এই সপ্তাহে সোশ্যাল মিডিয়ায় আমার দেশ

এই সপ্তাহে সোশ্যাল মিডিয়ায় আমার দেশ

আমাদের জাতীয় জীবনে ঘটে যাওয়া এবং মানুষের হৃদয়ে দাগ কেটে যাওয়া প্রতিদিনের ঘটনাগুলো তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে মূল ধারার সংবাদ মাধ্যম আকর্ষণীয় পণ্য ‘র মত পৌঁছে যাচ্ছে আমদের কাছে। একথা বলতে দ্বিধা নেই মূল ধারার এই সংবাদ মাধ্যম আমাদের মুমূর্ষু গনতন্ত্রের লাইফ সাপোর্ট হয়ে আছে। তবে একথা ও সত্যি পুঁজিবাদের এই যুগে সংবাদ এক বড় পণ্য। স্বার্থান্বেষী কায়েমি শক্তি তাদের প্রয়োজনে চেপে যায় অনেক খবর, আবার নগণ্য খবর আমাদের কানের চারপাশে এত শোনানো হয় যার ফলে মিথ্যা খবর হয়ে উঠে চরম সত্য। আর পুঁজিবাদীদের সাংস্কৃতিক আগ্রসান এর কথা তো যে কারোরই জানা।

তবে এত অন্ধকারের মাঝেও আলোকবর্তিকা হয়ে আবির্ভাব হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার। মূল ধারার সংবাদ মাধ্যম যা চেপে যাই, তাই আমাদের গোচরে নিয়ে আসে আমাদের সমাজের কিছু প্রতিবাদী, মুক্তমনা এবং সমাজ সচে্তন মানুষ। তারা আপনার আমার মত সাধারণ কিছু মানুষ যারা দেশ, সমাজ এবং সভ্যতাকে নিয়ে ভাবেন, যারা এখনো দিন বদলের স্বপ্ন দেখেন।

প্রিয় অস্ট্রেলিয়া আমাদের পাঠকদের কাছে নিয়ে আসতে চায় সেই সব মানুষদের, ক্ষোভ, হতাশা এবং সমাধানের কথা। সেই সব না বলা, না জানা কথা যা মূল ধারার সংবাদ মাধ্যম প্রকাশে স্বস্তি বোধ করেনা।

প্রতি সোমবার চোখ রাখুন আমাদের আয়োজন “এই সপ্তাহে সোশ্যাল মিডিয়ায় আমার দেশ ”।

১। দুর্নীতি, লুটপাট আর অন্যায় যেখানে আজ নিয়ম সেখানে জাভেদ কায়সার লিখেছেন একটা বাবার কথা যার সন্তান কখনও অসৎ হতে পারে না।

তীব্র অর্থকষ্ট সাথে নিয়ে যাঁরা বড় হন, তাঁদের কোনো কিছু নিয়ে গর্ব করতে হয় না। জীবন যখন দুঃখের স্রোতের সাথে মিলে মিশে একাকার হয়ে যায়- গর্ব করার মতো কিছু চাইলেও খুঁজে পাওয়া যায় না যে তখন।
আমার বাবা এই একটি জায়গায় বড় জিতিয়ে দিয়ে গেছেন আমাদের। জীবনের একটা বড় সময় তীব্র অর্থকষ্টের মধ্যে থেকেও একটি বিষয় নিয়ে গর্ব করেছি, এখনো করছি – “আমার বাবার সততা” !

বাবা বাংলাদেশ সচিবালয়ে গণপূর্ত মন্ত্রনালয়ের সাধারণ একজন কর্মচারী ছিলেন। আজীবন সততার সাথে চাকুরী করার মরণপণ নিয়ে বেঁচে ছিলেন তিনি। তাঁর সততার তিনটি বিরল (আমার কাছে অন্তত ‘বিরল’ বলেই মনে হয়) ঘটনা শেয়ার করার দুঃসাহস দেখালাম। বিরক্ত হলে ক্ষমাপ্রার্থী।

১.বাবা ১৯৮৮ সালের শেষের দিকে প্রমোশন পেলেন। পরিবারের সবাই ভীষণ খুশি – এক বাবা ছাড়া। বাবার খুশি না হওয়ার কারণ কয়েকদিনের মধ্যেই জানা গেল। বাসার ঠিকানায় লম্বা-চওড়া উড়ো চিঠি এলো, বাবাকে সপরিবারে মেরে ফেলার হুমকি তাতে। প্রমোশন পেয়ে বাবা যেই পদে কাজ করতেন – প্রচুর ঘুষের লেনদেন ছিলো সেখানে। গণপূর্ত মন্ত্রনালয়ের অধীনে সব বড় বিল্ডিংগুলোর নকশা সংক্রান্ত ইস্যুগুলো দেখতেন বাবা। ঘুষ-বানিজ্য বোধ করি কিছু নিয়ম মেনে চলো । চ্যানেলে সিনিয়র কেউ ঘুষ না খেলে জুনিয়রদের ভাগেও ঘুষ জোটে না। খুব সম্ভবত বাবার সততার কারণে ঘুষ-বানিজ্যে অংশগ্রহন করতে ব্যর্থ জুনিয়ররা এই কাজটি করেছিলেন। কিংবা ঘুষ দিয়ে অসাধু উপায়ে কাজ করাতে ব্যর্থ কেউও এই ভয়ংকর কাজটি করে থাকতে পারেন। আমার বাবা গণপূর্ত মন্ত্রী মহোদয় বরাবর দীর্ঘ তিন পৃষ্ঠার চিঠি লিখে ফেললেন।

