কাশেম বিন আবুবকরের ইসলামী ভাব-ধারার জনপ্রিয় উপন্যাস

কাশেম বিন আবুবকরের ইসলামী ভাব-ধারার জনপ্রিয় উপন্যাস

ড.শাখাওয়াৎ নয়ন: লেখালেখি ছেড়ে দেওয়া একজন মানুষ কাশেম বিন আবুবকরকে নিয়ে প্রায় হঠাৎ করেই ইংল্যান্ডের ট্যাবলয়েড পত্রিকা ডেইলি মেইল, বার্তা সংস্থা এএফপি এবং আরবনিউজডটকম নিউজ করে বসলো। উক্ত খবরটি বাংলাদেশে একেবারে সুনামির মতো আছড়ে পড়লো; সাথে সাথেই সামাজিক এবং বানিজ্যিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে নানা রকম পক্ষে বিপক্ষের মতামত উপচে পড়া শুরু করলো। যারা কাশেম বিন আবুবকরের পক্ষে মত দিয়েছেন তাদের যেমন অনেক যুক্তি আছে, তেমনি যারা বিপক্ষে বলছেন, তাদেরও যুক্তির অভাব নাই। বাংলাদেশে ফেইসবুকীয় যুক্তিতর্ক এখন একটা অদ্ভুত রূপ লাভ করেছে।

মোটা দাগে দুইটি দল আছে; তারা একপক্ষ যদি বলে বিরাট এক ভয়ংকর সাপ দেখেছে, সাপটি ফনা তুলে ফোস ফোস করেছে। সাথে সাথে আরেক পক্ষ বলা শুরু করবে ওখানে কোনো সাপই ছিল না, তারা দড়ি দেখে সাপ ভেবেছে। শুরু হয়ে যাবে সাপকে দড়ি বানানো এবং দড়িকে সাপ বানানো প্রকল্প। নিজেদের মত প্রতিষ্ঠা করার জন্য যে যেভাবে পারবে যত রকমের তত্ত্ব-তথ্য আছে হাজির করবে। বাদ যাবে না কিছুই…উত্তরাধুনিকতা, সাব-অল্টার্নিজম, পাবলিক স্পেফারবাদ, মার্ক্সবাদ, পুজিবাদ, ইসলাম, সংশয়বাদ, নিরীশ্বরবাদ, হেফাজতী, ওহাবী-মওদুদী, শরীয়তী-মারফতী সকল তরিকা দর্শনের আলোচনা চলবে,কয়েকদিন। আম-জনতা খালি দেখবে আর দেখবে; তারা সামান্য বিভ্রান্ত থেকে ব্যাপক বিভ্রান্ত হয়ে যাবে কিন্তু আসলে ঘটনাটি কী ঘটেছিল? তা কোনো দিনই জানতে পারবে না।

এই যদি হয় একটি দেশের উচ্চ শিক্ষিত মানুষের ভুমিকা, তাহলে আম-জনতা যাবে কোথায়? এই কথাগুলি কেন বলছি? কারন কাশেম বিন আবুবকরকে নিয়ে বর্তমানে একই অবস্থা বিরাজ করছে। উদাহরণ দেয়া যাক, কাশেম বিন আবুবকরের পক্ষে শেখ ফজলে এলাহী নামক একজন ফেইসবুকার লিখেছেন- “কাসেম বিন আবুবকরকে নিয়ে আপনার কি প্রবলেম! শরৎ সাহিত্যের পাশাপাশি আপনি যে ‘আনোয়ারা’ উপন্যাস নিয়ে ব্যস্ত হননি, এটা আপনার উদাসীনতা এবং ক্ষেত্রমতো অক্ষমতাও। কাসেম বিন আবুবকর ওই ধারারই উত্তরাধিকারী। যে পাঠককূল রবীন্দ্ররচনাবলীর চেয়ে বেহেস্তের কুঞ্জিকে অনেক বেশি গুরুত্ব দেয়, আপনি তাদের নিয়ে ভাবেননি। এরাই বাংলাদেশে পাঠককূলের বৃহৎ অংশ। এদের বুঝার সক্ষমতা, এদের আবেগ অনুভূতির প্রতি লক্ষ্য রেখেই আবুবকরের লেখা। বাংলা একাডেমিতে একটা চেয়ার পাওয়ার জন্য এই লোক কোন উপন্যাস লেখে নাই। সুতরাং তার সৃষ্টির সাহিত্যমূল্য সম্বন্ধে প্রশ্ন তোলা বৃথা। বরং আপনি ভাবুন আপনার মানসম্পন্ন লেখার পাঠক কতজন! প্রকাশক যে ৫০০ বই ছাপার কথা বলে ৩০০ বই ছাপিয়ে বাজার দেখে সেটা ত আপনার জানা। আপনার বাজার নাই, বাজার মূল্য নাই। আপনার পাঠক নাই। তাহলে আপনি লিখেন কেন? আপনার কাজ আবুবকরকে তাচ্ছিল্য করা নয়। জ্ঞানচর্চার প্রসার ঘটানো। সেটা আপনি একা পারবেন না। আপনার আপোষবাদী অথবা হঠকারী লেখাসমূহ এই জ্ঞানচর্চার ক্ষতি সাধন করে। আপনার সমাজ যদি না আগায়, আপনি বেশি আগাতে পারবেন না। বড়জোর গোবরে পদ্মফুল হয়ে বিরাজ করবেন। একটা কঠিন সত্য যে বাংলাদেশের বৃহত্তর পাঠক সমাজে রবীন্দ্রনাথ এখনো গ্রহণযোগ্য নন। রবীন্দ্রনাথ এখনো শহুরে বিলাসিতা। আমরা সমাজ, পাঠক, কোনটাই সৃষ্টি করতে পারিনি। আমরা কেবল স্বার্থপরের মতো নিজেরা নিজেদের মনমানস তৈরিতে ব্যস্ত থেকেছি, আর বৃহত্তর জনগোষ্ঠী থেকে বিচ্ছিন্ন থেকেছি। আর এখন আবুবকরকে দোষ দিয়ে দায়িত্ব পালন করছি। অামরা মন্দিরের ঘন্টায় সুর খোঁজেছি, আজানের সমালোচনা করেছি, দুর্গাপূজায় উৎসব খোঁজেছি, ঈদে নীরব থেকেছি। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে আমরা দেখেছি নির্যাতন,তাদের সঙ্গমে পবিত্রতা দেখিনি।“

