টনি এ্যাবটের অস্ট্রেলিয়া

টনি এ্যাবটের অস্ট্রেলিয়া

টনি এ্যাবটের অস্ট্রেলিয়া

শুধু মাত্র আনুষ্ঠানিক শপথ বাকি, তারপরই লিবারেল পার্টির প্রধান টনি এ্যাবট অস্ট্রেলিয়ার ২৮ তম প্রধানমন্ত্রী। সর্বশেষ হিসাব মতে টনির লিবেরাল পার্টি পেয়েছে ৮১, কেভিন রাডের লেবার পার্টির ৫০, গ্রিন পেয়েছে ১ এবং স্বতন্ত্র পেয়েছে ২টি আসন। ইলেকশন কমিশনের ওয়েব সাইট মতে লিবেরাল পার্টি মোট ৮৯টি আসন পেতে পারে। তবে যাই হউক টনির প্রধানমন্ত্রী হতে কোন বাধা নাই।

এবারের নির্বাচনের ফলাফল ভোটের আগেই আঁচ করা গেছে, টনি তার প্রচার সময় কেমন যেন নিজেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই কাঁধ ঝাকাতেন। নিন্দুকদের নানা সমালোচনা তাকে এবং তার দলকে ঠেকাতে পারে নাই। তার এ বিজয় আরও ত্বরান্বিত হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড এবং কেভিন রাডের অর্ন্তদ্বন্দ্বের কারনে। জুলিয়া গিলার্ড হয়ত গ্রিন ও স্বতন্ত্রদের সহযোগিতা নিয়ে সরকার গঠন করতে পেরেছিলেন কিন্তু তাদের দেয়া কার্বন করের শর্ত মেনে নিতে বাধ্য হন। এর ফলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও জনসাধারণের বিদ্যুৎ সহ আরও কিছু বিল বেড়ে যায়। তাছাড়া নৌকায় করে অবৈধ উপায়ে আসা শরণার্থী সংখ্যা ভয়াবহ ভাবে বেড়ে যায় । নানা রকম পদক্ষেপ নিয়েও জুলিয়া এবং কেভিন এদের ঠেকাতে পারেনি। ভরাডুবির আরেকটি প্রধান কারণ লেবার সরকারের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা। কেভিন ও জুলিয়া বিলিয়ন ডলার ধনাত্মক অবস্থায় ক্ষমতা গ্রহণ করে ২ বছরের মাথায় ঋণাত্মক অবস্থায় চলে যায় । দেশ হয়ে পরে বৈদেশিক ঋণ নির্ভর।

টনি নির্বাচিত হওয়ার একদিন পরই ঘোষণা দেন, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে অধিবেশন ডেকে তিনি প্রধান তিনটি কাজ করতে চান। তাহলোঃ

কার্বন কর বিলুপ্তি।

অবৈধ ভাবে আসা শরণার্থী নৌকা ফিরিয়ে দেয়ার জন্য নৌবাহিনী নিয়োগ প্রদান।

নিউ সাউথ ওয়েলস কে আগ্রাধিকার প্রদান।

প্রয়োজনের চেয়ে বেশি সংখ্যক আসন নিয়ে টনি সরকার গঠন করতে যাচ্ছেন সত্য, কিন্তু কার্বন কর বিলুপ্ত সহ আরও বিল বাতিল ও পাশ করতে হয়ত সিনেটে প্রয়োজনীয় আসন নাও পেতে পারেন তিনি। তাই প্রশ্ন থেকে যাবেই।

আমরা সাধারণ মানুষ প্রত্তাক্ষ করলাম কি সুন্দর ভাবে কেভিন তার পরাজয় স্বীকার করলেন আর টনি কত কৃতজ্ঞ ভরে কেভিন কে দু দুবার প্রধানমন্ত্রী আখ্যা দিয়ে ক্ষমতার পালাবদলে অগ্রসর হচ্ছেন। তার অর্থ সরকারি ও বিরোধী দল সবাই মিলে এ দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এখানে বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের বিরদ্ধে কোন মামলাবাজি না, নির্বাচনে কোন কারচুপির োভিযোগ নেই। প্রতিদিন যেমন সকাল হয় তেমনি সাধারণ মানুষ আরেকটি সকালের মধ্যে দিয়ে দেশের নতুন সারথি ও তার দলকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। আহ্ আমাদের বাংলাদেশে যদি এমন হত!

সেদিন সিডনির রাস্তায় একটা হাতে লেখা ব্যানার চোখে পরল, ‘টনি কিভাবে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা করবে? তিনি কি দরিদ্র গোষ্ঠীকে শোষণ করে তার এ কাজ সাধন করবেন।‘ আমরা নতুন সরকার থেকে এমন পদক্ষেপ আশা করি না। আমরা চাই এদেশের ধনী, দরিদ্র সহ সকল মানুষ ভালো থাকুক।

সকল প্রতিকূলতা সরিয়ে টনি ও তার দল সবার সহযোগিতার মধ্যে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাক, এ দেশ উন্নত থেকে আরও উন্নততর হোক এটাই প্রিয় অস্ট্রেলিয়া পরিবারের কামনা।


Place your ads here!

No comments

Write a comment
No Comments Yet! You can be first to comment this post!

Write a Comment