অনু গল্প : ক্ষণিকা
আমাকে বলেছিলো “ক্ষণিকা”, রেস্টুরেন্টের নাম। ওখানেই ও অপেক্ষা করবে। আমি সিএনজি থেকে নামলাম রাস্তার এক পাশে – রাস্তার ঠিক ওই পাশে ক্ষণিকা”র সাইনবোর্ড দেখা যাচ্ছে।
এই সময়টা খুবই ব্যস্ত রাস্তা। দু”পাশের দুই লেনই, বেশ দ্রুত গতিতে গাড়ী যাচ্ছে। সিগনাল বা জেব্রা ক্রসিং কিছুই নেই এই জায়গাটাতে। রাস্তা পার হবার জন্যে পা বাড়ালাম। ও ফোন করলো, বললাম ঠিক রাস্তার ওই পাশে, আসছি। এক মিনিটও লাগবে না। ছিটকে হাত থেকে বেরিয়ে গেল ফোনটা।
হঠাৎ করে আসে পাশের মানুষগুলি হওয়ায় মিলিয়ে গেলো। একটু আগেও ছিল। হাটা যাচ্ছিলো না রাস্তায়। গায়ে গা গেসে চলছিল সবাই। যত না জনবহুল এই দেশ তার চেয়ে ঢের বেশি জনবহুল এই এলাকাটা। ঠিক শহরের প্রাণ কেন্দ্র না, তবে প্রাণকেন্দ্রের বেশ কাছাকাছি। চব্বিশ ঘন্টা সরগরম থাকে এই এলাকাটা।
চোখের পলকে সব হাওয়া হয়ে গেলো।
সব সুনসান। কোনো যানবাহন, রিক্সা, একটি গাড়িও নেই রাস্তায়। মানুষের সাথে সাথে যানবাহন গুলিও হাওয়া! এখানে, এই জায়গাটিতে বেশির ভাগ নামি দামি কোম্পানির অফিস ভবন, তবে আবাসিক ভবনও আছে প্রচুর এই এলাকাটিতে।
না, মনে হচ্ছে না – কোথাও কেউ আছে। কিছু কিছু ভবনে দিনের বেলাতেও বাতি দেখা যাচ্ছে। অদ্ভুত ভাবে কোথাও কোনো প্রাণের চিহ্ন নাই। দূরে, বেশ দূরে ট্রাফিক লাইট গুলি অকারণেই লাল, সবুজ আর হলুদ হচ্ছে। কিছুক্ষন পর পর, নিয়ম মাফিক।
সবই আছে – শুধু মানুষ, প্রাণী আর তাঁর ব্যবহারিক জিনিস গুলি হাওয়া। কোথাও প্রাণের কোনো লক্ষণ দেখতে পেলাম না! ও বসে আছে ক্ষণিকা’য় মনে হলো।
গনগনে সূর্যের তাপ। বলতে গেলে মাথার সাথে ছুঁয়ে আছে সূর্য। উপরে তাকানো যায় না। নিচে, মাটির দিকে তাকালাম। কিছুই নেই।
এমন কি আমার ছায়াটা পর্যন্ত খুঁজে পেলাম না।
Related Articles
Bangladesh Politics : When Time entered in the tunnel
It was clearly visible to the people of Bangladesh the failure of the above two top leaders prior to 1
হিজাবি হল সুপার
ফেইসবুক আর প্রথম আলোতে ঢাকা উনিভার্সিটির মেয়েদের সুফিয়া কামাল হোস্টেলে ড্রেস আটিক্যাট সংক্রান্ত নোটিশ দেখলাম। হোস্টেল মহিলা সুপারগণ দেখি কি
সাহিত্যে সম্পদ আহরণ ও সমাজ পরিবর্তনের ইঙ্গিত
সাহিত্যিক গবেষক নন তবে তার পর্যবেক্ষণ খুব গভীর ও নিবিড়। সাহিত্যিক নিরাসক্তভাবেই তার চেতনে, অবচেতনে চারপাশে বহমান জীবনের ও চলমান


