মগজে কারফিউ
ফজলুল বারী: সেই পাকিস্তান আমল থেকে আজকের বাংলাদেশ অঞ্চলের ইতিহাসটা হচ্ছে নেতৃস্থানীয় অসাম্প্রদায়িক ধর্ম নিরপেক্ষ বুদ্ধিজীবীরা সব সময় আওয়ামী লীগের সঙ্গে অথবা পক্ষে ছিলেন এবং এখনও হয়তো আছেন। আওয়ামী লীগ তাদের সঙ্গে মর্যাদা বিষয় মাথায় নিয়ে কথা বলতো। তারা আওয়ামী লীগের জন্যে লিখতেন। ছবি আঁকতেন, সৃষ্টি করতেন নানা নান্দনিক শিল্প। নাটক-চলচ্চিত্র বানাতেন। সর্বোপরি নানাভাবে কথা বলতেন আওয়ামী লীগের জন্যে। এখনও তারা লিখছেন, নানান শিল্প সৃষ্টি করছেন। কিন্তু কথা বলছেন কম। কারন তারা নানাভাবে আক্রমনের শিকার হচ্ছেন। ধর্মীয় মৌলবাদীরা তাদের আক্রমন করছে। সুযোগ পেলে জবাই করছে। চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার অথবা দেশ থেকে বের করে দেবার কথা বলছে। এই বুদ্ধিজীবীরা অবাক হয়ে দেখছেন এই হুমকিগুলো যারা দিচ্ছে তারা আওয়ামী লীগের নেত্রীর সঙ্গে একান্তে কথা বলছেন, ছবি তুলছেন! বুদ্ধিজীবীদের যারা হুমকি দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে সরকার কোন ভূমিকা নিচ্ছেনা। দল হিসাবে আওয়ামী লীগও তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছেনা। উল্টো সরকার তাদের দোষারোপ করছে। বলছে এভাবে বললো কেনো, এভাবে না বললে কী হতো। কেউ কেউ শুকরের মাংস খেয়ে, গাঁজা খেয়ে অসাম্প্রদায়িক কিনা এমন অকল্পনীয় কথাও বলা হচ্ছে সাংবাদিকদের বৈঠকে! আবার বলা হচ্ছে পুলিশকে বলে দেয়া হয়েছে মৌলবাদীদের সঙ্গে অসাম্প্রদায়িক চেতনার লোকজনের সংঘাত হলে পুলিশ যাতে বাধা না দেয়! আহত হলে যেন হাসপাতালে পাঠায়!
বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের নেতৃ্ত্বে মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে অনেক বড়বড় অর্জন হয়েছে। নেপথ্যে এসবের শরীক আওয়ামী লীগ সমর্থক বুদ্ধিজীবীরা। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সমসাময়িক শিল্পী-সাংবাদিক-বুদ্ধিজীবীদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক কেমন ছিল তা ওয়াকিফহালরা জানেন। আমাকে সেই সময়ের এক তরুণ সাংবাদিক বলেছেন অনেক সময় তারা সমসাময়িক চিন্তার নতুন একটি রিপোর্টের আইডিয়া নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে কথা বলতেন। বঙ্গবন্ধু সংশ্লিষ্ট পত্রিকার বার্তা সম্পাদক, সম্পাদককে ফোন করে বলতেন ‘ওর এই রিপোর্টটা ফার্স্ট পেইজে বক্স কইরা এই হেডিং’এ ছাইপা দিস’। মিডিয়ার সঙ্গে ব্যক্তিগত কোন পর্যায়ের সম্পর্ক থাকলে একজন নেতা এভাবে কথা বলতে পারেন! মানিক মিয়ার নির্দেশনামূলক লেখা পড়ে বঙ্গবন্ধু বক্তৃতা দিতেন এমন প্রচারও আছে। এসব কারনে মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে বুদ্ধিজীবীদের খুন করে পাকিস্তানিরা। বুদ্ধিজিবীদের হত্যার জন্যে জামায়াতের বিশেষ আল বদর স্কোয়াড বানিয়েছিল পাকিস্তানি হানাদাররা। বুদ্ধিজীবীদের হত্যার বড় মিশন শেষ হবার পর তারা আত্মসমর্পন করেছে। এসব বুদ্ধিজীবীদের বেশিরভাগ তখনও ছিলেন বামপন্থী চিন্তা-চেতনার। হয়তো প্রত্যক্ষভাবে আওয়ামী লীগও করতেননা। