শেখ হাসিনা যা পেলেন ভারতে
ফজলুল বারী: সাংবাদিকতা জীবনের প্রায় পুরোটা সময় এরশাদ, খালেদা, হাসিনার শাসনকাল চোখের সামনে দেখা। নানা সময়ে রিপোর্ট ভারতে যাবার সুযোগ হয়েছে। কথা বলার সুযোগ হয়েছে সে দেশের নানা পর্যায়ের রাজনীতিক, আমলা, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক এবং আমজনতার সঙ্গে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষ সহায়ক দেশ ভারত। কিন্তু আজকের স্বাধীন বাংলাদেশের বাস্তবতা এর সিংহভাগ মানুষ প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে ভারত বিরোধী। এ নিয়ে ভারতের নানা মহলের উষ্মা, ক্রোধ, হতাশা খুব কাছে থেকে দেখা-জানার সুযোগ হয়েছে। এরজন্যে ভারতীয়রাও কোথায় কিভাবে কতোটা দায়ী তাও তারা জানে। কিন্তু এসব কিছু স্বত্ত্বেও ভারতের জনমানস বাংলাদেশকে বরাবর একটি বন্ধু রাষ্ট্র হিসাবেই ভাবে। অন্তত পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশকে এক পাল্লায় মাপেনা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ভেতর থেকে ধাক্কা খায় ভারতীয় জনমানস। এরপরও জিয়া-এরশাদ-খালেদা জিয়া যখন ভারত সফরে গেছেন তখনই উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়েছেন। শেখ হাসিনার স্থান ভারতীয়দের মনের অন্য আসনে। শেখ হাসিনা তাদের কাছে শেখ মুজিবের মেয়ে। এর বাইরে আরেকটি সত্য গত ৪৫-৪৬ বছরে বাংলাদেশের অনেক কিছুর মতো ভারতও পাল্টেছে। মুক্ত বাজার অর্থনীতির দেশ ভারতও দুনিয়া জুড়ে একটি ব্যবসায়ী রাষ্ট্র। কোথায় কিভাবে ব্যবসা ভালো হবে তাই তারা দেখে। বাংলাদেশও ভারতের ঘরের কাছের বড় একটি বাজার রাষ্ট্র। বাজারটাকে আস্থায় রাখতে যখন যা দরকার তাই করে ভারতের চানক্য কূটনীতি। কিন্তু এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর আমাকে নানান ভিন্ন মাত্রার কারনে চমকে দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এরমাঝে বিশ্বের অনেক দেশ সফর করেছেন। ভারতেও গেছেন বেশ কয়েকবার। কিন্তু এবার তার ভারত সফরকে ভারত যেভাবে গুরুত্ব এবং মর্যাদা দিয়ে দেখছে এমন এর আগে কখনো দেখা যায়নি। শেখ হাসিনার ভারত সফরের শেষদিন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল চারদিনের সফরে দিল্লী পৌঁছেন। পালাম বিমান বন্দরে তাকে অভ্য র্থনা করেছেন ভারতীয় ইউনিয়ন মন্ত্রী রাজিব প্রতাপ রেড্ডি। এটিই ভারতীয় প্রটোকল প্রথা। কিন্তু প্রটোকল ভেঙ্গে শেখ হাসিনাকে বিমান বন্দরে অভ্যর্থনা করেছেন খোদ ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী! শেখ হাসিনাকে রাখা হয়েছে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে! অথচ অস্ট্রেলিয়ার ম্যালকম টার্নবুলের গুরুত্ব ভারতীয়দের কাছে কম নয়। ভারত ইউরেনিয়াম চায় অস্ট্রেলিয়ার কাছে। আরও বেশি ভারতীয় ছাত্র-পেশাজীবীকে অস্ট্রেলিয়ায় পাঠাতে চায়।
