বাংলাদেশ এবং নিউজিল্যান্ড

বাংলাদেশ এবং নিউজিল্যান্ড
অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড এর খেলাতে আবারও প্রমানিত হলো বিপক্ষ দল এবং অল্প রানকে অবজ্ঞা করলে কি পরিনতি হয় I অন্যদিকে ইংল্যান্ডএর বিরুদ্বে থিরিমানে শেষের দিকে তাড়াহুড়া করতে শুরু করলে সাঙ্গাকারা এসে থিরিমানেকে ধৈর্য় ধরে খেলতে উপদেশ দেয় I শ্রীলংকা আর কোনো উইকেট না হারিয়ে জয়ী হয়ে ঘরে ফিরে I এ থেকে আমাদের কি কিছুই শেখার নাই?

আমার অনেক দেশবাসী স্কটল্যান্ড এর বিরুদ্বে মাঠে নামার আগেই বাংলাদেশকে জয়ী ভাবতে শুরু করেছে I আর আমাদের কিছু পত্রিকাতো ইংল্যান্ডকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে চলেই গেছে I একজন স্পিনার বেশি খেলবে, নাকি পেসার খেলবে, তাই নিয়ে আমাদের কিছু স্পর্ট রিপোর্টার, যারা জীবনে একবার ক্রিকেট ব্যাটও ধরে দেখে নাই, বিশেষজ্ঞ মতামত দেয়া শুরু করেছে I এতে সব সময়ের মতই আমাদের প্রথম-আলো এগিয়ে I বাসে আগুন দেয়া, সুশীল সমাজের চারকোনা টেবিলের খবর আর ক্রিকেট যে এক জিনিস না I বাড়িয়ে বা বানিয়ে খবর প্রচার এনারা কলকাতার রিপোর্টারদের কাছ থেকে ভালই শিখেছে I সম্ভবত ১৯৮০ সালে কলকাতার মোহনবাগান কয়েকটা খেলার জন্য আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগের কামিনোকে এনেছিল I শুরু হয়ে গেল দাদাদের প্যাচপাচানি: মজিদ ভাস্করকে বসিয়ে রেখে ওই বিদেশী কামিনোকে খেলানো খুব ভুল হচ্ছে, অথচ এক কামিনোই রক্ষণ থেকে মধ্যমাঠ চষে বেড়াচ্ছিল i আমাদের কিছু রিপোর্টার এবং ভাষ্যকারও ওই আদলে বলতে এবং লেখতে পছন্দ করেন i আমাদেরও কেউ কেউ অতি দেশপ্রেম নিয়ে আসমান-কুসুম ভাবতে শুরু করি i সারা রাত সাপ মারার পর সকালে উঠে দেখে ওটাতো মোটা দড়ি! নিজ দল এবং প্লেয়ারদের আমরা প্রশংসা করব কিন্তু যা নয় তা বলে ওদের মাথা ঘুরিয়ে দেয়ার কোনো মানে নেই i
শ্রীলংকার সাথে কি করলে আরো ভালো হত, আশা করি দলের মধ্যে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে i নেলসনের মাঠের সাইজ এবং পিচ নিশ্চয়ই গত কয়দিনে জানা হয়েছে i মেলবৌর্ন মাঠের খাপছাড়া ভাব যেন আর দেখা না যায় i মাঠে পুরো দল চালাবার দায়িত্ব হলো অধিনায়কের i সবাই যেন একটু বুঝে অধিনায়ক এবং বোলার কি করতে চাচ্ছে i আমরা প্রায়ই দেখি বড় দলের উইকেট কিপার মাঝে মাঝেই তার অধিনায়কের সাথে কথা বলে, তারপর অধিনায়ক বোলারের সাথে ফিস ফিস করে এবং ফিল্ডিং এর অদলবদল করে i কি কথা হয় কে জানে? আমার মনে হয় উইকেট কিপার সবচাইতে ভালো অবস্থানে থাকে বোলার ঠিকমত বল করছে কিনা তা দেখার জন্য i ব্যাটসম্যানএর পা ঠিকমত চলছে কিনা, বা তার ব্যাট চালনায় কোনো দুর্বলতা আছে কিনা তাও উইকেট কিপার সবার চেয়ে ভালো দেখে i এইগুলো বোলার বা অধিনায়ককে তার জানানো উচিত i গত দুই খেলাতেই