ষড়ঋতুর রঙে একটি ধ্রুপদী সন্ধ্যা
ষড়ঋতুর রঙে একটি ধ্রুপদী সন্ধ্যা: ধ্রুপদ অস্ট্রেলিয়া–র সঙ্গীতানুষ্ঠানঃ ‘ঋতু ও রঙ – Seasons of life’
ইটার্নিটি চার্চ, ক্যাম্বা, ক্যানবেরা। ২০ মে ২০১৭।
। তুষার রায়।
বাঙালি সঙ্গীতপ্রেমী-সংস্কৃতিপ্রেমী জাতি। অন্তঃসলিলা নদীর মতো আপন সংস্কৃতির ধারা তাদের হৃদয়ে সতত বহমান। তাই দেশ ও প্রবাস নির্বিশেষে সাহিত্যে-সংগীতে-পারফর্মিং আর্টসে বাঙালি সমাজ সংস্কৃতিচর্চায় উদ্যোগী ও অগ্রগামী।
অস্ট্রেলিয়ার বাঙালি, কিংবা আরও নির্দিষ্টভাবে, বাংলাদেশি কমিউনিটি এই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে ও গৌরবে সমুজ্জ্বল। কমিউনিটিতে আয়োজিত সাংবৎসরিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানমালার দিকে তাকালেই তা বোঝা যায়। তবে সিডনির তুলনায় ক্যানবেরার বাঙালি কমিউনিটি ক্ষুদ্রতর হলেও তা কোনোভাবেই কৃশ নয়। এই সিদ্ধান্তে আসার জন্য কোনো গবেষণার দরকার হবে না, শুধু ‘ধ্রুপদ অস্ট্রেলিয়া’-র একটি পরিবেশনায় উপস্থিত থাকলেই সংস্কৃতি ‘বোদ্ধা’ বা ‘প্রেমিক’ সবাই তা নির্দ্বিধায় স্বীকার করবেন।
ক্যানবেরার সংস্কৃতি-সচেতন বাঙালি কমিউনিটি এই সংগীত সংগঠন সম্পর্কে সম্যক্ জানেন। যাঁরা জানেন না, তাঁদের জন্য উপসংহারে এঁদের সম্পর্কে সামান্য ভূমিকা রাখা আছে*। এ লেখার উদ্দেশ্য ধ্রুপদ-এর সাম্প্রতিক সংগীতায়োজন ‘ঋতু ও রঙ’ বা ‘Seasons of life’ সম্পর্কে সংক্ষেপে কিছু কথা বলা।
দক্ষিণ ক্যানবেরার ইটার্নিটি চার্চ গত ২০ মে পাতা-ঝরার, শূন্য-সভার, মৌন-বাণীর শীতের সন্ধ্যায় ঋতুর রঙে, প্রাণময় বাণী ও সুরে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। সংস্কৃতিপ্রেমী শ্রোতায় পরিপূর্ণ হয় ধ্রুপদ-এর ‘ঋতু ও রঙ’ সঙ্গীতানুষ্ঠান।
প্রতিটি ঋতু আসে তার নিজস্ব পোশাকে, বিভায়, ভাবে ও বিভাবে। মানুষের মনে এদের প্রভাবও তাই ভিন্ন, অপ্রতিম এবং কখনও তা অনির্বচনীয়। প্রকৃতির মতো আমাদের জীবনও রূপ ও রঙ বদলায়। দ্ব্যর্থবোধক এই ঋতুর রঙ ও ভাববৈচিত্র্যের পরিমিত চয়ন ও সমাহারে সাজানো হয় অনুষ্ঠানটি। মঞ্চসজ্জা ও অলংকরণ ছিল সুন্দর, পরিপাটি ও সুষমামন্ডিত। ঋতু ও গানের সাথে সাযুজ্য রেখে আলোকচিত্রের পরিবর্তন শ্রোতাদের যেন ঋতুচক্রের সঙ্গী করে নেয়।
ধ্রুপদের সময়ানুবর্তিতার সর্বজনবিদিত দার্ঢ্য বজায় রেখে ঠিক সন্ধ্যা ছয়টায় ইশনাত জেরিনের নান্দনিক একক নৃত্য পরিবেশনা দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। নিত্য বার্ণাড পার্কারের বাজানো বাঁশিতে শিবরঞ্জনী রাগের সমাপতনে। এরপর বিবিধ যন্ত্রানুষঙ্গ সাথে সামি চৌধুরী ও পুণ্যা জয়তী ‘Seasons of Love’ গেয়ে গানের পথচলা শুরু করেন।
