ভালোবাসার গুপ্ত ধন

ভালোবাসার গুপ্ত ধন

ভালো লোকদের একটা বড় পরিচয় হলো তাদের ভালোবাসায় । যারা মানুষকে নিবিড় ভাবে ভালোবাসতে শিখেছে , তারা জীবনের ছোটখাটো ঈর্ষা সন্দেহ অথবা আত্মমদ , থেকে অনেকটা দুরে থাকতে পারে নি:শ্চই ! আর এটার নামই আধ্যাত্মিকতা । আধ্যাত্মিকতা এছাড়া আর কি ? পরিবেশ ও পৃথিবীকে ভালবাসতে পারার মত বড় মুক্তিও আর নেই কোথাও।

এই আজ আমি শার্সি বন্ধ ঘরের চারদিকে বাতাস হু হু করা ভেতরে অল্প টিম টিম আলোয়, নরম ছায়া একমনে বসে থাকা ,খারাপ করা আমার কবি মন। নিরবতার উপরে এসে নামছে আর এক অন্য নিরবতা। আমি হঠাৎ ঝাপ দিয়ে নিজের কাছে নিজের মধ্যে বন্দী করে, নিজেকে ফিরিয়ে দেই ভেতর দিকে। নিজেকে ফিরে পাবার প্রবনতায় গহ্বর থেকে উঠে আসতে থাকে পুরোনো সব আমি।


দেশ কালের একটা বদল হয়ে গেছে, যে স্পেস আমার সামনে ছড়া নো , তার সাথে মিলে যাচ্ছে এক সময় প্রবাহ। বতর্মান শুধুমাত্র বতর্মান নেই বলে, পরিচিত স্পেসটা পরিচিত গণ্ডির মধ্যে বাঁধা থাকে না। এটাই বুঝি জীবন সুন্দরের তত্ত্ব, স্মৃতির রহস্য! 


বন্ধু আমাকে ভুল বুঝে বলো না যেন “তুমি আর নেই সেই তুমি” বদলে যাওয়া ছাড়া আর কি উপায় আছে বলো? আমার দ্বারা কিচ্ছু হচ্ছে না ,সবর্নাশ সাধনে আমার জুড়ি মেলা ভার, যাই হোক যা হবার হয়ে গিয়েছে। আমার পাগল প্রেমিকরা জীবন ভর অনেক পাগলামী করেছি, দয়াকরে মরবার পর আমার নামে, কোন মিনার টিনার বানাবার খায়েস করো না তোমরা। 


মনুষ্য জীবনে কিসের ভয় জানেন? শুধু নিজের জন্য গভীর ভালবাসা, আত্মা আর সম্পত্তি রক্ষা আর কিছু না।
হায় রে জীবন !
“ভালোবাসার গুপ্ত ধণ
একজীবন অন্বেষণ “

Najmin Mortuza

Najmin Mortuza

দার্শনিক বোধ তাড়িত সময় সচেতন নিষ্ঠাবান কবি। চলমান বাস্তবতাকে ইতিহাস-ঐতিহ্যের পরম্পরায় জারিত করে তিনি কাব্য রূপান্তরে অভ্যস্ত। কাব্য রচনার পাশাপাশি ক্ষেত্রসমীক্ষাধর্মী মৌলিক গবেষণা ও কথাসাহিত্য সাধনায় তাঁর নিবেদন উল্লেখ করার মতো। গবেষণাকর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত ফোকলোর ও লিখিত সাহিত্যঃ জারিগানের আসরে "বিষাদ-সিন্ধু" আত্তীকরণ ও পরিবেশন পদ্ধতি শীর্ষক গ্রন্থের জন্য সিটি-আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার ২০১২ অর্জন করেছেন।


Place your ads here!

Related Articles

এভারেস্টের উচ্চতায় আলোকিত অন্ধকার! – লুৎফর রহমান রিটন

এ বছর জানুয়ারির শুরুতে প্রথম আলোর রস-আলোর জন্যে একটা ছড়া চেয়ে ফোন করেছিলো অনুজপ্রতীম মাহফুজ রনি। রনি আমার বিশেষ স্নেহভাজন।

চৈতালী ত্রিপুরা এখন অস্ট্রেলিয়ার ডারউইনে

Pallab Rangei: অনেকটা নীরবে দেশ ছেড়ে চলে গেলেন আমাদের সুহৃদ সহযোদ্ধা চৈতালী ত্রিপুরা। স্থায়ীভাবে বসবাস করার জন্য স্বপরিবারে পাড়ি জমালেন

এসো হে বৈশাখ- প্রবাসে বাঙালি জাতিসত্তার স্মারক নববর্ষ উৎসব

কালচক্রে বিশ্বনিখিলে অবশ্যম্ভাবী পরিবর্তন নিয়ে সৃষ্টি ও সংহারের কঠিন বাস্তবতায় আসে দুঃখ-বেদনা, আসে উৎসব আনন্দ, আসে চার হাজার বছরের পুরনো

No comments

Write a comment
No Comments Yet! You can be first to comment this post!

Write a Comment