আমরা মাঠে কোনো আলোচনা দেখি নাই i মনে হয় মাঠে আসবার আগে যে চোথা শিখিয়ে দেয়া হয়, তার বাইরে অধিনায়ক বা প্লেয়ারগণ মাঠের পরিবেশ বা ব্যাটসম্যানএর ঐদিনের attitude দেখে কৌশল বদলের কোনো চিন্তা করেন না i ক্রিকেট শুধু ব্যাট বলের খেলা না, It’s a battle of wit as well. সফল অধিনায়ক এবং প্লেয়ারদের আত্বজীবনী পড়লে বুঝা যায়, এদের মাথায় কতগুলো প্লান কাজ করত আর খুব তাড়াতাড়ি বিপক্ষদলকে বুঝতে পারত i খুব চলিত অর্থে আমরা যাকে game reading বলি i ১৯৮৭ সালে ঢাকা মোহামেডানএর ফুটবল কোচ ছিল নাসের হেজাজী- বিশ্বকাপ খেলা ইরানি গোলকিপার i তখন মোহামেডানের রক্ষণভাগে খেলত দাবাড়ু রানী হামিদের ছেলে কায়সার হামিদ i কায়সার ছিল ধির্ঘদেহী এবং দুর্ভেদ্য, ওকে কাটিয়ে যাওয়া ছিল খুব কঠিন i সবাই ভাবত কায়সারের স্বাস্থ্য দেখে অন্য প্লেয়ার ভয় পায় i হেজাজী এক সাক্ষাতকারে বলেছিল, কায়সার লম্বা ওটা একটা সুবিধা, কিন্তু তার সবচাইতে বড় গুন ছিল বিপক্ষ দল আর স্ট্রাইকারকে খেলা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই বুঝে ফেলত, অর্থাত কায়সারের game reading power খুব ভালো ছিল i আমাদের মাশরাফি এবং দলের সবাইকে চোথার বাইরে একটু ভাবতে শিখতে হবে… সবকিছু ড্রেসিং রুম থেকে আশা করলেতো মুশকিল I
আশা করি মাশরাফি আর দলের সবাই বইয়ের একই পৃষ্ঠা থেকে পাঠ নিচ্ছে I আমরা ভালো খেলে জয়ী হতে চাই I
আমার অনেক দেশবাসী স্কটল্যান্ড এর বিরুদ্বে মাঠে নামার আগেই বাংলাদেশকে জয়ী ভাবতে শুরু করেছে I আর আমাদের কিছু পত্রিকাতো ইংল্যান্ডকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে চলেই গেছে I একজন স্পিনার বেশি খেলবে, নাকি পেসার খেলবে, তাই নিয়ে আমাদের কিছু স্পর্ট রিপোর্টার, যারা জীবনে একবার ক্রিকেট ব্যাটও ধরে দেখে নাই, বিশেষজ্ঞ মতামত দেয়া শুরু করেছে I এতে সব সময়ের মতই আমাদের প্রথম-আলো এগিয়ে I বাসে আগুন দেয়া, সুশীল সমাজের চারকোনা টেবিলের খবর আর ক্রিকেট যে এক জিনিস না I বাড়িয়ে বা বানিয়ে খবর প্রচার এনারা কলকাতার রিপোর্টারদের কাছ থেকে ভালই শিখেছে I সম্ভবত ১৯৮০ সালে কলকাতার মোহনবাগান কয়েকটা খেলার জন্য আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগের কামিনোকে এনেছিল I শুরু হয়ে গেল দাদাদের প্যাচপাচানি: মজিদ ভাস্করকে বসিয়ে রেখে ওই বিদেশী কামিনোকে খেলানো খুব ভুল হচ্ছে, অথচ এক কামিনোই রক্ষণ থেকে মধ্যমাঠ চষে বেড়াচ্ছিল i আমাদের কিছু রিপোর্টার এবং ভাষ্যকারও ওই আদলে বলতে এবং লেখতে পছন্দ করেন i আমাদেরও কেউ কেউ অতি দেশপ্রেম নিয়ে আসমান-কুসুম ভাবতে শুরু করি i সারা রাত সাপ মারার পর সকালে উঠে দেখে ওটাতো মোটা দড়ি! নিজ দল এবং প্লেয়ারদের আমরা প্রশংসা করব কিন্তু যা নয় তা বলে ওদের মাথা ঘুরিয়ে দেয়ার কোনো মানে নেই i