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি হিসাবে তাদের কাজকর্ম সব সময় আওয়ামী লীগই উপভোগ করেছে এবং এখনও করে। কিন্তু সেই আওয়ামী লীগের লোকজন কথায় কথায় এখন এসব নিরীহ গুনী লোকজনকে অপমান করে-করছে এসব কী কখনো কেউ কল্পনায় ভেবেছে কোনদিন? যাদের দিয়ে এসব করানো হচ্ছে তাদের বিদ্যাবুদ্ধির বহর, কারো কারো হঠাৎ গড়ে ওঠা বিত্ত-বৈভবের খবর শুনলে লোকজন চমকে যাবে। সিগারেট খাবার পয়সা ছিলোনা। এখন এরা কত টাকার মালিক তা তারা নিজেরাও জানেনা। প্রকৃত বুদ্ধিজীবীরা টাকার পিছনে দৌড়াননা বলেই বিবেক যা বলে সত্য এরপক্ষে কথা বলেন। সুযোগ সুবিধা নিলে এভাবে কথাবলা যায়না।
আবার বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে দলীয় আরেকদলও আছেন। তাদের কেউ কেউ সুবিধার জন্যে কথা বলছেননা আবার কেউ কথা বলছেননা ইজ্জতের ভয়ে। একটা ঘটনা বলি। র্যাবের ভুলের গুলিতে ঝালকাঠির যুবক লিমনের সারাজীবনের জন্যে পঙ্গু হয়ে যাবার ঘটনা নিশ্চয় সবার মনে আছে। সেই ভুলের ঘটনা চাপা দিতে সরকারি সুবিধাভোগী একেকজন প্রতিদিন একেকজন কী নিষ্ঠুরসব কথাবার্তা বলে যাচ্ছিলেন! অথচ ঘটনাটি র্যাব যে ইচ্ছা করে ঘটিয়েছে তাও নয়। একটা ভুল হয়ে গিয়েছিল। কাজ করতে গিয়ে এমন ভুল হতেই পারে। রাষ্ট্র তখন ভুল স্বীকার করলে তা সংশোধনের উদ্যোগ নিতে পারতো। কিন্তু ভুলতো স্বীকারই করেনি!
এক ঘটনায় দেশে চাঞ্চল্য চলার সময় বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট আওয়ামী বুদ্ধিজীবী সিডনি আসেন। ব্যক্তিগত ঘনিষ্ঠতার সূত্রে একবেলা ডালভাত খাওয়াতে তাকে আমার বাসায় নিয়ে এসেছিলাম। ঝালকাঠির কলেজের ছাত্র লিমনের ঘটনা নিয়ে তিনি কোন কথা বললেননা কেনো জিজ্ঞেস করলে বলেন কোন লিমন, কে এই লিমন, তার কী হয়েছে? তার এই জবাবে আমি ফ্যাল ফ্যাল তাকিয়ে থাকি। বিনীতভাবে জিজ্ঞেস করি আপনি কী দেশের পত্রপত্রিকাও পড়েননা? তিনি জবাব দেন, না। তিনি গত আট বছর ধরে দেশের কোন পত্রিকা পড়েননি। টিভিও নাকি দেখেননা! এমন কথা যিনি বলেন তার সঙ্গে কি আর কথা বাড়ানো যায়? ইনি এই আমলে খুব ভালো আছেন। আওয়ামী লীগ কোনদিন ক্ষমতায় না থাকলেও ভালো থাকবেন। কারন তিনি আওয়ামী লীগের পক্ষেও বলেননা বিপক্ষেও বলেননা। শুধু হজম করেন। আগামীতেও হজম করতে পারবেন। চোখের সামনে না ব্যত্যয় যারা হজম করতে পারেননা।
গণজাগরণ মঞ্চের ইমরান এইচ সরকারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ইমরান এইচ সরকার আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের প্রোডাক্ট। কাদের মোল্লার যখন ফাঁসির রায় হলোনা তখন এর প্রতিবাদে ছাত্রলীগের নেতৃ্ত্বে প্রতিবাদ শুরু হয়নি। কারন আজকের ছাত্রলীগ-ছাত্রদল এসব সংগঠন মুরব্বি সংগঠনের ইজাজত ছাড়াও নড়েচড়েনা বা সে অনুমতি নেই। একদল ব্লগার শাহবাগে প্রতিবাদ শুরু করেছিলেন। তারা তাদের মুখপাত্র বানান ইমরান এইচ সরকারকে। সেই প্রতিবাদের পিছনে জনস্রোত দেখে সেখানে ছাত্রলীগ সহ সবাই আসে। ছাত্রদলেরও অনেকে এসেছিল। কিন্তু হেফাজতের কথায় খালেদা জিয়া শাহবাগে সমবেতদের নাস্তিক ঘোষনা দেবার পর ছাত্রদলের লোকজন শাহবাগ ছাড়ে। শুরুতে আওয়ামী লীগ-বিএনপি দুই সংগঠন শাহবাগের মঞ্চে ওঠার আপ্রান চেষ্টা করেছে। বাধা পেয়ে ক্ষান্তি দিয়েছে দুই পক্ষ। আওয়ামী লীগ মনে করেছে এই আন্দোলনের বেনিফেশিয়ারিতো আমরাও হবো। তাই মঞ্চে ওঠার প্রতিযোগিতা করার দরকার কী। আর বিএনপি মঞ্চে উঠতে না পেরে এর পিছনে লেলিয়ে দিয়েছে হেফাজতকে। খালেদা জিয়া কটাক্ষ করে বলেছেন, ওখানে কিসের গণজাগরন হয়েছে। কোন গণজাগরন হয়নি, ইত্যাদি।
