বৈদেশিক বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনাময় দেশ

বৈদেশিক বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনাময় দেশ

বাংলাদেশ বৈদেশিক বিনিয়োগের একটি অপার সম্ভাবনাময় দেশ। গত সাড়ে পাঁচ বছরে যেভাবে দেশের অর্থনৈতিক বুনিয়াদ শক্তিশালী হয়েছে তাতে এদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগের নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। গত ২০১৩ বছর বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ এসেছে মার্কিন ডলার ১.৭৩ বিলিয়ন। ২০১৩ সালে যদিও দেশে সহিংসতা ও আত্ম-বিধ্বংসী ও নেতিবাচক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়েছিল তারপরও ২৪% বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি আসলে প্রমাণ করে যে, নেতিবাচক রাজনীতির পরও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের এদেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত করেছে। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের পরেই বাংলাদেশে সর্বোচ্চ বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে। ২০১৩ সালে ভারতে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল মার্কিন ডলার ২৮ বিলিয়ন। অন্যদিকে একই সময়ে পাকিস্তানে বৈদেশিক বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল মার্কিন ডলার ১.৩ বিলিয়ন। আসলে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে বিশেষত গত বিশ বছরে ক্রমশ দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি মজবুত হয়েছে। বর্তমানে দেশের অর্থনীতির সামষ্টিক চলকগুলো যে কোন সময়ের তুলনায় ইতিবাচক দিক পরিলক্ষিত হচ্ছে।