ডঃ আবেদ চৌধুরীর লেখা, ঋতু-পরিবর্তনের সাথে সাথে নিসর্গের রূপ-রস-রঙ বদল ও মানবমনে এর বিচিত্র প্রভাব ও ব্যঞ্জনা-সম্বলিত ধারাভাষ্যে পালাক্রমে বাংলা ও ইংরেজিতে বাঙময় হয়ে ওঠেন কাওসার খান জেসি ও টিউলিপ চৌধুরী। শুরুতে সমবেত কন্ঠে ‘ফাগুন, হাওয়ায় হাওয়ায় করেছি যে দান’ রবীন্দ্রসংগীতে বাসন্তী আবাহন করে ঋতুরাজ বসন্তের আসন পাতা হয় আসরে। এই উদাসী সুরে সুদূরে উধাও হয় শীতের সন্ধ্যা।
এই রেশ ধরে সুধাঝরা কন্ঠে ‘আমার প্রাণের মাঝে সুধা আছে, চাও কি’ রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করেন শম্পা বড়ুয়া। এরপর কবোষ্ণ বসন্তে মিলন-বিরহের দোলাচলকে মূর্ত করে তোলেন রবীন গুডা যথারীতি তাঁর অনন্য ধ্রুপদী কন্ঠের মুন্সীয়ানায় ‘সেদিন ছিল কি গোধূলি লগন’ নজরুলগীতি পরিবেশনে। এই বাসন্তী আবহ তখন ‘ফুল ফুটুক না ফুটুক আজ বসন্ত’ কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের এই জনপ্রিয় কাব্যকণার রোমাঞ্চে শ্রোতাদের মন উন্মনা করে তোলে। বসন্তের শেষ গানটি ছিল প্রেমের মহিমায় উদ্ভাসিত। সুধীন দাশগুপ্তের লেখা ‘হয়ত তোমারই জন্য হয়েছি প্রেমে যে বন্য’। যৌবনের দূত হয়ে সামি চৌধুরী সাবলীল কন্ঠে এই গানটি গেয়ে সবাইকে মুগ্ধ করেন। বিদায়-বসন্তে উচ্চকিত আশা নিয়ে শ্রোতা উন্মূখ হয়ে থাকেন। এরপর যথানিয়মে আসে গ্রীষ্ম, তার রুদ্রবাণী নিয়ে।
এই পর্বের শুরুতে জর্জ গার্শউইনের কন্ঠখ্যাত ‘Summertime, and the livin’ is easy’ গানটি গেয়ে নির্বাণহীন তপোবহ্নিশিখার গ্রীষ্মকে আবাহন করেন নিত্য বার্ণাড পার্কার। বৈশাখের রুদ্র ভৈরব সবার কন্ঠ বেয়ে নেমে আসে ‘দারুণ অগ্নিবাণে রে’ ও ‘খর বায়ু বয় বেগে’ এ দুটো রবীন্দ্রসঙ্গীতের অপূর্ব ঐকতানের মেডলিতে। গ্রীষ্মের খর বায়ুর উষ্ণতা সঙ্গীতের তরঙ্গ বেয়ে শ্রোতাদেরও স্পর্শ করে। কিন্তু ততক্ষণে প্রকৃতি মৃদুমন্দ লয়ে অগ্রসর হয় বর্ষার শীতল জলধির কাছে। আসে বর্ষা।
গ্রীষ্মের তপ্ত-বিক্ষিপ্ত প্রকৃতিকে বর্ষার শান্ত-সমাহিত রূপে উত্তরণের পর্যায়ে বৃন্দাবনী সারং রাগে সেতার বাজিয়ে শোনান ধ্রুপদ-এর আরেক গুণী শিল্পী মোহাম্মদ খান মিন্টু। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই সেতার পরিবেশনা ধ্রুপদ অস্ট্রেলিয়া-র আরেকটি মধুর সংযোজন।
