সাব্বিরের রানআউটটাই ছিল ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট

সাব্বিরের রানআউটটাই ছিল ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট

ফজলুল বারী, সিডনি থেকে
মাশরাফি বিন মুর্তজার মতে সাব্বিরের রানআউটটাই ছিল ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। উইকেটে তখন ইমরুল-সাব্বির দু’জনই তখন সেট অবস্থায় ছিলেন। প্রতিপক্ষ ওই সময়ে একটা ব্রেকথ্রু চাচ্ছিল। সাব্বিরের রান আউটের মাধ্যমে তারা তখন তা পেয়ে যায়। মাহমুদুল্লাহ-সাকিব দু’জনেই তখন উইকেটে নতুন গিয়ে সবকিছু নতুন করে শুরু করছিলেন। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের আউটকে অতোটা দোষারোপ করতে চাননি ম্যাশ। বলেছেন, তার বিরুদ্ধের বলটা অসাধারন রকমের ভালো একটি বল ছিল। সাকিবের নাম উল্লেখ না করে বলেছেন এরপরের ব্যাটসম্যানরা আরো দেখেশুনে খেলতে পারতেন। সৌম্যর অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। ম্যাশ বলেন নুরুলও ভালো ব্যাট করছিল। কিন্তু তাকে সাপোর্ট দেবার কেউ ছিলোনা।

খেলা শেষের ব্রিফিং’এ খুব স্বাভাবিক মনভাঙ্গা অবস্থায় ছিলেন বাংলাদেশের ক্যাপ্টেন। কিউই এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বলেন উপমহাদেশের যে কোন দল এই কন্ডিশনে এসে খুব স্বাভাবিক ভালো কিছু করতে চায়। আমরা আজ তেমন একটি সুযোগ তৈরি করেছিলাম। কিন্তু সুযোগটি কাজে লাগাতে পারিনি। মাশরাফি বলেন আজকের ম্যাচে জিতলে পরবর্তি ম্যাচেও জয়ের একটি ক্ষেত্র তৈরি হতো। এতো সহজ সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে না পারায় খুব স্বাভাবিক খেলোয়াড়রা মানসিকভাবে মুষড়ে পড়েছেন। এখন তাদের সঙ্গে বসে আমাদের পরের খেলায় জয়ের প্রস্তুতি নিতে হবে।

মুশফিক না থাকার প্রভাব কী পড়েছে এই ফলাফলে? এ প্রশ্নের জবাবে মাশরাফি বলেন, মুশফিক না থাকাটাতো অবশ্যই আমরা মিস করেছি। গত দেড় বছর ধরে মুশফিক ভালো রান করছিল। তার জায়গায় সোহান ভালো খেলেছে। এরপরও মুশফিকের অভাবতো পূরন হবার নয়। এরপরও আমাদের পরের খেলায় জয়ের জন্যে প্রস্তুত হতে হবে। সে প্রস্তুতি শুরু হবে এখন থেকেই।


Place your ads here!

Related Articles

বহে যায় দিন – ক্যানবেরা – দ্য ‘বুশ ক্যাপিটেল’, দ্য ‘মিটিং প্লেস’

> বহে-যায়-দিন সকল প্রকাশিত পর্ব > ।। দুই ।। ক্যানবেরা – দ্য ‘বুশ ক্যাপিটেল’, দ্য ‘মিটিং প্লেস’ (২০০৬ প্রকাশিত ধারাবাহিকের পুনঃ

Australia’s First Female Prime Minister

We are used to women Prime Ministers in South Asia and it all started in 1960 with Ms. Srimavo Bandarnaike

‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস স্মৃতিসৌধ’ এবং ‘একুশে’র বিশ্বায়ন’

প্রেক্ষাপটঃ “আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস স্মৃতিসৌধ” এবং “একুশে’র বিশ্বায়ন” সম্প্রতি প্রবাসে, বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়াতে “শহীদ মিনার” প্রতিষ্ঠা এবং এনিয়ে বাংলাদেশীদের মধ্যে

No comments

Write a comment
No Comments Yet! You can be first to comment this post!

Write a Comment