বিশ্বের বৈদেশিক সরাসরি বিনিয়োগ ২০১৩ সালে ৯% বৃদ্ধি পেয়েছে যার পরিমাণ হচ্ছে মার্কিন ডলার ১.৪৫ ট্রিলিয়ন। আশা করা যাচ্ছে এটি ২০১৪ সালে বৃদ্ধি পেয়ে মার্কিন ডলার ১.৬ ট্রিলিয়ন হবে। বৈদেশিক সরাসরি বিনিয়োগ ২০১৩ সালে মোট বৈদেশিক বিনিয়োগের ৫৪% এসেছে উন্নয়নশীল দেশে যার পরিমাণ হচ্ছে মার্কিন ডলার ৭৭৮ বিলিয়ন। বাংলাদেশে গতবছরে যে বৈদেশিক বিনিয়োগ এসেছে তারমধ্যে মার্কিন ডলার ৫৪১ মিলিয়ন হচ্ছে ইকুইটি খাতে, মার্কিন ডলার ৩৬১ মিলিয়ন হচ্ছে ইন্ট্রা-কোম্পানী ঋণ, মার্কিন ডলার ৬৯৭ মিলিয়ন হচ্ছে পুনঃবিনিয়োগজনিত আয়, টেলিকমিউনিকেশন সেক্টরে এসেছে মার্কিন ডলার ৩২৪ মিলিয়ন, ব্যাংকিং সেক্টরে এসেছে মার্কিন ডলার ৩২৭ মিলিয়ন, টেক্সটাইল ও ওয়েভিং সেক্টরে এসেছে মার্কিন ডলার ৪২২ মিলিয়ন, জ্বালানি-বিদ্যুৎ ও পেট্রোলিয়াম বাবদ এসেছে মার্কিন ডলার ৯৯ মিলিয়ন, খাদ্য পণ্যাদি বাবদ এসেছে মার্কিন ডলার ৪০ মিলিয়ন, কৃষি ও মৎস্যখাতে মার্কিন ডলার ৩১ মিলিয়ন এবং অন্যান্য খাতে মার্কিন ডলার ৩৫৬ মিলিয়ন। যদিও আপাতত বৃষ্টিতে প্রতিভাত হয় বৈদেশিক বিনিয়োগ বহুবিধ খাতে সাধারণত এসে থাকে তবে মূলত: দুটো খাতেই সবচেয়ে বেশি আসে। তা হলো জ্বালানি ও যোগাযোগ। জ্বালানি খাতে বৈদেশিক বিনিয়োগের যেমন দরকার তেমনি এটি যেন দেশের উন্নয়নে ব্যয়িত হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা উচিত। টেলিকমিউনিকেশন সেক্টরে এলেও তা কিন্তু ‘ ডিজিটাল ডিভাইড দূরীকরণে তেমন ভূমিকা রাখে না। বরং ডিজিটাল ডিভাইড দূরীকরণে দেশি উদ্যোক্তাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। সড়কপথের অবকাঠামো নির্মাণে যে ধরনের সহায়তা পাওয়া যায় তা কিন্তু ‘ রেলপথের কিংবা নৌপথের অবকাঠামো নির্মাণ ও সম্প্রসারণে পাওয়া যায় না। তারপরও ভারতের দেয়া ক্রেডিটের আওতায় বর্তমান সরকার রেলপথ সম্প্রসারণে বেশ মুখ্য ভূমিকা পালন করে চলেছে। নৌপথের উন্নয়ন, ড্রেজিং করা এবং বন্ধ হয়ে যাওয়া নৌপথগুলো পুনঃ-খনন করে চালু করা, দেশে জলাবদ্ধতা দূর করে পানি সংরক্ষণের ব্যবস’া এবং নদী ব্যবস্থাপনার মান উন্নয়নের ক্ষেত্রে বৈদেশিক বিনিয়োগের প্রয়োজন রয়েছে। এজন্যে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশীপের যে ধারাগুলো অসঙ্গতিপূর্ণ সেগুলো সংশোধন করা যেমন দরকার তেমনি পাবলিক-ফরেন পার্টনারশীপের ধারাসমূহ পর্যালোচনা-পূর্বক বিদেশি বিনিয়োগকারীদের দেশে বিনিয়োগের জন্যে উৎসাহী করা দরকার। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিদেশস’ দূতাবাসসমূহকে আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। দূতাবাসে কর্মরতদের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলকভাবে বৈদেশিক বিনিয়োগের জন্যে বিদেশি উদ্যোক্তাদের সাথে যোগাযোগ করা এবং দেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত করার জন্যে ইনসেনটিভ এবং রিওয়ার্ডের ব্ করা উচিত। আবার বিদেশস’ প্রবাসী বাংলাদেশিরা যাতে গুডউইল এ্যাম্বেসেডার হিসাবে কাজ করেন সেজন্যে দেশের নীতি নির্ধারক পর্যায় থেকে যেমন উৎসাহ দেয়া যেতে পারে আবার বিদেশস’ দূতাবাসসমূহ তেমনি তাদের সাথে যোগাযোগ করে উদ্বুদ্ধ করতে পারেন- যাতে করে তারা ডায়সপারা তত্ত্বের সুফল বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন করেন। অধিকমাত্রার বিদেশি বিনিয়োগ সরাসরি দেশে আনয়নের ক্ষেত্রে যোগসূত্র স’াপনের জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিরা যাতে ভূমিকা রাখতে পারেন সেজন্যে প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করতে হবে।

একটি দেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ সচরাচর স্বাগত জানানো হয় শুধুমাত্র পুঁজি প্রাপ্তির জন্যে নয় বরং আধুনিক ও লাগসই প্রযুক্তির সদ্ব্যবহার করার জন্যে। এজন্যে ঝঃৎধঃবমরপ অষষরধহপব-এর মাধ্যমে দেশি ও বিদেশি সংশ্রবের মাধ্যমে একটি নবতর অধ্যায়ের সূচনা হয়। এজন্যে উদ্ভাবনী শক্তির পাশাপাশি প্রায়োগিক কৌশলের প্রয়োজন হয়। চলতি অর্থবছরে দেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ মার্কিন ডলার ২ বিলিয়ন হবে বলে সরকার প্রত্যাশা করেছে। অনর্থক কিংবা স্বীয় হীন স্বার্থে রাজনৈতিক সংঘাত সৃষ্টি না করা হলে দেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা সরাসরি সিকিউরিটিজের ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে পারেন। সরকার চলতি অর্থবছরে কর্পোরেট ট্যাক্সের ক্ষেত্রে হার ৩৭.৫% থেকে হ্রাস করে ৩৫% করেছেন। আবার অবকাঠামোগত উন্নয়নের প্রয়াস নিয়েছেন। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্যে নানামুখী নিয়েছেন। এই সমস্ত উদ্যোগ তখনই সাফল্য লাভ করবে যখন কেবল নীতিনির্ধারক পর্যায় নয়, মধ্যবর্তী পর্যায় ও তৃণমূল পর্যায়ে যথাযথভাবে সম্প্রসারণ করা হয়। দায়িত্বশীলরা যদি নৈতিকতা-সম্পন্ন হোন, মিথ্যে অপবাদ, কাঁদা ছোঁড়াছুঁড়ি করা থেকে বিরত থাকেন, দুর্নীতির দুর্বৃত্তায়ন থেকে বিরত থাকেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা-মুক্ত থাকেন তবেই দীর্ঘমেয়াদী রাষ্ট্রের উন্নয়ন সম্ভব হয়। এজন্যে চাই আন্তরিকতা, নিষ্ঠা।