বর্ষা ঋতুর মেঘৈর্মেদুরম্বরং-কে প্রতিভাত করতে ইশনাত জেরিন আবারও মঞ্চে আসেন বর্ষার নবধারা জলে অবগাহনের আমন্ত্রণ নিয়ে। পরিবেশন করেন আরেকটি নান্দনিক নৃত্য। ‘এসো নীপবনে ছায়াবীথিতলে’ রবীন্দ্রসঙ্গীতের অনুষঙ্গে। এরপর গম্ভীর শীতল জলধারা নেমে আসে রবীন গুডার কন্ঠ বেয়ে, ‘আজ শ্রাবণের বাতাস বুকে এ কোন্ সুরে গায়’ রূপংকর বাগচীর জনপ্রিয় গানের অনির্বচনীয় মধুর পরিবেশনায়। উধাও হয় শীত, শ্রাবণ নামে সমস্ত হল জুড়ে।
আধুনিক গানে সুরের স্পন্দনে বরষার স্নিগ্ধ ধারাকে এবার ভিন্ন আবেগে ফুটিয়ে তোলেন সিডনির অতিথি শিল্পী শাফিনাজ আমিন মুক্তি, ‘রিমঝিম বৃষ্টি ঝরানো প্রথম বরষার দিন এলো আবার অনেক দিন পর’ গানটি তাঁর সুরেলা মিষ্টি কন্ঠে গেয়ে। তবে মেঘলা দিনের যথোপযুক্ত বাংলা গান ‘এই মেঘলা দিনে একলা ঘরে থাকে না তো মন’। বাঙালির চিরদিনের এই বিরহ-জাগানিয়া গানটি তাঁর দরদী উদার গলায় পরিবেশন করেন মোহাম্মদ খান মিন্টু। এ পর্বের শেষের গানটি ‘আমার সারাটা দিন’ স্বচ্ছন্দ কন্ঠলালিত্যে পরিবেশন করেন সামি চৌধুরী।
বিরতির পর রবীন গুডা তন্ময়তা সৃষ্টি করেন ‘আজ শরতের কাশের বনে হাওয়ার লুটোপুটি’ গানে। সুরের মায়াজালে ডেকে আনেন নীল আকাশে পুঞ্জ পুঞ্জ শাদা মেঘের পসরা সাজানো মনোরম মিষ্টি শরৎকালকে। ভোরের শিউলি ফুলের সৌরভকে। বিশাল পর্দায় আবহমান বাংলার শরৎ-সুষমা নিয়ে ভেসে ওঠে আলোকচিত্র। অনুষ্ঠানে বরাবরের মতো অনেক অবাঙালি (অস্ট্রেলিয়ান) শ্রোতাও উপস্থিত ছিলেন, যারা সব পরিবেশনা বেশ উপভোগ করছিলেন বলে মনে হলো।
আর শরতের স্নিগ্ধ জোছনার আকাশকে নিয়ে ‘এই মোমজোছনায় অঙ্গ ভিজিয়ে এসো না গল্প করি’ গানে স্বপ্নঘন আবহ তৈরী করেন শাফিনাজ আমিন মুক্তি। আহা, কী মধুর সেই সময়-ভুলে থাকা সময়! তবে, শরতের শুভ্র কাশবনের আঙিনা পেরিয়ে সুর ক্রমশঃ পথ খুঁজে নেয় হেমন্তের সোনালী ফসলের ক্ষেতে, বকুলের মাতাল গন্ধে।
ড্রামস-এর চৌকশ শিল্পী ওয়াসী মাহ্তাব হেমন্তের আলস্যে ভরা একটি গান, অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায়ের লেখা ও সুরে, সুবীর সেনের কন্ঠে জনপ্রিয়, ‘সারাদিন তোমায় ভেবে হলোনা আমার কোনো কাজ’ অনেক দরদ দিয়ে গেয়ে শোনান। এরপর মাইক্রোফোনে আবারও ঘনিষ্ঠ হন মোহাম্মদ খান মিন্টু। গাইলেন সদ্যপ্রয়াত কিংবদন্তী কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্যের বিখ্যাত গান ‘আমি তোমারই, তোমারই, তোমারই নাম গাই, আমার নাম গাও তুমি’। তুমুল করতালিই বলে দিল সেই পরিবেশনা কতখানি উপভোগ্য ছিল।