ঐতিহাসিকভাবে বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের সময় ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃ্ত্বাধীন কংগ্রেস সরকার ভারতের ক্ষমতায় থাকায় বঙ্গবন্ধু পরিবারের সঙ্গে শ্রীমতি গান্ধীর পরিবারের বিশেষ একটি পারিবারিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল এবং এখনও তা অটুট আছে। সর্বশেষ কংগ্রেসকে পরাভূত করে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশের অনেকে ভেবেছিলেন দিল্লীতে আওয়ামী লীগের দিন বদলাবে। কিন্তু তাদের আশায় গুড়েবালির ঘটনা ঘটেছে। ভারতের রাজনৈতিক পালাবদল হলেও চানক্য কূটনীতি বদলায় না। ব্যবসার স্বার্থে এই চানক্য কূটনীতি এরশাদ-খালেদারও তোষামোদি করেছে। কিন্তু সর্বশেষ দশ ট্রাক অস্ত্রের চোরাচালান আর অনুপ চেটিয়াদের বাংলাদেশে আশ্রয়ের ঘটনায় বিএনপি যে দিল্লীশ্বরের আস্থা হারিয়েছে তা আর বদলায়নি।
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ দুটি সমস্যা হলো অভিন্ন নদ-নদীর পানির হিস্যা আর বানিজ্যিক লেনদের ঘাটতির সমস্যা। দুটি সমস্যারই সৃষ্টি-বৃদ্ধি ঘটেছে জিয়া-এরশাদ-খালেদার আমলে। ফারাক্কা বাঁধ দিয়ে প্রথম সমস্যার সূত্রপাত। জিয়া তখন ক্ষমতায়। চিন্তা করুন বঙ্গবন্ধু যদি তখন ক্ষমতায় থাকতেন এমন সমস্যা কী এমন সৃষ্টি হতে বা বাড়তে-প্রকট হতে পারতো? পাকিস্তানের কারাগার থেকে স্বাধীন দেশে ফিরে এসে বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধে সহয়তার জন্যে ভারতকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ইন্দিরা গান্ধীর কাছে সময় জানতে চান ভারতীয় সৈন্য এখান থেকে কবে যাবে। ইন্দিরা গান্ধীও কোন রকম দ্বিমত না করে বলেন, আপনার জন্মদিন ১৭ মার্চের আগেই। ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এ ব্যাপারটি ছিল একটি অবিশ্বাস্য ঘটনা। এমন বলতে চাইতে বঙ্গবন্ধুর মতো একজন ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন নেতা লাগে। আর জিয়া ফারাক্কা বাঁধের বিরুদ্ধে লংমার্চে পাঠিয়েছেন মাওলানা ভাসানীকে! নদীর পানির দ্বন্দ্ব সেই যে প্রকট হতে শুরু করে দিনে দিনে তা শুধু প্রকটতর হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ২১ বছর শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফিরলে ফারাক্কার পানি ভাগাভাগির চুক্তি হয়। কিন্তু ততদিনে অনেক প্রেক্ষাপট পাল্টেছে। শেখ হাসিনাতো বঙ্গবন্ধুর মাপের নেতা নন। চানক্য কূটনীতির কাছ থেকে বঙ্গবন্ধু যা আদায় করতে পারতেন শেখ হাসিনা তা পারেননি। গঙ্গা ব্যারেজ ছিল গঙ্গা চুক্তির একটি অংশ। ফারাক্কা বাঁধকে কেন্দ্র করে ভারতীয় অংশে নানান নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার কারনে ভারতও আর গঙ্গা চুক্তির আগের অংশে নেই। আন্তর্জাতিক নদীর পানির হিস্যা চুক্তির শর্ত হচ্ছে সীমান্তে পানি প্রবাহের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে পানির হিস্যা। শুকনো মওসুমে ফারাক্কার ভারতীয় অংশে এখন পানির প্রবাহ কমে যায়। চুক্তির হিস্যা মতো পানিও পায়না বাংলাদেশ।
গত এক দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের দৃষ্টি মূলত তিস্তায়। কারন বাংলাদেশের নদনদীর বেশিরভাগের প্রবাহ নির্ভরশীল তিস্তার ওপর। তিস্তার পানি নিয়ে বাংলাদেশের আক্ষেপ-তৃষ্ণায় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারও বুঝেছে বাংলাদেশকে আস্থায় নিয়ে চলতে চাইলে তিস্তার হিস্যা বাংলাদেশকে দিতে হবে। এটা বুঝেছিলেন মনমোহন সিং। এখন বোঝেন নরেন্দ্র মোদী। গঙ্গা চুক্তির সময় বাংলাদেশের বন্ধু জ্যোতিবসু পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী ছিলেন। গঙ্গার পানির হিস্যায় পশ্চিমবঙ্গের স্বার্থ বাদ দেননি বসু। কিন্তু বাংলাদেশের কষ্টও বুঝেছেন। কারন জ্যোতি বসু শুধু পশ্চিমবঙ্গের নেতা নন। ছিলেন ভারতীয় জাতীয় রাজনীতিকদের অন্যতম। কিন্তু এখন যে মমতা ব্যানার্জি পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় আছেন তিনি মূলত একজন আঞ্চলিক নেত্রী। বাংলায় কথা বলেন বলে দিদি দিদি বলে তাকে আমরা বেশ গদগদ গুরুত্ব দেই। ইলিশ দেই, জামদানি দেই। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের স্বার্থের কথা বলে তিনি যে আন্তর্জাতিক নদীর আইনকানুন কিছু মানছেন না, মানতে চাইছেন না, তা তাকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে আরও সাফ আমাদের বলা দরকার।
এবার শেখ হাসিনার দিল্লী সফরের সময় মমতা ব্যানার্জি বলেছেন, তিস্তায় পানি নেই। তিস্তা পশ্চিমবঙ্গের প্রান। কাউকে এর প্রান কেড়ে নিতে দিতে পারেননা ইত্যাদি! মমতাকে প্রথম কথা এই আন্তর্জাতিক নদীর মালিক ভারত বা তিনি নন। আন্তর্জাতিক নদী বলেই এটি বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে। এর সীমা ভারতে অথবা পশ্চিমবঙ্গেই সীমাবদ্ধ না। তিস্তা পশ্চিমবঙ্গের জান-প্রান হলে বাংলাদেশেরও তাই। কোন নদী কোন একটা দেশের জান-প্রান হয়না। শুকনো মওসুমে পানির ভাগ মমতা দিতে চান না। বর্ষায় কী পানি আটকে রাখেন? না আটকে রাখতে পারেন? তিস্তাকে যদি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যগত সম্পদ মমতা মনে করেন তাহলে বর্ষায় কেন এটি ডুবিয়ে মারে বাংলাদেশকে?
কাজেই অত কথার মারপ্যাচে না গিয়ে সোজা কথা হচ্ছে এই আন্তর্জাতিক নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা বাংলাদেশকে দিতে হবে। এটা মমতার কোন দয়া করার বিষয় না। এটি বাংলাদেশের অধিকার। শুকনো মওসুমে তিস্তার স্বাভাবিক প্রবাহে তিস্তার যে পানি প্রবাহ থাকবে সেখান থেকে দিতে হবে বাংলাদেশের ন্যায্য হিস্যা। বাংলাদেশ একটি দেশ। পশ্চিমবঙ্গ একটি রাজ্য। দেশ হিসাবে এ নদীর ওপর বাংলাদেশের অধিকার বেশি।
এবার তিস্তার ওপর থেকে দৃষ্টি সরাতে মমতা তোর্সা সহ কয়েকটি ছোট নদীর পানি ভাগাভাগির প্রস্তাব দিয়েছেন! মমতা নিজেকে অতি চালাক অথবা চতুর ভাবতে পারেন। বাংলাদেশ যারা চালায় তাদেরকে বিশেষ করে শেখ হাসিনাকে তার অত বোকা ভাবাটা ঠিক হচ্ছেনা। তোর্সা সহ আরও কিছু ছোট নদীর কথা বলে তার ভাবখানা যেন বাংলাদেশকে দয়া দেখাচ্ছেন! বাংলাদেশকে তার দয়া দেখাবার কিছু নেই। এই সুযোগে আরেকটি কথা বলে ফেলেছেন মমতা ব্যানার্জি! ছিটমহল সমস্যার যে সমাধান হলো এটিও যেন তিনি-তারা দয়া করেছেন! ইন্দিরা-মুজিব চুক্তির অধীন ছিটমহল চুক্তির পরপর বাংলাদেশ কথা রেখে তার কাজকর্ম করেছে। আর সংবিধান সংশোধনের সমস্যার কথা বলে ভারতীয়রা তা ঝুলিয়ে রেখেছে চারদশক! এভাবে চারদশক ধরে ছিটমহলবাসীদের স্বাধীনতা-মানবাধিকার সব ভুলুন্ঠিত কুক্ষিগত করে রেখেছিল মমতার মতো ভারতীয় রাজনীতিকরা। তারা সেটি জুলুম করেছেন। চারদশকের অন্যায়টির অবসান ঘটেছে বাংলাদেশের আন্তরিক ধারাবাহিক চেষ্টায়। ভারতীয়দের আন্তরিক আগ্রহে নয়। অবাক লাগে মমতা এত কিছু বোঝেন পশ্চিমবঙ্গের এত স্বার্থ বোঝেন কিন্তু বাংলাদেশের ওপর তাদের অর্থনৈতিক নির্ভরতা বোঝেননা! প্রতিদিন কতকিছুর জন্যে ডলারের বান্ডিল হাতে বাংলাদেশিরা পশ্চিমবঙ্গে যায়! এসব কোন ক্ষোভের বিস্ফোরনে বিঘ্নিত হলে দিদির অর্থনৈতিক চেহারা কী দাঁড়াবে?