বৈদেশিক বিনিয়োগ বহুমুখী খাতে আনয়ন করা প্রয়োজন। এজন্যে দেশি উদ্যোক্তাদেরও এগিয়ে আসতে হবে। তারা জয়েন্ট ভেঞ্চারে কাজ করতে পারেন। এক্ষেত্রে অবশ্য দেশি উদ্যোক্তাদের উচিত হবে তারা নিজেদের সততা, নিষ্ঠার পরিচয় দেয়। বিদেশি বিনিয়োগ তখনই একটি রাষ্ট্রে আসবে যখন বিদেশি বিনিয়োগকারী তার স্বীয় স্বার্থ সংরক্ষিত করতে সক্ষম হবেন, রিটার্ন অন ইনভেস্টমেন্ট পজেটিভ হবে এবং কোন ধরনের রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের কারণে তার ব্যবসা-বাণিজ্যের কোন ধরনের ক্ষতি সাধিত হবে না।

সমুদ্রসীমা নির্ধারণের পর বাংলাদেশে বিভিন্ন পর্যায়ে বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। আবার খনিজসম্পদ সংগ্রহ, মৎস্য আহরণে আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে যৌথ বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন রয়েছে। সমুদ্রে পর্যটন শিল্পের সম্প্রসারণের জন্য বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আকৃষ্ট হতে পারেন। আবার যে সমস্ত জলজ আগাছা এবং বিভিন্ন ধরনের অপ্রাণীজ রয়েছে সেগুলোর ক্ষেত্রে বিদেশি বিনিয়োগের নতুন সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। “ব্লু ওশান”- এর যে সম্ভাবনাময় সামুদ্রিক অর্থনীতি রয়েছে তা পাঠ্যক্রমে আওতায় আনতে হবে। এজন্যে সরকারের উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগ গ্রহণ করা বাঞ্ছনীয় হয়ে পড়েছে। তবে বিদেশি বিনিয়োগ গ্রহণ করার পূর্বে অবশ্যই বিদেশি বিনিয়োগকারী অতি মুনাফা-মুখী কিনা এবং মুনাফা বিদেশে কিভাবে প্রেরণ করবে সেটা খেয়াল রাখা দরকার। একটি পর্যায় পর্যন্ত মুনাফা স’ানান্তরিত করা যায়।