কাশেম বিন আবুবকর প্রশ্নে আরেকজন ফেইসবুকার নাদিয়া ইসলাম লিখেছেন, “আপনারে একটা সিনারিও দেই, দেখেন, কিছু মিলাইতে পারেন কী না। মনে আছে নিশ্চয়ই- কিছুদিন আগেই আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শফি হুজুরকে বললেন, সুপ্রিম কোর্টের মূর্তি (ভাস্কর্য?) উনার পছন্দ না। উহারে উনি ঐখান থিকা সরাইতে চান। সঙ্গে সঙ্গে পিনাকী ভট্টাচার্য মার্কা জামাতী লোকজন নিপাট ভালোমানুষের চেহারা কইরা আর্টের সমঝদারের মত ঢাকার সমস্ত ভাস্কর্যের নান্দনিকতা নিয়া প্রশ্ন তোলা শুরু করলেন। এরপর আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কওমী মাদ্রাসার ধ্বজভঙ্গ শিক্ষা সনদরে সরকারী স্বীকৃতি দিয়া ফেললেন। সঙ্গে সঙ্গে ফরহাদ মজহার মার্কা হাফ-বাম-হাফ-জামাতী লোকজন বলা শুরু করলেন, কওমী মাদ্রাসা হচ্ছে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়, সঠিক মানুষ গড়ার কারখানা, জান্নাতের বাগিচা ইত্যাদি ইত্যাদি।

বাংলাদেশ নামে একখান গণপ্রজাতন্ত্রী দেশ। আদতে বাংলাদেশ শুধুমাত্রই মুসলমানের দেশ। ভদ্রতা কইরা উনারা এখনো বাংলাদেশের হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিশ্চান নাস্তিকদের লাত্থি দিয়া দেশ থিকা বাইর কইরা দিতেছেন না। পুড়ায়ে মারতেছেন, কিন্তু এখনো লাত্থি দেন নাই। বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। বাংলাদেশের পাঠ্যবইয়ে হিন্দুবাদী (?) নাস্তিক্যবাদী (?) লেখকদের লেখা সরানোর কাজ অলরেডি শুরু হইয়া গেছে, জানেন নিশ্চয়। চরমোনাইয়ের পীর সাহেব বলছেন, “প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্য বইয়ে কবিতা, প্রবন্ধ, নিবন্ধ ও গল্প মোট ১৯৩টির মধ্যে ১৩৭টিই মুসলমানদের কৃষ্টিকালচারের বাইরে, হিন্দুবাদী ও নাস্তিক্যবাদীদের লেখা।” উনি কইছেন, “জাতীয় শিক্ষানীতিতে হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠা এবং মুসলমানিত্ব ধ্বংসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠার শিক্ষানীতি বাতিল না করলে কঠোর আন্দোলন শুরু করা হবে।” তা কঠোর আন্দোলন উনাদের শুরু করা লাগে নাই, তার আগেই সরকার সুরসুর কইরা সব দাবি মেনে নিয়েছেন। বলেন, মারহাবা! মারহাবা!