আবার আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত পেয়ে গণজাগরন মঞ্চ ছাড়ে ছাত্রলীগ। এরমাঝে পৃথক একটি গণজাগরণ মঞ্চ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ ব্যর্থ হয়েছে। গণজাগরণ মঞ্চও এর আবেদন হারিয়েছে নানাকারনে। এর উদ্যোক্তাদের অনেকে প্রান বাঁচাতে বিদেশে চলে গেছেন। এখন ইমরান এইচ সরকারের বিরুদ্ধে মামলার যৌক্তিক একটি কারন আছে। কারন এটিই দেশের অন্যতম রাজনৈতিক সংস্কৃতি। এখানে দাস জাতীয়রা রাজনীতি করবেন! সবকিছুতে ঠিক আছে ঠিক আছে বলবেন অথবা বলতে হবে। আর প্রতিদিন সকালে উঠে একটা কথা বিড়বিড় করে বলতে হবে! অথবা সারাদিন বহুবার বলতে হবে। তাহলো নেত্রী কোন ভুল করতে পারেননা! আমি একটি অধুনিক গণতান্ত্রিক দেশে থাকি। এদেশের প্রেক্ষাপটে বিষয়টিকে দাস মনোবৃত্তির মনে হয়। দলের বা নেতার সিদ্ধান্ত পছন্দ না হলে এদেশে তা অকপটে বলা হয়। এসব আমলে নিয়ে শুদ্ধ হয় দল। এসব প্রতিবাদ অথবা মতামতের ওপর পরিচালিত জনমত জরিপ দেখে দল বা নেতা তার সিদ্ধান্ত পাল্টান। সবার ওপর মানুষ-ভোটার সত্য। কারন রাজনীতিতো দেশের মানুষের জন্যে। আর অন্য দেশগুলো নেতা-নেত্রীদের মতো বাংলাদেশের দলের নেত্রীতোও একজন মানুষ। মহাপুরুষ বা পয়গম্বর না। পুরুষতান্ত্রিক ধর্মে কোন নারী মহামানবী, পয়গম্বর এসব হয়না। মানুষ হিসাবে নেত্রীতো ভুল করতেই পারেন।
ইমরানের বিরুদ্ধে মামলার কারন যিনি মামলা করেছেন তিনি মনে করেছেন ইমরান যেহেতু এক সময় ছাত্রলীগ করেছেন, আওয়ামী লীগের মিডিয়া সেলে ছিলেন তাই ইমরান তার মতোই একজন কর্মচারী। একজন কর্মচারী বিপ্লবী হতে পারেনা। সে সারাজীবন কর্মচারীই থাকবে। এরপর মামলার চেষ্টা হলো মানবাধিকার কর্মী খুশি কবিরের বিরুদ্ধে। আমার ঘনিষ্ঠ এক সরকার দলীয় তরুন এ বিষয়টি জায়েজ করতে লিখলেন খুশি কবিরের বাবা একজন রাজাকার। আমি তাকে লিখলাম কথা সত্য খুশি কবিরের বাবা স্বাধীতা বিরোধী রাজকার ছিলেন। একইভাবে মন্ত্রী মোশাররফ, তার রাজাকার বাবাকে নিয়ে লিখবেন? বাংলাদেশের দূর্ভাগ্য বঙ্গবন্ধু পরিবারের আত্মীয়তা এমন একটি পরিবারে হয়েছে। মন্ত্রিসভায় তার মন্ত্রণালয় নিয়ে অনেক কানাঘুষা। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বাংলাদেশে এমন একজনকে দেয়া হয় যিনি দল-সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। এই মন্ত্রণালয়কে কাজে লাগিয়ে সংগঠন গড়া হয়। জিজ্ঞেস করি ইনি সংগঠন গড়ায় কোথায় জড়িত? ফরিদপুরে তিনি কী পরিস্থিতির সৃষ্টি করে রেখেছেন? আমার ওই তরুন বন্ধুটিকে বলি পক্ষে না থাকায় খুশি কবিরের নাড়ি ধরে টান দিয়েছেন। বেয়াইকে নিয়ে লিখবেননা? আমাকে বলা হয় তিনি লিখবেন। আমি তাকে বলি আপনার লিখা ঠিক হবেনা। এদেশে সংগঠন করলে এভাবে লেখা যায়না।
