অষ্ট্রেলিয়া বাংলাদেশী তরুণদের কাছে জনপ্রিয় ফটোগ্রাফি বিষয়ে পড়া

অষ্ট্রেলিয়া বাংলাদেশী তরুণদের কাছে জনপ্রিয় ফটোগ্রাফি বিষয়ে পড়া

পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মত পড়া লেখা করার জন্য প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশী ছাত্র ছাত্রি আসে অষ্ট্রেলিয়া । সচরাচর দেখা যায় পরিবারের চাহিদার দিকে তাকিয়ে সাধারণত স্টুডেন্টরা সব সময় অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে তাদের পড়ার বিষয়। অষ্ট্রেলিয়া ছিল সব সময় পড়া লেখার জন্য সবোর্চ্চ অগ্রাধিকার। এএনইউ, সিডনী, ইউএনএস ডব্লিউ, ইউটিএস, মোনাস বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে বাংলাদেশী সহ সারা পৃথিবীর স্টুডেন্টদের কাছে পছন্দের তালিকা।

সম্প্রতি দেখা দিয়েছে কিছু ভিন্নতা। বাংলাদেশী ছাত্রছাত্রীদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অস্ট্রেলিয়ান ইনিস্টটিউট অব মিউজিক, এসএই, কোডেক ডিজাইন স্কুল , র‌্যাফেল্স স্কুল সহ মেকলিউ এডর্ভাটাইজিং এন্ড মিডিয়া স্কুলগুলো । বিশেষ করে সন্ধ্যায় ও সপ্তাহে তিন দিন ক্লাস থাকায় পার্ট টাইম জবের সুযোগটি কেউ হাত ছাড়া করতে চায় না। সমপ্রতি এসএই স্কুল অব ডিজাইন এর সামার সেমিষ্টারে সবচেয়ে ভাল পারফরমেন্স করে পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশের ছাত্র সাফাত ইকবাল চৈাধুরী। বাংলাদেশর নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি শেষ করে পড়ালেখা করেন ব্যাচেলর অব ফিল্ম মিডিয়া ও ফটোগ্রাফি বিষয়ে। সাফাত ইকবাল আমাদের জানালেন তার প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি নিয়ে । প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসাবে কাজ করেছেন নিফারিটিটি পিারটারিট হাউজে , তার আগে কাজ করেছে সহযোগি পরিচালক হিসাবে ফ্লিমস ডট কম সিডনী ও লুমিরা অষ্ট্রেলিয়া ফটোগ্রফার। সম্প্রতি সাইন ইন করেছেন সিডনী নির্ভর জাজ মাল্টিমিডিয়ার বাংলা সিনেমা মৃত্যপূরী ।

আরেক বাংলাদেশী তরুন আসিফুল রিসাব, সিডনীর এই তরুন রিস হিসাবে পরিচিত, বাংলাদেশের রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ থেকে এইচ এসসি শেষে অষ্ট্রেলিয়া প্রথমে শুরু করেন ব্যবসায় প্রশাসনে পড়ালেখা। ফটোগ্রাফির সাথে তার ছিল আন্য রকম ভালোবাস, সিডনীর সেন্টজোর্জ কলেজ থেকে ফটোগ্রাফির কোর্স করে শুরু করেছেন রিস ফটোগ্রাফি। সিডনীর বেশ জনপ্রিয় বাংলাদেশী সব ইভেন্টে চোখে পড়ে তার অসাধারন তরুন এই টিমটিকে। সিডনী অলেম্পিক পার্কে বৈশাখী মেলার জন্য এবার রয়েছে তার বিশেষ প্রস্তুতি। এই ছাড়া কাজ করেন তিনি অষ্ট্রেলিয়ার অনলাইন নিউজ আপডেট বিডি নিউজ ডট কমে। আসিফুল রিসাব আমাদের জানালেন পরিবারে আশা ছিল অন্য কিছু কিন্তু আমি কিছুতেই মনবসাতে পারি না। ব্যবসা প্রশাসনে অষ্ট্রেলিয়া ইনস্টিটউট অব হায়ার এডুকেশন থেকে পড়ালেখা করে ও শুরু করেছি ফটোগ্রাফি নিয়ে।

আরেক বাংলদেশী তরুন মিনহাজ, বাংলাদেশ ইন্ট্যার ন্যাশনাল স্কুল (বিআইটি) রিয়াদ আরব শাখ থেকে এ লেভেল শেষ করে অষ্ট্রেলিয়া এসেছেন । বিজনেস প্রশাসনে করেছেন ডিপ্লোমা এআইসিএল থেকে । কিন্তু তা ও সেই একই কথা জোর করে ব্যবসায়ে পড়ালেকা করে ও আর বসাতে পরেনি । ইউনির্ভাসিটি অব টেকনোলজি ইউটিএিস ফিল্ম এন্ড মিডিয়া নিয়ে পড়ালেখা করেন। আর কাজ করেন ডেক্সাস করপোটে মিডিয়া লিমিটেড এর প্রতিষ্ঠানে। নিজেকে এক জন প্রফেসনাল ফটোগ্রাফি করার জন্য যোগ দিয়েছেন এনটিবি অষ্ট্রেলিয়ার সোস্যাল মিডিয়া ও মার্কেটিং টিমে। মিনহাজ জানান ব্যাবসা প্রশাসন পড়ে জব নিতে হলে ৩ বছর বসে থাকতে হয়, এ্যাড ও ফটোগ্রাফিতে ভালো করতে পালে প্রথম তিনমাসের মধ্যে ভালো বেতনে চাকরী পাওয়া খুব সহজ। আমি প্রতিদিনই বলতে গেলে নতুন কিছু শিখি যা হাতে কলমের শিহ্মা আর তাকে সহযোগিতা করেন আরেক বাংলাদেশী তরুন নাদিম হোসেন যার প্রফেশনাল ফটোগ্রাফি তাকে আশা জাগিয়েছেন। সিডনির অত্যন্ত ব্যায় বহুল রেস্টুরেন্ট হ্যারিকেন গ্রিলে হেড শেফ হিসাবে কাজ করলে ও সপ্তাহে অন্তত দুটি দিন থাকে শুধু মাত্র ফটোগ্রাফি ও কমিউনিটি কাজে , তেমনটাই বললেন নাডিমস ফটোগ্রাফির সত্বাধিকারী জনাব নাদিম হোসেন।বাংলাদেশের নামকরা সব স্ক’ল কলেজের ছাত্র ছাত্রিরা এখন অষ্ট্রেলিয়া এসে আগ্রহ হারিয়ে পেলেছেন সনাতন পদ্ধতির পড়ালেখা বিবিএ, এমবিএ কিংবা আর্টস অনুষদে। ধীরে ধীরে তারা অগ্রসর হচ্ছেন নতুন নতুন ক্যারিয়ারে।


Place your ads here!

No comments

Write a comment
No Comments Yet! You can be first to comment this post!

Write a Comment