কিছুদিন আগেই মেয়েদের বিয়ার বয়স ১৬ করা হইছে। সৌদি আরবের পয়সায় বাংলাদেশে আরো ৫৬০টা মসজিদ বানানো হইতেছে। এইগুলিও আনন্দের খবর। তাই কাসেম সাহেবরে এখনই রুচির প্রশ্নে বাতিল কইরা দিয়েন না। আমি দেখতে পাইতেছি, পাঠ্যবইয়ে হিন্দু রবীন্দ্রনাথ ও আধা হিন্দু কাজী নজরুলের বদলে পাতায় পাতায় আমাদের নতুন সাহিত্যসম্রাট- সিতারা-এ-ইমতিয়াজ- সিতারা-এ-খেদমত- কাব্য সুধাকর- বাংলা মুসলিম সাহিত্যের দিকপাল- ইসলামী সাহিত্যের জনক- কাশেম বিন আবুবাকার সাহেবের ইসলামী তরিকার গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, কবিতা ও অন্যান্য সাহিত্য।“

কী বুঝলেন? কার কথা ঠিক? আপনি আমি কার কথা বিশ্বাস করবো? কোন দিকে যাব? অতীতকালে দর্শন শাস্রের নাম ছিল ‘তর্কশাস্র’। মোদ্দাকথায়, যুক্তি-তর্কের মাধ্যমে সত্য অনুসন্ধান করা কিংবা প্রতিষ্ঠা করা এবং মিথ্যাকে অপসৃত করাই ছিল উক্ত শাস্রের উদ্দেশ্য। কিন্তু এই ফেইসবুকীয় যুক্তি-তর্কের মাধ্যমে আমরা হয়তো পুরোপুরি সত্য জানতে কিংবা বুঝতে পারি না; তারপরেও সওয়াল-জবাবের মধ্যে দিয়ে কিছু না কিছু টের পাওয়া যায়।

চারিদিকে এত এত বলা হচ্ছে, কাশেম বিন আবুবকর ইসলামী ভাব-ধারার প্রেমের উপন্যাস লিখেছেন।ইসলামী ভাব-ধারার প্রেমটা আবার কি রকম? তিনি তার বইতে নায়ক-নায়িকার বিবাহ বহির্ভুত হালাল প্রেম এবং ডেটিং এর অবতারনা করেছেন, কিন্তু তা কি ইসলাম সম্মত? বিবাহ না করে শুধুমাত্র ‘বিসমিল্লাহ’ বলে চুমু খাবার তরিকা তিনি কোথায় পেলেন? কিংবা ডেটিং করার কথা হাদিস-কোরানের কোথায় উল্লেখ আছে? ‘বোরকা পরে প্রেম করা হালাল’ এটা তিনি কোথায় পেলেন? তিনি নিজেকে ইসলামী ভাব-ধারার লেখক হিসেবে কিভাবে দাবি করছেন? এরকম ইসলামের সাথে তো আমাদের পরিচয় নেই।নবী-রাসুলের ইসলামের সাথে তো মিল খুঁজে পাচ্ছি না।তবে ওহাবী-মওদুদীদের ইসলাম একটু অচেনাই হয়।

জনপ্রিয়তার প্রসঙ্গ; আমার পরিচিত হাতে গোনা দুই একজন শুধুমাত্র তাঁর রচিত বই ‘ফুটন্ত গোলাপ” কেউবা পড়েছে, কেউবা দেখেছে। অধিকাংশই পড়েনি কিংবা দেখেওনি। তাহলে তিনি এক জনপ্রিয় লেখক কিংবা বেস্ট সেলার লেখক হলেন কিভাবে? কেউ কেউ বলেন, গ্রামে-গঞ্জের মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক, সাধারন শিক্ষিত-আধা-শিক্ষিত মানুষের মধ্যে তার বইয়ের প্রচুর পাঠক আছে। আমার পিএইচডি গবেষনার জন্য তিনমাস একটি ইউনিয়নে থেকেছি। উক্ত ইউনিয়নের প্রতিটি বাড়ি শুমারী করেছি, জরীপ করেছি। ১১৩০০ নারীকে ইন্টারভিউ করেছি। কোনো বাড়িতে কাশেম বিন আবুবকরের এক কপি বইও দেখিনি। দুই একটি বাড়িতে যাদের ছেলে-মেয়ে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে সেখানে দুই এক কপি হুমায়ুন আহমেদ, ইমদাদুল হক মিলনের বই দেখেছি। কিন্তু লেখাপড়া জানা মানুষ বাস করে এমন প্রায় ৬০ ভাগ বাড়িতে কোরান শরীফ, মোকসেদুল মমিন, সোলেমানী-মোহাম্মাদী খাবনামা, লোকনাথ পঞ্জিকা দেখেছি। কাশেম বিন আবুবকর নাকি ১০০টি বই লিখেছেন, তার ৫টি বইয়ের নাম বলতে পারে এমন কাউকে এখনো পাইনি। তাহলে যে তথ্য প্রচার করা হচ্ছে, তার কতখানি সত্য? অবশ্যই অনুসন্ধানের দাবি রাখে।

