বঙ্গবন্ধুর ৯৫তম জন্মদিন ও গৌরবময় স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

বঙ্গবন্ধুর ৯৫তম জন্মদিন ও গৌরবময় স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

পি.এস.চুন্নু,সিডনি: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৫তম জন্মদিন ও বাংলাদেশের গৌরবময় স্বাাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অস্ট্রেলিয়া এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে গত ১৭ মার্চ সন্ধ্যা ৮টায় কুজি বীচের ‘দি ক্লোভ রেস্টুরেন্ট’ এ। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় পরিকল্পনা মন্ত্রী ও আইসিসি সভাপতি জনাব আ.হ.ম মোস্তফা কামাল এমপি ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের কনসাল জেনারেল মি. এ্যাস্থনী কুরি।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধুশেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের এবং গৌরবময় স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মদানকারী সকল শহীদদের আত্মœার শান্তি কামনা করে উপস্থিত সকলে দাড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অস্ট্রেলিয়ার সাধারণ সম্পাদক প্রদ্যুত সিং চুন্নু অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে একে একে পরিচয় করিয়ে দেন।এরপর ছিলো আলোচনা অনুষ্ঠান।


বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ -অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি সিরাজুল হকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক পি এস চুন্নুর পরিচালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ছাত্রলীগ অস্ট্রেলিয়ার সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রুবেল,যুবলীগ অস্ট্রেলিয়ার সাধারণ সম্পাদক নোমান শামীম, ইঞ্জিনিয়ার গোলাম সামদানী,ইঞ্জিনিয়ার রাফিউল করিম খসরু,ড. রতন কুন্ডু,বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাত হোসেন,মি. প্রবীর মৈত্র,ডা.ফারজানা ইউসুফ লিটা,,মি. কিশোর দাশ,আওয়ামী লীগ অস্ট্রেলিয়ার সাংগাঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী শিকদার,মহিলা বিষয়ক সম্পাদক বিলকিস জাহান,কোষাধক্ষ্য আব্দুল বারেক, আওয়ামী লীগ অস্ট্রেলিয়ার সহ-সভাপতি গাজী কামরুল হুসাইন নীলু,বাংলাদেশ থেকে আগত সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক ও বিসিবি’র পরিচালক জনাব শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অস্ট্রেলিয়ার প্রধান উপদেষ্টা গামা আব্দুল কাদির।

বক্তারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের ইতিহাস তুলে ধরে বলেন,এই মহান নেতার জন্ম না হলে বাংলাদেশের সৃষ্টি হতো না। তিনি তার জীবন দিয়ে প্রমান করে গেছেন তিনি বাঙালি জাতির নেতা,বাংলাদেশের নেতা। তিনি কখনও অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি। তিনি দেশ ও জাতির কল্যানে সারাটা জীবন সংগ্রাম করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত জীবন ছিলো অত্যন্ত সহজ সাধারণ বাঙালির মত। শিশুদের প্রতি ছিলো তার এক গভীর ভালোবাসা। এই জন্যই বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৭ মার্চকে শিশু দিবস হিসেবে পালনের ঘোষনা দেন। বঙ্গবন্ধু ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত,সমৃদ্ধশালী ও অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন। আমাদের সকল প্রেরণায় তাই তিনি উজ্জীবিত হয়ে আছেন।

প্রধান অতিথি জনাব মোস্তফা কামাল এমপি প্রথমেই জাতির জনকের প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধা জানিয়ে তার বক্তব্যে বলেন,আমরা উন্নত সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ চাই। বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে এবং যাচ্ছে।বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের পরিসংখান উল্লখ করে বলেন,গত দুই মাসেরও বেশী সময় ধরে বিএনপি-জামায়াতের হরতাল অবরোধের পরও আমাদের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী। তিনি বলেন ,২০২১ সালের মধ্যে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে উপনীত হবো। ভৌগলিক অবস্থানের কারনেই বাংলাদেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।

তিনি শিশুদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা জাতির আগামীদিনের কর্ণধার।মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় , বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ ও আদর্শে বেড়ে উঠবে। বঙ্গবন্ধুর আজীবন লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করবে।

আলোচনা পর্বের পর প্রধান অতিথি জনাব আ.হ.ম মোস্তফ কামাল ও বিশেষ অতিথি মি. এ্যন্থনী কুরি জন্মদিনের কেক কাটেন। অনুষ্ঠানে তাজমিন,ঐহিক,অনিক,জ্যামি, অরুপ ও ঐশি জন্মদিনের গান পরিবেশন করে।এরপর শিশুরা প্রধান অতিথিকে ফুলের তোড়া দিয়ে দিয়ে সম্বর্ধণা জানায়।

সবশেষে সভাপতি সিরাজুল হক উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ এবং নৈশভোজে আমন্ত্রন জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষনা করেন।


Place your ads here!

No comments

Write a comment
No Comments Yet! You can be first to comment this post!

Write a Comment