এক সময়ে প্রমোশন বাতিলের চিঠি বের হলো। মানুষজন প্রমোশন পাবার আনন্দে বাসায় মিষ্টি নিয়ে যায়। আমার বাবা প্রমোশন বাতিলের আনন্দে মহানন্দে মধুমিতা মিষ্টি ঘর থেকে ১ কেজি মিষ্টি কিনে নিয়ে বাসায় ফেরত এলেন। প্রমোশন বাতিলের চিঠি পড়তে পড়তে শিশুর মতো আনন্দ নিয়ে তিনি সেই মিষ্টি খেলেন এবং পরেরদিন থেকে আবার হাসিমুখে আগের পদে অফিস করা শুরু করলেন।

২। সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের “প্রভিডেন্ট ফান্ড” নামে একটি ‘সঞ্চয়’ থাকে। মাসের বেতনের একটি নির্দিষ্ট অংশ সেখানে কেটে রাখতে হয় ভবিষ্যতের জন্য। অবসর নেয়ার সময়ে সেই টাকা “সুদে-আসলে” বেশ বড় একটি অংকে পরিনত হয়। ইসলাম ধর্মে সুদকে হারাম করা হয়েছে। বাবা মৃত্যুর দেড় বছর আগে তাঁর প্রভিডেন্ট ফান্ডের যাবতীয় “সুদ মওকুফ করে সরকারী কোষাগারে জমা” করে অবসর নেয়ার সময়ে শুধু “মূল টাকাটি” পাওয়ার জন্য আবেদন করেন, স্বেচ্ছায়।

এই অসীম সাহসী, ব্যতিক্রমী এবং অভূতপূর্ব কাজটির জন্য অনেক বিদ্রুপ, ঠাট্রা, খোঁচা শুনতে হয়েছিল তাঁকে কলিগদের কাছ থেকে, আত্মীয়স্বজনদের কাছে। আমার মা সেই দুঃসময়ে বাবার পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন, তাঁর সততাকে সাধুবাদ জানিয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পরে প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে আমরা শুধু বাবার মাসের বেতন থেকে বাধ্যতামূলকভাবে কেটে রাখা “মূল অংশ”-ই (সুদ ছাড়া) পেয়েছিলাম।

৩। তৃতীয় যেই কাজটি তিনি করেছিলেন, আমরা কেউ ব্যাপারটি জানতাম না। বাবা মারা যাওয়ার কিছুদিন পরে তত্কালীন গণপূর্ত সচিব সরকারী বাসায় দেখতে আসলেন আমাদের। স্পষ্ট মনে আছে, সবার সামনে ভদ্রলোক কান্নাধরা গলায় পুরো ঘটনাটি বলেছিলেন। বাবা বিশ্বাস করতেন – সরকারী চাকুরীর ‘সুবাদে’ তিনি কালে-ভদ্রে কিছু সরকারী সম্পদের অন্যায্য এবং অপব্যবহার করেছেন। অপরিণত বয়সের সেই অনাকাংখিত কাজের জন্য সীমাহীন অনুশোচনায় ভুগতেন তিনি। এই সরকারী সম্পদগুলো হলো- “অফিসের কলম, খাতা, টাইপ রাইটার, পেন্সিল ইরেজার ইত্যাদি”! এই সম্পদগুলো হয়তো তিনি বাসার কিংবা অফিসেই সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত কাজে কখনো কখনো ব্যবহার করেছেন।
এই ভয়াবহ গ্লানি ও পাপের বোঝা কাঁধ থেকে নামাতে চাইলেন তিনি। এক সুন্দর সকালে সেই সরকারী সম্পদের অন্যায্য ব্যবহারের আনুমানিক মূল্য হিসেব করে সরকারী কোষাগারে মোট “৮০০ (আট শত) টাকা” জমা করে দায়মুক্ত হন বাবা।

