প্রিয় মানুষের শহর – ১
এক বিকালে আমাদের বাসায় ক্যানবেরার এক তরুন দম্পতি আসলেন। হঠাৎ করে। ঈদের দু’একদিন পর তখনো – শুভচ্ছা বিনিময় চলছিল। বেশ আন্তরিক দু’জনই। ছেলেটা আমাকে প্রচুর সন্মান করে – কাজ করতে চায় আমার সাথে। তার ও একটা প্রতিষ্ঠান আছে। আমাকে যোগ দিতে বললেন। আমি বিনিত ভাবেই বল্লাম – সাহায্য করতে রাজি কিন্তু জড়িত হবো না। ব্যক্তিগত কারনে।
কথায় কথায় আমার এক পরিচিতের কথা উঠলো – যিনি আমার সাথে, আমার বাড়িতেই থাকতেন এবং আমি চিনি অনেক দিন থেকে।
অতিথী – সরাসরি প্রশ্ন করলেন “মানিক ভাই – আবুল লোকটা কেমন?” আমি বল্লাম “ভাল”। তিনি বল্লেন “না, না – আমাকে একটু বিস্তারিত বলেন, সে আমার সংগঠনে আসতে চায়”। আমি বল্লাম “নিয়ে নেন, খারাপ নাহ”।
যারা আমাকে জানেন – তাঁরা আমার চেহারা দেখলেই জানেন “আমি কিছুই লুকাতে পারি না চেহারায়”। শুরু হলো চাপাচাপি – আমরা সস্ত্রীক আর সস্ত্রীক অতিথি।
শেষে অনুচিত কথাটা বলে ফেল্লাম। আমি হলে এই আবুলকে আমার প্রতিষ্ঠানের পদে নিব না! এই জন্যেই বললাম কারন আমি জানি একটা সংগঠন চালাতে হলে কি ধরনের লোক বল প্রয়োজন – অন্তত প্রথম দিকে।
তাড়াহুড়া করে অতিথি চলে গেলেন। বিকালে আমাদের দাওয়াত, তাদের ও দাওয়াত আছে।
অতিথিদের সাথে কাকতালীয় ভাবে আমদের আবার দেখা। আবুলের বাসাতেই। দেখলাম তাঁরা দু’জনই আবুলদের খুবই প্রিয় জন।
দু’দিন পরে – আমায় কফি খেতে নিয়ে গেলেন আবুল। কফি খেতে খেতে বলল “মানিক ভাই আমি আপনার কি ক্ষতি করেছি – আমি কি এতই খারাপ?”
পিঠে ছুরির ঘায়ে – তারপর সবই ইতিহাস।
সেই অতিথি এখনো ভাবে – কেন হঠাৎ করে কেন তাকে আমি, আমরা এড়িয়ে চলছি বা চলি!
[“প্রিয় মানুষের শহর” সব গুলোই কাহিনী। চরিত্রগুলোও কাল্পনিক। সত্য মিথ্যা জানতে চেয়ে বিব্রত করবেন না। গল্প – গল্পই। কারো সাথে মিলে যাবার কোন সম্ভবনা নেই। কাকতালীয় হবার সম্ভবনাও ক্ষীন।]
Related Articles
জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালায় ১ কোটি প্রবাসীর স্বার্থ উপেক্ষিত !
অর্থনীতির চালিকাশক্তি রেমিটেন্সের উৎস প্রবাসীদের স্বার্থরক্ষায় বাংলাদেশের কোন সরকারই আজ অবধি সর্বোচ্চ আন্তরিকতার পরিচয় দিতে পারেনি। সদ্যঘোষিত ‘জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা’
Article on Rabindranath by Ezaz Mamun
রবীন্দ্রনাথের অনন্য জীবনবোধঃ স্রষ্টা, প্রকৃতি আর মানব এজাজ মামুন রবীন্দ্রনাথ আমাদের কাছে এক অপরুপ আলো রেখে গেছেন-তা হলো তাঁর অনন্য
সিডনিতে কৃতী শিক্ষার্থীদের সম্মাননা প্রদান করে রংধনু অজ-বাংলা কালচারাল সোসাইটি
জাতি গঠনে মেধার মূল্যায়ন অপরিহার্য। দেশ ও জাতির উন্নতি করতে হলে মেধাবীদের সম্মাননা জানানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। সুদীর্ঘ এক দশক ধরে