিকে এমনভাবে সাজিয়েছে যে, দেখে মনেই হয়না এটা বাইরের দেশের কোন ক্লাসরুম নাকি দেশের। জেরিন পা ভেঙ্গেও বসে থাকেনি ঘরে, উচ্ছ্বল ফারিহা, মুন্নি,তামকিন,মিমো, সিমন, বাবু,অর্ণব, অরবিন্দু, শাহাদাত, মাসুদ, মাসুম আরো কতোজন নিজেদের কাজের আগেই একপায়ে খাড়া মজার ইশকুলের জন্য। ফারজানা যে রোকেয়া হল থেকে ত্রিপল ( বসে পড়ার জন্য) বইতে্ বইতে্ শুকিয়েই গেছে !

৫ বছর হিসেবে ওদের অগ্রগতি সত্যিই প্রসংসার যোগ্য। আর এখানে পৌঁছাতে কম ঝক্কি-ঝামেলাও পোহাতে হয়নি ওদের। ৩৭ দিন জেলের জীবন (ওরা হেসে বলে, আপু জেইল বলবেন না, আত্নমসম্মানে লাগে। বলেন শ্বশুড় বাড়ি !যাক্ হল না হয় বিয়ে না করেও শ্বশুড়া বাড়ির অভিজ্ঞতা) কাটিয়েছে হাসিব, জাকিয়া, শুভ আর আরিয়ান। কারন? গুগল করলেই জানতে পারবেন সব খবর। আবারো বলছি, শুরুটা করেছে নিজেদের টিউশনি বা চাকরির পয়সা দিয়ে চালিয়ে – এখনো open school গুলো চলে ওদের টাকায়।
আর স্থায়ী স্কুল চলে আমাদের মত কিছু মানবিক, সামাজিক দায়বোধ সম্পন্ন দেশী বা প্রবাসী বাংলাদেশীদের সহায়তায়।

কিছু কথা সবার মাঝেঃ

বাংলাদেশে পথশিশু বা বস্তিতে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীটা সুশীল সমাজের জন্য কতটা পথরোধকারী হবে তা অনেকেই এখনো সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেনা বলে ধারনা করতে পারছেনা।ভাবছে, ওরা না থাকলে ঘরে কাজ করবে কে, রিক্সাটা চালাবে কে বা চাইলেইতো মালি, গাড়িচালক পাওয়া মুশকিল হবে। তবে আর ওদের দিকে নজর দেয়া কেন? থাকনা ওভাবেই !

এখানে মজার ইশকুলের এই অদম্য ছেলে-মেয়েদের চিন্তার কাছে আমরা পরাজিত। কেন? ওরা একটু অন্যভাবে এর ব্যাখ্যা দেয়, বলে আমরা ওদের জীবন রাতারাতি পাল্টাতে আসিনি। ওদের শুধু সুশিক্ষা নয়, স্বশিক্ষাও বিলাতে পাশে আছি। এই পথশিশুরা যেন জন-দূর্ভোগ না হয়ে জনসম্পদ হয় । তাইতো স্কুলের মেধাবী শিশুটির ৩ বেলা খাওয়া আর স্কুলে নিয়মিত আসা নিশ্চিত করতে বাবাকে রিক্সা কিনে দেয় বা মা কে সেলাই মেশিন। (অবশ্যই ডোনেশনের টাকা থেকেই)!
এ বিষয়ে আরিয়ান আরিফের একটি স্ট্যাটাস শেয়ার না করে পারছিনাঃ-

“বীভৎস, বিষণ্ণ সময় কাটতে চায়না।

তবুও আগামীর বাংলাদেশ নিরাপদ রাখতে স্বপ্ন বুনে যাই। একটি পথশিশুও যেন মাদকাসক্ত না হয়, অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে কারো মায়ের বুক খালি না করে, কখনো যেন ক্ষুধার জন্য হায়েনা না হয়।
নিজের অধিকার নিজেই নিশ্চিত করতে পারে, জনসংখ্যা যেন জন-দূর্ভোগ না হয়ে জন-সম্পদ হয়।
তাই আমাদের নিরলস পথচলা। মজার ইশকুল :: Mojar School.
১৪ মার্চ ২০১৮”

স্কুলের অগ্রগতির ধারাবাহিকতায় এ বছর যাচাই বাছাইয়ের পর আগের ১২০ জন শিক্ষার্থীর সাথে ২ স্কুলে যুক্ত হয়েছে আরো ১৯১ জন শিশু। যারা এখন থেকে ভিক্ষা করা, ফুল বেঁচা বা ড্রাগ বেচার মত কাজ থেকে চিরতরে অব্যাহতি পেলো। এরা ৮ম শ্রেনী পর্যন্ত পড়বে, এর মধ্যেই কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সততা, নিষ্ঠাকে সাথে নিয়ে সমাজে ফিরে যাবে সেবা দিতে।

মজার ইশকুলের প্রচারে ব্যস্ত লেখিকা

আগেই বলেছি, যেহেতু স্থায়ী স্কুলগুলোর কার্যক্রম সাধারণ স্বেচ্ছাসেবীদের, প্রবাসী বা হৃদয়বান বাংলাদেশীদের অনুদানে চলে তাই এই নতুন শিশুদের জন্য স্কুল ড্রেস, জুতা, পড়াশুনার আনুষাঙ্গিক উপকরণ কিনে দেয়ার দায়িত্বটাও আমাদেরই নিতে হবে। মাসে ১৫০০ টাকা ($23/24 Aus) বরাদ্দের মাধ্যমে আপনি হতে পারেন একজন চৌকশ শিশুর অভিভাবক। কথা দিচ্ছি, এতে বোনাস হিসেবে পাবেন সমাজ পরিবর্তনে বিজয়ী রেড আর্মির দলের চলৎশক্তি হয়ে থাকার আত্মতৃপ্তি। হবেন পথশিশুমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে চলা উদ্যম, স্বপ্নবাজদের কাজের নীরব সাক্ষী।