নির্ভেজাল সততার বিরল প্রতিমূর্তি এমন বাবার সততার জন্য সন্তান হিসেবে গর্ব না করা নিতান্তই অন্যায়ের মাঝে পড়ে। তাঁর সন্তান হিসেবে অন্তত আমি তাই বিশ্বাস করি।
বাবা,
যেখানে, যে লোকে থাকুন আপনি, শান্তিতে থাকুন। আমার এবং আরহাম এর জন্য সততার মূর্ত দৃষ্টান্ত আপনি। পরম করুণাময় আল্লাহ আপনার প্রতিটি সত্কাজের বিপরীতে উত্তম প্রতিদান দিবেন।

২। সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জে ঘটে যাওয়া নির্মম হত্যাকাণ্ড নিয়ে লিখেছেন ফারিনা মাহমুদ

এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না
এই জল্লাদের উল্লাসমঞ্চ আমার দেশ না
এই বিস্তীর্ণ শ্মশান আমার দেশ না
এই রক্তস্নাত কসাইখানা আমার দেশ না
.
.
.
.
.
ছয়জন মৃতদেহ
চেতনার পথ জুড়ে শুয়ে আছে
আমি অপ্রকৃতিস্থ হয়ে যাচ্ছি
ছয় জোড়া খোলা চোখ আমাকে ঘুমের মধ্যে দেখে
আমি চীৎকার করে উঠি
আমাকে তারা ডাকছে অবেলায় উদ্যানে সকল সময় ……..
পুনশ্চ : আমি এতো ডিটেইলে রাজনীতি বুঝিনা, বুঝতে চাইও না …… আমি মানবতা বুঝি ….
সব রক্তের রং লাল এটা বুঝি…
সব চোখের জল নোনা এটা বুঝি …
সব মায়ের, সব সন্তানের, সব স্ত্রীর কান্নার সুর এক এটা বুঝি …
আর তাই ……
এই অপহরণ আর গুপ্ত হত্যা বন্ধ হওয়া চাই, বিচার চাই … বিচার চাই …


৩। বাংলাদেশের একটা নদী নিয়ে লিখেছেন সাদাত হসাইন

কুষ্টিয়া শহরটা আমার খুব প্রিয়, মানুষগুলোও…
তবে গড়াই নদীটার জন্য প্রবল মন খারাপ নিয়েই হয়তো ফিরে যেতে হবে। ধু ধু বালু চর ছাড়া আর কিছুই নেই… নদী পাড়ের মানুষ আমি। আমার শৈশব স্মৃতির পুরোটা জুড়েই নদী। সেই নদী মানে উথাল পাথাল ঢেউ। সেই স্মৃতি থেকে বের হতে পারি না।
আমার কেন যেন মনে হয়, সব মানুষের বুকের ভেতরই একটা নদী থাকে। সেটা তার নিজের নদী। কেবল নিজের। সেই নদী আড়ালে আবডালে, খুব সঙ্গোপনে তার বুকের ভেতর থেকে যায়, চুপচাপ। প্রবল কষ্ট কিংবা আনন্দে তারা দুকূল ছাপিয়ে জেগে ওঠে। কখনও কান্নায়, কখনও আনন্দে। অনুভূতির সবটুকু ছুঁয়ে সেই নদী তখন ভাসিয়ে নেয় অদ্ভুত প্লাবনে…
এই শহরের পাশে গড়াই থাকুক থই থই জলে, বুকের ভেতর ভালোবাসা অতলে…

৪। দেশে চলছে ডাক্তারদের কর্মবিরতি, যেমনটি সচরাচর হয় এবারো মানুষ ডাক্তারদের উপর প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত। মইনুল রাজু লিখেছেন তাই নিয়ে, দেখুন আপনার মনে কথা কিনা।।

