এমন অনেকেই নিঁখোজ
গুলশান কান্ডের পর RAB এর ডিজি কারো ছেলেমেয়ে নিখোঁজ হয়ে গেলে তা পুলিশকে জানাতে বলেছেন। এখন পর্যন্ত অন্তত তিনজন অভিভাবক জানিয়েছেন, তাদের ছেলে নিখোঁজ হবার তারা পুলিশকে জানিয়েছেন, জিডি করেছেন, কিন্তু পুলিশ তাদের হদিশ জানাতে পারেনি। উল্টো বলেছে এমন অনেকেই নিঁখোজ! অনেক বড় বড় কর্মকর্তা ব্যবসায়ীদের ছেলেমেয়েরা নিখোঁজ! পুলিশ যাদের কোন হদিশ পাচ্ছেনা! এই যদি অবস্থা হয়, ঘটনার জন্য শুধু জংগীদের অভিভাবকদের এক তরফা দোষ দেয়াটা ঠিক হবেনা। ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হবার পর তার স্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংগে দেখা করতে গিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী তাকে আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, কেউ যদি নিখোঁজ হয় বা তাকে পাওয়া না যায় তাকে খুঁজে বের করার দায় সরকারের, রাষ্ট্রের। ইলিয়াস আলীকে যায়নি। গুলশানে রক্তাক্ত ঘটনার আগ পর্যন্ত এই নিখোঁজ ছেলেদের হদিশ বের করতে পারেনি রাষ্ট্র। এই ব্যর্থতা রাষ্ট্রেরও।
এত কম বয়সী কয়েকটা ছেলে। একজন কোচিং এর কথা বলে বাসা থেকে বেরিয়ে হাওয়া হয়ে গেছে! একজন মালয়েশিয়া থেকে বিমান বন্দর দিয়ে ঢাকায় ঢুকে হাওয়া হয়ে গেছে! উদ্বিগ্ন অভিভাবকদের অভিযোগ-জিডি পেয়েও পুলিশ, রাষ্ট্র তাদের খুঁজে বের করতে পারেনি! তাঁরাই ঘটিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসের নজিরবিহীন এক জিম্মির রক্তাক্ত ঘটনা! পুরো বিষয়টি বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির ভিত্তি ধরে টান দিয়েছে! আগে আমরা বিভিন্ন সময় দেখেছি পুলিশের পাশাপাশি RAB, নানা কাজ করে। জংগী ধরে। সরকারের বিভিন্ন ডিটেকটিভ সংস্থা কাজ করে। তারা কী এসব বিষয়ে আগের মতো কাজ করছে? তাহলে তারা সফল হতে পারছেনা কেনো? সমস্যাগুলো কোথায় জট পাকাচ্ছ? না একজন ভাবছে আরেকজন গুম করে ফেলতে পারে! পুরো বিষয়গুলোর খোলনলচে নিয়ে কাজ করা দরকার। কারন এসব ঘটনায় উল্টো এখন রাষ্ট্র গুম হয়ে যাচ্ছে !
আমি প্রায় একটা লিখি বলি তাহলো এই জংগীদের শুধু সন্ত্রাসী বললে ভুল করা হবে। কারন তারা টাকার জন্য ভাড়া খাটতে যায়না। যাচ্ছেনা । তাদের মোটিভেশন মূল। পুলিশের বা বিভিন্ন বাহিনীর যারা এসব নিয়ে কাজ করেন তারা চাকরি করেন। কিন্তু এরা চাকরি করেনা। এদের শেখানো হয়েছে ক্রুসেড! ইসলাম বা অন্য সব ধর্মাবলম্বীদের হত্যা, ক্ষতিগ্রস্ত করার ক্রুসেড! ক্রুসেডের লক্ষ্য ইসলামী সমাজ রাষ্ট্র ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠা। আমাদের দেশটায় এখন প্রায় সব বড় দল প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে ইসলামী জীবন ব্যবস্থা চায়! কেউ চায় ব্যক্তিজীবনে, কেউ রাষ্ট্রীয় জীবনে! কেউ বক্তৃতায়, কেউ লিখিতভাবে।কেউ ঘোমটা দিয়ে নাচছে, কেউ ঘোমটা ছাড়া! ক্রুসেডওয়ালারাও ইসলামী জীবন ব্যবস্থা-রাষ্ট্র চায়। তাদেরটা অস্ত্রহাতে। লক্ষ্য এক, পদ্ধতি ভিন্ন! সব মিলিয়ে যে সব কথাবার্তা বলে বাংলাদেশের যুদ্ধ হয়েছিল, সেটি এখন লক্ষ্যচ্যুত। বাংলাদেশ নামের লাইনচ্যুত গাড়িটাকে সাহসের সংগে নিজস্ব লাইনে ফিরিয়া আনা ছাড়া এই জংগী সমস্যার সমাধান নেই।
Related Articles
মেলবোর্নের চিঠি – ৮
‘’মুনিয়া’’ ‘মুনিয়া’ বাবা মায়ের চতুর্থ সন্তান। দুই বোন আর এক ভাইয়ের পর প্রায় অর্ধ যুগ পর ওর এই পৃথিবী আগমন।
Come and enjoy Diwali Festival in Melbourne with Sabina; the first Bangladeshi property manager in Melbourne!
Sabina Hoque, our first Bangladeshi Investment property manager in Melbourne, is going to attend the 2014 Diwali Festival in Melbourne
Trial of Alleged War Criminals and Abettors
The term “war criminal” is a generic term. It refers to a person who allegedly committed any of the three