দখল বানিজ্যে আওয়ামী লীগ এগিয়ে – হিন্দুদের জমি/সম্পত্তির লোভ
পাকিস্তান আমলে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে চা শ্রমিকদের ভোটাধিকার ছিলোনা। বঙ্গবন্ধুর নেতৃ্ত্বে আওয়ামী লীগের সংগ্রামে তাদের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই কৃতজ্ঞতায় বংশ পরষ্পরায় চা শ্রমিকরা আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়। আওয়ামী মুসলিম লীগ থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দেবার পর এ অঞ্চলের হিন্দুরা আওয়ামী লীগকে একটি ধর্ম নিরপেক্ষ সংগঠন হিসাবে নিজেদের সংগঠন অথবা আশ্রয় ভাবতে শুরু করে। আওয়ামী লীগও এনজয় করতে শুরু করে শতভাগ হিন্দু ভোট। কিন্তু আওয়ামী লীগের নাম থেকে মুসলিম বাদ গেলেও এর অনেক নেতার মন থেকে সেটি বাদ যায়নি! ভোট এনজয় করলেও এ দলের অনেক নেতার মনের ভিতর হিন্দুরা মালাউনই থেকে যায়! কেউ মালাউন বলতো প্রকাশ্যে, কেউ আড়ালে! এরকারনে এখানে যখনই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা অথবা হিন্দুদের ওপর আক্রমন হয়েছে, তখন হিন্দু সম্পত্তি দখল-লুটপাটে কেউ কারো থেকে কম যাননি।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগ সহ এখানকার নেতৃত্ব যে ভারতে আশ্রয়-সহযোগিতা পেয়েছে এর অন্যতম কারন এ অঞ্চলের হিন্দু জনগোষ্ঠী। ভারতে আশ্রয় নেয়া শরণার্থীদের ষাটভাগ অথবা এরও বেশি ছিলেন হিন্দু। কারন হিন্দুরা পাকিস্তানিদের আক্রমনের অন্যতম প্রধান টার্গেট ছিলো। এভাবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ক্ষতগ্রস্ত হিন্দুরা। তাদের প্রায় সবার বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। লুটপাট করা হয়েছে। বাংলাদেশ একটি ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হবে, এখানে হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবার সমান অধিকার হবে এসব প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাংলাদেশ ভারত থেকে সহায়তা নেয়। মুক্তিযুদ্ধের ঘোষনাপত্র- বাহাত্তরের সংবিধানও সেভাবে করা হয়। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান নেতৃত্বের মনে ছিল অন্য কথা! সে কারনে এ বাংলাদেশ বদলে যেতেও সময় লাগেনি! ধর্ম নিরপেক্ষ বাংলাদেশ ছুটে যায়, ইসলামী দেশগুলোর ওআইসি সম্মেলনে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়া-এরশাদ-খালেদা ইসলামকে রাষ্ট্র ধর্ম প্রতিষ্ঠা করে ধর্ম নিরপেক্ষতাকে জলাঞ্জলি দেয়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে অটুট রেখেছে রাষ্ট্রধর্ম।
এটি অবশ্য এখন আর বঙ্গবন্ধু বা জাতীয় চার নেতার আওয়ামী লীগ নয়! এটা বগলে ইট মুখে শেখ ফরিদ গোল টুপি-হিজাবওয়ালাদের আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশ সব রাজনৈতিক দল মুক্তিযুদ্ধের রাজনৈতিক আদর্শ, দেশের হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। হিন্দুদের জমি-সম্পত্তি এদের লোভের শিরোনাম। এই দখল বানিজ্যে আওয়ামী লীগ এগিয়ে! প্রধানমন্ত্রীর বেয়াই কীভাবে সর্বশেষ ফরিদপুরের বিশাল হিন্দু-সম্পত্তির মালিক হয়েছেন, এই একটা কেস ঘাটলেই এর উত্তর পাওয়া যাবে। বিএনপি-জামায়াতের কোন নেতা এমন কিছু করার সাহস করতেন না। এই যেখানে বাংলাদেশের চলতি পরিস্থিতি সেখানে নাসিরনগরের এক ছায়েদুল হক হিন্দু ভোটে বারবার এমপি হয়ে হিন্দুদের কয় নাম্বার নাগরিক বানান না মালাউন বলেন, এসব কোন আহামরি বিষয় না। ইন্ডিপেন্ডেন্টস টিভিতে শ্যামল দত্ত সম্ভ্রম রক্ষায় নাসিরনগরের হিন্দু মেয়ে-গৃহবধূদের সারারাত নদীতে ভেসে থাকার বীভৎস ঘটনা বলেছেন! এমন ঘটনা আওয়ামী লীগ যাদেরকে দেশের হিন্দুরা আশ্রয় মনে করে সে আমলে ঘটেছে! এটাই দূর্ভাগ্যের 🙁
Related Articles
সবাই আমার ভালবাসা চায়
করিম আলী’র ডুব সাঁতার – সবাই আমার ভালবাসা চায় [করিম আলী’র ডুব সাঁতার – আমার নামে লেখা হলেও, কথা গুলো
বিশ্বজিৎ হত্যার রায়: চ্যালেঞ্জ এবং এক্সপেকটেশন
কিছুদিন আগে সুপ্রীম কোর্ট একটা যুগান্তকারী রায় দিয়েছেন। এতে বর্তমান সরকার কিছুটা ক্ষুব্দ, এবং বিচলিত হয়েছেন বলে খবরে এসেছে। বাংলাদেশের
Bikrampur International Airport
প্রসঙ্গ পদ্মাসেতুঃ জাতিয় উন্নায়নের বাধার রাজনীতি কখনো কল্লান কর নয় । বিক্রমপুরের বুঁক চিরে দক্ষিন পষিচমাঞ্চলের উন্নায়নের দ্বার খুলে দেবে
Very timely but unpopular topic. Hindu population in Bangladesh are facing extinction – declined from 30% during religion based partition in 1947 to 20% after 1971 independence war to 6% now in 2016. Power hungry politicians have been exploiting religious sentiments mercilessly in the expense of the religious minorities in Bangladesh. People are busy talking about minority oppression in Burma, Palestine and Kashmir but keeping their eyes, ears and mouths shut about the minority cleansing in their own backyards in Bangladesh. Thanks to a few kind hearted people like Mr Fazlul Bari to stand by these helpless citizens of the country. Thank you sir.