ফেইসবুকের একজন পাঠক কিংবা পর্যবেক্ষক হিসেবে নাদিয়া ইসলামের সাথে অনেকাংশে সহমত পোষণ করে বলতে চাই, কাশেম বিন আবুবকর হচ্ছেন একটি চিহ্নিত গোষ্ঠীর প্রকল্প।এখানে সুদূরপ্রসারী কোনো পরিকল্পনা আছে।একটু অতীতের দিকে তাকালেই তা বোঝা যায়।প্রথমে কবি-লেখক-ব্লগার-প্রকাশক-মুক্তমনাদেরকে হত্যা করা হয়েছে, তারপর ভিন্ন ধারার পুস্তক প্রকাশকদেরকে বইমেলা থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে, পাঠ্যপুস্তককে মুসলমানি করা হয়েছে। কওমী মাদ্রাসার শিক্ষার স্বীকৃতি আদায় করেছে; ভাষ্কর্য্য সরানোর দাবি তুলেছে। মাঠ পরিষ্কার। প্রতিবাদ করার মতো কোথাও কেউ নেই। ফাঁকা মাঠে আন্তর্জাতিক প্রোপ্যাগান্ডার মাধ্যমে কাশেম বিন আবুবকরকে এখন হাজির করা হয়েছে। উদ্দেশ্যটা কি? উদ্দেশ্য পরিস্কার। জানিয়ে দেয়া হলো (১) বাংলাদেশে ইসলামী তরিকায় গল্প-উপন্যাস রচনা করলে বিরাট খ্যাতি লাভ করা যায় (২) প্রকাশক হিসেবে বিপুল পরিমান লাভের সম্ভাবনা আছে (৩)বাংলাদেশের মানুষ ইসলামী ভাব-ধারার গল্প উপন্যাস ভীষণ পছন্দ করে।

বাহ!কী দারুণ বিজ্ঞাপণ!কোটি টাকা খরচ করেও কেউ এমন প্রচারনা চালাতে পারবে না। বিজ্ঞাপণের ফলাফল? আগামী ২০১৮ সালের জামিয়াহ আল-বাংলা কিতাব মাহফিল (বইমেলায়) বেশ কিছু সংখ্যক ওহাবী-মওদুদী তরিকার প্রেমের গল্প-উপন্যাস প্রকাশিত হতে পারে। কাশেমই শেষ নয় তিনি প্রথম, আরো বেশ কিছু নতুন লেখকের আমদানী হতে পারে।কাশেম বিন আবুবকর এর নামে আরো বই প্রকাশ হতে পারে।তাদের বই প্রকাশ করার জন্য বাংলাদেশের প্রথম সারির প্রকাশকদেরকে হুমকি দেয়া হতে পারে,নয়তো ফয়সল আরেফিন দীপনের মতো হবে।কতিপয় প্রকাশক নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন লেখকদের কাছে ইসলামী ভাব-ধারার গল্প-উপন্যাস-কবিতার বই চাইবেন। বইমেলা শেষে সরকারকে চাপ দিয়ে ইসলামী ভাব-ধারার গল্প-উপন্যাস কিনিয়ে পাবলিক লাইব্রেরীগুলোতে দেয়া হবে।কী সেলুকাস!বিচিত্র না এই দেশ?

লেখকঃ কথাসাহিত্যিক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক।


Place your ads here!

Related Articles

The Islamic Fasting Month of Ramadhan ends with Happy Eid-ul-Fitr Celebrations

The new crescent moon or the Hilal after the fasting month of Ramadhan unites Muslims throughout the world in celebrating

নির্বাচনে মনোনয়ন বানিজ্য! এত টাকা বাংলাদেশের রাজনীতিকদের!

ফজলুল বারী: দেশের সাধারন নির্বাচন এক সপ্তাহ পিছিয়ে ভোটের দিন ৩০ ডিসেম্বর করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন বলেছে রাজনৈতিক দলগুলোর অনুরোধে

No comments

Write a comment
No Comments Yet! You can be first to comment this post!

Write a Comment