কি সব রাবিশ!

কি সব রাবিশ!

দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশের খেলার উপর শামীম আশরাফ চৌধুরীর বিশ্লেষণ শুনছিলাম। এতো প্রাঞ্জল ভাষায় বাংলাদেশের ক্রিকেটের বর্তমান পরিস্থিতি বর্ণনা করলেন- আমি মুগ্ধ হয়ে শুনছিলাম। থ্যাংক ইউ শামীম চৌধুরী- আপনার অবজেক্টিভ এবং সাবজেক্টিভ আলোচনার জন্য। আধা বাংলাদেশী আতাহার আলীর মতো শামীম চৌধুরী একটা চার মারা দেখেই চিৎকার করে উঠে না। আতাহার আলীর ক্ষণিক উল্লাস দেখে আমার দেশপ্রেমিক বন্ধুরা ভাবে আহা- কি দারুন ক্রিকেট বিশ্লেষক! অস্ট্রেলিয়া আর ইংল্যান্ডের সাথে ম্যান্দা মারা পিচে কিছু স্পিন দিয়ে নিজের দেশে দুইটা ম্যাচ জয় দেখেই আমার দেশপ্রেমিক ভাইয়েরা ভাবলো ঊষার দুয়ারে হানি আঘাত…..। আঁধার আর আলোর পার্থক্যই এরা বুঝে কিনা সন্দেহ। তিন তাস আর ব্রিজ খেলায় অনেক পার্থক্য! সাকিবের বিশ্রাম, তামিমের ‘ইনজুরি’ খেলার প্রথম দিন শেষে অধিনায়ক মুশফিকের ‘গা-সাফাই’ মিডিয়া উপস্থিতি… কি কোনো রাজনীতির ইঙ্গিত দেয়?

আমার মনে হয় হাতুরুসিঙ্গের দিন ফুরিয়ে আসছে! হাতুরুর সাথে ওয়ালসের মনে হয় কিছু একটা গন্ডগোল চলছে। ওয়ালস কি বেশি মাতব্বর হয়ে উঠছে? একই পিচে আমরা বল করেছি, প্রতিপক্ষের চারজন সেঞ্চুরি করেছে। আমাদের চারজন বলার ১০০ করে রান দিয়েছে, টেস্ট ক্রিকেটে প্রতি ওভারে প্রায় পাঁচের কাছাকাছি রান দিয়েছে। অন্যদিকে সৌম্য লেগে খেলতে গিয়েছিলো, কিন্তু তার ‘হোগার’ (দুঃখিত-এই শব্দ ব্যবহার করার জন্য) পেছন দিয়ে লেগ স্ট্যাম্প কাইত! তার কিছু আগেই একটা বল অফ স্টাম্পের তিন হাত বাহির দিয়ে যাচ্ছিলো, সৌম্য জায়গায় দাঁড়িয়ে ব্যাট দিয়ে খোঁচা দিতে চাইলো। আচ্ছা, এরা কবে খেলা শিখবে? বল ছেড়ে দেয়া যে একটা বড় খেলা… এইটা ওদের কি কেউ শেখায় না! আহ! মোমিনুল…. বডি লাইন ডেলিভারি এড়াতে পারে না, দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলতে গেছে! বোলারদের সম্পর্কে কিছু বলার নেই…. আবুল মালের ভাষায় বলতে হয়… কি সব রাবিশ! টেস্ট খেলতে কমিটমেন্ট লাগে। One-night-stand আর marital commitment এক জিনিস না।

প্রিয় প্রধানমন্ত্রীকে বলি যে পোলাপানরে এতো আদর আর টাকা পয়সা দিয়েন না…. এই অকৃতজ্ঞগুলারে কিছু কইরা খাইতে বলেন।


Place your ads here!

Related Articles

Consular Camp in Melbourne on Friday 11 April Saturday 12 April 2014

Dear Respected Community Members Bangladesh High Commission (Canberra) has organized a Consular Camp in Melbourne on 11th & 12th April

মরে যাব (অনুগল্প )

প্রথম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন মা সবসময় বলেন একটু স্থির হও। কিন্তু রোদেলা স্থির হওয়ার জন্য জন্মায়নি। সবসময় একটা

বুকমার্ক চারা হল যখন – দিলরুবা শাহানা

জানুয়ারীর শীতার্ত সকাল। রোদ ছিল তবে উষ্ণতা ছিল না তাতে। ঢাকায় এখন শীতের ধূলা মেখে গাছের পাতারা গাঢ় সবুজ রংকে

No comments

Write a comment
No Comments Yet! You can be first to comment this post!

Write a Comment