একজন দালালের আকুতি
ফজলুল বারী: আমাকে অনেকে ক্রোধে দালাল বলেন! আওয়ামী লীগের দালাল! আরেকটু কাঁচা কথায় শেখ হাসিনার দালাল! এরসঙ্গে আরেক কাঠি যোগ করে ভারতের দালাল অথবা র’এর পেইড এজেন্ট এসবও বলেন! এসব কথায় আমি একান্তে হাসি। কারন আমি জানি আওয়ামী লীগ যারা চালান এরা অন্তত জানেন তাদের কোন একটি অঙ্গ সংগঠনের কোনাকাঞ্চি দিয়েও কখনও আমার নাম ছিলোনা। এমনকি আওয়ামী লীগের সাংবাদিক সংগঠনেরও না। ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্য হতে আওয়ামী ফোরাম অথবা বিএনপি-জামায়াত ফোরামের সদস্য হতে হয়। প্রেস ক্লাবের সদস্য পদের জন্যে আমি একবার আবেদন করেছিলাম। কিন্তু যেহেতু কোন ফোরামই আমাকে তাদের সদস্য মনে করেনি, তাই আমার সদস্যপদ হয়নি। আমি মাঠেঘাটে, দেশবিদেশে কাজ করা সাংবাদিক। প্রেসক্লাবের সদস্যপদের জন্যে আওয়ামী লীগ-বিএনপি-জামায়াতের ফোরামের অনুমোদন বা পারমিশন নিতে হবে কেনো, এই মানসিক আপত্তিতে এরপর আর কোনদিন ঢাকার এই হলুদ বাড়িটির সদস্য হবার চেষ্টা করিনি। এরজন্য আমার সাংবাদিকতা পেশা চালিয়ে যেতে কোন সমস্যাও হয়নি।
এখন আমি অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক। এদেশের মূলধারার রাজনৈতিক দল অস্ট্রেলিয়ান লেবার পার্টির সঙ্গে সক্রিয়। কিন্তু যেহেতু আমার জন্মভূমি বাংলাদেশ, মাতৃভাষা বাংলা, এবং দ্বৈত নাগরিকত্বে বাংলাদেশের নাগরিকও লেখালেখিতে আমার অডিয়েন্স যেহেতু বাংলা ভাষাভাষি পাঠক, তাই বাংলাদেশের মিডিয়ায় এবং ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত লিখি। এক্ষেত্রে আমার মূল চেতনার জায়গাটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, এর প্রদর্শিত-নির্দেশিত পথ। বাংলাদেশের মিডিয়ায়ও আসার আগে যেহেতু এ বিষয়টি নিয়ে সারাদেশ পায়ে হেঁটে ঘুরে ঘুরে আমি প্রায় আঠারো মাস কাজ করেছি, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গবেষনায় কলকাতা সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন শহর, ত্রিপুরার আগরতলায় কাটিয়েছি লম্বা সময়, পুরো বিষয়টি নিয়ে আমার ব্যক্তিগত অনেক সংগ্রহ-তথ্য-উপাত্ত-মূল্যায়ন ও আবেগ জড়িত। এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে আমি মোটেই নিরপেক্ষ কেউ নই।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষ দুটি ছিল। একটি বাংলাদেশপক্ষ আরেকটি পাকিস্তানপক্ষ। এখানে নিরপেক্ষ অভিনেতা সাজার সুযোগ কোথায়? আমার অভিজ্ঞতা-মূল্যায়ন হচ্ছে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে যাবার পর বাঙালি পাকিস্তানি যারা এখানে আটকা পড়েন অথবা ইচ্ছা থাকা স্বত্ত্বেও পাকিস্তানে চলে যেতে পারেননি বা পাকিস্তান তাদের নিতে রাজি হয়নি, তারাই এখানে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষ সম্পর্কে নিরপেক্ষতার ধুয়ো তুলতে শুরু করেন! তাদের সংখ্যাটি এখন অনেক বড়। কিন্তু আপনি মুক্তিযুদ্ধের সত্য যদি মানেন তাহলে মানতে হবে এই যুদ্ধ হয়েছে সত্তুরের নির্বাচনে এক চেটিয়া বিজয়ী আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে। মুক্তিযুদ্ধের প্রবাসী সরকারের নেতৃবৃ্ন্দও সবাই ছিলেন আওয়ামী লীগের নেতা। এবং এদের সবার নেতা ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। একাত্তরে বাংলাদেশের বাইরে এবং বাংলাদেশের ভিতর থেকে যারা যুদ্ধ করেছেন, সিরাজ শিকদারের নেতৃ্ত্বাধীন ছোট একটি গ্রুপ ছাড়া সবাই যুদ্ধ করেছেন বঙ্গবন্ধুকে মুক্তিযুদ্ধের নেতা মেনে প্রবাসী মুজিবনগর সরকারের আনুগত্যে। জিয়া নগর জাতীয় বিষয়আশয়তো পয়দা করা হয়েছে পাকিস্তানি নকশায় বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর।
