বাংলা সাংস্কৃতিক উৎসবে ক্যাম্বেলটাউন বাংলা স্কুলের দৃষ্টিনন্দন পরিবেশনা

বাংলা সাংস্কৃতিক উৎসবে ক্যাম্বেলটাউন বাংলা স্কুলের দৃষ্টিনন্দন পরিবেশনা

গত ১০ই নভেম্বর শনিবার সিডনির ওয়াইলি পার্কের এম্পিথিয়েটারে বাংলা সাংস্কৃতিক উৎসবে ক্যাম্বেলটাউন বাংলা স্কুলের শিশু কিশোরেরা এক দৃষ্টিনন্দন পরিবেশনা উপহার দিয়ে উপস্থিত সবাইকে বিমোহিত করে। কবিতা বিকেলের অত্যন্ত সৃজনশীল ও পরিশীলিত আয়োজনে বাংলা স্কুলের পরিবেশনাটি বেলা সাড়ে তিনটায় লালন মঞ্চে শুরু হয়।

প্রথমে “ছিপ খান তিন দাড়” ছড়ার সম্মিলিত পরিবেশনা নিয়ে আসে অর্নব, রাবাব, রেইনর, নোয়া, এথিনা ও সুমাইয়া। এরপর “আয় আয় চাঁদ মামা” ছড়াটি আবৃত্তি করে দৃপ্ত, ঋষিকা, অপলা, জেইনা, তাওহিদ, আরিশা, অপলা ও স্বপ্নিল। সবশেষে বেশ কয়েকটি শিশুতোষ ছড়ার সমন্বয়ে একটি বৃন্দ পরিবেশনা নিয়ে আসে এলভিরা, নাশিতা, আলিশা, তাহিয়া ও অর্নব।

একই মঞ্চে বিকাল সাড়ে পাঁচটায় প্রবাসে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি প্রসার তথা বাঙালি কমিউনিটিতে অসামান্য অবদানের জন্য “কবিতা বিকেল সম্মাননা ২০১৮” তে ভূষিত হন সিডনিতে বাংলা স্কুলের স্বপ্নদ্রষ্টা ক্যাম্বেলটাউন বাংলা স্কুলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা জনাব নাজমুল আহসান খান। কবিতা বিকেলের কর্ণধার বিশিষ্ট সংগঠক মিসেস মাহমুদা রুনু এই কীর্তিমানের হাতে সম্মাননা তুলে দেন। এই প্রচারবিমুখ, বিনয়ী সমাজকর্মী তাঁর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে আবেগ প্রবণ হয়ে পরেন এবং তাঁর আশু রোগমুক্তির জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।

উল্লেখ্য ক্যাম্বেলটাউন বাংলা স্কুল ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে সবাইকে সব বাংলা ভাষাভাষীর জন্য প্রতি রবিবার সকাল দশটা থেকে দুপুর একটা পযন্ত উন্মুক্ত থাকে।

– Kazi Ashfaq Rahaman

Kazi Ashfaq Rahman

Kazi Ashfaq Rahman

ছেলেবেলা থেকেই শান্তশিষ্ট ছিলাম বলে আমার মায়ের কাছে শুনেছি। দুষ্টুমি করার জন্য যে বুদ্ধিমত্তার প্রয়োজন তা নিশ্চয়ই আমার ছিল না। আমার এই নিবুর্দ্ধিতা একসময় আমার মাকে ভাবিয়ে তুলেছিল। তিনি হয়তো ভেবেছিলেন আমার এই ছেলে জীবনে চলবে কি করে। এখন যেভাবে চলছি তাতে কোনও আক্ষেপ নেই। ভালই তো আছি। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত শিক্ষা, সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যে অনন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারাকে জীবনের বড় অর্জন বলে মনে করি। আমার স্ত্রী একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্রী, আমার শত বোকামী, আলসেমী আর বৈষয়িক না হওয়াকে প্রকারান্তরে প্রশ্রয় দেওয়াতে আমার আর মানুষ হয়ে ওঠা হয়নি। আমার দুই সন্তান, আমি চাই তারা আমার মত বোকাই থেকে যাক কিন্তু আলোকিত মানবিক মানুষ হোক যা আমি হয়তো হতে পারিনি।


Place your ads here!

Related Articles

Hilary Clinton’s visit to India Not in Bangladesh

Secretary of State Hillary Clinton’s choice of India for a visit of three days (17-19 July) in South Asia implies

একহাতে তার বাঁশের বাঁশরী আর হাতে রণতূর্য

অজয় দাশগুপ্ত : নিজেই তিনি লিখেছিলেন তাকে বিদ্রোহী বলে বলে মানুষের মনে ভয় ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যতবার আমি তাকে ভাবি,

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে কথাবার্তায় সতর্ক হোন

ফজলুল বারী: রোহিঙ্গা শরণার্থী ইস্যু বাংলাদেশের জাতীয় আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নানামুখী স্পর্শকাতর অবস্থার সৃষ্টি করেছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের যাতে কেউ বাড়িভাড়া দেয়া

No comments

Write a comment
No Comments Yet! You can be first to comment this post!

Write a Comment