নতুন ব্যাটিং কোচ

খুব মেধাবী ছাত্র ভালো শিক্ষক হয়েছে, সংখ্যাই খুব কম। তেমনি ভালো খেলোয়াড় ভালো কোচ হয়েছে তেমন দেখা যায় না। ফুটবলের দিকে তাকিয়ে দেখুন, হোসে মরিনিয়ো কোন ক্লাবের হয়ে খেলেছে কেউ কি জানেন? আলী ইমাম নামে একজন ফুটবল কোচ ঢাকার আবাহনী, মোহামেডান বিজেএমসি কে ঢাকা ফুটবল লীগ চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন, কিন্তু কেউ জানতো না আলী ইমাম কোন দলে খেলেছিলেন। অনেকদিন পর জানা গেলো যে ১৯৭১ সালের স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস্য ছিল, ঢাকার সাধারণ বীমা দলের রক্ষণভাগের খেলোয়াড় ছিল। সীমাহীন সিগারেট আর ড্রিংক করতে করতে অকালে চলে গেলেন। তার ফুটবল সেন্স ছিল অনেক তুখোড় খেলোয়াড়ের চাইতে অনেক বেশি। আমার সাথে চাকুরী করে অস্ট্রেলিয়ার ২০০৪ অলিম্পিক ভলিবল দলের খেলোয়াড় ডেভিড ফার্গুসন। তার মতে তার সবচাইতে ভালো কোচ ছিল যে নিজে তেমন ভালো ভলিবল খেলতে পারতো না। কিন্তু তার মাথায় সব ছিল, খুব সহজে ভুল ধরিয়ে সঠিক উপায়টা বলে দিতো- তাই কোচ হিসেবে ছিল দারুন। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটেও যারা কোচ হয়েছে তারা কেউই তেমন কোনো নামিদামি ক্রিকেটার ছিল না।
অস্ট্রেলিয়ার মার্ক ও’নীল বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ব্যাটিং উপদেষ্টা হিসেবে এক মাসের জন্য কাজ পেয়েছেন বলে অনেকেই হয়তো মাথা চুল্কাচ্ছেন যে এই ব্যাটা কে, কোনোদিন নাম শুনা যায় নাই। নিজে কোনো টেস্ট খেলেন নাই, তবে তার বাবা নোর্ম্ ও’নীল অস্ট্রেলিয়া দলের হয়ে টেস্ট খেলেছেন। একুশ বছর বয়সেই ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট খেলেছেন। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের ব্যাটিং কোচ ছিলেন, ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া, নিউ সাউথ ওয়েলস এর কোচিং শেষে মিড্লসেক্সের কোচ ছিলেন একটানা তিন বছর। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের হাই পারফরমেন্স ব্যাটিং কোচও ছিলেন। বাংলাদেশে যাবার আগে পার্সোনাল কোচ হিসেবেই কাজ করছিলেন। শ্যান ওয়াটসনের ব্যাটিং গুরু ছিলেন মার্ক। শ্যান যে এতো মারকুটে ব্যাটিং করতো তার কারণ মার্ক তাকে শিখিয়েছিলো পা বাড়ানোর সাথে সাথে ব্যাকলিফট এর সমন্বয় ঘটিয়ে ব্যাটিং শক্তিকে কি ভাবে ছড়িয়ে দেয়া যায়। মার্কের প্রাথমিক এসাইনমেন্ট নিচের সারির ব্যাটসম্যানদের নিয়ে তবে প্রথম সারির ব্যাটসম্যানরাও তার কাছ থেকে উপকৃত হবে। আমি জুনিয়র লেবেলের বেশ কয়জন সনদপ্রাপ্ত কোচের কাজ কাছ থেকে দেখেছি; একেবারে একশত ভাগ উজাড় করে দেবার পক্ষপাতী। ছেলেরা মাঠে যাবার আগেই নিজে সব কিছু সাজিয়ে বসে আছে। ডায়েরি দেখে শেখানো, সব কিছু ডায়েরিতে টুকে রাখা, ব্যাটিংয়ের সিডি ধরিয়ে দেয়া, ভুল শুধরে দেয়া কোনো কিছু বাকি রাখে না।
আপনি কি ভাবে শিখবেন, আপনি ভালো জানেন।
Related Articles
“একুশে’র চেতনার বৈশ্বিক প্রাতিষ্ঠানিকতা অর্জন” বাস্তবায়নের রূপরেখা-৫ (গণসম্পৃক্তকরণ/সম্প্রচারের বৈশ্বিক কৌশল)
প্রাকৃতিকভাবে মানুষের স্বাভাবিক অনুভূতি মাতৃভাষার মাধ্যমেই স্বাচ্ছন্দে সাবলীলতায় প্রকাশ পেয়ে থাকে। জীবিকা, প্রতিষ্ঠা অথবা উন্নততর আবাসনের প্রয়োজনে মানুষ ভিন্ন ভাষায়
Parliamentary Constituencies for Non-resident Bangladeshis
Remittance is the largest source of foreign income that contributes more than 10 percent of the GDP in Bangladesh today.