অসমাপ্ত বঙ্গবন্ধু প্রেম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক চেষ্টায়, তাঁর উদ্যোগে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন হয়েছে। কুখ্যাত রাজাকারদের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। দেশ কলঙ্কমুক্ত হয়েছে।
কিন্তু তাতেও শান্তি ফিরে আসে নাই। দেশবাসী দুই ভাগে বিভক্ত হলো। হেইটাররা প্রশ্ন তুললো –
শেখহাসিনার বেয়াই মোশাররফ ও শেখ সেলিমের বেয়াই মুসা ফরিদপুর অঞ্চলের রাজাকার ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বেয়াই বলে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। স্বজনপ্রীতি।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বেয়াই (মেয়ের শ্বশুড়) ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন ১৯৭১ একাত্তরে সালে একজন চিহ্নিত রাজাকার ছিলেনl গনমাধ্যম ও বই-পত্র পড়ে তাই জেনেছি, ইতিহাস কথা বলে!
ড. ইউনুস আন্তর্জাতিক সম্মেলন করতে চাচ্ছেন। ৪০টি দেশের আমন্ত্রিত অতিথি অংশগ্রহণ করবেন সম্মেলনে। সরকারকর্তৃক অনুমতি মেলেনি।
দেশবাসী দু’দলে বিভক্ত।
কেউ কেউ বলছেন ইউনুস মানেই ষড়যন্ত্র___
সম্মেলন না করতে দেয়াই ভালো।
‘মোশাররফ ও মুসা’ অধ্যায়টিও ঘৃণিত। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নিজেই তাঁর ব্ক্তব্যে বলেছিলেন “আমার বেয়াই ৭১ যুদ্ধের সময় পাকিস্তানে পক্ষ নিয়েছিলেন বটে কিন্তু তিনি কোন অপরাধ করেন নি। খুন ধর্ষণ এগুলির কোনটির সাথেই আমার বেয়াই জড়িত ছিলেন না। তিনি শুধু রাজনৈতিকভাবে পাকিস্তান না ভাঙ্গার পক্ষে ছিলেন। এটা কখনো যুদ্ধাপরাধ হতে পারেনা।”
ইউনুস সাহেব গরীব মেরে বড়লোক হতে চেয়েছেন, চড়ামূল্যে সুদ আদায় করেছেন, কিন্তু পাকিস্তানের পক্ষে তো ছিলেন না কখনোই। ইউনুস মানেই ষড়যন্ত্র, এমনটি ও সব সময় সত্য নয়!
যে দেশে মোশাররফ ও মুসা’ সরকার প্রধানের আশীর্বাদে তুষ্ট, সেদেশে ইউনুস সাহেব অভিশাপে ভষ্ম! আহা, সমাজের অচ্যুত রূপ।
ইউনূস সেন্টার আয়োজিত আন্তর্জাতিক সামাজিক ব্যবসা সম্মেলনে অনুমতি দেওয়া হয়নি। পুলিশের অনুমতি না মেলায় ইউনূস সেন্টারের আয়োজনে ‘সোশ্যাল বিজনেস ডে’র আন্তর্জাতিক সম্মেলন শেষ মুহূর্তে বাতিল করা হয়েছে।
ইউনূস সেন্টার বলছে, এই সম্মেলনে যোগদানের জন্য প্রায় ২০০ বিদেশি অতিথি এসেছেন। আনুমানিক দুই হাজার প্রতিনিধির এই সম্মেলনে ৪০টি দেশ থেকে ৪০০-এর বেশি বিদেশি অংশগ্রহণকারী যোগদানের জন্য নিবন্ধন করেছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব টমাস গাস। সম্মেলনে তাঁর মূল বক্তব্য রাখার কথা ছিল। তিনি জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য কর্মসূচি বাস্তবায়নের প্রধান কর্মকর্তা। এছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে ঢাকায় এসেছেন বিশ্ব অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট জোয়েল বোজো, মালয়েশিয়া সরকারের মালিকানাধীন মাল্টি বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ ফান্ড ‘খাজানাহ্ নাসিওনাল বেরহাদ’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক দাতো চারণ মোখজানি, চায়না একাডেমি ফর ফিন্যানশিয়াল ইনক্লুশনের পরিচালক বাই ডুওগুয়াং এবং চায়না ফিলানথ্রপি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক ওয়াং ঝেনইয়াও।