শুরুতেই বলেছি এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত যেভাবে যতভাবে মর্যাদা দিয়েছে তা এর আগে আমি বাংলাদেশের অন্যকোন সরকার-রাষ্ট্র প্রধানের ক্ষেত্রে দেখিনি। এর পিছনে অবশ্য গত আট-ন’বছরে বাংলাদেশ সরকারের অনেক কর্মকান্ড ভিত্তি তৈরি করে দিয়েছে। এরমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় ভূমিকাকে সম্মাননা জানানো। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে এক কোটির বেশি শরণার্থীকে আশ্রয়, খাওয়ানো পরানো। মুক্তিযোদ্ধাদের ট্রেনিং-অস্ত্র-রসদ দেয়া, তাদের অর্থনীতির বিপুল ক্ষতি, ১১ হাজারের বেশি ভারতীয় সৈনিকের আত্মাহুতি বাংলাদেশ ভুলে গেছে এমন আক্ষেপটা বহুবছর আমি ভারতের নানামহলে শুনে আসছি। ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আইএসআইর ইন্ধনে বিএনপি মুক্তিসংগ্রামী মনে করতো। আর শেখ হাসিনার সরকার তাদেরকে এখান থেকে সমূলে উচ্ছেদ করে ভারতীয়দের আস্থা বাড়িয়েছে। ট্রানজিট সহ নানাক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভারতকে সুযোগ সুবিধা বেশি দিয়েছে ঠিক। কিন্তু ভারতীয় নেতৃত্ব, সুশীল সমাজ, মিডিয়া সহ সকলের মহলের মনের মধ্যে বাংলাদেশ যে আস্থার আসন গড়েছে এর অর্থমূল্য বহুগুণ বেশি। এখন তিস্তার পানিতে বাংলাদেশের অধিকার সহ নানাকিছুতে বাংলাদেশের পক্ষে ভারতীয় জাতীয় নেতৃত্ব, সুশীল সমাজ, মিডিয়ার মূলধারার সিংহভাগ অংশ। এটি শেখ হাসিনা সহ বাংলাদেশের কূটনীতির অন্যতম বড় সাফল্য। সে জন্যে তিস্তার বিকল্প নিয়ে মমতার মতলবী কথাবার্তা দু’দেশের যৌথ বিবৃতিতে আমল পায়নি। নরেন্দ্র মোদী ঘোষনা দিয়ে বলেছেন তার আর শেখ হাসিনার সরকারের আমলেই তিস্তা চুক্তি হবে। শেখ হাসিনার সফরের এটি বড় একটি সাফল্য। এই সাফল্যের ওপর দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ তার পথে হাঁটতে থাকুক। তিস্তার পানির হিস্যা সহ অনেক কিছুই বাংলাদেশ পাবে। কারন এবার শেখ হাসিনার সফরে অগ্রসরমান বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্কের চাহিদা ও গুরুত্ব আরও গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে চিহ্নিত-উপনীত হয়েছে।
Related Articles
সেই একটি ছবির গল্প
ফজলুল বারী: সেই ছবির দিনও আমি সংসদ ভবনে ছিলাম। শেখ হাসিনা তখন বিরোধীদলের নেত্রী। একটি ওয়াক আউটের ঘটনার পর বিরোধীদলের
‘তোমাকে পাবার জন্য…’
শুরু হোক এভাবে । পেরিয়ে এসেছি বেশ কিছু সময়। মেলবোর্নের সাহিত্যপ্রেমীদের অতিথি হয়ে বাংলাদেশ থেকে কবি আসাদ চৌধুরী এসেছিলেন। কবির