ধীরে বন্ধু ধীরে…
একজন মানুষের বেঁচে থাকার জন্যে ঠিক কতটুকু খাবারের প্রয়োজন হয়? ঠিক কতটুকু জায়গা লাগে – মাথার উপরে ছাদের জন্যে? কয়টা বাড়ি বা কয়টা গাড়ি লাগে বেঁচে থাকার জন্যে? কতটা কি হলে – আমি, আপনি মানুষ – খুশি হবো যতটুকু আছে? কোন শিক্ষায়, শিক্ষিত হলে নিজেকে দেখে খুশি হবো? নিজেকে (অন্যকে) দেখিয়ে নয়!
ঠিক কত টাকা – আপনার পকেটে থাকলে আপনি বলবেন – এই টাকাতেই কোনো ভাবে চলে যাবে, এই সপ্তাহটা। অথবা এই মাসটা – এই বছর টা।
আমার ব্যক্তিগত চিন্তায় – আমার জীবনটা – কোনো ভাবে, চলে যেতে পারলেই আমি সার্থক!
আপনি কি কখনো ভেবেছেন – সৃষ্টিকর্তা – কেন আপনাকে সৃষ্টি করেছেন? উপলক্ষ, উদ্দেশ্য বা’ই কি? সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস নেই? ধরুন আপনি প্রকৃতির সৃষ্ট! তাতেও কিন্তু আপনার দ্বায় দায়িত্ত্ব আপনার কাঁধেই বর্তায়। এড়িয়ে যাবার সুযোগ নেই। এই বিশাল সৃষ্টি যজ্ঞের অংশ হিসেবে, প্রকৃতির অংশ হিসাবে – আপনি আপনার নির্দিষ্ট ভুমিকা পালন করে যেতেই হবে। না হয় হতে হবে – এই মহা সুন্দর সৃষ্টির, এক অপূর্ণ, অসম্পূর্ণ দুর্গন্ধযুক্ত মাংসপিন্ড।
আমার ভূমিকা টা কি? কেন আমাকে সৃষ্টি করা হলো? স্রষ্টা আমার কাছে কি চান? আমি কি শুধু আমার নিজের জন্যে? আমার পরিবারের জন্যে? অথবা আমার বৃহত্তর পরিবারের জন্যে? আমার ধারণা মতে – এই প্রশ্ন গুলির উত্তর – প্রতিটি সৃষ্টির অন্তরেই লুকানো আছে। প্রকৃতি, সমাজ, শিক্ষার মাধ্যমে ধীরে ধীরে, ধর্য্য সহকারে খুঁজে নিতে হয়। মনের গহীন থেকে তুলে নিতে হয় উত্তর গুলো। কেউ কেউ প্রাপ্ত বয়ষ্ক হবার আগেই খুঁজে পায় উত্তর গুলো – কেউ, মাঝ বয়সে – কেউ, শেষ বয়সে। আবার কেউ কেউ – খুঁজে খুঁজে – পুরা জীবনটাই করে দেয় পার। প্রশ্নের উত্তর আর পাওয়া হয় না।
আপনার জীবনের, আপনার জীবন যাপনের – পরিতুষ্টি গুলিই – বলে দিবে – আপনি আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তর গুলি পেয়ে গেছেন কিনা? অথবা – ঠিক কত গুলো প্রশ্নের উত্তর আপনি পেয়েছেন।
আপনি আপনার জীবন টা, মানুষ, প্রকৃতি, স্রষ্টাকে ভালোবেসে কাটাবেন – না – হিংসা, ঘৃণা, ফেসাদে কাটাবেন, তা নির্ভর করবে আপনার উপর। আপনার মনের লালিত প্রশ্ন গুলির উত্তর পাওয়ার উপর।
মহা জ্ঞানী, মহাজন ‘স্বামী বিবেকানন্দ’ বলেছেন “জীবে প্রেম করে যেই জন / সেই জন সেবিছে ঈশ্বর” – আমি একটু ঘুরিয়ে বলি “নিজেকে প্রেম করে যেই জন / সেই জন সেবিছে ঈশ্বর। স্রষ্টার সৃষ্টিকে যিনি ভালোবাসেন, নিজেকে যিনি ভালোবাসেন – তিঁনি ভালোবাসার বাইরে আর কিছুই চিন্তা করতে পারেন না। ভালোবাসা ছাড়া আর কিছুই তাঁর হাতে উঠে না – কি দেবার জন্যে, কি নেবার জন্যে।
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, সুখী থাকুন। এই কামনায়।
সাহাদাত মানিক
ক্যানবেরা
২৮/০৬/২০১৮
Related Articles
আমি সব পাব, সব খাব: কাব্যহিংসা যখন কবিহিংসা
অজয় দাশগুপ্ত: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন একটা বিষয় বেশ বাজার পেয়েছে দেখলাম। কবির লড়াই। সাধারণত এসব বিষয় খুব একটা গুরুত্ব
Youngest recipient of the Nobel Peace Prize: Malala Yousufzai
On 10th October, Thorbjorn Jagland, the chairman of the Norwegian Nobel committee, declared that the panel “regards it as an
আমাদের মোনাজাতউদ্দিন
ফজলুল বারী: আমার পায়ে হেঁটে বাংলাদেশ ভ্রমনের সময় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সাংবাদিকদের কাছে মোনাজাতউদ্দিনের নাম-খ্যাতি শুনি। আমাকে তাদের অনেকে বলেন