কেন জানি অল্প কয়জন মানুষকে দিয়ে বাংলাদেশে পুরো একটা পেশার সব মানুষকে দোষারোপ করার সংস্কৃতি চালু হয়ে গেছে। আমার নিজের পেশার মানুষকে দিয়েই বলি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আশপাশের অসংখ্য লেকচারারকে দেখেছি মাথার ঘাম পায়ে ফেলে লেকচার নোট তৈরি করছে। এটা কোনো ৯-৫ টার জব নয়। সারাদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে রাতেও অফিস করতে হয়। লেকচার তৈরি করতে হয়, পরের দিনের ক্লাসের প্রস্তুতি নিতে হয়, নিজে বুঝে স্টুডেন্টদের বুঝাতে হয়। কোনো কোনো বিভাগে স্টুডেন্ট ১০০ এর উপরে; সবাই তিন চার ঘণ্টা করে পরীক্ষা দেয়, তাদের সবার খাতা দেখতে হয়। বেতনতো সেই বিশ হাজার টাকা। মাঝে মাঝে ভুল করেও পিৎজা হাট এ যাওয়ার কথা চিন্তা করা যায় না, নানদুজের দিকেতো চশমা না লাগিয়ে তাকাতেই মানা। বিশেষ দিনের দৌড়, বড়জোর নান্না মিয়ার বিরিয়ানী পর্যন্ত। কিন্তু, তারপর রেডিও টেলিভিশন পত্রিকায় কত চোখ রাঙানি- ‘তারা শিক্ষক, তাদের কাজ স্টুডেন্ট পড়ানো, তারা কেন প্রাইভেটে ক্লাস নিবে’! বিশ্ববিদ্যালয়ে আমারই সহপাঠী যখন রঙিণ হাওয়ায় পাল তুলে ভেসে বেড়িয়েছে, আমিতো তখন চারকোনা টেবিলে বসে বই খাতা নিয়ে ব্যস্ত। এখনতো সে কেএফসি, পিৎজা হাট ছাড়া কথাই বলে না। আমার পিৎজা কই? রিসার্চ করার জন্য কত উপদেশ। ইউএসএ থেকে ইউরোপে একটা কনফারেন্স অ্যাটেন্ড করলে তিনচার লাখ টাকা বিল হয়; আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা বিভাগের বাৎসরিক বাজেটই তিন চার লাখ টাকা। অন্য সব পেশার মত নীতি বিবর্জিত মানুষ এখানেও যে নেই তা নয়, অবশ্যই আছে। দশজন বিশজন আপত্তিকর রকমের নীতিহীন মানুষ আছে। সেই দশ-বিশজনকে নিয়েই সারা বছর পত্রিকার পাতা, টিভির পর্দা সরগরম থাকে; ছি ছি, জাত গেলো, জাত গেলো করে পুরো রাষ্ট্র কানাকানি করতে থাকে। দুই হাজার শিক্ষকের মধ্যে বিশজন কি এরকম হতে পারে না? সংখ্যাটা কি খুব বেশি? সেই বিশজনকে দিয়ে কি পুরো পেশার মানুষকে বিচার করা যায়?

এখন শুরু হয়েছে ডাক্তারদের নিয়ে। সব ডাক্তার নাকি খারাপ। মন্ত্রী মিনিস্টাররা পর্যন্ত ভয় দেখাতে শুরু করেছে। এত এত ব্রিলিয়্যান্ট স্টুডেন্টগুলো ডাক্তার হয়। তাদেরকে আপনি বললেন, ‘যাও গ্রামে গিয়ে চিকিৎসা কর’, আর সাথে সাথে তারা চলে যাবে। আমি যেতাম না। আবার বলবেন, তারা যে ১০০০ টাকা করে ফি নেয়, সেটাতো চোখে দেখেন না। ভাল করে দেখেন, যারা ১০০০ টাকা ফি নেয় তাদেরকে গ্রামে যেতে বলা হচ্ছে না, তারা যাবেও না। যত যন্ত্রণা সব তরুণ ডাক্তারদের, তাদেরকে গ্রামে যেতে হবে। পাপ করে কে, আর প্রায়শ্চিত্ত কর কে! এবার প্রশ্ন আসবে, তাহলে গ্রামের মানুষজনের কি চিকিৎসা হবে না, তাদের চিকিৎসা করবে কে? উত্তর সহজ- চিকিৎসা তরুণ ডাক্তাররাই করবে। কিন্তু, ভয় দেখিয়ে তাদেরকে সেখানে পাঠানোর চিন্তা না করে বরং সুযোগ-সুবিধা বেশি দিয়ে কি সেটার ব্যবস্থা করা যায় না! অন্য আর সব পেশার মত এখানেও খারাপ মানুষ আছে, নির্দয় মানুষ আছে। তাদের কথাই ফলাও করে পত্রিকায় আসে। কিন্তু, সেটা দিয়ে কি সেই পেশার সব মানুষকে বিচার করা যায়? বিসিএস দেয়া অনেক অফিসারইতো বাড়ী-গাড়ী পায়, একজন ডাক্তার তার চেয়ে কোন অংশে কম? তাহলে গ্রামে যেতে না চাওয়া ডাক্তারদের হুমকি-ধামকি না দিয়ে বরং শহরের ডাক্তারের চেয়ে ঈর্ষণীয় রকমের বেশি সুযোগ সুবিধা দিতে অসুবিধা কোথায়? তাদের প্রমোশান আগে দিতে অসুবিধা কোথায়? বস্তুত, ডাক্তারদের সম্পর্কে যে-কোনো ধরণের সিদ্ধান্ত হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা মানুষদের নেয়া উচিৎ। অসুস্থ একজন মানুষই বলতে পারে একজন ডাক্তারের অবস্থা কোথায় হওয়া উচিত। সুস্থ মানুষ বড় বেশি অকৃতজ্ঞ।

Place your ads here!

No comments

Write a comment
No Comments Yet! You can be first to comment this post!

Write a Comment