এবং এই যুদ্ধটি হয়েছে ভারত-তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায়। একাত্তরের দেশি-বিদেশি কোন একটি দলিলে এর বিকল্প কোন তথ্য-উপাত্ত কেউ হাজির করতে পারবেননা। আজকের বাংলাদেশ নানাকিছুতে মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা-আদর্শ থেকে খন্ডিত বিচ্যুত হলেও এর মূলধারাটি এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ তথা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রবাহমান। এটি সর্বশেষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার থেকে শুরু করে নানাকিছুতে এখন আরও চিহ্নিত-প্রতিষ্ঠিত। বিপক্ষ পাকিস্তানি ধারাটি বিএনপি তথা খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে চলে আওয়ামী লীগ চাইলেও খালেদার পাকিস্তানি এজেন্সি কেড়ে নিতে পারবেনা।
কাজেই মুক্তিযুদ্ধের মূলধারার পক্ষে থাকাতে যার খুশি আমাকে আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনার পক্ষে থাকাকে আপনি আমাকে দালাল বলতেই পারেন। কারন সাংবাদিক হিসাবে মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনার প্রশ্নে আমি মোটেই নিরপেক্ষ নই। এ আমার ঘোষিত পক্ষপাতিত্ব। আজকাল ফেসবুকের কারনে যখন কেউ কাউকে দালাল বা কাউকে কোন বিশেষ অভিধায় চিহ্নিত করেন তার প্রোফাইল-টাইম লাইনে গেলেই তাকে বা তাদেরকে চিনতে পারা যায়। আ্মরা আমাদের পছন্দের লেখা-ছবি-ডকুমেন্টসই সোশ্যাল মিডিয়ায় যার যার টাইমলাইনে শেয়ার করি। উনাদের টাইমলাইনে এক নজর চক্কর দিলেই তাদের মকসুদে মঞ্জিল চেনা-জানা যায়। ইনারা মূলত বিএনপি-জামায়াতের সমর্থক অথবা দোসর। বিএনপি-জামায়াতের পক্ষে থাকা অথবা যুক্তিহীন আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করাকেই ইনাদের বিবেচনায় ‘নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা’!
আমার এই নিরপেক্ষ সাজার দরকার নেই। বিবেক যা সায় দেয় তাই লিখি এবং বলি। সেটি আওয়ামী লীগের পক্ষে গেলো না বিপক্ষে গেলো তা নিয়ে ভাবিনা। আওয়ামী লীগের কাছে যা কিছু আমার প্রত্যাশার না এর আমি অকপট বিরোধিতা করি। এতে প্রায় আওয়ামী লীগাররা আমার ওপর ক্ষিপ্ত হন। যেহেতু আমি কখনো আওয়ামী লীগ করিনি বা আগামীতেও প্রত্যক্ষভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার ইচ্ছা নেই, তাই আওয়ামী লীগের ভুল অকপটে লিখার বলার মূল কারন আমিও মনে করি আওয়ামী লীগ হেরে গেলে বা ক্ষমতাচ্যুত হলে বাংলাদেশ হেরে যায়। শেখ হাসিনাকে আমি আপনি যত অপছন্দ সমালোচনা করিনা কেন তার নেতৃ্ত্বের দৃঢ়তায় বাংলাদেশে শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ফাঁসি হয়েছে। গত আট-নয় বছরে নানাক্ষেত্রে অবিশ্বাস্য এগিয়েছে বাংলাদেশ। আর এসব কীর্তির কারনে বাংলাদেশে ইতিহাসে শেখ হাসিনা স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। আরেকটি বিষয়ে আমি গোঁড়া। আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশি বাঙালি হিসাবে আমার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মোহাম্মদ আলী জিন্নাহকে জাতির পিতা মানতে-ডাকতে আপনার অসুবিধা হতোনা, এখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা মানতে-ডাকতে আপনার এলার্জির সমস্যা দেখা দেয়, হযরত ইব্রাহিম(আঃ)’এর কথা মনে পড়ে যায়! এসব আপনার অসুস্থতা-অসততা। কোন ডাক্তার-পয়গম্বরের কাছে গিয়ে এসব অসুস্থতার নিরাময়, অসততার নিবারন সম্ভব নয়। এসব নিয়ে আপনি নিজেও বেশিক্ষন বাঙালি হিসাবে চলতে পারবেননা। হৃদরোগের সমস্যা দেখা দেবেই।
