প্রিয় অস্ট্রেলিয়ার নতুন টিমকে শুভেচ্ছা সহ ভালবাসা –
১.মানুষকে যদি জিঞ্চাসা করা হয়, জীবনের সবচেয়ে সহজ কাজ কি? উত্তর আসবে মৃত্যু। অন্যদিকে যদি জিঞ্চাসা করা হয় সবচেয়ে কঠিন কাজ কি? উত্তর আসবে বেঁচে থাকা । আসলে তাই, বেঁচে থাকা কিংবা গড়া হল জীবনের সবচেয়ে কঠিন কাজ; ধ্বংস কিংবা মৃত্যু হোল সবচেয়ে সহজ ব্যাপার । হাজার হাজার বৎসরের সভ্যতা ধ্বংস করতে লাগবে কয়েক ঘন্টা অন্যদিকে কত কঠিন সময়, শ্রম, অনুভূতি দিয়ে মানুষ তিলে তিলে কোন কিছু গড়ে তুলে, আমরা কি কখনো তা চিন্তা করে দেখেছি গভীরভাবে? প্রিয় ক্যানবেরা থেকে প্রিয় অস্ট্রেলিয়া দীর্ঘ পথ পরিক্রমা, সময়, শ্রম ও অনুভূতির এক রাসায়নিক মিশ্রণ । আমরা তার সাক্ষী, কারণ আমাদের চোখের সামনে দিয়েই তার জন্ম, বেড়ে উঠা ও পথ চলা । ঐভাবে সাহায্য করতে পারিনি ঠিকই, তবে অন্তরের আবেগ মিশ্রিত সবটুকু ভালবাসা সব সময়েই ছিল । মানিক ভাইকে সময়ে সময়ে জিঞ্চাসা করেছি, কোন ধরনের সাহায্যের দরকার হলে যেন সংকোচ না করেন। চেষ্টা কতটুকু করেছি জানিনা, তবে ভালবাসার অনুভূতিটুকু সর্বদা নিজের মধ্যে জাগ্রত রেখেছি প্রিয়ের জন্যে।
২. তাই ত, যখন প্রিয়ের নতুন টিমের ব্যাপারে খবর আসল, মনটা একটু খারাপই হয়েছিল; তবে কি মানিক ভাই ক্লান্ত হয়ে পরেছেন , নাকি অন্যকিছু ? সভ্যতার কারিগরদের ত ক্লান্তিবোধ থাকতে নেই । একটা জীবন আমরা ত নিজেই নিজের কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছি মানুষের কল্যাণে, মানবতার কল্যাণে উৎসর্গ করে গেলাম। এখানে লাভালাভের কোন হিসেব নেই, থাকতে নেই তা হলে ত আমি নিজেকে, নিজেই ছোট করে ফেললাম । আমি নিজেকে আমার কাছে যদি জবাবদিহিতার মধ্যে না আনতে পারি, তাহলে তাবৎ জগতের কার সাধ্যি? আমার শ্রদ্ধার মানুষ, প্রিয় মানুষ, কামরুল আহসান খানকে, এডেলেইড থেকে রিং দিলাম, জিঞ্চাসা করলাম কামরুল ভাই আপনি কি কিছু জানেন মানিক ভাইয়ের ব্যাপারে, উনি আমাকে পাল্টা প্রশ্ন করলেন কি, কেন? তারপর উনাকে প্রিয়ের নতুন টিমের খবরটা দিলাম, উনি ও কিছুটা আর্শ্চয্য হলেন, এবং বললেন মানিকের কি হল যে সে পত্রিকার নতুন টিম খুঁজছে । বুঝতে পারলাম মানিক ভাই উনার ও খুব প্রিয় মানুষ । উনি সাথে সাথে আমাকে বললেন আরশাদ তুমি এখন রাখ, আমি মানিকের সাথে এখনই আলাপ করে পরে তোমাকে কল ব্যাক করছি । দশ , পনের মিনিট পর কামরুল ভাই আমাকে কল ব্যাক করলেন এবং আলাপচারিতার সারসংক্ষেপ জানালেন এবং বললেন, ঘটনা সত্যি । মানিক পত্রিকার নতুন ব্যবস্থাপনা চাচ্ছে এবং উনার সাথে আলাপচারিতায় আমরা একমত হলাম যে প্রিয়, আমাদের সবার প্রিয় অতএব এর জন্যে কিছু করতে হবে, আমাকে কামরুল ভাই জিঞ্চাসা করলেন আরশাদ তুমি চালাতে পারবে, আমি বললাম পারব কিনা জানিনা, প্রয়োজনে আমাদেরকে দায়িত্ব নিতেই হবে। আমি মনে করি এটা আমাদের কর্তব্য। পরবর্তীতে আমি নিজেও আমার পরিচিত আইটি বিশেষজ্ঞদের সাথে আলাপ করে পত্রিকার ব্যাপারে মানিক ভাইকে অবহিত করলাম, পরবর্তীতে মানিক ভাইয়ের সাথে আমার কয়েক বার ফোনে আলাপ হয়েছে। যখনি মানিক ভাই আমাকে জানালেন, আরশাদ ভাই এটা আমার সন্তানের মত এবং আমি চাইব আমার সন্তান যেন সঠিক পাত্রে যায়। তারপর আর একদিনের জন্যে ও আমি এ-ব্যাপারে পক্ষপাতিত্ব আসতে পারে এ কথা চিন্তা করে ফোন দেইনি এবং গত দু মাসের উপরে হয়, আমার সাথে মানিক ভাইয়ের ফোনালাপ নেই । যখন ৯ই আগষ্ট ২০১৩ পোষ্টিংয়ে প্রিয়ের নতুন টিমের খবর পেলাম, তখন থেকে আশ্বস্থ হলাম যে, যাই হোক প্রিয় মনে হয় এবার নতুন হাতে যাত্রা শুরু করল, খুশীই হলাম, এবার নতুন আংগিকে, নতুন উদ্দীপনায় আমাদের সকলের প্রিয়কে দেখতে পারব আরো সুন্দরভাবে, আরো গতিশীলতায়। নতুন টিমের প্রতি আমার পুরো আস্থা ত রয়েছেই, পাশাপাশি আমার দরজা প্রিয়ের জন্যে সব সময়ের জন্যেই খোলা রইল ।
৩. নতুন প্রিয় টিমকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা , ভালবাসা ও এডেলেইডের সকলের পক্ষ থেকে একরাশ লাল গোলাপ শুভেচ্ছা, প্রিয় যেখানেই থাকুক – ভাল থাকুক, সুন্দর থাকুক, এই কামনায় ——
আরশাদ হোসেন ভূঁইয়া
এডেলেইড, অস্ট্রেলিয়া
৪ঠা সেপ্টেম্বর ২০১৩