সারা দুনিয়া কাঁপানো বিশ্ব নেতাগণ সম্মেলনে অংশগ্রহণ না করেই দেশে ফিরে যাচ্ছেন। এর মধ্যে মরার উপর খড়ার ঘাঁ হয়ে আছে ঢাকা শহর ডুবে যাওয়া পানি। পুরো শহর নোংরা পানিতে ভেসে যাওয়া, নিম্নস্তরের রাজনৈতিক চাল, সম্মেলনের অনুমতি না মেলে স্বাভাবিকভাবেই সকল দায় এসে পড়ে সরকারের কাঁধেl সুশীল সমাজ বলছে – সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য ধূর্ত ইউনুস ফাঁদ পেতেছে। অনুমতি চাওয়া হয়েছে সম্মেলন করার কিছুদিন আগে। স্বল্প সময়ের আবেদনে কাউকে কোনো আন্তর্জাতিক সম্মেলনের অনুমতি দেওয়া যায় না।
যুক্তি যাই হোক। এখানে বিষয় একটি – বাংলাদেশে বিশ্বনেতারা অবস্থান করছেন। তাঁরা দেশে ফিরে বাংলাদেশ সম্পর্কে কি ভাববেন!? এ দায় কার? সরকার নাকি ইউনুস সেন্টারের।
ড. ইউনুস বা ইউনুস সেন্টার কি সরকার প্রধান শেখ হাসিনার থেকে ক্ষমতাসম্পন্ন কেউ!? দক্ষ বা ধূর্ত !?
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় নাট্যমঞ্চ। যেখানে দেশের চেয়েও ব্যক্তিগত হিংসা, আক্রোশ, বিদ্বেষ প্রাধান্য পায়। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করতে দ্বিধা করে না l
কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত বলিয়াছেন:
‘জম্মিলে মরিতে হবে অমর কে কোথা কবে? চিরস্থির কবে নীর হায়রে জীবন নদে?’’ কিন্তু কোন কোন মানুষের জীবন চিরস্থির হয় তার সংগ্রাম, কর্মের সাফল্য ও স্থায়িত্বের মাধ্যমে।
বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত স্বপ্নের স্বর্ণালী দুয়ারে পৌঁছে আপনি আজ আর শুধু ষোল কোটি মানুষের নেত্রী নন, সারা বিশ্বের শান্তিকামী মানুষের আরাধ্য এক মহান নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। ‘বাংলাদেশ’ নামটি যখন বিশ্ব নেতাদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে তখন সেটি আপনার সম্মান!
ইউনুস, মোশাররফ ও মুসা – বিড়ম্বিত গ্লানি!?
ঈশ্বর সহায়। আমজনতার আকুতি –
বৃষ্টিবিন্দু দাও দেব বটের শিকড়ে!
হ্যাপী রহমান
সিডনি,অস্ট্রেলিয়া
২৮.০৭.২০১৭ইং
Related Articles
অস্ট্রেলিয়া যুবলীগ আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিল
বঙ্গবন্ধুর পরিবারের জন্য রহমত ও মাগফেরাত কামনা এবং ইসতিয়াক আহমেদ চৌধুরী অভি’র দ্রুত আরোগ্য কামনা করে সিডনিবাসীর দোয়া গত ১৮ই
ক্রিকেটবোর্ডকে লেখা খোলা চিঠি
[এই লেখাটা ক্রিকেট নিয়ে। লেখাটা প্রথম যেদিন লিখি, মনে আছে, লিখতে লিখতে কেঁদে ফেলেছিলাম। আজ লেখাটা আবার পড়ছি, কাঁদছি, কাঁদতে
ভার্চুয়াল চিঠি (পর্ব – তিন)
ভালোবাসার ভাষা বদলে গেছে। আগের দিনের ভালোবাসা আর এখনকার ভালোবাসার বিস্তর ফারাক । ফোনে মিসড কল। তা থেকে পাল্টা ফোন। তারপর