সময় বয়ে চলে, বিমুগ্ধতায় তা আরও দ্রুতচালে। এলো শীতল হাওয়ার কাঁপন নিয়ে শীতকাল। এই মৌন ঋতুর জড়তা ভাঙাতে নবীন কন্ঠে পুণ্যা জয়তী এ সময়ের তুমুল জনপ্রিয়, অনুপম রায়ের ‘তুমি যাকে ভালোবাসো, স্নানের ঘরে বাষ্পে ভাসো’ গানটি গেয়ে মুগ্ধ শুধুই করেন না, তাঁর উজ্জ্বল প্রতিভার পরিচয় আবারও শ্রোতাদের কাছে নিশ্চিত করেন।
এরপর দুটি গানের মেডলি, লালনগীতি ‘এমন মানব জনম আর কি হবে’ এবং হাসন রাজার গান ‘লোকে বলে, বলে রে ঘরবাড়ি ভালা না আমার’। অন্যান্য গানগুলোর মতো এক্ষেত্রেও গিটার, ড্রামস ও তবলায় যথাক্রমে হাসান জায়ীদ, ওয়াসী মাহ্তাব ও সৌরভ আচার্য যন্ত্রানুষঙ্গে স্টুডিও পারফরমেন্স প্রদর্শন করেন। বাঙালির প্রাণের গান ও হৃদয়ে গাঁথা এ সুরে সত্যিই যেন অনুষ্ঠানে প্রাণসঞ্চার হলো। শ্রোতাদের সাথে সেতুবন্ধন দৃঢ়তর হলো।
এই প্রাণময়তাকে বহুগুণে উস্কে দিয়ে শম্পা বড়ুয়া সুনিপুণভাবে গাইলেন সুমন চট্টোপাধ্যায়ের অন্যতম জনপ্রিয় গান ‘হাল ছেড়না বন্ধু’। সত্যিই ধন্যবাদার্হ ছিল সেই পরিবেশনা। তাঁকে আমরা মূলতঃ রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী হিসেবেই জানি। তাই এই স্বাচ্ছন্দ্যময় ভার্সেটিলিটি সবাইকে মুগ্ধ করেছে। বিষণ্ণ শীতের বিদায়ে মোহাম্মদ খান মিন্টু এরপর গাইলেন টেরি জ্যাক্স্ এর ১৯৭৪ এ হিট্ করা গান ‘Seasons in the sun’।
ঋতুপরিক্রমা শেষে অনুষ্ঠান এসে পৌঁছালো সেই যাত্রাবিন্দুতে, উৎসবরাজ বসন্তে। আর এই বাসন্তী উৎফুল্লতা ফুটে উঠলো পুণ্যা-র কন্ঠে। ফোঁটা ফুলের মেলায় আনন্দ-উতরোলে গাইলেন অনুপম রায়ের ‘বসন্ত এসে গেছে’। গানটা শুনে মন হাল্কা হয়ে গেল, যেন সে পাখা মেলে প্রজাপতি রঙে।
গানের এই ঋদ্ধ সংকলনের শেষে উপমহাদেশের দুজন কিংবদন্তী গীতিকারের গান সমগ্র অনুষ্ঠানকে মহিমা দান করেছে। শিবদাস বন্দোপাধ্যায় রচিত এবং ক্যালকাটা ইয়ূথ কয়ার গীত ‘এই পৃথিবীর থেকে ঐ আকাশ বড়’ এবং সলিল চৌধুরীর কথা ও সুরে (রেকর্ড ১৯৮২, যুক্তরাষ্ট্র) দেশপ্রেম-উদ্দীপক গান ‘পুরানো দিন, পুরানো মন, পুরানো সবকিছু পিছনে ফেলে আয় ছুটে চলে’। দুটো গানই সমবেত কন্ঠে পরিবেশন করলেন এবং শ্রোতারা মুগ্ধমনে উপভোগ করলেন।
রবীন্দ্রনাথের ভাষায় ‘কাজ যখন সাধনার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়, তখন তাকে ঝেঁটিয়ে বিদেয় করতে হয়’। ধ্রুপদ-এর অনুষ্ঠানমালা দেখে মনে হয় সংস্কৃতিচর্চায় এঁদের সম্পর্ক নিবিড়, প্রতিশ্রুতি অনেক দৃঢ়। এবং এটাকে ‘সাধনা’ কি না জানি না, তবে নিঃসন্দেহে নিছক ‘কাজ’ হিসেবে তাঁরা একে দেখছেন না। কমিউনিটির প্রতি এই অঙ্গীকারের জন্য তাঁরা ধন্যবাদার্হ।
