আসুন নিজেকে প্রশ্ন করি – যা করছি তা কি ধর্ম সম্মত ? কোন পথ বেছে নেবো ?

আসুন নিজেকে প্রশ্ন করি – যা করছি তা কি ধর্ম সম্মত ? কোন পথ বেছে নেবো ?

২৭ শে রোজা শেষ না হতেই ঈদের ঘোষনা ,বিচিত্র আমাদের ধর্ম চর্চা ,এই শহরের গুনী মানুষ গুলো ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চার মতো লাফায়, দুইটায় দুধ খায় আর তিন নাম্বারটা দেখেই লাফায়। চৌদ্দশ বছরের আমাদের ধর্মের ইতিহাসে এধরনের নজির কি পাওয়া যায়? মনে পরে ছেলে বেলার কথা, আব্বার তখন চাঁদপুরে কর্মস্থল, থাকি সরকারি কলোনিতে, রোজার শেষে দলবেধে কলোনির মাঠে এক হতাম, চাঁদ দেখার জন্য, যে বার চাঁদ দেখা যেতোনা , মনটা খারাপ হয়ে যেতো, ইশ আরও একটা দিন অপেক্ষা করতে হবে , নতুন জামা জুতা পরার জন্য, পত্রিকার শিরনাম থাকতো- “আজ চাঁদ দেখা গেলে কাল ঈদ” ।

কোন কোন চাঁদ রাতে মশাল জ্বালাতাম, আবার কখনও কখনও নানা বাড়ীর পুকুর পারে বুডীর ঘর বানানো হতো খালাতো মামাতো ভাইবোনরা মিলে, শীতে ভোররাতে ঘুম থেকে উঠে পুকুরে গোসল করে, বুডীর ঘরে আগুন জ্বালিয়ে দেয়া হতো – এ সবই ছিলো আমাদের ছেলে বেলার চাঁদ রাতের আনন্দ । দেশ ছেড়ার পর যেনো নতুন করে ধর্ম শিখছি। এ যেনো সত্যজিৎ রায়ের হিরকরাজার দেশের মতো – কিসের আবার চাঁদ ? যখন বলব ঈদ তখনই ঈদ। এতো এক মহা ফেছাদ? ছেলেরা যখন বলে- বাবা ঈদে তো এখন আনন্দ হয়না , মনটা তখন ভিশোন খারাপ হয়ে যায় , ছোট্ট একটা কমিউনিটি আমাদের, অথচ কি অশান্তি । গুটি কয়েক জন মানুষ আমাদের শত বছরের ধর্মের বিধানকেই বদলে দিতে চাচ্ছে আর বলছে – একিনা কমিউনিটির একতার জন্য । একতা হবে কিসের ভিত্তিতে? কোরান হাদিস শারিয়া সুন্নাহ ভিত্তিতে ? না কি ওহাবি সালাফিদের বিদাহর ভিত্তিতে?

আসুন দেখি আমাদের এই নতুন দেশের কিছু ইসলামী সংগঠনের ঈদের উপর বিবৃতি কিংবা ফাতোয়া। এক জন ৩/৪ দিন আগেই হিরকরাজার মতো ঈদের ঘোষনা দিচ্ছে, আরেক জন বলছে হাজার বছরের চিরায়েত পথের কথা, এখন পছন্দ আমাদের । শুধু দুংখ ছোটদের আনন্দটা আমরা মাটি করে দিচ্ছি , গুটি কয়েক তথাকথিতো রাজনৈতিক ইসলামি চিন্তাবিদের উর্বর চিন্তার কারনে। আর এজন্যই এতো রক্তপাত আর অনাচার আরব ভুবনে।




Place your ads here!

Related Articles

বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৮

আমাদের সময় ছিল মোহামেডান – আবাহনী। কত দিনরাত গেছে শুধু নিজ ক্লাবের শ্রেষ্ঠত্ব তুলে ধরতে। ফুটবল নিয়ে ইটা ইটি, মারামারি,

Let’s Keep Science Moving Forward In Bangladesh

From my last radio program, I came to know about a group of young stargazers working in Anushandhitshu Chokro, a

সুপার ফুড ও কালোজিরা কাহিনী

দিলরুবা শাহানা: সুপার ফুড নামে নয় তবে বড়দের মতে দারুন উপকারী খাবার অনেক আগেও ছিল । ছোটদেরকে অনেক কষ্ট করে

No comments

Write a comment
No Comments Yet! You can be first to comment this post!

Write a Comment