দালালদেরতো কিছু চাওয়াপাওয়ারও থাকে। আমি যেহেতু বিদেশে থাকি, ডলারে উপার্জন করি, দেশে টাকা পাঠাই, দেশকে এখন শুধু আমার দেবার পালা। নেবার নয়। আমি যেহেতু আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে কোনদিন কিছু চাইনি, একটা প্লটও নয় সে জন্যে দেশের কোথাও আমার এক টুকরো জমিও নেই। এসব নিয়ে আমার কোন আক্ষেপও নেই। কারন দেশ-জন্মভূমি এসবের চাইতে আমার কাছে অনেক বড়। তবে এই প্রথম আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বা রাষ্ট্রের কাছে হাত পেতে চেয়েছি। তবে তা আমার নিজের জন্যে না। একজন মুক্তিযোদ্ধার জন্যে। যাদের যৌবনের অকুতোভয় যুদ্ধে আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন দেশ, একটা নতুন পরিচিত-পতাকা, তাদের একজনের জন্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তথা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের কাছে হাত পেতে সাহায্য চেয়েছি।
মুক্তিযুদ্ধের স্থানীয় ইতিহাস খুঁজতে আমি যখন পায়ে হেঁটে বাংলাদেশ ভ্রমন করছিলাম তখন নেত্রকোনার পূর্বধলার শ্যামগঞ্জ বাজারে পৌঁছবার পর এই মুক্তিযোদ্ধা আবু সাঈদ ভাইর সঙ্গে প্রথম দেখা। আমি তখনও জানতামনা ইনি মুক্তিযুদ্ধের ১১ নম্বর সেক্টরের সালাহউদ্দিন কমান্ডের দুর্ধর্ষ কমান্ডার, কর্নেল তাহেরের ছোটভাই, তাদের ভাইবোনদের সবাই মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশ নিয়েছিলেন। সেই থেকে সাঈদ ভাইর সঙ্গে আমার যোগাযোগ চলে আসছে। আমি যখন মিডিয়ায় আসি আজকের আওয়ামী লীগের এত গিজগিজ নেতাকর্মী ছিলোনা। তাহের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সাঈদ ভাই প্রথম জাসদ ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। শেখ হাসিনাকে নিয়ে প্রেসক্লাবে, রিপোর্টার্স ইউনিটিতে একাধিক সভা করেন, সেই সাঈদ ভাই এখন এক রকম কপর্দকশূন্য অবস্থায় মৃত্যু শয্যায়! তিনি যখন দেশ দেশ করে ঘুরে বেড়িয়েছিন, ছেলেমেয়েদের পড়াশুনা করান ভাবী। তাদের একমাত্র ছেলেটি প্রকৌশল চাকরি নিয়ে ভালোই ছিল। বন্ধুদের সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রামে বেড়াতে গিয়ে কাপ্তাই লেকে ডুবে সেই যে মারা গেল ছেলে তূর্য, মুক্তিযোদ্ধা সাঈদ ভাই দেশের এত ভার একা একা নিতে চেয়েছেন, কিন্তু সন্তানের লাশের ভার নিতে পারেননি! সেই থেকে গত ১০ বছরের বেশি সময় ধরে শয্যাশায়ী প্রিয় সাঈদ ভাই। বিষন্নতার রোগের সঙ্গে এখন কিডনি সহ বয়োঃবৃদ্ধ সময়ের নানা রোগব্যাধি তাকে কাবু করে ফেলেছে।