শ্রীলংকার সাথে কি করলে আরো ভালো হত, আশা করি দলের মধ্যে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে i নেলসনের মাঠের সাইজ এবং পিচ নিশ্চয়ই গত কয়দিনে জানা হয়েছে i মেলবৌর্ন মাঠের খাপছাড়া ভাব যেন আর দেখা না যায় i মাঠে পুরো দল চালাবার দায়িত্ব হলো অধিনায়কের i সবাই যেন একটু বুঝে অধিনায়ক এবং বোলার কি করতে চাচ্ছে i আমরা প্রায়ই দেখি বড় দলের উইকেট কিপার মাঝে মাঝেই তার অধিনায়কের সাথে কথা বলে, তারপর অধিনায়ক বোলারের সাথে ফিস ফিস করে এবং ফিল্ডিং এর অদলবদল করে i কি কথা হয় কে জানে? আমার মনে হয় উইকেট কিপার সবচাইতে ভালো অবস্থানে থাকে বোলার ঠিকমত বল করছে কিনা তা দেখার জন্য i ব্যাটসম্যানএর পা ঠিকমত চলছে কিনা, বা তার ব্যাট চালনায় কোনো দুর্বলতা আছে কিনা তাও উইকেট কিপার সবার চেয়ে ভালো দেখে i এইগুলো বোলার বা অধিনায়ককে তার জানানো উচিত i গত দুই খেলাতেই আমরা মাঠে কোনো আলোচনা দেখি নাই i মনে হয় মাঠে আসবার আগে যে চোথা শিখিয়ে দেয়া হয়, তার বাইরে অধিনায়ক বা প্লেয়ারগণ মাঠের পরিবেশ বা ব্যাটসম্যানএর ঐদিনের attitude দেখে কৌশল বদলের কোনো চিন্তা করেন না i ক্রিকেট শুধু ব্যাট বলের খেলা না, It’s a battle of wit as well. সফল অধিনায়ক এবং প্লেয়ারদের আত্বজীবনী পড়লে বুঝা যায়, এদের মাথায় কতগুলো প্লান কাজ করত আর খুব তাড়াতাড়ি বিপক্ষদলকে বুঝতে পারত i খুব চলিত অর্থে আমরা যাকে game reading বলি i ১৯৮৭ সালে ঢাকা মোহামেডানএর ফুটবল কোচ ছিল নাসের হেজাজী- বিশ্বকাপ খেলা ইরানি গোলকিপার i তখন মোহামেডানের রক্ষণভাগে খেলত দাবাড়ু রানী হামিদের ছেলে কায়সার হামিদ i কায়সার ছিল ধির্ঘদেহী এবং দুর্ভেদ্য, ওকে কাটিয়ে যাওয়া ছিল খুব কঠিন i সবাই ভাবত কায়সারের স্বাস্থ্য দেখে অন্য প্লেয়ার ভয় পায় i হেজাজী এক সাক্ষাতকারে বলেছিল, কায়সার লম্বা ওটা একটা সুবিধা, কিন্তু তার সবচাইতে বড় গুন ছিল বিপক্ষ দল আর স্ট্রাইকারকে খেলা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই বুঝে ফেলত, অর্থাত কায়সারের game reading power খুব ভালো ছিল i আমাদের মাশরাফি এবং দলের সবাইকে চোথার বাইরে একটু ভাবতে শিখতে হবে… সবকিছু ড্রেসিং রুম থেকে আশা করলেতো মুশকিল I
আশা করি মাশরাফি আর দলের সবাই বইয়ের একই পৃষ্ঠা থেকে পাঠ নিচ্ছে I আমরা ভালো খেলে জয়ী হতে চাই I

Place your ads here!

No comments

Write a comment
No Comments Yet! You can be first to comment this post!

Write a Comment