আমার এবারের দেশ সফরের উদ্দেশ্য ছিলো “মজার ইশকুল”। গত ৩ বছরে আমার ফেসবুকে লেখার মধ্য দিয়ে অনেকেই মজার ইশকুলে sponsor হিসেবে যুক্ত হয়েছেন। ব্রিসবেনবাসীই বেশী তাদের মধ্যে ! বিবেকবোধ তাড়া করছিলো নিজের চোখে ইশকুলের কার্যক্রম দেখতে। যা ভেবে গেছি, তার থেকেও অনেক গোছানো কাজ পেয়েছি গিয়ে । তাদের সময়জ্ঞান, নিয়মানুবর্তিতা, টীমের সকলের প্রতি ভালবাসা বা খেয়াল করা, শিশুদের প্রতি যত্ন রীতিমত অবাক করেছে আমায়। তাইতো ভালবেসে নাম দিলাম “ রেড্ আর্মি” ! ( কাকতালীয়ভাবে নামটি মিলে গেছে স্বেচ্ছাসেবী মাসুমের দেয়া নামের সাথে, ও ওর কোন একটা fb status এ দিয়েছিল এই নাম!)

ওখানে দুষ্টুমি করে একজনকে বলেছিলাম, আমাকে একটা চাকুরী দাও এখানে চলে আসি। উত্তর কি দিলো জানেন? “আপু, এখানেতো কেউ কাউকে কাজ দেয়না, সবাই নিজ দায়িত্বে কাজ করে”।
মস্তিষ্কের নিউরনে ঝিলিক দিয়ে ছড়িয়ে গেলো একটা ভাললাগার অনুভূতি – নিজেকে নিজে মজার ইশকুলের Embasador বা স্বেচ্ছাদূত হিসেবে নিয়োগ দিলাম। হ্যাঁ, যদিও আগে থেকেই সাহায্য করে আসছিলাম সময়ে অসময়ে, কিন্তু এবার দায়িত্ব নিয়েই আপনাদের কাছে আসা। নিজেদের সন্তানের পাশাপাশি ২/১ জন করে অঅবহেলিত শিশু আমাদের পরিচয়েই বেড়ে উঠুক নাহয়, এতে একসময় আপনার আত্মতৃপ্তিতে মন ভরে উঠবে এর সুফল দেখে।

মজার ইশকুলের দুজন শিক্ষার্থীর সাথে লেখিকা

আমি চাই, শুধু ব্রিসবেন না, পুরো অস্ট্রেলিয়া পাশে থাকুক “মজার ইশকুল” কে ভালবেসে; সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে। কিছু বছর ধৈর্য ধরে, বিশ্বাস করে পাশে থাকলে এক অপার্থিব আনন্দের মালিক যে হবেন তা আমি নিশ্চিত করেই বলতে পারি।
মজার স্কুলের ব্যাপ্তি ছড়িয়ে পরুক বিশ্বময় ! স্কুলের সব শিশুদের পক্ষ থেকে আমি তুলি সবাইকে জানাই প্রাণঢালা ভালবাসা!

অভিভাবক বা অনুদানের জন্য যোগাযোগের মাধ্যম:

প্রশান্তিকা অফিস, লাকেম্বা। সিডনী।
মজার ইশকুল :: Mojar School (ফেসবুক পেইজ)
আরিয়ান আরিফঃ (সরাসরি – +8801788886904)

Tuly Noor

Tuly Noor

নামে কি বা যায় আসে? কবি কাজী নজরুল ইসলামের সৃষ্টি সঞ্চিতার সাথে মিল রেখে আমার বাবা নজরুল ইসলাম শখ করে মেয়ের নাম রাখলেন সঞ্চিতা! কালের বিবর্তনে সেই নাম গিয়ে দাঁড়ালো নূর- ই-শাহরীন তুলি তে! সে যাই হোক, উত্তরের ঐতিহ্যবাহী ছোট্ট শহর সৈয়দপুরে ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের গন্ডি পেরিয়ে ছুটে যাই প্রাচ্যের অক্সফোর্ড পানে! সেখানে তাইরে নাইরে শেষে কিছুদিন থাকি জাপানের কিয়ুসু বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিম আগে না মুরগী আগে সেই গবেষনায়। ১৯ বছর হল অস্ট্রেলিয়া আমি তো আমি আমার স্বামী সহ ২ ছানাপোনারও দায়িত্ব নিয়েছে। আছি ভালোই, মাঝে মাঝে নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর অভ্যাসও আছে!


Place your ads here!

Related Articles

‘লাইব্রেরী এসোছিয়েশন অব বাংলাদেশ’-এর উদ্যোগে ঢাকা’য় সেমিনার আয়োজন

লাইব্রেরীতে “একুশে কর্নার” বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ‘লাইব্রেরী এসোছিয়েশন অব বাংলাদেশ’-এর উদ্যোগে  সম্মিলিতভাবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনিসটিটিউট, ঢাকা’য়  সেমিনার আয়োজনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত  

আমাদের পিতাকে হত্যাকারী জিয়া-খালেদাকে আমরা চিনি

১৫ আগষ্ট। বাঙালি জাতির ললাটের শোকের কালো হরফের দিন। লজ্জার দিন। এদিন বাঙালি জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়। খবরটা জানার

No comments

Write a comment
No Comments Yet! You can be first to comment this post!

Write a Comment