তুমি আমায় ডেকে ছিলে ছুটির নিমন্ত্রণে?
দিন যায়, মাস যায় ছুটি আজকাল আর পাই না ,
কতদিনের সেই নিমন্ত্রণও রক্ষা করা হয়না,
একে একে কত বেলা গেলো তাও মনে করতে তেমন পারিনা,
সতের বছর হতে চললো দেশ ছাড়া, সম্ভবত নিমন্ত্রণটা তারও আগের,
যখন বেলা কাটতো কবিতার সাথে।
কথা ছিলো দেখা হবে বান্দরবানে কিংবা সুন্দরবনে।
তুমি কি আমায় ডেকে ছিলে ছুটির নিমন্ত্রণে?
বেলা মনে হয় অনেক হয়ে গেলো,
কখন যে শম্ভুদার ঘন লিকারের চায়ের দিনটা চলে গেলো,
আজকাল নানান ঝামেলা, একটু অনিয়ম হলেই দৌড়াও
স্বদেশী ডাক্তার রহমান ভাইয়ের কাছে , ঝিকরগাছা বাজারের কাবার,
নাভারনের টকটকে লাল গরুর মাংস
কখন যে হারায় গেলো? চৌগাছা বাজারেও ছিলো ভারতীয় গরুর মাংসের একটা দোকান ।
কথা কি ছিলো দেখা হবে,
বিক্রমপুরের শীতের সকালে শিশির ভেজা আলু ক্ষেতের আতালে?
তুমি কি আমায় ডেকে ছিলে ছুটির নিমন্ত্রণে?
ছুটিটা আজকাল আর আসে না । মিঠুর বাসার,
ধুমীয়িত তাসের আষোর আর হবেনা, বেলা শেষে ,
আগুন মোড়ের, আগুন ঝরানো কৃষনন চুড়া ফুটেনা।
ধলেশ্বরীতে শুশুক গুলো কি এখনো টুপটাপ লাফায়?
নাকি ওদের বিচরনটাও কেরে নিয়েছি? সদরঘাটের দুষনটা
বোধ হয় শীতলক্ষা পেরিয়ে মেঘনা মোহনায় এসেছে।
রাত ভাসানো জোসনা,সিমেন্ট ফ্যাকটরীর ধুলায় নিজেরে হারায়?
তুমি কি আমায় ডাকবেনা আর ছুটির নিমন্ত্রণে?
এই দুষনের মাঝে?? দুষন আজ সবখানে, উন্নয়নে, ভাবনায়,
তারপরও আমি আসবো , শিশির ভেজা, বিক্রমপুরের আলু ক্ষেতে,
হলুদ সরীষা বনে, গমের শীসে, মুন্সিরহাটের সাঁকোটার পাশে,
হরোগজ্ঞায়, কে কে স্কুলে, মানিকপুরে, দর্পনায়,
ছবিঘরে, কাচারীর মোড়ে, চিত্তার দোকানে,
আমি আসবো পি টি আই এ, ইদ্রাকপুরে, ফায়ারের মোড়ে, মুক্তারপুরের ফেরিঘাটে।
তুমি আমায় ডাকো আর না ডাকো, ছুটির নিমন্ত্রণে।
ক্যানবেরা
২৭/৫//২০১৭
Related Articles
Quarantiny – Chapter 6 – Day 5
Day 5 – Tuesday 21 April 2020 “What I most like about this quarantineis who I share it with” Day
ক্রিকেট, বল টেম্পারিং এবং ইত্যাদি
এক ‘৭০ দশক পর্যন্ত ক্রিকেট ছিল তথাকথিত অভিজাত পরিবার এবং সামান্য সংখ্যক মানুষের খেলা। কেউ ক্রিকেটের অতো খোঁজ খবরও রাখতো