গত বছর দেশে গিয়ে সাঈদ ভাইকে দেখে বেশ বিচলিত বোধ করি। প্রিয় আমাকে দেখে তিনি বেশ চাঙ্গা হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু আমিতো দেশে বেশিদিন থাকতে পারিনি, বা তাকে আমার কাছে নিয়ে আসতে পারিনি, গত এক বছরে তার অবস্থার শুধু অবনতিই হয়েছে। এই সময়ে তার অনুজ ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল এমপি পাশে দাঁড়ানোয় কপর্দকশূন্য সাঈদ ভাইর অন্তত বিনা চিকিৎসায় মরতে হয়নি। সাঈদ ভাইর মেয়ে লোপা কানাডায় স্বামীর সঙ্গে পড়তে যাবার পর থেকে তাকে ন্যাম ভবনের ফ্ল্যাটে রেখে চিকিৎসা করাচ্ছেন বেলাল ভাই। কিন্তু প্রতিদিন তার অবস্থার শুধু অবনতিই হচ্ছে। বাবার অবস্থার অবনতির খবর শুনে ক্লাসের ছুটিতে কানাডা থেকে ছুটে এসেছে লোপা। আমি অন্য কারনে এই পরিবারটিকে নিয়ে বিচলিতবোধ করি। এখন বেলাল ভাই সাঈদ ভাইর চিকিৎসার সবকিছু করছেন, কিন্তু তার মৃত্যুর পরতো অসহায় হয়ে যাবেন আমাদের পপি ভাবী। কারন এদের ঢাকায় মাথা গোঁজার কোন ঠাই নেই। সাঈদ ভাই সে চেষ্টাও কোনদিন করিনি। সাঈদ ভাইকে তাহের পরিবারের সব সদস্য দাদাভাই ডাকেন। বেলাল ভাইর সঙ্গে পরামর্শ করতে গেলে তিনি সাফ বলেন দাদা ভাই রাষ্ট্র বা কারও সাহায্য নেবেন মনে হয়না।
আমাকে সবাই যে শেখ হাসিনার দালাল বলেন, আমার ব্যর্থতা হচ্ছে তার অফিসের সিনিয়র কাউকে সেভাবে চিনিনা জানিনাও। ওখানে আমার প্রিয় এক ছোটভাই আছে। আশরাফুল আলম খোন, প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি। খোকনের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে পরামর্শ করতেই সে সোমবার(১৫ এপ্রিল) পপি ভাবী আর লোপার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দেখা করিয়ে দিয়েছে। একটি অসহায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের প্রতি মমতা নিয়ে তাদের সংকটের কথা শুনেছেন প্রিয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাঈদ ভাইর শারীরিক খোঁজ-খবর নিয়েছেন। যেখানে আগ বাড়িয়ে আমার উদ্যোগ স্বত্ত্বেও ভাবী সেখানে যেতে ইতঃস্বত করছিলেন, আমি তাকে বুঝিয়েছি আমরা রাষ্ট্রের কাছ থেকে একজন মুক্তিযোদ্ধার জন্যে কিছু নেবো, যিনি কোনদিন রাষ্ট্রের কাছে কিছু চাননি, রাষ্ট্র যদি কিছু দেয় আমরা নেবোনা কেনো। যেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাতো অনেকেই অনেককিছু দেন।
প্রিয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আমি কোনদিন আমার নিজের জন্যে আপনার বা বাংলাদেশের কারো কাছে কিছু চাইনি, এই প্রথম হাত পেতে চাইছি আপনার কাছে, আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধা সাঈদ ভাইর জন্যে অনেককিছু করতে পারেন আপনি। আপনার নেতৃত্বের দেশে তার মতো একজন মুক্তিযোদ্ধার পরিবার যেন কোন কারনে অসহায়ত্বে না ভোগে। আমি চাইছি একজন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার চিকিৎসা, পরিবারটির আশ্রয়ের দায়িত্ব রাষ্ট্র নিক। একজন মুক্তিযোদ্ধার জন্যে আমার দালালির ইনাম আপনার কাছে হাত পেতে চাইছি প্রিয় প্রধানমন্ত্রী। কারন জানি এই মুক্তিযোদ্ধা সাঈদ ভাই আপনারও প্রিয়। প্লিজ প্রিয় প্রধানমন্ত্রী, প্লিজ।
Related Articles
মেলবোর্নের চিঠি – ৮
‘’মুনিয়া’’ ‘মুনিয়া’ বাবা মায়ের চতুর্থ সন্তান। দুই বোন আর এক ভাইয়ের পর প্রায় অর্ধ যুগ পর ওর এই পৃথিবী আগমন।
প্রফেসর, কলামিস্ট, কবি ডঃ মিল্টনকে হত্যার হুমকি
নিউ ক্যাসেল ইউনিভার্সিটির প্রফেসর, জনপ্রিয় কলামিস্ট, কবি ডঃ আবুল হাসনাত মিল্টনকে একটি এমেইল একাউন্ট থেকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। বলা
সাফিনার সারাবেলা
সাফিনার সাথে আমার পরিচয় খুবই কাকতালীয়ভাবে। বাংলাদেশি কমিউনিটির একটা অনুষ্ঠানে গেছি। ভিতরে বড়রা বিভিন্ন ধরণের পরিবেশনায় ব্যস্ত। কিন্তু আমার ছেলেটাকে