কবিতার তর্ক
আচ্ছা বাংলা কবিতা কি ছন্দহীন এখন? প্রায় দু’দশক আগে শঙ্খ ঘোষের একটা লেখা পড়েছিলাম ‘ছন্দহীন সাম্প্রতিক’ ছন্দ চর্চার অনীহা কিংবা ছন্দ শিক্ষার সেই প্রভাব কি আজও সাম্প্রতিক? নাকি উল্টোটাই সত্যি, যে, ছন্দই হয়ে উঠেছে বাংলা কবিতার শেষ খড়কুটো।
বাতাসে ছড়িয়ে যাচ্ছে এমন বিশ্বাস যে প্রথাগত ছন্দ মিলে মধুর মধুর কবিতা লেখাই কবির একমাত্র লক্ষ্য, কারণ সেটাই লোকরন্জনের চটজলদি উপায়? ছন্দহীন সাম্প্রতিক, না ছন্দোময়? সমাজ না আত্মরতি, কোনটা হয়ে উঠতে পারে কবিতার বিষয়? কবির সামনে কখনও এসে দাঁড়ায় চারপাশের সংকট ও আনন্দ, সংবাদ ও সমর্থিত সংবাদ, ডোনাল্ডট্রাম, ছাত্রআন্দোলন ও প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, হকার উচ্ছেদ ও কিশোরী ধর্ষণ।
কোন বড় কবি কখনোই চার পাশের সমাজ কে এড়িয়ে বায়বীয় কবিতা লিখে জীবন কাটিয়ে দিতে পারেন না। সময়ের ছাপ এবং সমাজের কর্কশ ঘটনাবলীর আগুনে পুড়ে শুদ্ধ হয় কবিতা, যে কবিতায় অগ্নি স্পর্শ নেই, তা কখনই মহত কবিতা হতে পারে না। এই অগ্নি স্পর্শ আমরা দেখেছি রবীন্দ্রনাথ থেকে নজরুল, জীবনানন্দে, সমর সেন থেকে, সুভাষ মুখাপাধ্যায়, নীরেন্দ্রনাথ থেকে শঙ্খ ঘোষ, সুনীল থেকে মনিভূষণে। আল মাহমুদ থেকে সৈয়দ শামসুল হক, শামসুর রাহমান থেকে রুদ্র মোহাম্মদ শহীদউল্লাহ, হেলাল হাফিজ, আবুল হাসান।
বলতে গেলে অনেকের নাম বলে শেষ করা যাবে না, কিন্তু এর বিপরীত ও আছেন একদল নিভৃতচারী কবি, যাঁরা মনে করেন কবিতা লেখে শুধু নিজের কথা বলা, নিজের সঙ্গে কথা বলা, বলতে বলতে এতই মগ্ন হয়ে থাকেন কবি, যে বাইরের পৃথিবীতে আগুন জ্বলে উঠলেও তাদের আচ্ছন্নতা কাটে না। তারা ভাবেন শুদ্ধ কবিতা সেটাই, যা শুধু নিভৃত আবেগের উন্মোচন।
তাহলে আজকের বাংলা কবিতার মূল ধারা কোনটি? বাংলা কবিতা কী দুর্বোধ্য? কবিতার পাঠক না পাঠকের কবিতা? লুই আরাগঁ বলেছিলেন, কবিতার ইতিহাস আসলে টেকনিকের ইতিহাস। সত্যিই কি তাই? পরবর্তী কবিরা কি মেনে নিয়েছেন এই ব্যাখ্যা?
তর্ক উঠতেই পারে এসব নিয়ে। ওঠেও, কবিতার ইতিহাস ইতিহাস তো তর্কেরও ইতিহাস।
Najmin Mortuza
দার্শনিক বোধ তাড়িত সময় সচেতন নিষ্ঠাবান কবি। চলমান বাস্তবতাকে ইতিহাস-ঐতিহ্যের পরম্পরায় জারিত করে তিনি কাব্য রূপান্তরে অভ্যস্ত। কাব্য রচনার পাশাপাশি ক্ষেত্রসমীক্ষাধর্মী মৌলিক গবেষণা ও কথাসাহিত্য সাধনায় তাঁর নিবেদন উল্লেখ করার মতো। গবেষণাকর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত ফোকলোর ও লিখিত সাহিত্যঃ জারিগানের আসরে "বিষাদ-সিন্ধু" আত্তীকরণ ও পরিবেশন পদ্ধতি শীর্ষক গ্রন্থের জন্য সিটি-আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার ২০১২ অর্জন করেছেন।
Related Articles
অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট সফরকে অসম্ভব করে তুলবেন না
বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট দলের শিডিউলড সফরটি পিছিয়ে গেছে। এটি আর এখন হবে কিনা বা হলে কবে হবে সেটিই এখন ভাবনা
তৃতীয় সাফল্য
ফজলুল বারী, ক্রাইস্টচার্চ থেকে: মুস্তাফিজ, তাসকিনের পর সাফল্য পেলেন সাকিব। তার এলবিডব্লিউর শিকার হন ব্রুম। ২২ রান করেছিলেন এই কিউই
প্রধান বিচারপতি এবং সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গনের থেমিস ভাস্কর্য
দেশের প্রশাসন ব্যবস্থার প্রতি বর্তমান প্রধান বিচারপতির অসন্তোষ দীর্ঘদিনের । আড়ালে আবডালে নয়, প্রধান বিচারপতি প্রায়ই প্রকাশ্যে বলছেন যে প্রশাসনের




Nice post.