আমাদের দেশটা
যদিও জানি আমাদের দেশটাতে হাজারও রকম অসুবিধা আছে কিন্তু যেমনই হোক না কেন তবুও তার সৌন্দর্য্য অপরিসীম! হোক না সমস্যায় ভরপুর, থাক না রাস্তাঘাট পানির নীচে তবুও আমাদের দেশটা এক স্বপ্নপুরী! এই পরবাসে অনেক শান্তি থাকলেও পাইনা সে সুখ যেটা পাই শুধু আমার দেশে! সমস্যা কোথায় নাই? কিন্তু দেশের কত্ত কিছু যে এখানে miss করি! সেই কাক ডাকা ভোর, আদিকাল ধরে ভেসে আসা ” হাড়ি-পাতিল” শব্দ…. সেই ফকির মিসকিন এর ” আফা কয়ডা ভিক্খা দিবেন?”, চানাচুর ওয়ালার “চানাচ্রুর…” রিক্সার ঝুনঝুনানি আওয়াজ… আরও যে কত্ত কিছু! যার সাথে মিশে আছে আমার দেশের মাটির গন্ধ আর সবুজ- শান্ত ছায়ায় ঢাকা সেই সব গ্রাম !! শুধু ভাবি, কবে যাব সেখানে.. কত দূর…আর কত দূর??
দেশে যাবার প্রচন্ড ইচ্ছার পাশাপাশি অনেক দিন যাবত আর একটা ভীষন ইচ্ছা আমাকে তাড়া দিয়ে বেড়াচ্ছে, বাংলাদেশের কোন গ্রামে গিয়ে বেড়ানো, সেখানে থাকা। এখানে রাস্তা দিয়ে হাটবার সময় প্রায়ই মনটা চলে যায় সেই দূর পাড়াগায়ের ঘোমটা পরা বধুদের মাঝে, যারা ঘরের বাইরে বসে মাটির চুলায় রান্না করছে, কাঠের টুকরা দিয়ে আগুন ধরাচ্ছে, আর বাচ্চাগুলি মায়ের পাশে বসে আছে গরম ভাতের অপেক্খায়! মনে মনে ওদের পাশে গিয়ে বসি, ওদের সাথে কথা বলি, গল্প করি….সন্ধ্যায় ঘরের ভেতরের হারিকেনের আলো আর বাইরের অন্ধকারের ঝি ঝি ডাক / আকাশ ভরা তারা…. মনকে কেমন যেন উতলা করে দেয়….মন চলে যায় চারিদিকের সবুজ ধানখেতে অথবা হলুদ শর্ষে খেতে শাপলা ভরা থৈ থৈ করা সেই পুকুর!! …ভোরে শিশির ভেজা শেফালী ফুল কুড়ানো আর ঝড়ের সময় কাচা আম কুড়ায় ভর্তা!! আসলে এমন দেশটি কোথাও খুজে পাবে নাকো তুমি, সকল দেশের রানী সে যে আমার জন্মভূমি!! অপেক্খার পালা কবে শেষ হবে জানিনা শুধু মনে হয়, ইস কবে যাব? ইচ্ছা গুলিতো একটুও কঠিন না আর কল্পনা গুলিও অবাস্তব না, তাহলে স্বপ্ন পূরণে এত বাধা কেন ??
Dr Naila Aziz Meeta
Home town is Bangladesh, live in Australia. Love to write, read, travel, and listening to music.
Related Articles
Bangladesh – India Sea Boundary: Ways to resolve the issue
The three-day Bangladesh-India maritime boundary talks ended in Dhaka on 17th September without making any concrete progress on the pending
ছোট প্রশ্ন, বড় উত্তরঃ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার খরচ
প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার খরচ যে বেশী তা সবারই জানা । এবৎসর সরকার এই ব্যয়ের উপর প্রথমে ১৫% ও পরে ৭.৫%
বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দানের আহবান
জাতিসংঘে’র কাছে বাংলাদেশের বর্তমান প্রধান মন্ত্রি শেখ হাসিনা বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দানের আহবান জানিয়েছেন। গত ২১ ফেব্রূয়ারী ২০১৬ কেনবেরাতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলখ্যে ‘একুশে রেডিও’র সাথে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে অস্ট্রেলিয়াতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাস্ট্রদুত হিজ এক্সিলেন্সি কাজী ইমতিয়াজ হোসাইন বলেন, বাংলাভাষাকে বাংলাদেশের সর্বস্তরে চালু করার সরকারী পদক্ষেপের পাশাপাশি বাংলা ভাষার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের জন্যে জাতিসংঘে’র কাছে প্রধান মন্ত্রি শেখ হাসিনা বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দানের আহবান জানিয়েছেন। বিশ্বজুরে বাংলা ভাষার ব্যপক ব্যপৃতির প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রাস্ট্রদুত হোসাইন বলেন, বর্তমানে বিশ্বের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ দেশে বাংলা ভাষা ভাষি লোকেদের বিচরন রয়েছে। এসব দেশে বাংলা’র প্রচলন ও চর্চার মধ্যে দিয়ে বাংলাকে আরো ব্যপৃত করার সুজোগ রয়েছে। বাংলা ভাষার মধ্য দিয়ে বিশ্বে বাংলাদেশের পরিচয় আরো নিগুড় হবে বলে তিনি মনে করেন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে’র স্বার্থকতা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন ১৯৯৯ সালে এউনেস্কো ২১ ফেব্রূয়ারী’কে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে ঘোষনা করার পর পৃথিবীর সর্বত্রই সব ভাষাভাষির লোকেরা গর্বের সাথে এই দিন টিকে উদযাপন করে আসছে।মাজিক কর্মকান্ড সহ জন জীবনের প্রতিটি কাজে ভাষার প্রয়োজনীয়তাটাকে স্মরন করার একাটা সুজোগ করে দিয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন। বাংলাকে সর্বস্তরে চালু করার সরকারী উদ্দোগ থাকা স্বত্তেও ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানে বাংলাভাষার ব্যবহার তেমনভাবে দেখা যায় না কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন- বাংলাদেশ একটা রপ্তানী মুখী দেশ। আর ব্যাবসায়িক