মুক্তিযোদ্ধা মানবাধিকার নেত্রী সুলতানা কামালকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার-দেশ থেকে দাবি দিয়েছে মৌলবাদীরা। তিনি নাকি মসজিদ তুলে দেবার কথা বলেছেন! টকশোতে হেফাজতের নেতা বলেন অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে একটি সম্প্রদায়ের মূর্তি থাকতে পারেনা। সুলতানা কামাল বলেছেন একটি সম্প্রদায়ের মূর্তি থাকলে যদি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের চেতনা ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে মসজিদওতো একটি সম্প্রদায়ের। কথার পিঠে কথা এসেছে। কিন্তু সেটিকে শুধু মৌলবাদীরা নয় আওয়ামী লীগের পক্ষে, স্বৈরাচারী এরশাদও ভুল ব্যাখ্যা দেবার চেষ্টা হয়েছে! মুক্তিযোদ্ধা সুলতানা কামাল বাংলাদেশের কোন দূর্নীতি-লুটপাটের সঙ্গে জড়িতনা। লূটপাটকারীদের হাতে আজ পড়েছে ধর্মরক্ষার দায়িত্ব! আওয়ামী লীগের একজন সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন সুলতানা কামাল নীলা নাগের হিন্দু মন্দির স্কুলে পড়ে বড় হয়েছেন! চিন্তা করতে পারেন কি রকম তথ্য বিকৃতি! নীলা নাগ ঢাকায় প্রথম মেয়েদের স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন।
স্কুলটির নামের সঙ্গে বিদ্যা মন্দির কথাটি ছিল। বিদ্যার্জনকে একসময় এতোটা পবিত্র মনে করা হতো পুরনো সময়ের অনেক স্কুলের নামের সঙ্গে বিদ্যা মন্দির বিশেষনটি থাকতো। এর মানে এই না যে সেখানে ক্লাসের ভিতর পুজা হতো প্রতিদিন। সুলতানা কামাল নীলা নাগের সেই স্কুলে পড়েছেন। সেই স্কুলটিই এখন কামরুন্নাহার গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ। তথ্য বিকৃতি কী পর্যায়ে চলছে বুঝতে পারেন? তাও আবার আওয়ামী লীগের লেবেল আটা লোকজনের মাধ্যমে? সুফিয়া কামাল বেঁচে থাকলে কী বলতেন? সুলতানা কামাল না শেখ হাসিনার পুতুল খেলার যুগের বান্ধবী? সুন্দরবন রক্ষার আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত থাকায় কী তাকে এভাবে হেনস্থা করতে হবে? এমন সব অকল্পনীয় ঘটনাক্রম চলছে এখন! তাও আওয়ামী লীগের আমলে! মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বুদ্ধিজীবীরা মুক্তিযোদ্ধা সুলতানা কামালের পক্ষে দাঁড়াননি! মগজে কারফিউ সর্বত্র! আওয়ামী লীগের ভুলগুলো তারা ধরিয়ে দিচ্ছেননা। আওয়ামী লীগ বিপদে পড়ছে। আওয়ামী বুদ্ধিজীবীরা তাদের দায়িত্ব পালন করছেননা। অন্ধকারও কাটছেনা দেশের।
Related Articles
এই সপ্তাহে সোশ্যাল মিডিয়ায় আমার দেশ
সজিব ওয়াজেদ জয় কিছু গুরুত্বপূর্ণ সফরে ব্যস্ত থাকায় কয়েকদিন পোস্ট দিতে পারিনি। একটু আগে সিলিকন ভ্যালি থেকে ফিরলাম। সেখানে আমাদের
গণতন্ত্রের শেষ ট্রেনটি বেগম জিয়ার অপেক্ষায়
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষিত হয়েছে। গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় বাঙালির ইতিহাসে এটি একটি মাইল ফলক। ১৯৭১ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু
শেকড়ের সন্ধানে একদিন এবং একজন হারুন ভাই
প্রাথমিকের পাঠ্যবই হাতে পাওয়ার সাথে সাথেই আমরা বইয়ের একেবারে উপরের পৃষ্ঠায় নিজের নামসহ ঠিকানা লিখে ফেলতাম। যাতে বইটা হারিয়ে গেলেও