অনুষ্ঠান শেষ হলো রাত সাড়ে নয়টায়। বাংলাদেশ হাই কমিশনারসহ অনেক শ্রোতা শিল্পীদের অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানানোর জন্য এগিয়ে আসেন। বাইরে এসে দেখি, শীতের অনূঢ়া উচ্ছলা সন্ধ্যা যেন মাতৃত্বের গাম্ভীর্য পেয়ে পূর্ণরাত্রিতে রূপ নিয়েছে। সাব-জিরো তাপমাত্রায় যাবার প্রস্তুতি নিয়ে কুয়াশার চাদরে ঢেকে ঘুমায় ক্যানবেরার আকাশ। তবে বাতাসে তখনো ভাসছে ঋতুর ও জীবনের রঙে রাঙানো ঐ সুরলহরী। আর সলমা জরির আকাশ থেকে দু’একটি নিশিজাগা নক্ষত্র উঁকি দিয়ে যেন বলে ‘সাধু, সাধু ধ্রুপদ অস্ট্রেলিয়া’।
*ধ্রুপদ অস্ট্রেলিয়া (www.dhrupad-australia.com) – ক্যানবেরা ভিত্তিক একটি অলাভজনক সংগীত সংগঠন। মূলতঃ শুদ্ধ ধারার উপমহাদেশীয় সংগীত চর্চা ও প্রসারে নিয়োজিত থাকলেও এঁরা পূর্ব-পশ্চিমের মেলবন্ধনে অপরাপর ভাষার কবিতা, গান ও সুরকে সমন্বিত করেন। বাৎসরিক নিজস্ব কয়েকটি অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বিষয়-ভিত্তিক কিংবা উপলক্ষ-ভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানও আয়োজন করেন। প্রশান্তপাড়ের এই তৃতীয় বাংলা ভুবনে শিশু-কিশোরদের মনে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির পরিচয় ও গৌরবকে সঞ্চারিত করতে, তাদের জন্য আয়োজন করেন কবিতা-গানের অনুষ্ঠান। তবে, যে ধরনের অনুষ্ঠানই হোক না কেন, দুটি ব্যাপারে তাঁরা কখনই আপোষ করেন না, সময়ানুবর্তিতা এবং বিষয়বস্তু ও পরিবেশনায় উচ্চ পেশাদারি মান। স্পষ্টতই, শুধু ক্যানবেরায় নয়, সমগ্র অস্ট্রেলিয়ার বাঙালি কমিউনিটিতে মহতী উদ্যোগে নিয়োজিত এই মাত্রার পেশাদারি উচ্চতার, মেধার ও সুরুচিসম্পন্ন সাংস্কৃতিক চর্চার সংগঠন খুব বেশি নেই।
Related Articles
ক্যানবেরার খেরোখাতা ২ (originally written for somewhreinblog.net)
১বাঙালীয় সময়জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন করাই মহা ভুল। রেলস্টেশনে বাবা মাকে জিগ্যেস করতে শুনেছি নটার ট্রেন কটায়। ভাবতে পারিনি এই ক্যাঙারুর
লুইজি পিরানদেল্লো-র গল্প – যুদ্ধ – অনুবাদ: ফজল হাসান
রাতের এক্সপ্রেস ট্রেনে যে সব যাত্রীরা রোম থেকে রওনা হয়েছিলো, তাদেরকে সকালবেলা ছোট্ট ষ্টেশন ফেব্রিয়ানোতে নামতে হয়েছে । পরে যাত্রীরা
চিলির বিপক্ষেই অস্ট্রেলিয়ার আসল ম্যাচ
আরেনা পানতানালে শনিবার অস্ট্রেলিয়া সময় সকাল ৮ টায় চিলির মুখোমুখি হচ্ছে এশিয়া অঞ্চল থেকে বিশ্বকাপের টিকেট পাওয়া অস্ট্রেলিয়া। কাগজ-কলমে গ্রুপে