২০১১-১২ অর্থবছরে ২০৯টি বৈদেশিক প্রকল্প তালিকাভুক্তির প্রস্তাবনা ছিল এবং এক্ষেত্রে অর্থের পরিমাণ ছিল ৩৩৮৯১০ টাকা। ঐ একই সময়ে মোট তালিকাভুক্ত প্রকল্পের সংখ্যা প্রস্তাব করা হয়েছিল ১৮১৩ এবং টাকার পরিমাণ ছিল ৮৩৫৮৮৯। এটি পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ২১২% বৃদ্ধি পেয়েছিল। আসলে বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেলেই যে রাষ্ট্রের উন্নয়ন হবে তা নয় বরং এর সুফল সুষম বন্টনের ক্ষেত্রে কতটুকু রাখে তা বিচার্য বিষয়। দেশে অন্যান্য যে সমস্ত ক্ষেত্রে বৈদেশিক বিনিয়োগ আসতে পারে সেক্ষেত্রে এসএমই এবং পর্যটন শিল্প উল্লেখযোগ্য। ভারতীয় একটি ব্যবসা-বাণিজ্যের সাথে সংশ্লিষ্ট গ্রুপ এক্ষেত্রে বিনিয়োগে উৎসাহ দেখিয়েছে। এসএমই সেক্টরে বিদেশি বিনিয়োগ এলে দেশে মধ্যম শ্রেণীর শিল্পায়নে আরো দক্ষতা ও কার্যকারিতার সৃষ্টি হবে। এদিকে পর্যটক শিল্পের উন্নয়নে বহুমাত্রিকতা ও দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপ প্রয়োজন। কেবল ভ্রমণ বা প্রাকৃতিক ঐতিহাসিক ঐতিহ্য পরিদর্শন নয় পাশাপাশি স্বাস্থ্য, পর্যটন শিল্প, ক্রীড়া পর্যটন শিল্প, ধর্মীয় পর্যটন শিল্প গড়ে তুলতে হবে। বহুমাত্রিক পদ্ধতিতে পর্যটন শিল্প গড়ে তোলা গেলে তা জাতীয় আয়ের প্রবৃদ্ধির হার বৃদ্ধি পাবে। স্বাস্থ্যপর্যটন শিল্প গড়ে তুলতে হলে এই খাতে অধিকতর বিনিয়োগ প্রয়োজন। দক্ষ ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হাসপাতাল নির্মাণ, চিকিৎসক, নার্স, টেকনোলজিস্টসহ আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন মানবসম্পদ গঠনের ক্ষেত্রে বিদেশি সহায়তা, কারিগরি কৌশল প্রয়োজন। ডায়াগনস্টিক সেন্টারসমূহ যাতে আরো আধুনিক হয় সেজন্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

বর্তমানে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের জিডিপি ভবিষ্যতে ৯% কমে যেতে পারে। এজন্যে এক্ষেত্রে বৈদেশিক বিনিয়োগ প্রয়োজন। দেশের বনায়ন বৃদ্ধি ও পরিবেশের মান উন্নয়ন করা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্যে বৈদেশিক বিনিয়োগের প্রয়োজন রয়েছে। অনেকক্ষেত্রে বৈদেশিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে Geo-political reason -কে বিবেচনায় আনতে হয়। এর ফলে একটি রাষ্ট্রের ব্যবসায়িক ব্যবস্থাপনা গ্রাহ্য করা হয় না। দেশে এগ্রো প্রসেসিং জোন সৃষ্টির ক্ষেত্রে এবং কাঁচামাল সংগ্রহ এবং উৎপাদিত পণ্য বিদেশে রপ্তানির ক্ষেত্রে বৈদেশিক বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আবার ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রিজের ক্ষেত্রে বৈদেশিক বিনিয়োগ দরকার। আসলে দেশকে আরো অগ্রগতির দিকে নিতে হলে অবশ্যই ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে বিদেশি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করতে হবে। আইসটি, ওষুধ, চামড়াশিল্প, চাশিল্প, বস্ত্রখাত, ইলেক্ট্রনিক্স খাতসহ নানামুখী শিল্পায়নের ক্ষেত্রে বৈদেশিক বিনিয়োগ দরকার। এই বৈদেশিক বিনিয়োগ আমদানি বিকল্পায়ন শিল্পে এলে দেশের সাধারণ মানুষ বেশি উপকৃত হবে। আবার রপ্তানিমুখী শিল্পায়নকে যাতে কেউ জিম্মি করতে না পারেন সেদিকে খেয়াল রাখা দরকার। সম্ভাবনাময় ও বহুধা বিভক্তিকরণ-কৃত রপ্তানিমুখী শিল্পের ক্ষেত্রে বৈদেশিক বিনিয়োগ প্রয়োজন যাতে নতুন নতুন পণ্যাদি প্রস’ত করা যায়।

লেখক: ম্যাক্রো ও ফিন্যান্সিয়াল ইকোনোমিস্ট


Place your ads here!

No comments

Write a comment
No Comments Yet! You can be first to comment this post!

Write a Comment